নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার তালগাছ লাগবো না, লইয়া যান !!!

ফাহীম দেওয়ান

৭১ আমার মুক্তি, দেশ ভালোবাসি, দশ ভালোবাসি!!!

ফাহীম দেওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ত দিন, জীবন বাঁচান, সুস্থ থাকুন

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

আমি অবশেষে রক্ত দিতে পেরেছি। :#> :#> এর আগে সেই ইন্টারে পড়া কালীন সময় থেকে তিন চার বার রক্ত দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আন্ডার ওয়েট এর কারনে ডাক্তার আমাকে রিজেক্ট করে দিয়েছে। কিন্তু অবশেষে গত ৩ দিন আগে আমার এক কলিগ এর রক্ত দরকার হলে আমি যাই রক্ত দিতে আর এবার আর রিজেক্ট হইনি।

অনেকেই ভয় দেখিয়েছিলো। কিন্তু আমি এক রকম জোর করেই রক্ত দিয়েছি। অবাক লেগেছে ক্রস ম্যাচিং এ ওকে হবার পর মাত্র ২ মিনিটে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে দিলাম। আরো অবাক লেগেছে যে রক্ত দেবার পর আমি এতো টুকু দুর্বলতা বা অসুস্থ বোধ করিনি। তাই আমার মনে হয় শরীর ফিট থাকলে আর মনের জোর থাকলে রক্ত দেয়া কোন ব্যাপারনা। বরং এই টুকু ত্যাগের কারনে একটা জীবন বেঁচে যেতে পারে। তাই আসুন আমরা রক্ত দিতে উৎসাহিত করি। জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসি।



আসুন রক্ত দান নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেই (সংগৃহীত) -



রক্ত দান সম্পকিত কিছু গুরুত্ব পূন তথ্য







রক্তের প্রয়োজন যাদের:



১. দূঘর্টনাজনিত রক্তক্ষরণ

দূঘর্টনায় আহত রোগীর জন্য দূঘর্টনার ধরণ অনুযায়ী রক্তের প্রয়োজন হয়।



২. দগ্ধতা

আগুন পুড়া বা এসিডে ঝলসানো রোগীর জন্য পাজমা/রক্তরস প্রয়োজন। এজন্য ৩-৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।



৩. অ্যানিমিয়া –

রক্তে R.B.C. এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তে পযার্প্ত পরিমাণ হিমোগোবিনের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ হয়। হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াতে R.B.C. এর ভাঙ্গন ঘটে ফলে



৪. থ্যালাসেমিয়া

এক ধরনের হিমোগোবিনের অভাবজনিত বংশগত রোগ। রোগীকে প্রতিমাসে ১-২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়।



৫. [sb]হৃদরোগ[/sb] –

ভয়াবহ Heart Surgery এবং Bypass Surgery এর জন্য ৬-১০ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।



৬. হিমোফিলিয়া

এক ধরনের বংশগত রোগ। রক্তক্ষরণ হয় যা সহজে বন্ধ হয় না, তাই রোগীকে রক্ত জমাট বাধার উপাদানসমৃদ্ধ Platelete দেয়া হয়।



৭. প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ –

সাধারণত প্রয়োজন হয় না তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ১-২ বা ততোধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।



৮. ব্লাড ক্যান্সার-

রক্তের উপাদানসূমহের অভাবে ক্যান্সার হয়। প্রয়োজন অনুসারে রক্ত দেয়া হয়।



৯. কিডনী ডায়ালাইসিস –

প্রতিবার ডায়ালাইসিস-এ ১ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।



১০. রক্ত বমি –

এ রোগে ১-২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।



১১. ডেঙ্গু জ্বর -

এ রোগে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ Platelete পৃথক করে রোগীর শরীরে দেয়া হয়।



১২. অস্ত্রপচার -

অস্ত্রপচারের ধরণ বুঝে রক্তের চাহিদা বিভিন্ন।



রক্তদানের যোগ্যতা :

সাধারনত একজন সুস্থ ব্যাক্তি চার মাস অন্তর অন্তর রক্তদান করতে পারেন। এবার দেখে নেয়া যাক রক্তদানের যোগ্যতাসমূহ-

বয়স – ১৮-৫৭ বছর।

ওজন – ১০০ পাউন্ড বা ৪৭ কেজির উর্ধ্বে।

তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ( অনুচক্রিকা , রক্তরস ) ওজন ৫৫ কেজি বা তার উর্ধ্বে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৭৫% বা তার উর্ধ্বে থাকলে। সম্প্রতি ( ৬-মাস ) কোন দূঘর্টনা বা বড় ধরনের অপারেশন না হলে।

রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস ,টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।

কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে।

চার মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি।

মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।



রক্তদান ও রক্ত দানের পর-



রক্তদানের আগে প্রতিটি রক্তদাতাকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জিজ্ঞাসা করা হয়। সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। রক্তদানের পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা।রক্তদাতা প্রয়োজন মনে করলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে।রক্তদানের সময় মাথা- শরীর সমান্তরাল থাকতে হবে। দূর হতে রক্ত দিতে এলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে। রক্ত দান করার পরে অবশ্যই নুন্যতম ৫ মিনিট শুয়ে থাকতে হবে। [রক্তের প্রবাহ সমগ্র শরীরে স্বাভাবিক হবার জন্য এটা অতীব জরুরী]। সাধারণত রক্তদান করার পর অতিরিক্ত দামী খাবার গ্রহনের প্রয়োজন নেই। তবে রক্তদানের পর সপ্তাহ খানেক স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য সময়ের দ্বি-গুণ পানি পান করতে হবে। কেননা একজন রক্তদাতা যেটুকু রক্ত দান করেন [সাধারণত ১ পাউন্ড] তার প্রায় ৬০ ভাগ ঐ সময়ের মধ্যে পূরণ হয়। শুধু লোহিত রক্ত কণিকা পূরণ হতে ১২০ দিন বা ৪ মাস সময় নেয়। রক্তদানের পর অবশ্যই তারিখ মনে রাখতে হবে। [প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই কার্ড সরবরাহ করে]।



বেশিরভাগ রক্ত দাতাই রক্তদানের পর কোন সমস্যা অনুভব করেন না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা তলপেটে ব্যাথা, দূবর্লতা, মাথা ঘোরা, সূঁচ প্রবেশের স্থানে ক্ষত লালচে দাগ এবং ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা জ্ঞান হারাতে পারে বা মাংসপেশীতে খিচুনি ধরতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব সমস্যা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়না।



রক্তদানের সুবিধা:

প্রতি ৪ মাস অন্তর রক্ত দিলে দেহে নতুন BLOOD CELL সৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়।



নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন।



স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্তবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি,এইডস, সিফিলিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা।



স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে।



রক্তদানের মাধ্যমে একটি জীবন বাঁচানো পৃথিবীর সবোর্চ্চ সেবার অর্ন্তভুক্ত।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক বলেছেন: ভাইজান এক জায়গায় দেখলাম আমারে গালাগালিজ করলেন ? কাহিনী কিতা :(

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: কি বলেছিলাম কেন বলেছিলাম একটু ভেঙ্গে বলবেন ? B-)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ওটা মনে হয় আলাদা ব্যাপার, সংশ্লিষ্ট ব্লগেই আলোচনা ভালো।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১২

আন্ধার রাত বলেছেন: আপনি নিয়মিত রক্ত দিবেন। এই দান মহান।

আর হ্যাঁ ড্যানিস ভাইরে একটু আদর কইরা আসেন, গালাগালি খারাপ বস্তু।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ, দোয়া করবেন।

কারো ভাষায় গালি, কারো ভাষায় বুলি। যাই হোক সেটা আলাদা ইস্যু। ব্লগে আমরা নিজেদের দর্শন, মত পার্থক্য থাকার জন্য অনেক ঝগড়াঝাটি করি। কটু কথাও বলে ফেলি। তার পরেও আবার একে অন্যের ব্লগে গিয়ে কমেন্ট করি, পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করি, বা একমত ও হই, এটা স্বাভাবিক। এতে করে ব্লগাররা মনে হয় নিজেদেরকে একে অপরের শত্রু মনে করেন না। আমি অন্তত এমনটাই মনে করি, এমটাই করি।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক বলেছেন: আমার উপর রাগ করে থাকলে... ড্যানিশ কনডেন্সড মিল্ক দিয়া চা খাওয়া ছাইড়া দিবেন কইলাম ;) :P :P











০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: ওক্কে ওক্কে, দিবানে :#> :#>

*** ইস হাতে নিয়ে, চামচে নিয়ে চেটে পুটে কতই যে কনডেন্সড মিল্ক খাইছি ছুড বেলায়।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

মিঠুন বলেছেন: রক্ত দিতে অনেকেই অহেতুক ভয় পায় , এমনকি নিজের আত্মীয় স্বজনকে দেওয়ার প্রয়োজন হলেও নানা অজুহাতে পিছিয়ে যায় । ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত কেনার চেস্টা করে । কিন্তু ব্লাড ব্যাংক গুলোতে অনেক নেশাখোর কিছু টাকার বিনিময়ে নিয়মিত রক্ত বিক্রি করে , যাতে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ অনেক কম থাকে । অন্যান্য ঝুকিও বেশি থাকে ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: একদম ঠিক কথা,

তবে আমার কিন্তু একটা ব্যাপারে সন্দেহ হয়, যদি কেউ তার পরিচিত বা অপরিচিত কোন রোগীর জন্য রক্ত ডোনেট করলো, কিন্তু সেটা রোগীকে দেয়ার আগে যেটুকু সময় হাস্পাতালের তত্বাবধানে স্টোরেজ করা হয়, সেই সময়ের মধ্যে যদি কোন অসাধু লোকের মাধ্যমে টাটকা রক্ত চেঞ্জ করে পুরাতন কোন রক্ত দিয়ে দেয়া হয় !!! সেটা কি হতে পারেনা ?

আমার মনে হয় রোগীর আত্মীয় স্বজন্দের এব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ ++++++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: কারো একটু উপকার হলেই আমি ধন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট। +++++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: হামা ভাই কেমন আছেন ? :#> :#>

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.