নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নৈঃশব্দতা...

নভো নীল দীপ্তি

নভো নীল দীপ্তি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমায় যখন প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬





শুন্য দৃষ্টিতে নীলার চলে যাওয়া পথটার দিকে তাকিয়ে আছি।সাত-সক্কালে এভাবে আমার হাতে ডায়েরিটা ধরিয়ে দিয়ে হনহন করে ওর চলে যাওয়ায় বেশ অবাক হলাম।আজকে তো সাধারণত ওর অফ ডে থাকে।সম্ভবত কোন আর্জেন্ট মিটিং হবে।



ডায়েরিটা হাতে নিয়ে বেশ অনেকক্ষণ ধরেই বসে আছি।খুলবো খুলবো করেও সাহস হচ্ছে না।।

ডায়েরিটা আমার এক্সিডেন্টের বেশ অনেকদিন আগেই ওর স্টাডি টেবিলের ওপর দেখেছিলাম।বাসায় আসার পরেও বেশ অনেকদিনই টেবিলল্যাম্পটা জ্বালিয়ে ডায়েরিটায় লিখতে দেখেছি নীলাকে।।

আমার তখনই সন্দেহ হয়েছিল, ডায়েরিটা সম্ভবত সে আমার জন্যই লিখছে।। সাধারণ বিষয়গুলোতে নিজের এই অদ্ভুত অসাহসিকতাটা নিজেকেই বেশ ভাবিয়ে তোলে মাঝে মাঝে ।আপাতত খুব অসাহস নিয়ে হলেও ডায়েরি পাতাটা উল্টানো চাই।।



‘নীল’

দিনের শুরুর জানালা গলিয়ে নেমে আসা এই শুভ্র ডিসেন্ট রোদটা কি ইঙ্গিত বহন করে .?? এই সম্পর্কে সমীক্ষা কি বলে..??

এ কি আগামীর সুবাতাসের পূর্বাভাস নাকি মিষ্টি হাসির মিথ্যে উছল..??

পথচলার এই নতুন মৌসুমে আসলে কার ওপর ভরসা করা যায়..??শুরুটা পেরুতে না পেরুতেই যদি আধাঁর করা মেঘটা চলে আসে..তবে..??

বিকেলের রোদের শুভ্রতা হলে না হয় বিশ্বাস করেই নিতাম তার ডিসেন্টন্যাসের ওপর… কিন্তু এই সকালের শুভ্র রোদের কি ভরসা..?

এই আকাশটায় খুঁজতে খুজঁতে মেঘের পাকচক্রে কেউ যদি নিজেকে আবিষ্কার করে.. তখন কি তার জীবনের সমীকরণিক হিসাবটা নিয়ে বসে যেতে ইচ্ছে করে ..হয়তো করে।।



এত আলোর এই শহরটায় মলিন এই আলোটায় কি সুখ খুজেঁ ফিরে কোন লাভ আছে ..??

সম্ভবত এই চৈতি রাতের মেঘের ফাঁকে জেগে থাকা চাঁদটার নামই জীবন!!

স্বপ্নেরা এত অদ্ভুত সব মরীচিকায় প্রাণগুলোকে টেনে নিয়ে যায়..এই অর্থহীন স্বপ্নগুলো যখন নির্বাক অভিমান নিয়ে ক্রংক্রিটের সেই বহুতল ভবন থেকে আছড়ে পরে নীল জোছনা কি সেই রক্তিমতাকে শুষে নিতে পারে..??



ইদানীং আকশের এই আবির গুলালের অদ্ভুত সব নাম দিতে ইচ্ছে করে।এর সজলতায়,ইন্দ্রজালে অথবা রাতের সেই খেয়ালী শিশিরের মায়ায় জড়িয়ে যেতে মন যে খুব চায়।।

আলাপে রঙিন এই দিনগুলোর গোপন সংবাদগুলো যদি শান্ত জলের নিশ্চুপ পাতার মতন আজীবন ভাসতে থাকতো, জীবনটাকে সম্ভবত তখন ডুবতে ডুবতে আলোময় সেই গোধুলীর মুগ্ধতা বলা যেত।।



নিঃশব্দ অভিব্যক্তির শক্তিমান প্রকাশের কি কোন নির্দিষ্ট প্রকাশভঙ্গি আছে..??আমি জানি না।। একে থামায় কিভাবে…সেটাও আমার জানা নেই..!!

এই যে মন ভার জানালায় বসে বসে তোমায় অনেকগুলো উড়ো চিঠি দেয়ার অবান্তর ইচ্ছাগুলোকে সামলে নিয়ে অথবা নতুন স্বতন্ত্র এই কাব্যভাষাকে থামিয়ে দিয়ে মনের আশেপাশের সবগুলো বির্পযস্ত চিন্তাগুলোকে রুখে দিতে প্রাণান্তকর চেষ্টায় রত,এর কারণটাই বা কি??



সব দুঃখের ভানগুলো যে সুখের বিজ্ঞাপন ছিল,নাগরিক জীবনের সকল পোস্টার জুড়ে যে আমাকে সেই ইঙ্গিতই বরাবরই দিয়ে যাচ্ছিলো,তা বোঝার এতটুকু ফুরসত যদি পেতাম!!

আলোকহীন নিস্তদ্ধতার এই হৃদকম্পন যে তা অবলীলায় বলে দিয়ে যাচ্ছিলো,সেটা আজ ঢের বুঝতে পারছি।।



নীল প্রজাপতির ডানায় আকাঁ শত রঙের সেই খেলা বারবার আমায় মনে করিয়ে দিয়ে যাচ্ছি,কিছু তো আছে তোমায় ঘিরে আমার এই মেঘ রূপপুষে রাখা মুগ্ধতায়।।

অসময়ে এই অকারণ অবাধ্যকতা সৃষ্টির বাধ্যগত ফলাফল নিয়ে আরেকটু চিন্তাশীল হওয়া যেতো।।

হতে পার চিলেকোঠা দুপুরে সেই বেখেয়ালী দীর্ঘশ্বাসকে গোপন করার ব্যর্থতা, অথবা মেঘেদের বিষাদ মাখা চোখে চোখ রেখে দীপ্ততা প্রর্দশনের দূর্দমনীয় ইচ্ছাটার এই অবেলায় প্রাণঘাতী কর্কট রোগ.. এই সবকে কি বলা যেতে পারে.??

কাউকে অকারণ বাধ্যতায় ফেলে দেয়া একদম ঠিক না…এই যে মনের উঠোন ছাপিয়ে গেছে বৃষ্টির জলে,এর দায়টা কার শুনি..?



আচ্ছা,বলতো আবিষ্টার কোন মুর্হুতকে তুমি সবচেয়ে বেশি নম্বর দিবে..?? নদীর বুকের অকারণে আসা পাড়ভাঙা ঢেউের অকারণ আছড়ে পরা মুর্হুতগুলোকে… যে কি না কূলের দুরন্ত আর নিজের শক্তি-সামর্থ্যতা না বুঝেই অকারণ উচ্ছাস নিয়ে অবেলায় ধসিয়ে দিতে চায় দু-কূলকে ..??

নাকি,

অগণন অসংর্কীণ পথে হাটতে হাটতে হঠাই অসংজ্ঞায়িত ফাল্গুনী বাতাসে ভেসে আসা নীল কোন প্রজাপতিকে…যে কি না অগণিত সুখের আবেশে অজস্র সব স্বচ্ছ কাচের টুকুরো দিয়ে যায়!!

কাচের টুকরোগুলো খালি চোখে দেখা যায় না শুধু পায়ে ফুটলেই তার অতীব্র অনুভূতি অনুভব করা যায়..?? আমার কি মনে হয় জানো, নদীর এই কূলের বিপযস্ততা আগেই অনুমেয়।।

যদিও তার নির্ধারিত ক্ষণ কারোই জানা থাকে না..

কিন্তু,

এই অবেলায় চলার পথের সেই উটকো উড়ন্ত প্রজাপতি, যাকে দেখলেই তার সাথে মন রাঙিয়ে উড়তে মন চায়…কিন্তু তার সেই সোনালু নীলচে রঙের মায়ার নানান অপরিদর্শীতা সেখানেই তাকে থামিয়ে দেয়!!

তার সেই ভাববাচ্যে কেনা মেঘের ডাকের গর্জন কখনো ভূ-পৃষ্ঠে প্রতিধ্বনিত হতেও শোনা যায় না।।

১০

ফিনাইল আর এন্টেসেপটিকের সেই অসহ্যকর গন্ধের ভুবনে এই তীব্র ডুবে থাকার ইচ্ছাকে কি নাম দেয়া যায়..??

অথবা, স্টেথোস্কোপ প্রতিটি ঠক ঠক শব্দে যে নিজের অস্তিত্ব জাগানিয়া শব্দরূপে আর্বিভূত হওয়াটাকে!!

১১

তুমি অবাক হতে পারো,এই শঙ্কাময় প্রতিক্ষণে এই বাতুলতাময় শব্দশ্রেণীর উৎপত্তি কোথা হতে..???

সেই অক্সিজেনের সিলিন্ডারের প্রতিটি বুদবুদে যে আমার প্রতিটি বিশ্বাসকে তীব্র থেকে সুতীব্র করেছে তা সম্ভবত কখনোই তোমাকে বোঝানে সম্ভব হবে না।।

দমবন্ধকর সেই হুইসেলের শব্দ যে আমার নিঃশব্দতার প্রতিটি নিঃশ্বাসকে নিমিষেই গিলে ফেলেছে,তা শুনে সম্ভবত অবাক হওয়ার কিছু নেই।।

১২

অর্ধফুটন্ত সব কথামালার এই বিপ্লবী প্রকাশ ইদানীং বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।। কোন মানে হয় অকস্মাৎ এই নিরব বিপ্লবের।।

কত শান্তিতেই শরতের জোৎস্নার আর গাছের পাতাদের সব লুকোচুরি দেখতে দেখতে লাজুক হেসে দিন কাটিয়ে দেয়া যেত।।

বালিকাবেলার সব দুরন্তপনাগুলো মুঠোয় পুড়ে এই মনহীন মানুষগুলোর অবিরত গতির মাঝে কত সহজেই না হারিয়ে যাওয়া যেতো।।

১৩

সেই যে কিছু ক্ষণ ছিলো, যখন সবার একরাশ প্রশ্নজালে আটকে গিয়েছিলাম।সকলের সব প্রশ্নগুলো ধনুকের ফলার মতো বিদ্ধে রক্তাক্ত হচ্ছিলাম..এই সবটুকুই মাথা পেতে নিয়ে ছিলাম।।

যখন শত চেষ্টা করেও তোমার সাথে দুদন্ড কথা বলার ফুরসত পেতাম না, আমার কথাগুলোর জন্ম সেই মুর্হুত থেকেই।।

যখন রাতের সপ্তর্ষিমণ্ডল ডুবে গিয়ে আমার আকাশে শুধু ধ্রুবতারাটাই, জেগে জেগে সঙ্গ দিয়ে যেতো আর আমাকে জীবনের বর্তমান আর ভবিষ্যত পথে বেড়িয়ে জীবনের স্বার্থপর দিকগুলো বলে,বার বার নতুন নতুন প্রশ্ন নিয়ে হাজির হতো,আমার কথাগুলো শব্দরূপে প্রতীয়মান হওয়ার ক্ষণ তখনই।।

১৪

হুম,শত শত সব প্রশ্নের উত্তরই আমি সবাইকে দিতে পেরেছি।এমনকি আমার চলার সঙ্গী ধ্রুবতারার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরও আমি দিতে পেরেছি।।

ডায়েরিটার আজ এক বছর পূর্ণ হলো!!
বহু তিতিক্ষার পর আজকের এই সকালটা এলো।। আমি জানতাম আজকের এই দিনটার কথা তুমি অবশ্যই ভুলে যাবে!!

কেনো জানি সব অভিমানকে সেই কৃষ্ণগহ্বরে ছুড়েঁ ফেলে দেয়ার মন স্থির করেই এ পথে যাত্রা শুরু করছিলাম।।

তবুও এই যে বুকের ভেতর থেকে ওঠে আসা দলা পাকানো অনুভূতিটাকে নিমিষেই গিলে ফেললাম…সেটাই আজকের দিনের আমার সেরা অর্জন।।

১৫

এত কিছুর পরেও তোমাকে দুটো কবিতার লাইন উৎসর্গ করতে ইচ্ছে করছে।।

কি দেয়া যায়….”শেষের কবিতা’র অমিত আর লাবণ্যর একই সাথে বলা ওঠা:

” পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি,

আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্থী।

রঙিন নিমেষ ধুলার দুলাল পরানে ছড়ায় আবির গুলাল,

ওড়না ওড়ায় বর্ষার মেঘে দিগঙ্গনার নৃত্য,

হঠাত আলোর ঝলকানি লেগে ঝলমল করে চিত্ত!!”

: না, না..আজকে তোমায় সব অভিমান থেকে মুক্তি দিয়ে দিলাম যে!!

তাই, পংক্তিমালাগুলো আজ তোমার:

“ভাবতেই পারো ক্লান্ত কোন দুপুরে,

ধূলো মেখে মেখে বেজে ওঠা নুপুরে, সুর মেলে ডানা আকাশেরও ওপরে।

যাও যদি সুদূরপানে, চেনা কোন অন্যখানে।

ভালোবাসার মেঘে ঘেরা, আসবে যে আমার মনে।
আজ তোমার মেঘে মেঘে রঙধনু…… আজ তোমার মেঘে রঙ!

আজ তুমি মেঘে মেঘে যেমন ইচ্ছে তেমন-

ভালোবাসা নিয়ে আসি আজ আমি, মেঘে মেঘে সারাক্ষণ।”

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫০

সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সাধু, সাধু, সাধু!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৮

নভো নীল দীপ্তি বলেছেন: কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ...

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৯

নভো নীল দীপ্তি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!!

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: টুকরো টুকরো অনুভাতি গুলো তুলে ধরেছেন, মন্দ লাগলো না। তবে এগুলি কি প্যারা আকারে নম্বর না দিয়ে দেওয়া যেতন?
পাশাপাশি অতিরিক্ত স্পেস না দিয়ে এমনিতেই অনুভূতিগুলি বোধগয় প্রকাশ করা য়েত। অবশ্য মতামত আমাদের আর সিদ্ধান্ত আপনার ।


শুভকামনা জানবেন ।




০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:২৪

নভো নীল দীপ্তি বলেছেন: গল্পটায় আসলে সময়ের সাথে সাথে ব্যক্তির অনুভূতির পরির্বতনটাকে প্যারা'কারে লিখে বোঝানো হয়েছে।।কথাগুলো একই সময়ে লেখা হয় নি!!

গল্পটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!!

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ছোট ছোট প্যারায় গল্প বহু দিন পর পড়লাম। মুগ্ধতা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৯

নভো নীল দীপ্তি বলেছেন: কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ...

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৮

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১০

নভো নীল দীপ্তি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.