নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(গল্পানু)
চায়ের মধ্যে মাছি দেখে চিৎকার করে পুরো রেস্টুরেন্ট মাথায় তুলল এক কাস্টমার। এই টেবিলে সার্ভিসে ছিল “মুসলিম’’ নামক এক ওয়েটার। সে দৌড়ে এসে কাঁচুমাচু হয়ে বলতে থাকলো, “sorry sir, sorry sir, আসলে আমরা খুবই দুঃখিত। আমাদের অসতর্কতায় মাছিটি চায়ে পড়েছিল, এখনই আরেকটি চা এনে দিচ্ছি”। নাহ্, কাস্টমার থামতেই চাচ্ছে না। এই দেখে ম্যানেজার দৌড়ে এসে ওয়েটারের গালে খীচ্চা এক চড়। “ব্যাটা, সার্ভিসের আগে ভাল করে দেখতে পারো না!”
চেঁচামেচির আওয়াজে কিচেন থেকে শেফ বেরিয়ে এসে ঘটনা দেখে সেও দিল ওয়েটারকে থাপ্পড়। কথা একটাই। “মাছি না হয় কিচেনে পড়েছে। তুই কি চোখের স্হলে বন্দুক স্হাপন করেছিস! দেখে সার্ভিস করবি না?!” এবার ওয়েটারের কান্না, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে রেস্টুরেন্টের মালিক এসে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে কাস্টমার সহ সকলের মন রক্ষার্থে সাথে সাথেই ওয়েটার ছেলেটিকে চাকরিচ্যুৎ করলেন।
সর্বশেষ, মুসলিমের সহকর্মীরাও তার বামে গেল। সকলের সাথে তাল মেলাতে তাদের কাছেও ম্যানেজার, শেফ’র থাপ্পড় যুক্তিযুক্ত মনে হল। এবং রেস্টুরেন্টের ভবিষ্যত চিন্তা করে মালিক কর্তৃক মুসলিমকে চাকরিচ্যুৎ করাও অত্যন্ত উপযোগী মনে হল।
কিন্তু “কাস্টমার, চায়ে মাছি, ম্যানেজারের দৌড়ঝাপ ইত্যাদি” যে ম্যানেজার কর্তৃক মঞ্চায়িত নাটক, এটা ওয়েটার ছেলেটি আগে থেকেই জানতো। কারণ, তার নজরকাড়া সার্ভিস, আন্তরিক কাস্টমার কেয়ারিংয়ের কারণে ধীরে ধীরে রেস্টুরেন্টের প্রতিটি সেক্টরে আধিপত্য বিস্তার করছে এবং মালিক তাকে ম্যানেজার বানানোর চিন্তা-ভাবনা করছে; এজন্য সে ম্যানেজারের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
পাছে নিজের চাকরি চলে যায় এই ভয়ে, ওয়েটারকে চাকরিচ্যুৎ করার জন্য ম্যানেজার অনেক দিন থেকে প্ল্যান করে আসছিল। প্ল্যান মাফিক শেফ সহ অন্যান্য কর্মচারীদেরকেও হাত করে নিয়েছে আগে থেকেই। “চায়ে মাছি” পড়াটা ছিল শুধুই কিচেনে তৈরি করা একটা সিনেমা। এটাকে ইস্যু করে যাতে মুসলিমকে এই রেস্টুরেন্ট থেকে তাড়িয়ে দেয়া যায়।
এসব সিনেমা সবাই জানে এবং বুঝে। কিন্তু কে কী করবে? ক্ষমতার পক্ষেই সবার সাক্ষ্য থাকে। অবশেষে ম্যানেজারের নাটকের জয় হল, অনেক অপবাদ মাথায় নিয়ে ওয়েটার বহিষ্কার হল।
শেষতক, বেচারা মুসলিম! উপরদিকে মাথা তুলে বিড়বিড় করে কাউকে কিছু বলতে বলতে হাটতে থাকলো পৃথিবীর পথে….
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: জী। সবাই শক্তের ভক্ত
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫১
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: শেষতক, বেচারা মুসলিম! উপরদিকে মাথা তুলে বিড়বিড় করে কাউকে কিছু বলতে বলতে হাটতে থাকলো পৃথিবীর পথে…. .বিরবির না করে চোখ খোলা রেখে মাঝি টা আগেই সনাক্ত করা উচিত ছিল
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। বাস্তবতা এরকমই। দূর্ঘটনার পর ত্রুটিসমূহ ভেসে ওঠে। মানুষ তার সম্পদ লুকিয়ে রাখে, তারপরও চুরি হয়। ঠান্ডা মাথায় গাড়ি চালায়, তারপরও এক্সিডেন্টে মারা যায়। সচেতনতা সবসময় ডিফেন্স করতে পারে না।
একজন মানুষকে সম্মিলিতভাবে বিপদে ফেলতে চাইলে তারপর জন্য নিস্তার পাওয়া কী পরিমাণ কষ্টকর, এটা যারা সোসাইটিতে কাজ করে তারাই জানে। ধন্যবাদ।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৮
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: উপড়দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে কোন লাভ হলো না-আগেই সতর্ক হয়ে মঞ্চায়নের আগেই নাটক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা উচিৎ ছিল ।*
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। বাস্তবতা এরকমই। দূর্ঘটনার পর ত্রুটিসমূহ ভেসে ওঠে। মানুষ তার সম্পদ লুকিয়ে রাখে, তারপরও চুরি হয়। ঠান্ডা মাথায় গাড়ি চালায়, তারপরও এক্সিডেন্টে মারা যায়। সচেতনতা সবসময় ডিফেন্স করতে পারে না।
একজন মানুষকে সম্মিলিতভাবে বিপদে ফেলতে চাইলে তারপর জন্য নিস্তার পাওয়া কী পরিমাণ কষ্টকর, এটা যারা সোসাইটিতে কাজ করে তারাই জানে। ধন্যবাদ।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ওয়েটার মুসলিম না খৃষ্টান; এই ব্যাপারটা এখানে কেন এলো ঠিক বুঝলাম না!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: তার নাম ছিল "মুসলিম"। ধন্যবাদ।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
Jahid hasan amily বলেছেন: Very nice.valo laglo
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: hank you so much
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ক্ষমতার পক্ষেই সবার সাক্ষ্য থাকে। আর মার খায় বেচারা মুসলিমরা।।