| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. যে গান নিয়ে বাংলাদেশের প্রায় সবাই আবেগে ভেসে যায়, স্কুল-কলেজে দাঁড়িয়ে গায়, খেলার মাঠে গর্ব অনুভব করে—সেই গানটি গভীরভাবে দেখলে একটি শিরকি প্রবণতাসম্পন্ন গান। বছরের পর বছর ধরে কেউ বিষয়টা লক্ষ্য করেনি, কিন্তু একটু খেয়াল করলেই ভয়াবহতা পরিষ্কার হয়ে যায়।
২. গানটির প্রথম লাইন—
“আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।”
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “তোমায়”—অর্থাৎ বাংলাকে—“ভালোবাসি।”
এটি যে সাধারণ ভালোবাসা নয়, তা পরে বোঝা যাবে।
এর পরের লাইন—
“চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস।”
এর আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়—বাংলার আকাশ বাংলার, বাতাসও বাংলার।
অথচ আমরা জানি, আকাশ-বাতাসের মালিক একমাত্র আল্লাহ।
এখানে বাংলা ভূখণ্ডকে আকাশ-বাতাসের উপর কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে—যা মূলত একধরনের ইলাহি ক্ষমতা আরোপ।
৩. পরের অংশে বলা হয়েছে—
“মা তোমার বদন খানি মলিন হলে, আমি নয়ন জলে ভরি।”
এখানে বাংলাকে “মা” বলা হয়েছে।
মায়ের “বদন” বা মুখ মলিন হলে অশ্রু বিসর্জনের কথা এসেছে।
অর্থাৎ একটি ভূখণ্ডকে জীবন্ত, অনুভূতিসম্পন্ন, আবেগ-গ্রহণক্ষম সত্তা ধরা হয়েছে।
এটি মূলত একধরনের মানবিকীকরণ যা বহু ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের উপাস্যদের জন্য করে থাকে।
ভূখণ্ডকে “মা” বলা, তার “মুখ” কল্পনা করা—এসব কিছুই প্রতীক পূজা বা মাতৃমূর্তি আরাধনার মতো উপাদান বহন করে।
৪. আরও দেখা যায়—“আমি তোমার কোলে খেলেছি”—এই ধরনের লাইন।
এখানে বাংলাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন সে কোলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
অথচ ভূখণ্ড বা দেশ কীভাবে কারও কোলে নেয়?
এটি দেখায় যে গানটি মানুষকে বাংলা ভূখণ্ডের প্রতি এমন আবেগী ভক্তিতে আনে,
যেখানে দেশ = মা = রক্ষক = আশ্রয়দাতা হিসেবে কল্পনা করা হয়।
এই রূপকধর্মী ভক্তি আস্তে আস্তে মানুষকে ভূখণ্ড-আরাধনার দিকে ঠেলে দেয়।
৫. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টানা পুরো গানেই বাংলার কাছে বিভিন্ন আবেগ, ভালোবাসা, দৃঢ়তাসহ অনুভূতি নিবেদন করা হয়েছে।
অথচ আমরা জানি, এসব নিবেদন করা উচিত একমাত্র আল্লাহর কাছে।
এখানে “বাংলা”—একটি ভূখণ্ড—মানুষের ভালোবাসা ও আত্মসমর্পণের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এটি ধীরে ধীরে একধরনের এলাকা-উপাসনার রূপ নেয়, যা বহু প্রাচীন সভ্যতার ধর্মীয় আচরণে দেখা যেত।
উপসংহার:
সবকিছু মিলিয়ে দেখা যায়, “আমার সোনার বাংলা” গানটি শুধু দেশপ্রেম নয়—
বরং অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে ভূখণ্ডকে স্নেহ, ভক্তি ও ক্ষমতার অবস্থানে স্থাপন করে, যা ব্যক্তিকে অজান্তে শিরকীয় আবহে নিয়ে যেতে পারে।
গানটির প্রতিটি লাইন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, এটির মধ্যে এমন সব উপাদান রয়েছে যা মানুষকে সৃষ্টিকর্তার পরিবর্তে একটি প্রতীকী ভূখণ্ডের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতার দিকে পরিচালিত করে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: কিছুই তাদের ভালো লাগে না। সবই হারাম।
২|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
নতুন বলেছেন: হুম গান বাজনা সাহিত্য সব কিছুই বন্ধ করে দিতে হবে।
এইগুলির করার চেয়ে ধর্ম চর্চা করা উত্তম।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৩
এ পথের পথিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিছুই তাদের ভালো লাগে না। সবই হারাম।
হারামের বিধান ইসলামে স্পষ্ট, এতে যদি আপনার ভাল না লাগে কিছুই করার নাই ।
বাকপ্রবাস যা বলেছেন তা তার নিজের অজ্ঞতার ফসল, সে মুসলিমদের সম্পর্কে অজ্ঞ ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: এগুলি হারাম না হালাল বলেন
নাচ
গান
প্রেম
সিনেমা
মানুষের ছবি আঁকা
মূর্তি তৈরি করা
৪|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন থেকে আমার জমি, আমার সন্তান, আমার মা, আমার জামাই এসব বলা বন্ধ করতে হবে। বলতে হবে আল্লাহর জমিন, আল্লাহর সম্পদ, আল্লাহর সৃষ্টি !
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: জ্বী।
৫|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৩
কিরকুট বলেছেন: ভাবছি এখন থেকে ঘুম থেকে উঠে হিশু করার দোয়া পড়বো সাদ বাদ ফাকিস্তান।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: অথবা আফগানিস্তান।
৬|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তাহলে আজই তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে শাহবাগে আন্দোলনে নেমে পড়ুন।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: আজকে একটু বিজি।
৭|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
এ পথের পথিক বলেছেন: সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন থেকে আমার জমি, আমার সন্তান, আমার মা, আমার জামাই এসব বলা বন্ধ করতে হবে। বলতে হবে আল্লাহর জমিন, আল্লাহর সম্পদ, আল্লাহর সৃষ্টি !
স্টুপিড এই কুতুব নিকের এই ব্যক্তি ভুল ভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে কনফ্লিক্ট করছে । স্টুপি"ড কে বলতে চাই রাসুল সাঃ কি এভাবে কথা বলেন নি ? মস্তিষ্ক কি ট্রাক্ট্রর গাজির কাছে বর্গা দিয়ে এসেছেন ?
৮|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৭
এ পথের পথিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: এগুলি হারাম না হালাল বলেন
নাচ
গান
প্রেম
সিনেমা
মানুষের ছবি আঁকা
মূর্তি তৈরি করা
হা হারাম, তো কি হয়েছে ? মনে হচ্ছে আজকেই প্রথম জানলেন ?
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: যেসব মানুষের দরকার, তার সবই হারাম, কিন্তু মানুষজন থাইমা নাই। মুখে শুধু নাউজুবিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
শুধু ইবাদত দিয়া জীবন চলে না। ৯০% মুসলমানের দেশে ১০% ও এসব মানতে পারবে না। তারা তো সাধারণ মানুষ। মানুষ আনন্দবিহীন জীবন কখনই গ্রহণ করে না।
৯|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এ পথের পথিক @ আপনি কোরআন হাদিসের আলোকে প্রমাণ করবেন আমার সোনার বাংলা গানে শিরক এর উপাদান আছে। আপনার লেখা আমি পড়বো।
।
১০|
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪১
dupur১২৩ বলেছেন: এই বার বুজতে পারলাম স্যার যে ২ জন এর কথা বলসে তার মধ্যে আপনি একজন।
স্যার আপনাকে নিয়ে যাহা বলিয়াছে আমি তাহার সাথে এক মত।
স্যার এর মত , আপনারও সুস্থতা কামনা করি। কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।
ভাইজান আরেকটা কথা , গান নিয়ে বেশ কিছু সহি হাদিস আছে , ওই গুলো একটু পড়বেন তাহলে বুজতে পারবেন কোন গান এ শিরক আর কোন গান শিরক না।
আবার বইলেন না আমারে ওকে হাদিস বের করে দিতে , অনলাইন এ সার্চ দিলেই পাবেন
আরেকটা কথা আমি মাত্র ২ নম্বর পয়েন্ট পযন্ত পড়েছি বেশি পড়িনাই। যদি জরুরি কিছু মিস করে থাকলে আমার কমেন্ট ইগনোর করবেন প্লিজ।
১১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এরপর খাওয়া-দাওয়াও বাদ দিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: ধার্মিকদের সাহিত্য বোঝার দরকার নাই, পুরা দুইন্যা আওলা ঝাওলা করে ছাড়ে