নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লা-মাযহাবী/গায়ের মুক্বাল্লিদ/আহলে হাদিস: আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

“চার মাযহাবের অনুসারী পৃথিবীতে কত পার্সেন্ট’’ এর উত্তরে কেউই 95% এর কম বলবে না। বাকি কেউ সালাফী, লা মাযহাবি আবার কেউ মাযহাব না মেনে শুধুই ‘“মুসলিম” বলতে পছন্দ করেন। যাইহোক, সংখ্যা যেমন সত্য মিথ্যার একমাত্র মানদণ্ড হতে পারে না, ঠিক তেমনি বিশাল জনগোষ্ঠীর বিপরীতে গুটিকয়েক অবস্থান সঠিক হওয়া অতি নগন্য। ইসলামের ইতিহাসে এরকম দলকে “ফিরকা” আখ্যায়িত করেছে।

পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে তেমন চোখে না পড়লেও ভারত উপমহাদেশে বর্তমান সময়ে চার মাযহাবকে অতি নিকৃষ্ট এবং ভ্রান্ত মতবাদ ঘোষণা করে, দীর্ঘ তের শ’ বছর ধরে মুসলমানদের আমলকে “অগ্রহণযোগ্য” সিদ্ধান্ত দিয়ে সরাসরি হাদিসের উপর আমলের চেষ্টা করা হচ্ছে। হাদিসের উপর আমল করা নাজায়েয তো নয়ই বরং উচিত। কিন্তু তারা একটি হাদিস অনুযায়ী আমল করতে গিয়ে অন্যের আমলকে হারাম এমনকি শিরক পর্যন্ত বলে ফেলা হচ্ছে। যারা নিজেদেরকে আসলুস সুন্নাহ বলেন এবং দাওয়াতী কাজ করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই স্হান কাল পাত্র সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা আবশ্যক।

●লা-মাযহাবিদের মধ্যে মূলতঃ তিনটি স্তর বা দল রয়েছে।
(i) প্রচারক দলঃ গায়ের মুক্বাল্লিদের প্রথম দল হচ্ছেন, আলেম। যাঁরা কোনো ইমামের তাক্বলিদ না করে, কারো মাযহাব না মেনে সরাসরি কোর'আন-হাদিস থেকে শরীয়ত পালনের দাওয়াতী মিশনে কাজ করেন। অনলাইনে-অফলাইনে বিভিন্ন লেকচার, বই প্রচার করেন।এসব উলামা-এ-কেরাম কারো কাছে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার, কারো কাছে ইসলাম বিদ্বেষীদের পেইড এজেন্ট, কারো কাছে গোমরাহ আলেম। কিন্তু এরকম কোনো ধরণের খেতাব না দিয়ে বলা উচিত, তারাও ইসলামের খেদমত করতে চান, ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিতে চান সর্বত্র। তাঁদের জন্য শুধু এটুকুই প্রার্থনা, আল্লাহ যেন তাঁদেরকে এবং তাঁদের মাধ্যমে পুরো উম্মাহকে সিরাতুল মুস্তাকীমে প্রদর্শন করুন।

(ii)আলেম-বিদ্বেষী দলঃ এই গ্রুপের আদি-অন্ত খুঁজলে পাওয়া যায়, সবসময়ই আলেম-উলামাদের অপছন্দ করে। এরা আলেমদেরকে ডিঙিয়ে কোর'আন-হাদিস এবং ইসলাম নিয়ে আসতে চায়। ইসলাম চায় কিন্তু আলেম চায় না। আলেমদেরকে সর্বদা ইসলাম বিক্রেতা বলে আসছে। ইতিহাস বলে, এরকম নবীর ওয়ারিসদের নর্দমায় ফেলে নবীকে ধরতে একটা দল আবু বকর (রাঃ)’র যুগ থেকেই চলে আসছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলিফাকে অমান্য করা দিয়ে শুরু করে আজ অবধি নবীদের উত্তরাধিকারীদেরকে অস্বীকার করে চলেছে। মাযহাব অমান্যের এই সুযোগে তাদের মধ্যে নতুন সজীবতা এসেছে। তাদের জন্যও শুধু একটা কথা ‘’আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকারী”। সুতরাং আলেমদেরকে ঘৃণা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসার দাবী কিংবা ইলমে নববী অর্জন করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। শুধু মরীচিকার পিছনেই দৌড়াবে। আল্লাহ পথ না দেখালে কখনোই সিরাতুল মুস্তাকীম পাবে না।

(iii) সত্যান্বেষী দলঃ সহীহ আক্বিদা’র অন্বেষায় মাযহাব-বিমুখ সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে এটি। এদের অধিকাংশই আধুনিক শিক্ষিত। দেখা যায়, তারা ইসলামিক কিছু চটি বই পড়ে কিংবা কয়েকটি লেকচার শুনে সবকিছুকে বিদ'আত সাব্যস্ত করছেন। খুঁজ নিলে দেখা যায়, আসলেই তারা বিদ’আত কিংবা অত্যন্ত কুসংস্কারাচ্ছান্ন পরিবেশে বড় হয়েছে। যখন তারা অনুধাবন করেছে যে, তারা যা পড়ছে/আমল করছে, এগুলো সঠিক নয়, ঠিক তখনই সত্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে এক জায়গায় আটকে যাচ্ছে।

তাদের এই অবস্থাকে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিসালামের নবুওত পূর্ববর্তী সময়ের সাথে তুলনা করা যায়। ইব্রাহীম আলাইহিসালাম যেমন, একবার চন্দ্রের সৌন্দর্য দেখে রব বলতেন, আবার তারকার ঔজ্জ্বল্য দেখে সেটাকে রব বলতেন। অতঃপর দিনের বেলায় সূর্যের জ্বলজ্বলানী দেখে এটাকে রব বলতেন। এভাবেই খুঁজতে খুঁজতে একসময় আল্লাহ হিদায়াত দিয়েছেন। ঠিক সেভাবেই এই ভাই-বোনেরা আলো খুঁজছে। যারা আসলুস সুন্নাহর দায়ীঈ তাদের উচিত, সে সমস্ত ভাইদেরকে ভ্রান্ত, ভ্রষ্ট ইত্যাদি গালাগালি না করে বরং হিকমাতের সাথে দ্বীনের সঠিক আলোটা তাদের নিকট পৌঁছে দেয়া। আল্লাহ যদি কপালে হিদায়াত রাখেন, ফিরে আসবেই। এরকম অনেকে ফিরে আসছেনও।

যারা সঠিক আক্বিদা’র দাওয়াত দিচ্ছেন, তাদেরকে জাতীয় কবির দুটো লাইন মনে রাখা উচিত-
“বিদ্বেষ লয়ে ডাকিলে কি কভূ পথভ্রান্ত ফিরে,
ভালবাসা দিয়ে তাহারে ডাকিতে হয় বক্ষের নীড়ে।”

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

েমাঃ এহ্‌েতশামুল হক বলেছেন: আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার। ৩ঃ১০৩
নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা`আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে। ৬ঃ১৫৯

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আপনি কষ্ট করে জনাব" নতুন"র মন্তব্যের উত্তর পড়তে পারেন। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

নতুন বলেছেন: তাহলে কোন আক্বিদা ঠিক?

৪ মাজহাবের মাঝে কোনটা ঠিক এবং বাকি ৩টা কেন ভুল?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: এটা একটা প্রশ্ন খুব আওড়ানো হচ্ছে। কোর'আন এক নবী এক ইসলাম এক, মাযহাব কেন চারটি? একসাথে চারটি ঠিক হয় কীভাবে?
-এবিষয়ে বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ। এখন শুধু এটুকু দেখতে পারেন।
“মাযহাব” শব্দের অর্থ হলো পথ বা মত। ইসলামী আইনের পরিভাষায়, মাযহাব (School of Thought) হলো এমন কিছু “উসুল” বা মূলনীতি (Set of Principles) যা অনুসরণ করে কোনও কাজের শারঈ’ বিধান (অর্থাৎ হালাল, হারাম, ফরজ, নফল ইত্যাদি) নির্ধারণ করা হয়।
ইসলামের ইতিহাসে ২০টিরও বেশী মাযহাব এর সন্ধান পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৪ টি মাযহাব প্রসিদ্ধ। এই চার মাযহাব নির্দিষ্ট চারজন ইমাম বানিযে যান নি, তাঁদের দেয়া উসুল অনুসারে শত শত মুহাদ্দিস, মুজতাহিদ শারঈ’ বিধান উৎসারণ করেছেন।
এগুলো হলো- ইমাম আবু হানিফার (মৃত্যু ১৪৮ হিজরী) দেয়া উসুল অনুসারে হানাফী মাযহাব, ইমাম মালিকের (মৃত্যু ১৭৯ হিজরী) এর দেয়া উসুল অনুসারে মালিকি মাযহাব, ইমাম শাফিঈ’র (মৃত্যু ২০৪ হিজরী) এর দেয়া উসুল অনুসারে শাফিঈ মাযহাব ও ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (মৃত্যু ২৪১ হিজরী) এর উসুল অনুসারে হাম্বালী মাযহাব। প্রত্যেক মাজহাবের পক্ষেই গত ১১০০ বছরের হাজার হাজার ইমাম আছেন। শরীয়তের কোনও আদেশ পালনের ক্ষেত্রে কোনও মাযহাবের সংখ্যাগরিষ্ঠ ইমামের ঐক্যমতকে ঐ মাযহাবের ফিকহ (Understanding) বলা হয়।
যারা এই ফিকহ অনুসরণ করেন তাদেরকে “মাযহাবী” বলা হয়।
এক মাযহাব থেকে অন্য মাযহাব স্বকীয় হয়েছে তার উসুল বা মূলনীতি (“Set of Principles”) এর কারণে। দলীলের ভিন্নতার কারণে মত বা মাযহাবের ভিন্নতা হলেও সকল ইমামেরই উসূল ছিল অভিন্ন।
সেই উসুলের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদা পেয়েছেঃ
(i) কুরআন ও
(ii) সহীহ হাদিস (এদেরকে একত্রে আন-নাস বলে)।
এর পর মর্যাদা পাবে।
(iii) ইজমা’ (সাহাবা বা কোনও যুগের সকল আলেমের ঐক্যমত)।
উপরের তথ্যগুলির সাহায্যে কোনো বিষয়ের ফিকহ (Islamic Ruling / Understanding) নির্ধারণ না করা গেলে
(iv) কিয়াস (Analogy) ব্যবহার করা হয়েছে।
কুরআন ও হাদিসকে সেভাবে বুঝতে হবে যেভাবে সাহাবী ও সালাফরা বুঝেছিলেন। কারণ, তাঁরা যেহেতু রাসূলুল্লাহ(সা) এর সরাসরি ছাত্র ছিলেন তাই তাঁদের চাইতে ভালো আর কেউ এই বিষয়গুলো বুঝতে পারবে না।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: “বিদ্বেষ লয়ে ডাকিলে কি কভূ পথভ্রান্ত ফিরে,
ভালবাসা দিয়ে তাহারে ডাকিতে হয় বক্ষের নীড়ে।

বিশ্লেষন ভালো লেগেছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাললাগা প্রেরণা যোগায়।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, অনেক আহলে হাদিস প্রচারক আছেন যারা মাজহাবপন্থীদের গনহারে বেদাতি বলে ওদের সাথে খানাপিনা করাও হারাম বলে থাকেন। এরা নিজেরাই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভাবছে সত্য প্রচার করছি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: হ্যাঁ। তাঁদের কথায় মনে হয়, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহর পূর্বে সবাই ভুল করেছেন। আর বর্তমানেও ভুল সবি ভুল।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

নতুন বলেছেন: ২০ মাজহাবের মাঝে কোনটা বেশি ঠিক?

রাসুল সা: এর পরে ২০টা মাজহাবের দরকার হলো কেন?

যেহেতু ২০ জনের মাঝে পাথ`ক্য আছে তবো বুঝতেই পারছেন যে এই পদ্বতীতে সমস্যা আছে...

আমি যখন বলবো যে ২০ নং মাজাহাব ভালো... আপনি তখন বলবেন যে আপনার পছন্দের ৪ নং টাই ভাল...

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: "কোনটা বেশি ঠিক" এটা বিচার করতে অবশ্যই কোরান হাদিসের পূর্ণ জ্ঞান তথা ইজতিহাদ করার যোগ্যতা থাকা আবশ্যক। বিষয়ে দেখতে পারেন:
"বর্তমানে সমস্ত শহরে শুধু এ চার মাযহাবেরই অনুসরণ করা হয় এবং এর অনুসারীগণ অন্যদেরকে এ মাযহাবের মাসআলা- মাসাইল শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আর মানুষ এ ব্যাপারে মতানক্যের দ্বার রুদ্ধ করে দিয়েছে। এর কারণ হল, বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞানের শাখা- প্রশাখায় নিত্য-নতুন পরিভাষা সৃষ্টি। আর যখন মানুষ "ইজতিহাদ"এর স্তরে উন্নীত হওয়া থেকে অধম হয়ে পড়ল এবং ইজতিহাদের বিষয়ে অযোগ্য ও দ্বীনের ব্যাপারে আস্থাহীন লোকদের হস্তক্ষেপের ভয় করল, তখন তারা নিরুপায় হয়ে মানুষকে এ চার মাযহাবের কোন একটিকে অনুসরণের নির্দেশ দিল।
এবং এ চার মাযহাব এর ক্ষেত্রে রদবদল বা "তাখলিফ" করা থেকে মানুষকে সতর্ক করল। কেননা এটি দ্বীন নিয়ে খেল-তামাশা করারই নামান্তর। সুতরাং এ যুগে কেবল এ চার মাযহাবের মাসআলা-মাসাইল চর্চা করা হয়। এ যুগে কারও "মুজতাহিদ" হওয়ার দাবী সম্পূর্ণ প্রত্যাখাত হয়, আর এধরনের দাবীদারের অনুসরণও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সময়ের মুসলিমগণ এ চার মাযহাবের উপরই একমত হয়েছেন"।(আল মুক্বাদ্দিমাহ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা-৫৬৩)

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: কেউ কি "হিজবুল্লাহ " এর কথা বলেন না? হিজবুল্লাহ এর জন্য দাওয়াত দেন। না? বা এর মধ্যে কারা হিজবুল্লাহ ?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: أجمع الأمة كلهم من حزب الله

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫১

নতুন বলেছেন: : "কোনটা বেশি ঠিক" এটা বিচার করতে অবশ্যই কোরান হাদিসের পূর্ণ জ্ঞান তথা ইজতিহাদ করার যোগ্যতা থাকা আবশ্যক।

যখন কেউ কোরান হাদিসের পূন`জ্ঞান তথা ইজতিহাদ অজ`ন করবো তখন যেই লোক মাজহাব ছাড়াইতো কোরান হাদিস বুঝতে পারবে তাই না? তখন মাজহাবের কি দরকার???

আর কোরান/হাদিস কি এমন ভাষায় নাজিল হয়েছে যেটা শুধু ই ২০ ইমামই বুঝতে পেরেছেন? তারা ও তো ঐ আরবি আর উদূ` তেই বই লিখেছেন.. সেটা বুঝতে পারলে কোরান হাদিস বুঝতে পারবেন না?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৫

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে, বিশজন ইমাম নয়, বিশটি উসূল বা মূলনীতি। যার আলোকে বিগত এগার শত বছর কোর'আন-হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে শরীয়তের বিধান বের করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, কোর'আন হাদিসের মধ্যে অনেক আয়াত এবং হাদিস রয়েছে, যেগুলো কন্ট্রাডিক্ট, সেগুলোর ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু অনুবাদ করে আমল করা অসম্ভব। আর এই ব্যাখ্যা সকলে সবাই কেমন করে বুঝবে! যদি সবাই সোজাসুজি কোর'আন-হাদিস থেকে বুঝে ফেলত, তাহলে সাধারণ সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবীদের ব্যাখ্যার অনুসরণ করতেন না।
আপনি কি মনে করেন, সব মানুষ লাইব্রেরী থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই এনে ঔষধ বানাতে পারবে?

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫১

নতুন বলেছেন: আপনি কি মনে করেন, সব মানুষ লাইব্রেরী থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই এনে ঔষধ বানাতে পারবে?

বিজ্ঞানে পীর নেই... জ্ঞানে লুকোচুরি নেই... গোপনিয়তা নেই... ধমী`য় জ্ঞানে এতো লুকোচুরি কেন?

বিজ্ঞানে কোথাও বলেনাই যে আপনি এই বই পড়ে বুঝতে পারবেন না... বই পড়ে বিজ্ঞানের বিষয় বুঝতে পারবে...

ধমে`র নামে জ্ঞান নিয়ে অনেক লুকোচুরি করে... কেন?

আল্লাহ কোরানেই বলছেন যে তিনি কোরান সহজ করেছেন যাতে মানুষ সহজে বুঝতে পারে...

সুরা দুখান আয়াত ৫৮:- We have made this Book easy in your own tongue so that they may ponder and take good counsel.

সুরা ইউসুফ আয়াত ১-২: Alif. Lam Ra. These are the verses of the Book that makes its object perfectly CLEAR. We have sent it down as a Quran in Arabic, so that you may UNDERSTAND it well.

সুরা নাহল আয়াত ৮৯: We have sent down to you this Book, which makes everything plain, and is a guidance, blessing and good news to those who have surrendered themselves entirely.

Allah says in the Holy Quran Chapter সুরা মারিয়ম আয়াত ৯৭: O Mohamed, We have made this Quran easy, and sent it down in your tongue so that you should give good news to the pious and warn the stubborn people.

আর আপনি বলছেন যে """ আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, কোর'আন হাদিসের মধ্যে অনেক আয়াত এবং হাদিস রয়েছে, যেগুলো কন্ট্রাডিক্ট, সেগুলোর ব্যাখ্যা ছাড়া শুধু অনুবাদ করে আমল করা অসম্ভব। আর এই ব্যাখ্যা সকলে সবাই কেমন করে বুঝবে! যদি সবাই সোজাসুজি কোর'আন-হাদিস থেকে বুঝে ফেলত, তাহলে সাধারণ সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিজ্ঞ সাহাবীদের ব্যাখ্যার অনুসরণ করতেন না। """

তাহলে আল্লাহ বলছেন যে ১৪০০ বছর আগের আরবরা বুঝতে পারবে এমন করেই কোরান নাজিল করেছেন... আর আপনি বলছেন যে সবাই সোজাসুজি বুঝতে পারবে না...

বুছতে পারছিনা উপরের আয়াতে আল্লাহ কেন বললেন যে তিনি কোরান সহজ করেছেন মানুষের জন্য...

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: জাযাকাললাহু খাইরান। কোর'আনে পীর যেমন নেই, নামায কিংবা রোযাও নেই। এগুলো থাকবেই বা কেমনে? আরবি ভাষার কোর'আনুল কারীমে ফারসি শব্দ থাকবে কীভাবে? আর এখানে কোথাও তো আমি "পীর" শব্দ ব্যবহার করিনি!

বিষয়টা লুকোচুরি বলতে পারি না, শুধু এটুকু বলবো- শরীয়ত একটি বিজ্ঞান। এটাকে নিজে নিজে গেলে ইমাম বোখারি মক্কা থেকে মদিনা কিংবা কুফায় বছরের পর বছর আলেমদের সান্নিধ্যে অবস্হান না করে হাদিসের পাণ্ডুলিপি এনে মুখস্থ করে ফেলতেন। ইমাম মালিক মদীনায় পড়ে থাকতেন না।
আর সুরা ইউসুফের উল্লেখিত আয়াতের মর্মার্থ কী- আল্লামা ইসমাইল ইবনে কাসীরের তাফসির দেখা যেতে পারে। কেউ বাংলা পড়তে পারলেই কি বাংলাদেশের সংবিধানের সকল বিধান সম্পর্কে প্রাজ্ঞ হতে পারবে?!

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সিম্পল বিষয়টাকে আপনারা জটিল করে ফেলছেন। সমাজে বসবাস করতে গেলে যেমন মতভেদ নিয়েও একসাথে বাস করা যায় তেমনি মুসলমান সমাজে বাস করতে গিয়েও যার যার কিয়াস/মত অনুসরণ করলে ক্ষতি কি?
কোরআনের বিরুদ্ধে না গিয়ে যদি একজন যেকোনও মত অনুসরণ করে তবে তাকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রবণতা/ফেরকা ট্যাগিং করার কি দরকার?
এক আল্লাহ যদি আপনাকে আমাকে সবাইকে সৃষ্টি করে থাকেন, একজন মাত্র রাসূল থাকেন তবে ৭৩ দল সৃষ্টির কি দরকার? এক পরিচয়ে পরিচিত হওয়া যায় না? মত ভিন্নতা সত্তেও।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে ট্যাগিংটা আগে আসে ছিল না। ইসলামের প্রায় তের শত বছর পর হঠাৎ করেই একদল মানুষ বের হলেন যারা বলতে শুরু করলেন- শরীয়ত বিষয়ে কারো ব্যাখ্যা চলবে না, এগুলো শিরকি এবং হারাম। সরাসরি কোর'আন-হাদিস থেকেই আমরা আমল করবো। বিপত্তিটা ঠিক তখনই লেগে যায়। আমাকে উত্তম হতে হলে আপনাকে অধম হতে হবে কেন!!

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

নতুন বলেছেন: বিষয়টা লুকোচুরি বলতে পারি না, শুধু এটুকু বলবো- শরীয়ত একটি বিজ্ঞান। এটাকে নিজে নিজে গেলে ইমাম বোখারি মক্কা থেকে মদিনা কিংবা কুফায় বছরের পর বছর আলেমদের সান্নিধ্যে অবস্হান না করে হাদিসের পাণ্ডুলিপি এনে মুখস্থ করে ফেলতেন। ইমাম মালিক মদীনায় পড়ে থাকতেন না।

আগে শিক্ষাই ছিলো গুরু মুখি... এখনকার মতন শিক্ষা সামগ্রী পাওয়া যেতো না। বই পাওয়া যেত না। মানুষ শিক্ষিত ছিলো না।

গ্রামে এমএ পাশ করলে অনেকে ছেলেকে দেখতে আসতো....এমনটা আমাদের দেশের গ্রামেই হয়েছে তা আমাদের মুরুব্বীদের জিঙ্গাসা করলেই জানতে পারবেন।

এখন আপনার ঘরে বসেই বিখ্যাত সব অনুবাদকের লেখা পাবেন.... একসাথে ২-৪জন অনুবাদকের লেখা পাশা পাশি রেখে যদি পড়ে বুঝতে না পারেন তবে সেটা হবে আপনার/আপনাদের ব্যথ`তা নতুবা বোঝা যাবেনা সেই গোড়ামীর ফল...

আর আমি কোরানের ৪টা আয়াত দিলাম যেখানে আল্লাহই বলেছেন যে তিনি কোরান সহজ করেছেন যাতে রাসুলের জামানার মানুষ পড়ে বুঝতে পারে....

এখন কথা হইলো আল্লাহ সহজ করেছেন যেই জিনিস....যেটা ১৪০০ বছর আগের মানুষ বুঝতে পারবে... কিন্তু আপনি বলছেন এখন সেই জিনিস গুরু না ধররে বোঝা যাবে না.... ????????????

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আচ্ছা। আপনার দেয়া আয়াতের "আলিফ লাম মীম" মানে কী? এটা কি অনর্থক!

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

আঁধার রাত বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা কোন মাযহাব মানতেন? ইমাম আবু হানিফার মাযহাব ইমাম মালিকি মানে নাই নিজেই এক মাযহাব তৈরী করেছেন। ইমাম শাফিঈ ইমাম আবু হানিফার ও ইমাম মালিকির মাযহাব মানে নাই নিজেই শাফিঈ মাযহাব তৈরী করেছেন আবার ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল উপরের কোন ইমামের মাযহাবই মানেন নাই। আমি না মানলে দোষ কি? কোরআনের কোন সুরায় কোন আয়াতে মাযহাব মানতে বলেছে? কোন সহী হাদিস গ্রন্থে মাযহাব মানাটা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। নাকি আপনার উপর নতুন করে কিছু নাজিল হয়েছে যার বলে আপনি বলছেন মাযহাব মানতেই হবে। বেশী পন্ডিতি দেখান না!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আমায় উপর নাযিল হয় নি কিছু, আর সংযোজনও করি নি কিছু। যা পূর্ববর্তীগণ বলে গেছেন (যাদেরকে "আন আমতা আলাইহিম" বলা হয়েছে) তা-ই বলেছি। কোর'আন-হাদিসের সাথে তৃতীয় এবং চতুর্থ মূলনীতি হচ্ছে ইজমা ও কিয়াস। এগুলোর মাধ্যমেই ফাতওয়া দেয়া হয়েছে। মাযহাব কারো একজনের আন্দাজি মত নয় বরং স্কুল অব থট। একজন ইমামের মূলনীতি অনুসারে ঐ চারটি মূলনীতি থেকে মাসাঈল উৎসারণ করা হয়েছে। ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

হাসান নাঈম বলেছেন: মাযহাব মানা এবং মাত্র একটিকেই মানা বাধ্যতামুলক হল কবে থেকে? এবং কে করল?

ধরুন একই বিষয়ে চারটা মতামত পাওয়া গেল - আলেমগন গবেষণা করে কোরআন হাদীস থেকে চারটা বিষয় বের করলেন।
তাহলে একজন মুসলমানেরতো সেখান থেকে যেকোন একটা মানার স্বাধীনতা থাকা উচিত। আল্লাহর কোরআন আর রাসুলের(স) হাদীসে যদি চারটা সুযোগ থাকে তাহলে সেখান থেকে কোন একটা মানতে বাধ্য করার অধিকার অন্য কার থাকতে পারে? মানুষের ভিন্নমত এবং বেছে নেয়ার এই স্বাধীনতা কেড়ে নেয়াই হচ্ছে প্রথম অপরাধ যা করা হয়েছিল অন্তত ৫-৬শ বছর পর। কোন মাযহাবের কোন ইমাম তার মতামত চাপিয়ে দিয়ে যান নাই - তাদের মৃত্যুর পর তাদের অনুসারীরাই মাযহাবের উদ্ভব ঘটিয়েছিলেন। এবং এক পর্যায়ে তারাই নির্দিস্ট করে দেন যে কোন একটা মাযহাবই মানতে হবে। তার আগেপর্যন্ত এ'গুলি ছিল বিভিন্ন ইমামের মতামত - কেই চাইলে যে কারটাই মানতে পারত।

সকল বিষয়ে কি মতভেদ আছে? ধরুন - আল্লাহ যে এক ও অদ্বীতিয় - এ'ব্যাপারে কি কোরআন হাদীসে কোন দ্বিমত পাওয়া যাবে? যাবে না। তার অর্থ হল যে বিষয়গুলিতে মতভেদের স্বাধীনতা নাই সেগুলি আল্লাহর কোরআন এবং রাসুলের হাদীসে সুনির্দিস্ট ভাবে বলা আছে। বাকি যেগুলিতে ভিন্নতা হলেও সমস্যা নাই সেগুলির ব্যাপারেই মতভেদের সুযোগ রাখা হয়েছে। এবং সেখান থেকে যেকোন একটা বেছে নেয়ার পুর্ণ স্বাধীনতাও প্রত্যেক মুসলমানের আছে।

আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে খুটিনাটি সবকিছুই সুনির্দিস্ট করে দিতে পারতেন। মানুষের সুবিধার জন্যই তা করা হয় নাই। আমাদের আবার সেই স্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার চেস্টা করা উচিত। ভিন্নমতের বিষয়গুলিতে মাযহাবসহ সকল ইমাম ও ইসলামী স্কলারদের মতামত গবেষণা বক্তব্য ফতোয়া - সবকিছুই থাকবে শুধুমাত্র একটি মতামত হিসেবে - সেখান থেকে যার যেটা পছন্দ মেনে চলতে পারবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: জী, আপনি ঠিকই বলেছেন। প্রথমে যে কোনো এক মাযহাব মানা বাধ্যতামূলক ছিলনা। পরে যখন দেখা গেল, কিছু মানুষ যে ইমামের ব্যাখ্যায় যা সহজ তা আমল করতে গিয়ে তামাশা বানিয়ে ফেলছে, তখনই বলা হয়েছে। এখনো কিছু মানুষ এরকম খুঁজে।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা। আপনার দেয়া আয়াতের "আলিফ লাম মীম" মানে কী? এটা কি অনর্থক!

ঠিক আছে .... "আলিফ লাম মীম" মানে কী কোন ইমাম দিয়েছেন????

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: জী না, তাফসীর গ্রন্থে হারফুল মুকাত্তা'আত নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখা হযেছে। আর এটাই বলতে চাইছি, শুধু আরবি ভাষা হলেই কি একজন বুঝতে পারবে। ধরণ, সুরা মায়েদার ছয় নং আয়াত অনুযায়ী মহিলাদের স্পর্শ করলে অজু নষ্ট হয়, আবার আবু দাউদ শরীফের হাদিস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে আয়েশা রাঃ কে স্পর্শ করেছেন বলে উল্লেখ আছে। এখন অনুবাদ পড়ে কি কেউ আমল করতে পারবে?

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জী না, তাফসীর গ্রন্থে হারফুল মুকাত্তা'আত নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখা হযেছে।

গ্রন্হে পৃস্ঠার পরে পৃস্ঠায় কি এর অথ` আছে? রাসুল সা: যখন এইগুলির অথ` বলে জাননি তাই এর অথ` কেউই করতে পারবেনা। সেটা আপনার ইমামরাও করেন নাই।

আর এটাই বলতে চাইছি, শুধু আরবি ভাষা হলেই কি একজন বুঝতে পারবে। ধরণ, সুরা মায়েদার ছয় নং আয়াত অনুযায়ী মহিলাদের স্পর্শ করলে অজু নষ্ট হয়, আবার আবু দাউদ শরীফের হাদিস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযে আয়েশা রাঃ কে স্পর্শ করেছেন বলে উল্লেখ আছে। এখন অনুবাদ পড়ে কি কেউ আমল করতে পারবে?

এখন সুরা মায়েদায় এবং ঐ হাদিস পড়েই তো আপনি বুঝে গেছেন যে নামাযে নারী স্পশ` করলে অজু নস্ট হয় না। তাহলে ইমাম কি করলো?? ব্যক্ষা তো রাসুল সা: ই দিয়েছেন।

সমস্যা হইলো আপনারা চিত হইয়া শোয়া যায়েজ না কাইত হইয়া শোয়া যায়েজ নিয়ে তাই নিয়ে বিত`ক তৌরি করেছেন ২০ ইমামের অনুসরন করে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: "গ্রন্হে পৃস্ঠার পরে পৃস্ঠায় কি এর অথ` আছে? রাসুল সা: যখন এইগুলির অথ` বলে জাননি তাই এর অথ` কেউই করতে পারবেনা। সেটা আপনার ইমামরাও করেন নাই।" এটাই বলতে চেয়েছি, কুরআনুল কারীম আরবি হওয়া সত্বেও সব আয়াত সহজবোধ্য নয়। কিছু মুহকাম এবং কিছু মুতাশাবিহ আয়াত আছে। মুহকাম আয়াতে কেউ দ্বিমত করেন নি কিন্তু মুতাশাবিহ আয়াতের ব্যাখ্যায় মতানক্য হয়েছে

"এখন সুরা মায়েদায় এবং ঐ হাদিস পড়েই তো আপনি বুঝে গেছেন যে নামাযে নারী স্পশ` করলে অজু নস্ট হয় না। তাহলে ইমাম কি করলো?? ব্যক্ষা তো রাসুল সা: ই দিয়েছেন।" এবিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন? আর সকল মুতা'আরিয আয়াত ও হাদিসের কি ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিয়ে গেছেন?!

"সমস্যা হইলো আপনারা চিত হইয়া শোয়া যায়েজ না কাইত হইয়া শোয়া যায়েজ নিয়ে তাই নিয়ে বিত`ক তৌরি করেছেন ২০ ইমামের অনুসরন করে।"-এখানে সবচেয়ে বড় মিস-কনসেপশন হচ্ছে বিশজন ইমামের ধারণা। এখানে হাজার বছরে লক্ষ লক্ষ ইমাম ছিলেন, এগুলো বাদ দেন। শুধু ইমাম আবু হানিফার সময়ে স্কুল অব হানাফী’র কেবিনেটে ছিলেন এমন চল্লিশ জন হাদিস বিশারদ যারা লক্ষ লক্ষ হাদিস জানতেন এবং এগুলোর মাধ্যমে বিধি-বিধান উৎসারণ করেছেন।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

নতুন বলেছেন: কোরানের হাদিসের এতো ব্যক্ষার জন্যই ৭২++ ফেরকার সৃস্টি হয়েছে...

সরাসরি কোরান/হাদিস অনুসরন করলে সমস্যা হইতো না।

ফেরকা বাদ দেন... সহজ পথ ধরুন....

যেকোন দুই স্থানের মাঝে সবচেয়ে সোজা রাস্তা একটাই ... ২০টা হতে পারেনা।

কোরান একটা...রাসুল সা: একজন.... তার জন্য ২০টা ইমাম/লক্ষ লক্ষ ইমামের দরকার নাই ব্যক্ষার জন্য.... তাতেই যত ফেরকার সৃস্টি হইতেছে...

অতি সন্নাসীতে গাজন নস্ট হয় এটা তো মনে হয় জানেন...

কোরানে বলাআছে... নারীদের পদা` করতে কিন্তু এমন ভাবে যাতে চেনা যায়...

কিন্তু শতইমামের ফেরকার জন্য আজ কত রকমের পদা`র প্রচলন হয়েছে??

যেখানে আল্লাহ বলেছেন যে নারীদের চেনা যায় সেই রকমের পদা` কর... কিন্তু আপনারা বলবেন যে পুরাই ঢাইকা রাখো...

এটা আপনাদের অতি ভক্তির জন্যই হয়েছে...

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: Click This Link ভাই এখানে কিছু দলিল আছে নারীদের পর্দা সম্পর্কে। যদি হাদিসকে কোর'আনের ব্যাখ্যা হিসেবে মানতে পারেন, সাহাবায়ে কেরামকে রাসূলের সর্বাধিক অনুসরণকারী মনে করেন, দেখতে পাদেন। আর যদি আহলে কোর'আনের মত হাদিস এবং সুন্নাহ অস্বীকার করেন তাহলে ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাক্বীম।

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

নতুন বলেছেন: আর যদি আহলে কোর'আনের মত হাদিস এবং সুন্নাহ অস্বীকার করেন তাহলে ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাক্বীম।


কোরান আগে না হাদিস??

কোরানে ভুল হবার সম্ভবনা আছে না কি হাদিসে???

জাল আয়াত কি আছে?? না কি জাল হাদিস??

আমি কোরানের অনুসরন করতে বললাম আর আপনি হাদিস আর ইমামের অনুসরন করতে বলছেন।

আসল নিয়ে খবর নাই.... ভ্যাজালের দিতে কেন মানুষকে টেনে নেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: অবশ্যই শরীয়তের চারটি উসুলের প্রথমটি আল কোরআন। তাই বলে, সুন্নাহ এবং হাদিসকে কোর'আনের ব্যাখ্যাগ্রন্থ মানা যাবে না!! আচ্ছা, পাঁচ ওয়াক্ত নামায, ২,50% যাকাত কোর'আন কারিমের কোথায় আছে?

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮

নতুন বলেছেন: আমিতো বলিনাই যে হাদিসকে মানা যাবে না। কিন্তু আপনি তো বলছেন যে কোরান হাদিস ইমামের বই ছাড়া বোঝা যাবে না...

কোরানে আছে যে সালাত কায়েম কর..... রাসুল সা: বলেছেন ৫ অয়াক্ত নামাজ আদায় করতে...

সেটাই সহজ না? এখন হাত উপরে/নিচে/ছেড়ে দিয়ে ইমামের বুদ্ধিতে চলতে হবে?? কিন্তু হাত ইমামের মতন না মানলে কাফের/অভিসপ্ত সেই ধারনা কেন প্রচার করছেন??

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩৩

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ। এরকম তো বলি নাই ভাই! কাউকে তো কাফের বলি নি। সোজা কথা হচ্ছে, যে সমস্ত শরঈ বিধান স্পষ্ট কোর'আন কিংবা হাদিসে আছে এবং এর কন্ট্রাডিক্ট কোর'আন-হাদিসের অন্য আয়াত বা সহীহ হাদিস নেই, এব্যাপারে কারো কথাতো মানা হারাম। শুধু মুতা'আরিয আয়াত এবং হাদীসের ব্যাপারে আলেমদের ব্যাখ্যা মানতে বলা হয়েছে।

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

নতুন বলেছেন: এই রকমের মুতা'আরিয আয়াত এবং হাদীসের সংখ্যা কত??

কোরানে আয়াতের সংখ্যা ৬২৩৬টি তাহলে এর মাঝে কতগুলি আয়াত মুতা'আরিয আয়াত??

সোজা পথ একটাই.. বাকি যত পথ তৌরি করবেন সবগুলিই ভ্যজাল...

সহজ পথে কোরান এবং হাদিস মেনে চলুন...

৭২.৭৩.৭৫ ফেরকা বানাবেন না...

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: এটা তো জানার কথা যে, কোর'আন এবং হাদিসগ্রন্থগুতে এরকম মুতা'আ'রিজ আয়াত এবং হাদিস আছে। আর কোর'আন হাদিস মত চললেও দ্বীমত হয়। সাহাবায়ে কিরামের হয়েছে। এখন মতকে যদি আপনারা পথ ধরে নেন, তাহলে সাহাবীদের সার্টিফিকেট কেড়ে নেন!

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: @নতুন ভাই,
এই লোকটা সহজ কথা বার্তাগুলোকে জটিলভাবে চিন্তা করছে। এদের আসলে ঐ জায়গাটা বাঁকা। আই থিংক এদের সাথে তর্ক করাটা বেহুদা।


এটা তো জানার কথা যে, কোর'আন এবং হাদিসগ্রন্থগুতে এরকম মুতা'আ'রিজ আয়াত এবং হাদিস আছে। আর কোর'আন হাদিস মত চললেও দ্বীমত হয়। সাহাবায়ে কিরামের হয়েছে। এখন মতকে যদি আপনারা পথ ধরে নেন, তাহলে সাহাবীদের সার্টিফিকেট কেড়ে নেন!


কোরআন হাদিস মতে চললে দ্বিমত তো হবেই। তাই বলে সাহাবীগণেরা কি ৭২-৭৩ দলে বিভক্ত হয়েছিলেন?

আমি তো আগেই বলে দিয়েছি, যে নিজ কিয়াস/মত ফলো করে যেটা অনুসরণ করবে তাতে বাঁধা না দিয়ে সমাজে একসাথে চলা যায় না? হুজুরদের নানানরকম ধর্ম ব্যবসা করাটা অবশ্য সেক্ষেত্রে বিপদে পড়বে।

২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



বিদায় হজ্জের ভাষণে নবীজি বলে গেছেন দুটি বস্তু এক কোরআন, দুই হাদিস যতদিন মানুষ ধরে রাখবে ততদিন কেউ পথভ্রষ্ট হবেনা। কিন্তু সমস্যাটা হইছে কি জানেন,

কোরআনে আছে জিহাদের কথা। এখন খালি জিহাদ নিয়ে থাকলেই কি ইসলাম ? আর আসলে জিহাদ মানে কি এইটা বুঝতে কি আমারে কোন জিহাদী গ্রুপে যোগ দেয়া লাগবে নাকি !!!

আবার ধরেন আছে তাবলীগের কথা। এখন ইসলাম বুঝতে কি আমারে মসজিদে মাসের পর মাস পরে থাকতে হবে ?

নবীজি ঘর, সংসার সবই করছেন, রাতের বেলায় নিজের ঘরে বসেই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করছেন। পাশে তাঁর স্ত্রীও ছিলেন। আবার ঠিকই তিনি ইসলাম প্রচার করেছেন। কিন্তু ইসলাম প্রচার করেছেন যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারি না, তাদের মাঝে। কিন্তু এখন আমরা কি করি ?

কেউ জিহাদ করবে, কেউ তাবলীগ করবে এই কি ইসলাম ? নবীজিতো হিজরত করছেন। চলেন তাইলে সবাই মিলে হিজরত করি। কই সেইটাতো কেউ করিনা। কথা হইলো সবাই যে যার স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করা শুরু করছে। নিজের মতো ফতোয়া দেয়া শুরু করছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের ধর্মের সর্বনাশের জন্য দায়ী।

আর বলাই আছে ৭২ টা ভাগ হবে যার মধ্যে মাত্র একটি ভাগ হবে সঠিক পথের। এইখানে এখন সারা দুনিয়ার শতকরা ১০০ ভাগ মানুষ এই ৭২টা ভাগে থাকলেও কোন লাভ নাই।

আসল কথা কোরআন ও হাদিস মেনে চলা। ফাইটার প্লেনের উপর পত্রিকা বিছিয়ে ইফতার করার ছবি বানিয়ে ফেবুতে লাইক আর শেয়ার চেয়ে সুবহানাল্লাহ বলা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। এভাবেই ইসলাম এর বিরুদ্ধে মানুষ কথা বলার সুযোগ পায়।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: এটাই সমস্যা। যে যেদিকে গেছেন, সেটাই একমাত্র বলে ঘোষণা দিচ্ছেন। আপনি সঠিক বলেছেন, বাহাত্তর ভাগে ভাগ হয়ে লাভ নেই শতভাগ হলেও। ইত্তেবা করতে হবে যারা নিয়ামতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ,তাঁর রাসূল এবং উলুল আমরের অনুসরণ করতে। ধন্যবাদ।
''আসল কথা কোরআন ও হাদিস মেনে চলা। ফাইটার প্লেনের উপর পত্রিকা বিছিয়ে ইফতার করার ছবি বানিয়ে ফেবুতে লাইক আর শেয়ার চেয়ে সুবহানাল্লাহ বলা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না। এভাবেই ইসলাম এর বিরুদ্ধে মানুষ কথা বলার সুযোগ পায়।"-এটুকু বুঝিনি!!

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

নতুন বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: @নতুন ভাই,
এই লোকটা সহজ কথা বার্তাগুলোকে জটিলভাবে চিন্তা করছে। এদের আসলে ঐ জায়গাটা বাঁকা। আই থিংক এদের সাথে তর্ক করাটা বেহুদা।


উনারা ধরেই নিয়েছেন যে কোরান হাদিস বোঝা যায় না। শুধু ব্যক্ষা পড়েই বুঝতে হবে। আর ইমামদের ব্যাক্ষাই নিতে হবে... সব ইমামেরর না শূধু ৪ জনের... তাও আবার ১ জনের... বাকি রা ঠিক না...

বাকিরা যখন ঠিক না... তখন আমি কেন ইমামের কাছে যাবো যখন কোন ইমাম ঠিক সেটা নিয়ে বিতক` আছে...

কিন্তু কোরান এবং হাদিস নিয়ে বিতক` নেই।

সহজ জিনিস না বুঝে যদি ভাবতে থাকি যে আমি বুঝতে পারবো না। তবে তাকে আপনি কিভাবে বোঝাবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.