নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
● এই আরেকটা ফাউল বিতর্ক। নামাযের শেষে দোয়া করা নিয়েও খুব কড়াকড়ি এবং ছাড়াছাড়ি শুরু হয়েছে। এই দোয়াকে বহু মুসলমান (বিশেষ করে) আমাদের ভারত উপমহাদেশের মুসলিমগণ এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে মনে হয় যেন, এই দোয়া করাও নামাযের একটা ফরয অংশ। না করলে না হবে! এরকম সম্মিলিত দোয়াকে অত্যাবশ্যক মনে করা সরাসরি বিদ'আত। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা খুবই গর্হিত কাজ।
আবার আরেক দলে বর্তমানে এমন কঠোর পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তাদের কথায় মনে হয় কেউ যদি নামায শেষে হাত তুলে দোয়া করে, যেন নামাযটাই বরবাদ করে ফেলেছে। অথচ হাদিসের গ্রন্থ ঘাটলে বহু হাদিস পাওয়া যায়, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের পর দোয়া করেছেন প্রমাণিত।
■নিম্নে কিছু হাদিস দেয়া হলঃ
(1)হযরত আবু উমামাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল, “কোন দোয়া অধিক গ্রহণযোগ্য”? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- মধ্যরাতের দোয়া এবং নামাযের পরের দোয়া। (জামি’ঈ তিরমিযী)
(আরবি পাঠ)
عن أبي أمامة فال قيل يا رسول الله أي الدعاء استمع
قال جوف الليل و دبرالصلاة
الجامع الترمذي
দেখুন। সরাসরি নামাযের পরের দোয়াকে অত্যাধিক মাকবুল তথা গ্রহণযোগ্য বলা হয়েছে।
(2) হযরত আসওয়াদ আমিরী (রহঃ) তার পিতা বর্ণনা করেন, তার পিতা বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ফজরের নামায আদায় করলাম, তিনি সালাম ফেরালেন, (আমাদের দিকে) ফিরলেন, অতঃপর হাত উত্তোলন করলেন এবং দোয়া করলেন। (মুজমাউয যাওয়াঈদ)
(আরবি পাঠ)
عن اسود العا مري عن أبيه قال صليت مع رسول الله الفجر فلما سلم انحرف ورفع يديه ودعا
المجمع الزوائد
جلد 1
এখানে ফজরের নামাযের পর খোদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাত তুলে দোয়ার কথা বলা হয়েছে।
(3) আল্লামা শায়খ হায়সামী (রহঃ) তার বিখ্যাত গ্রন্থ মুজমাউয যাওয়াঈদে বর্ণনা করেন এই মর্মে,
হযরত আবু শায়বা থেকে ইয়াহিয়া ইবনে আসলামী বর্ণনা করেন, একদা বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাঃ) দেখলেন, একব্যক্তি নামায শেষ করার পূর্বেই হাত তুলে দোয়া করছে। তার নামায শেষ হলে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রাঃ) লোকটিকে ধমক দিয়ে বললেন,
إن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يرفع يديه حتى يفرغ صلاته
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো নামায শেষ করার পূর্ব পর্যন্ত (দোয়ার জন্য) হাত তুলেন নি।”
একটু পবিত্র অন্তরে পড়লে অবশ্যই এই হাদিস থেকে রাসূলু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামায পরবর্তী দোয়ার প্রমাণ স্পষ্টত ভেসে ওঠে।
●এছাড়াও আরো অনেক হাদিস রয়েছে নামাযের পর দোয়ার পক্ষে। অতএব যদি কেউ নামাযের পর অত্যাবশ্যক মনে না করে দোয়া করে, ইহা যেমন বিদ'আত আবার প্রমাণিত দোয়াকে নাজায়েয ঘোষণা করাও নাজায়েয।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ভাল বলেছেন। তবে এগুলো না পড়লেও লিখতে হয়। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
মো কবির বলেছেন: ভাল লেখা কেউ পড়ে না, তা যাইহোক নামাযের পর সম্মিলিত দোয়া করা বিদাত।