নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালি আতরাফ মুসলমান

"হরি আছেন পূর্বে, আল্লা আছেন পশ্চিমে, তুমি তোমার হৃদয় খুঁজে দেখ- করিম ও রাম উভয়েই আছেন হৃদয়ে; এ জগতের সমস্ত মানব-মানবীই তাঁর অংশ।" (সন্ত কবীরের গান; তর্জমা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

ইরফানুর রহমান রাফিন

"অন্ত্যজ বাঙালি আতরাফ মুসলমান" নামটা ব্লগার ইমন জুবায়েরের স্মরণে...

ইরফানুর রহমান রাফিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহিদ কমরেড সিরাজ সিকদারের রক্তাক্ত স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০



আজ ২রা জানুয়ারি। ১৯৭৫ সালের এই দিনে “পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি”-র প্রধান নেতা সিরাজ সিকদারকে হত্যা করে সরকারি নিরাপত্তাবাহিনী। সেই হত্যাকাণ্ডে তুষ্ট, তৃপ্ত, উৎফুল্ল ও উল্লসিত হয়ে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সংসদে চিৎকার করে বলেছিলেন, “কোথায় আজ সিরাজ সিকদার?”



মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সূচনা আওয়ামী লীগের হাতে।





“১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকা থেকে অন্য একজনসহ সিরাজ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে ওই দিনই বিমানে করে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার পুরনো বিমানবন্দরে নামিয়ে বিশেষ গাড়িতে করে বন্দিদের পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মালিবাগস্থ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিরাজ সিকদারকে আলাদা করে তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ ও রক্ষীবাহিনীর বিশেষ স্কোয়াডের অনুগত সদস্যরা গণভবনে মরহুম শেখ মুজিবের কাছে সিরাজ সিকদারকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নিয়ে যায়। সেখানে শেখ মুজিবের সঙ্গে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলীসহ আসামিরা, শেখ মুজিবের পুত্র মরহুম শেখ কামাল এবং ভাগ্নে মরহুম শেখ মনি উপস্থিত ছিলেন। আর্জিতে আরো বলা হয়, প্রথম দর্শনেই শেখ মুজিব সিরাজ সিকদারকে গালিগালাজ শুরু করেন। সিরাজ এর প্রতিবাদ করলে শেখ মুজিবসহ উপস্থিত সবাই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সিরাজ সে অবস্থায়ও শেখ মুজিবের পুত্র কর্তৃক সাধিত ব্যাংক ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম, ভারতীয় সেবাদাসত্ব না করার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শেখ মুজিবের কাছে দাবি জানালে শেখ মুজিব আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। সে সময় ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন তাঁর রিভলবারের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সিরাজ সিকদার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শেখ কামাল রাগের মাথায় গুলি করলে সিরাজ সিকদারের হাতে লাগে। ওই সময় সব আসামি শেখ মুজিবের উপস্থিতিতেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে মারতে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলেন। এর পর শেখ মুজিব, মনসুর আলী এবং ২ থেকে ৭ নং আসামি সিরাজ সিকদারকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১ নং আসামিকে নির্দেশ দেন। ১ নং আসামি মাহবুব উদ্দিন আহমদ আসামিদের সঙ্গে বন্দি সিরাজ সিকদারকে শেরে বাংলানগর রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরে নিয়ে যান। এর পর তাঁর ওপর আরো নির্যাতন চালানো হয়। অবশেষে ২ জানুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে রাত ১১টার দিকে রক্ষীবাহিনীর সদর দপ্তরেই সিরাজ সিকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়।”



সিরাজ সিকদার হত্যা মামলার বিবরণী



Click This Link







সিরাজ সিকদার ও পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে পড়ুন আরিফুজ্জামান তুহিনের “বিপ্লবের বাঁশিওয়ালা : সিরাজ সিকদার ও তাঁর সর্বহারা পার্টি”



http://www.droho.net/?p=2576



এছাড়া, সিরাজ সিকদারের চিন্তা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে পড়ুন “সিরাজ সিকদার রচনা সংগ্রহ” (প্রকাশকঃ শ্রাবণ প্রকাশনী, সম্পাদনা করেছেন সিরাজ সিকদারের ছোটবোন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা-খ্যাত ভাস্কর শামীম সিকদার)।



শহিদ কমরেড সিরাজ সিকদারের রক্তাক্ত স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

ফাটা বাশঁ বলেছেন: একবার এক ডাকাত পিতা ওরফে ডাকাত সর্দার আক্ষেপ করে বলেছিলেন, "আমি পেয়েছি চোরের খনি"।

ব্যাটা আসলে ডাকাতের খনি চেয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.