![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখি আমি অন্ধ চোখে জগতটাকে
আগে একটা সময় ছিল যখন ফ্যাশনের সাথে সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়গুলো জড়িত ছিল। অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিষয়গুলো না থাকলেও রুচিশীলতার একটা ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে ফ্যাশনের নামে নগ্নতা জায়গা করে নিয়েছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আর এর প্রধান শিকার নারী সমাজ। হাল ফ্যাশনের নামে এখন চলছে মেয়েদেরকে পন্য রুপে বাজারে উপস্থাপন ও সেই সাথে কর্পোরেট বাজারিকরন। ছেলেদের পোশাকে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি ; সাবেক সেই জিন্স আর টি শার্ট ই ঘুরে ফিরে আসছে , কিন্তু মেয়েদের জন্য এখন বাজারে এসেছে নানা বাহারি পোশাক এবং এসব পোশাকের সাধারন গুন হল মেয়েদের শরীরকে যৌন উত্তেজক ভাবে ফুটিয়ে তোলা। অতীতের দিকে চোখ ফিরালে দেখা যায় মেয়েদের পোশাক ছিল মার্জিত ও রুচিশীল এবং তাতে যে ফ্যাশানের কমতি ছিল তা কিন্তু নয়। তখনকার কিছু কিছু মেয়েদের শরীরে পোশাক কম থাকলেও শরীর ছিল রক্ষনশীল। বর্তমানে অতি আধুনিক হতে গিয়ে মেয়েরা তাদের আগের সেই মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে আর নিজেদেরকে অসভ্যভাবে তুলে ধরছে নিজেদের অজ্ঞাতসারে। এইতো সেদিন জয়া ন্যাপকিনের একটা বিলবোর্ডে একটা মেয়ের ছবি দেখে মনে হল আসলে মেয়েটা কিসের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ? নিজের শরীরের না পন্যের ? ইদানিং কালে আবওহাওয়া এত গরম যে মেয়েরা পোশাক পাতলা করতে করতে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এখন মেয়েরা পোশাক পরলে অন্তর্বাস বাইরে থেকে বোঝা যায় অনেক ক্ষেত্রে পুরো শরীরের আক বাক বোঝা যায়। এর নাম অন্তত ফ্যাশন না অন্তত আমি মনে করিনা আর এসবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই হয়ে যেতে হচ্ছে সেকলে বা গোঁড়া কি দারুন । আর এসব ফ্যাশোন নামের নগ্নতার চাকায় তেল দিচ্ছে নারীবাদ, নারী স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা নামের কিছু জিনিস । এসবের পিছনে ছেলেদের তথা পুরুষ মানুষের যে হাত নেই তা নয়। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্যই সব আয়োজন তাই বলে নারী নিজেকে পন্য হিসাবে প্রদর্শন করতে দিবে বা নিজের মান বুঝে চলবে না সেটা তো গ্রহন যোগ্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩২
তারেক বলেছেন: ঠিকই লিখেছেন।