![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এখন ভিন্ন মানুষ অন্যভাবে কথা বলি কথার ভেতর অনেক কথা লুকিয়ে ফেলি, কথার সাথে আমার এখন তুমুল খেলা...
একাত্তরের মানবতা-বিরোধী অপরাধের কারণে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।
এই ঐতিহাসিক সময়ে আদালতে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তাই স্বচোক্ষে দেখেছি ফাঁসির রায়ের আগে ও পরে সাঈদীর অভিব্যক্তি। সবার সঙ্গে তা শেয়ার করছি।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আদালত কক্ষের কাঠগড়ায় এনে বসানো হয়। তার পরণে ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর পাঞ্জাবির উপর ছাইরঙা হাতাকাটা ওভারকোট। মাথায় টুপি, মুখে লাল দাড়ির সাঈদীকে এ সময় বেশ স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল।
ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা শুরুর পর জনাকীর্ণ আদালতের কাঠগড়ায় সাঈদী বসা অবস্থায় মাথা খানিকটা উঁচু করে রায় শুনতে থাকে। শুরু থেকেই বেশ মনোযোগ দিয়ে রায় শুনছিল সাঈদী।
বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু করে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রায় পড়া শেষ হয়। ১২০ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন বিচারক প্যানেলের সদস্য আনোয়ারুল হক। পরবর্তী অংশ পাঠ করেন বিচারক প্যানেলের অন্য সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রায় পড়ার এক পর্যায়ে বলা হয়, ‘একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী যে পিরোজপুরে রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন, প্রসিকিউশন তা সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।’
রায়ের ওই অংশ শোনার পর থেকেই পরিবর্তন আসতে শুরু করে সাঈদীর চেহারায়। তার বিষণ্ন বদনে যেন কালো মেঘ ভর করে। এক সময় বিচারকের উপর থেকে সাঈদী সরিয়ে নেয় দৃষ্টিও। তখন তার চাহনিতে এক ধরনের অস্থিরতা প্রকাশ পাচ্ছিল। ধীরে ধীরে ঝুলে পড়ে তার মাথা, দৃষ্টি চলে যায় মেঝের দিকে। রায় পড়ার শেষ পর্যন্ত ওভাবেই ছিল দেইল্লা রাজাকার। দণ্ড ঘোষণার পর আবার মুখ তুলে তাকায়।
বেলা ২টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে গিয়ে উচ্চ কণ্ঠে সাঈদী বলে, এটা বিচারকদের শপথের বিবেচনা দ্বারা দেওয়া রায় নয়। শাহবাগের আন্দোলনের দ্বারা প্রভাবিত রায়। আপনারা আপনাদের নেওয়া শপথ এবং নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে বিচার করতে পারেন নি।
এরপর সাঈদী শাহবাগের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে কথা বলতে শুরু করে । এ সময় আদালতে উপস্থিত অনেকেই উচ্চস্বরে চুপ.. চুপ বলে চিৎকার করতে থাকেন। এরপরও সাঈদী কথা বলার চেষ্টা করলে উপস্থিত দর্শনার্থীরা ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’ বলে ওঠেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কথা বলতে গিয়ে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়া বাবাকে রক্ষা করতে সে সময় সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘উনাকে নিচে নিয়ে যান। উনাকে নিচে নিয়ে যান।’ পুলিশ দ্রুত সাঈদীকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। পরে তাঁকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রায়ের পুরো সময় সাঈদী যে কাঠগড়ায় ছিল, তার সামনেই দর্শক সারিতে বসে ছিল সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী। রায়ের পর বাবাকে দাঁড়াতে দেখে তিনিও দাঁড়িয়ে যান।
ছেলের প্রতিক্রিয়া
সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী তাঁর বাবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোন অপরাধে আমার বাবার মৃত্যুদণ্ড হলো, সেটা আমি বুঝতে পারছি না।’
মাসুদ সাঈদী দাবি করেন, ‘একাত্তরে তিনি একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে পিরোজপুরে এত তাণ্ডব চালানো সম্ভব নয়। তিনি একজন জনপ্রিয় মানুষ। রাজনৈতিকভাবে তৃতীয় কোনো পক্ষকে খুশি করতেই এমন রায় দেওয়া দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা আপিল করব।’
রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে সাঈদীকে বিমর্ষ দেখালেও রায় শেষে তাঁর ছেলে মাসুদ সাঈদী দাবি করেন, ‘আমার বাবা সুস্থ আছেন। ভালো আছেন।’
ফুটনোট
‘তুই রাজাকার’ কথাটি যার নাটকে টিয়া পাখির মুখ দিয়ে প্রথম বের হয়ে এসেছিল একাত্তরে সেই হুমায়ূন আহমেদের বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদের হত্যায়ও জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারের বিরুদ্ধে।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
অন্য পুরুষ বলেছেন: নো কমেন্ট। কোন কমেন্ট করে সরকারী বাহিনীর নজরে পড়ে যেতে পারে যে কেউ।
আজ মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা নেই....... লল।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
ক্ষয়রোগ বলেছেন: ফাঁসির চেয়ে বড় আর কোনো দণ্ড
আমাদের সংবিধানে নেই.. যদি থাকতো, সেটাতেই বেশি সন্তুষ্ট হতাম। ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪২
অচীনপুরের চেনা মুখ বলেছেন: ধীরে ধীরে ঝুলে পড়ে তার মাথা, দৃষ্টি চলে যায় মেঝের দিকে। রায় পড়ার শেষ পর্যন্ত ওভাবেই ছিল দেইল্লা রাজাকার।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ল্যাও ঠ্যালা! মাঠ তো বলের বাইরে!
রাজাকার এর বাচ্চা তো রাজাকারই হবে, ওর কথা বাদ। আমিও কইতে চাই, কুত্তার পোলা সাইদি, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার!
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
মাহবু১৫৪ বলেছেন: দারূণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার
++++
তবে হুমায়ূন আহমেদের বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদের হত্যায়ও জড়িত থাকার যে অভিযোগ ছিল সেটা প্রমাণিত হয় নি।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬
লতিফা লতা বলেছেন: যে অভিযোগগুলো প্রমানিত হয়েছে, সেগুলোই ফাঁসির রায়ের জন্য যথেষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সাজ২৫৪৫ বলেছেন: আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি ভাই আপনি কি রায়টি কে সন্তোষজনোক মনে করছেন ?? কারন==>http://www.somewhereinblog.net/blog/televishion/29785884