নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই অক্ষরজীবী অক্ষরে বেঁচে থাকে না। অক্ষর লিখাতে বেঁচে থাকে।

অক্ষরজীবী

নিজের পরিচয় আর কি দিব ! ! আমি হলাম আমি। কারণ, দিন দিন অথবা মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছি। পড়তে ভাল লাগতো একটা সময়। এখন খুব কম পড়া হয়। অথচ একটা সময় ভাবতাম না পড়ে আমি থাকতে পারব না। আর লিখতে তো সবসময়ই ভাল লাগতো, এখনও লাগে। খুব বেশি ভাল লিখি না আমি। ভুল-ক্রুতি খুব বেশি থাকার কথা। অভিমান করে নিজেকে কষ্ট দেয়ার জন্যে অনেক বছর পড়া বা লিখা থেকে দূরে ছিলাম। ভেবেছিলাম জীবন গড়তে তাহলে আরও মনোযোগ দিতে পারব। কিন্তু ভুল ভেবেছিলাম। নিজের জীবন কি আর নিজের অস্তিত্ব ছাড়া পূর্ণ হয় ! আর আমার অস্তিত্ব হয়তো পড়াতে , কিছুটা লেখা-লেখিতে। অনেকটা ক্ষতি হয়েছে এই কয়েক বছর নিজের থেকে দূরে থেকে। তবে আর না।

অক্ষরজীবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মকথন-০

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৫৪

আমার জীবনটা আশ্চর্য জীবন। আশ্চর্য রকমের ভাল না খারাপ তা বলব না, কিন্তু এইটুকু বলার অধিকার আছে যে আমার জীবনটা আশ্চর্যের। হ্যাংলার মত নিজের জীবন নিয়ে নিজেই মন্তব্য করছি বলে বিরক্তি সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তবে আমি আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির কথা তো বলতেই পারি।
খুব সাধারণ একটা ছেলে ছিলাম আমি। সাধারণ চাল-চলন, চিন্তা-ধারা, দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বড় হচ্ছিলাম। সাধারণ বলছি এই কারণে, কারণ ইংরেজি COMMON শব্দের বাংলা আক্ষরিক অনুবাদ তাই হয়। আমার নিজস্ব কোন বৈশিষ্ট্য ছিল না, যা দেখে দেখে বড় হতাম, তাই করতাম। কি করছি, কেন করছি জানতাম না। ভাবতাম এই তো জীবন, সবাই তো তাই করে, করছে।
একদিন একটা মানুষের সাথে দেখা হল আশ্চর্যভাবে। দেখা হওয়ার পর আমি আমার স্বভাবমতো তার সাথে মেশার তেমন চেষ্টা না করে গম্ভীর ভাব নিয়ে বসে থাকাই স্বাভাবিক ছিল। অস্বাভাবিকভাবে আমি তার সাথে মেশার চেষ্টা করলাম। এবং চেষ্টাতে বিফল হলাম। একেবারে মুখের উপর অপমান।
কোথায়, কিভাবে ছিলাম তা বলব না, তবে জায়গাটা ছিল সমবয়সী মিশ্র মানুষের মিলনমেলা। সেই মেলায় আমি ছিলাম খানিকটা ভিন্নতর। আমি তুলনামুলক বেশি পরিপক্কতা প্রদর্শনে পারদর্শী ছিলাম, আভিজাত্যের অহংকার ছিল, সুদর্শন হওয়ার গৌরব ছিল প্রভৃতি আমাকে ভিন্নতা দিয়েছিল, আর এই ভিন্নতা আমাকে সবার চোখে আলাদা করেছিল। আমার মত হওয়ার ইচ্ছা ছিল, আবার আমার মত না হওয়ার কারণে বিদ্বেষ ছিল। এই বিদ্বেষ থেকেই আমাকে অপমান করা এবং দূরে সরিয়ে রাখা।
এই অপমান ছিল আমার সাধারণ জীবনের অসাধারণ ফাটলের দেখা পাওয়া। আমিও তাহলে প্রত্যাক্ষিত হতে পারি। কিন্তু জানাটা জ্ঞান ছিল কিন্তু কারণ তো বুঝলাম না। কারণ জানতেই হয়তো মানুষটার সাথে বন্ধুত্ব করতে পেছনে লেগে রইলাম।
নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের ইচ্ছামত করা এটাই আমার জীবনের প্রথম সফল কাজ। যাই হোক, মানুষটার সংস্পর্শে যেতে সফল হলাম। আমরা দুইজন দুই বিপরীত মেরুর মানুষ ছিলাম। প্রকৃতিতে, স্বভাবে, সংস্কৃতিতে আরও যা কিছু আছে। তাই দুইজন দুইজনকে জানতে লাগলাম।
আমি ছিলাম সফল সামাজিক জীব। সমাজের তৈরি শিক্ষা নিয়ে আমার গড়ে উঠা। আর সে ছিল অসামাজিক কিছু একটা। যা করবে ভাবে, তাই করে। সমাজের ধার ধারে না, অবশ্য সমাজও তার মত মানুষের ধার ধারে না। তার ব্যাপারে এইটুকু বলব, সে জানত সে কি জন্য জীবনযাপন করছে, তার লক্ষ্য ছিল, উদ্দেশ্য ছিল; যা আমার ছিল না।
তার ভুমিকা এইটুকুই ছিল। তারপর সে আমার সংস্পর্শে ছিল কি ছিল না সেটা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার যা পাওয়ার ছিল আমি তা নিয়ে নিয়েছি। আমি ভাবতে শুরু করে দিয়েছি আমার জীবনের অর্থ, পরিচয়, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

আল আমি৩৭৬ বলেছেন: thanks

২| ১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৬

অক্ষরজীবী বলেছেন: কেন ? আল আমি৩৭৬

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.