![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলেক্সান্ডারের সম্রাজ্য।
আলেকজান্ডার সুদূর গ্রিস থেকে একের পর এক রাজ্য জয় করে ইরান আফগানিস্তান হয়ে ভারতের পাঞ্জাবে পৌছে যায়। সুদর্শন তরুণ সম্রাটের চোখে সারা পৃথিবী জয়ের স্বপ্ন। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তিশালি সেনাবাহিনীর অধিকারি তিনি। বিখ্যাত ইরান সম্রাট দারায়ুস থেকে শুরু করে উত্তর পশ্চিম ভারতের পারক্রমশালি রাজা পুরু পর্যন্ত কেউ তার সামনে দাড়াতে পারে নাই। এখন তার সামনে মাত্র একটা বাধা, বিপাশা নদীর ওপারের গঙ্গারিডই রাজ্য। বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশ। এটুকু করতলগত হলেই সমগ্র পৃথিবী তার দখল হয়ে গেল। যে স্বপ্ন নিয়ে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন গ্রিক রাষ্ট্র মেসিডোনিয়া থেকে, তা পরিপূর্ণতা পাবে।
এদিকে বাংলাদেশ( তৎকালীন গঙ্গারিডই) রাজ্যের রাজা তার বিশাল বাহিনী নিয়ে নদীর এপাড়ে আলেকজান্ডারকে প্রতিহত করতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এ সম্পর্কে প্রচীন গ্রিক ও ল্যাটিন ঐতিহাসিকগনের লেখায় তথ্য পাওয়া যায়।
মেগাস্থিনিস(৩৫০ খ্রীস্টপূর্ব-২৯০ খ্রীস্টপূর্ব) আলেকজান্ডারের সেনাপতি ও বন্ধু সেলুকাসের রাজত্বকালে গ্রিক দূত হিসাবে ভারতে এসেছিল। তিনি লিখেন- ‘গঙ্গারিডাই রাজ্যের বিশাল হস্তী-বাহিনী ছিল। এই বাহিনীর জন্যই এ রাজ্য কখনই বিদেশি রাজ্যের কাছে পরাজিত হয় নাই। অন্য রাজ্যগুলি হস্তী-বাহিনীর সংখ্যা এবং শক্তি নিয়া আতংকগ্রস্ত থাকিত’
‘ভারতের সমূদয় জাতির মধ্যে গঙ্গারিডই সর্বশ্রেষ্ঠ। এই গঙ্গারিডাই রাজার সুসজ্জিত ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত চার হাজার হস্তী-বাহিনীর কথা জানিতে পারিয়া আলেকজান্ডার তাহার বিরূদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হইলেন না’ - ডিওডোরাস (৯০ খ্রীস্টপূর্ব-৩০ খ্রীস্টপূর্ব)
গঙ্গাড়িডই রজ্যের প্রকান্ড সেনাবাহিনী বর্ণনার ক্ষেত্রে ভারতীয় ও ধ্রুপদী ইউরোপীয় রচনাগুলির উল্লেখে প্রচুর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ডিওডোরাস ও ক্যুইন্টাস কার্টিয়াস রুফাস উভয়েই উল্লেখ করেছেন নন্দরাজের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ সম্বন্ধে। যথা- পদাতিক সৈন্য ২ লক্ষ, অশ্বারোহী সৈন্য ২০ হাজার, রথ ২ হাজার, এবং তিন থেকে চার হাজার হাতি।
ধ্রুপদী গ্রিক ও ল্যাটিন বর্ণনায় রাজার নাম আগ্রাম্মেস। তিনি ছিলেন নীচকূলোদ্ভব নাপিতের পূত্র। হিন্দু পুরাণে তিনি মহাপদ্মনন্দন এবং বৌদ্ধ শাস্ত্র মাহাবোধিবংশে উগ্রসেন, অর্থ এমন এক ব্যক্তি যাঁর ‘প্রকান্ড ও পরাক্রান্ত সেনাবাহিনী’ আছে। হেমচন্দ্রের পরিশিষ্টপর্ব নামক জৈন গ্রন্থেও মহাপদ্মনন্দকে বলা হয়েছে নাপিত কুমার। পুরাণে বলা হয়েছে শূদ্রোগর্ভোদ্ভব। আরও বলা হয়েছে, ‘সর্বক্ষত্রান্তক নৃপঃ’ অর্থাৎ সকল ক্ষত্রিয়কে নিধন করে সিংহাসনে বসেছিল।
এই পর্যন্ত আলোচনায় গঙ্গারিডাই নামের পরাক্রান্ত রাজ্যের প্রমান পাওয়া গেল। যেটা ছিল গঙ্গা অববাহিকা নিয়ে গঠিত ভারতের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালি রাজ্য। বিজিত স্থানীয় ছোট ছোট ভূস্বামীরা আলেকজান্ডারকে জানাল অপর পাড়ের দেশটির ঐশ্বর্যের কথা, অপরাজেয় সৈন্যবাহিনীর কথা।
এরপর পৃথিবী বিখ্যাত এ অসীম সাহসী বীর আলেকজান্ডার করণীয় আলোচনার জন্য নিজের সেনাবাহিনীর সাথে পরামর্শে বসলেন এবং গঙ্গাড়িডই জয় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেন্যরা নদীর ঐপাড়ের ভয়াবহ সেনাবাহিনীর মোকাবেলায় অপরাগতা প্রকাশ করল। বিচক্ষণ সেনাপতি সৈন্যদের পক্ষ হয়ে জানাল সৈন্যরা কেউ বিপাশা পার হয়ে নিজের জীবন দিয়ে আসতে রাজী নয়, তারা পিতামাতা, স্ত্রী, সন্তান ও জন্মভুমিতে ফিরে যাওয়ার হন্য উদ্গ্রীব। এভাবে বিপাশা নদীর অপর পাড়েই গ্রিক বাহিনীর বিজয় রথ থেমে যায়। আলেকজান্ডার এরপর গ্রিক বাহিনীকে মেসিডোনিয়ার দিকে ফিরতি যাত্রার নির্দেশ দেন।
সুত্রঃ উইকি, Plutarch, Alexander 2.2–3.
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৯
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: সেই সময়ের আলেক্সান্ডার নিশ্চই বর্তমান ব্রিটিশ কিংবা পাকিস্তান-এর চেয়ে কম শক্তিশালি ছিলো না। সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেলে দাদাদেরও পশ্চাদ্দেশ ছিলে ফেলা হবে।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২১
নষ্ট কবি বলেছেন: হিমালয় থেকে সুন্দর বন
হটাত বাংলাদেশ
কেঁপে কেঁপে ঊঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে
বাংলা কারো কাছেই নতি স্বীকার করেনি
করবেনা
পোষ্ট প্রিয়তে
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৯
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: বাংলা কারো কাছেই নতি স্বীকার করেনি
করবেনা
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৯
বাংলার আগন্তুক বলেছেন: হায় সেলুকাস!!! কি বিচিত্র এই দেশ, কি বিচিত্র এইদেশের মানুষ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৪
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: আসলেই বিচিত্র এই দেশ।
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৭
মুহসীন৮৬ বলেছেন: অসীম গৌরবে গর্বিত মোরা,
অত্যাচারিরা হ সাবধান.......
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: অসীম গৌরবে গর্বিত মোরা
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
অদ্ভূত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ বলেছেন: এ দেশের মানুষ বড়ই আবেগ প্রবণ । কিছু বলে না বলে না , আবার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সামনের সব কিছু কচু কাটা করে রুখে দাঁড়ায় ।
আমাদের রাজনীতিবিদ আর ভারত এর ইতিহাস থেকে শেখা উচিত । আলেকজান্ডার এর সময় যাওয়া লাগবে না , ৭১ এ গেলেই হবে ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এদেশের মানষ সামনের সব কিছু কচু কাটা করে রুখে দাঁড়ায়, আলেক্সান্ডার তো যাস্ট একটা উদাহরন।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৪
নওশিন নাওয়ার বলেছেন: Huhuhahaha! Alexandr kn? J kew asle fu diye uriye dibo..
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩০
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: সতর্ক থাকতে হবে প্রস্তুতি নিয়ে।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩১
মোঃ মহসিন আলম (রনি) বলেছেন: "আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট কিলার"
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩১
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: বিস্তারিতো বলেন।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২১
রাখালছেলে বলেছেন: তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৫
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: সন্দেহ থাকা ভালো। জানার আগ্রহ বারবে আপনার।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩০
শিপু ভাই বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।
পোস্ট ভাল লাগল++++++++
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৭
চুড়ান্ত মানব বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৮
শিবলী১২৩ বলেছেন: ্ব্রিটিশ, পাকিস্তান ফেল মারলো, আর আলেকজান্ডার তো চাম্পা কলা। সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেলে দাদাদেরও পশ্চাদ্দেশ ছিলে ফেলা হবে