নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা জানো,\nসিন্ধুর গভীরে ছোট বিন্দু আমি,\nআজই আমার মাঝে,\nপ্রাণের সঞ্চার অনুভব করছি.....\nহৃদপিন্ডটা স্পন্দিত হচ্ছে,\nআমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি।

সনজিত

এই ব্লগের সব লেখার সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যাতিত কোন লেখার সম্পুর্ণ অথবা অংশ বিশেষ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন অথবা সম্পাদনা করে কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

সনজিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩০ বছরে পা রাখল উইন্ডোজ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

বিল গেটস ও পল অ্যালেন নামের দুই বন্ধু কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ শুরু করে ১৯৭০ সাল থেকে।তাদের চেষ্টার ফলে ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট নামে নতুন এক প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে আজ ২০১৫ সালে এসে ৩০ বছর ধরে সবার প্রথম পছন্দের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ।আজ থেকে আসছে উইন্ডোজের ১৪তম সংস্করণ উইন্ডোজ ১০।

উইন্ডোজ ১০ নিয়ে আলোচনায় আশার আগে দেখে নেই উইন্ডোজের আগের সংস্করণগুলোকে।

বেটা পর্যায়ে ১৯৮৩ সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১.০ নামের প্রথম অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আনে। এরপর ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে ডস বা ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেমের বাড়তি সুবিধা হিসেবে পরিপূর্ণ উইন্ডোজ বাজারে আসে। এরপর আসে উইন্ডোজ ২.০ এবং ৩.০।

উইন্ডোজ ২.০ -তে উন্নততর কিবোর্ড শর্টকাটের ব্যবস্থা ছিল।উইন্ডোজ ৩.০তে ইন্টেলের ৮০২৮৬ ও ৮০৩৮৬ প্রসেসরের মেমোরি ম্যানেজমেন্ট সুবিধাগুলো কাজে লাগায়।

উইন্ডোজ ৩ –এ লেখালেখির জন্য নোটপ্যাড, ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য রাইট, আঁকাআঁকির জন্য পেইন্ট এবং হিসাব করার জন্য একটি ক্যালকুলেটর যোগ করা হয়।৬ এপ্রিল ১৯৯২ সালে প্রিন্ট যোগ্য ফ্রন্ট যোগ করে উইন্ডোজ ৩.১ উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে মাল্টিমিডিয়া সংস্করণ বের হয়, এতে ভিডিও দেখার সুবিধা যোগ করা হয়।

গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সম্বলিত উইন্ডোজ ৯৫ অপারেটিং সিস্টেম ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট মুক্তি পায়। এরপর উইন্ডোজ ৯৮ বাজারে ছাড়া হয় ১৫ মে, ১৯৯৮ সালে। এটি ১৬ বিট ও ৩২ বিটের হাইব্রিড সংস্করণ।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৫.৫ ও নতুন মুভি মেকার সফটওয়্যার উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার নিয়ে বাজারে আসে উইন্ডোজ মিলিনিয়াম।

উইন্ডোজ ২০০০ এর পর বাজারে আসে সবচেয়ে প্রশংসিত উইন্ডোজ এক্সপি।এমনকি, উইন্ডোজ ৭ ছাড়া উইন্ডোজের পরবর্তী সংস্করণগুলো উইন্ডোজ এক্সপির মত এতো জনপ্রিয়তা পায়নি।

২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিস্তার বাজারজাতকরণ শুরু হয় এবং সাধারণের হাতে চলে আসে। কিন্তু নিত্য নতুন ফিচার যুক্ত করা হলেও ধীরগতি বা নানা বাগ থাকার কারণে জনপ্রিয়তা পায়নি এই অপারেটিং সিস্টেম।ভিস্তার পর ২০০৯ সালে এটি বাজারে আনে উইন্ডোজ ৭। ৩২ বিট ও ৬৪ বিটের দুই রকমের সংস্করণে এটি বাজারে আনা হয়।

উইন্ডোজ ৮ সংস্করণে আগের সংস্করণগুলো থেকে টাচ স্ক্রিনে ব্যবহার উপযোগী করে অনেক পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় পরবর্তীতে উইন্ডোজ ৮.১ উন্মুক্ত করা হয়।

সর্বশেষ বাজারে আসা উইন্ডোজ ১০ মাইক্রোসফটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই অপারেটিং সিস্টেম চিরচেনা স্টার্ট মেন্যু। নতুন ফিচার হিসেবে থাকছে মেট্রো মুড, ভার্চুয়াল ডেস্কটপ, নতুন নোটিফিকেশন অপশন এবং টাচ স্ক্রিন।

সাড়া পৃথিবীতে ৯০% কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। তাই বলেই দেয়া যায় সফলভাবে ৩০ বছর পার করেছে এই টেক জায়ান্ট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.