নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টহলরত পুলিশের এসআই সুমন মসজিদের বারান্দার এক কোনায় বসে গোঙাচ্ছেন।
হঠাৎ খুতবার মাঝখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরিরের আমীর আসাদুল্লাহ গালিবের জন্য প্রার্থনা করতে শুনে লাফ দিয়ে উঠলেন। (ইমাম বলতেছেন- وحمزة أسد الله وأسد “ওয়া হামযাতু আসাদুল্লাহি ওয়া আসাদু”....)।
ভাল করে শুনার জন্য কান পাততে গিয়ে আরো অবাক! শুনলেন, ইমাম মির্জা আব্বাসের জন্যও বলছে- “হে আল্লাহ! তুমি আব্বাসকে ক্ষমা করো”।
(اللهم اغفر للعباس “আল্লাহুম্মাগ ফির লিল আব্বাস”)।
সাথে সাথে ফোর্স ডিমান্ড করে ইন্টেলিজেন্সি অফিসে ইমার্জেন্সি কল করলেন সুমন।
ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএমপি কমিশনার শ্যামল দাস ফোন পেয়েই স্পেশাল ফোর্স নিয়ে মসজিদে হাজির, ততক্ষণে নামায শুরু হয়ে গেছে।
ইমাম পড়ছেন-
(الم نهلك الأولين○ ثم نتبعهم الأخرين○ كذالك
نفعل بالمجرمين○
“আলাম নুহলিকিল আওয়ালীন। ছুম্মা
নুতবিউহুমুল আখারীন। কাযালিকা নাফ’আলু বিল মুজরিমীন”।)
অর্থাৎ- “আমরা কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি? অতঃপর আমরা পরবর্তীদেরকে তাদেরই (পূর্ববর্তীদের) অনুসরণ করাবো। পাপিষ্ঠদের সাথে আমরা এমন ব্যবহারই করে থাকি”।
ইমামের তেলাওয়াত শুনে শ্রী শ্যামল দাস শতভাগ নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে, বেটা স্বাধীনতা-বিরোধী এবং মৌলবাদী জঙ্গি। কারণ, বিচক্ষণ কমিশনার খুব ভাল করে বুঝেছেন, সে এই আয়াতের দ্বারা সরকারকেই ইঙ্গিত করেছে।
অতঃপর সেদিন বিকেলে ইমামের টুপি-পান্জাবি খুলে, হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে, বুকে তার নাম-সম্বলিত কাগজ ঝুলিয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং।
চেহারায় সফলতার স্পষ্ট ছাপ আর ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি নিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলছিলেন, “একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং হিজবুত তাহরির সহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। আরো অনেক রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি, যা তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়।”
☆এভাবেই ধীরে ধীরে এসআই কর্তৃক আইএস নির্মূল হতে থাকল
(কাল্পনিক)
©somewhere in net ltd.