নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
●পুস্তিকাটি বছর দুয়েক আগে ফ্রান্সে এক বাঙালি দিয়েছিল।
বইটির নাম দেখে বাংলায় সম্যক ধারণা থাকলে যে কেউ বুঝবে- একটি ইসলামিক বই, যাতে জান্নাত প্রাপ্তির পথ দেখানো হয়েছে কোর'আনের আলোকে।
কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে, এটি কোনো ইসলামিক দাওয়াতের বই নয়! খৃস্টান মিশনারিদের বই এটি। যা রচনা করা হয়েছে বাংলাভাষী মুসলমানদের টার্গেট করে। এতে সুকৌশলে কোর'আন এবং হাদিস দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে, আপনি মুসলিম হলে যেমন জান্নাতে যেতে পারবেন, খৃস্টান হলেও জান্নাত নিশ্চিত।
•ঠিক একইভাবে শিয়াদের বইসমূহ পড়লে, কাদিয়ানীদের লেকচার শুনলে পাবেন, কোর'আন- হাদিসের মাধ্যমেই দেখানো হয়েছে শিয়া আক্বিদার সত্যতা, কাদিয়ানীদের হক্বপন্থা।
এই বইসমূহে/লেকচারে বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসের আগ-পিছ উল্লেখ না করে, উদ্দেশ্য এবং কারণ না বলে কোর'আন এবং হাদিসের এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, বিজ্ঞ আলেম ছাড়া ভুল ধরা অসম্ভব।
এগুলো কেউ রেগুলার পড়তে, শুনতে থাকলে মরু কিংবা সমুদ্রপথের পথহারার মত অবস্থা হবে। সঠিক পথে আছে মনে করে এতো দূর যাবে যে, সে যখন অনুধাবন করবে ভুল পথে আছে, তখন ফেরত আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। যদি না তাকে কেউ পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে। নাউজু বিল্লাহ !
একটু পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়- একজন মানুষ নাস্তিকও হয় মূলতঃ নির্দিষ্ট কিছু বই পড়ে, লেকচার শুনে কিংবা ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে ব্লগ/আর্টিকেল পড়ে। নাস্তিকতার পক্ষে মিছিল-মিটিং হয় না, সরাসরি নাস্তিকতার দাওয়াত দেয়া হয় না। এটি একটি ইন্টেলেকচুয়াল মেথড।
●অতএব, প্রিয় দ্বীনী ভ্রাতার-ভগিনীগণ! অধ্যয়ন একটি অতি উত্তম অভ্যাস। কিন্তু আক্বিদা সংক্রান্ত, ধর্মীয়,ঐতিহাসিক বইসমূহ পড়তে, লেকচার শুনতে একটু সাবধান হবেন।
হীন উদ্দেশ্যে রচিত "সহীহ আক্বিদার বই, সহীহ শায়খদের লেকচার, খাটি স্কলারদের বয়ান" ইত্যাদি শুনে হুট করে সিদ্ধান্তে পৌঁছলে পথহারা নাবিকের মতো শুধু আগাতেই থাকবেন নীল গহ্বরের দিকে।
তারা আপনাকে "অন্ধের হাতি দর্শন"র মত কোর'আন হাদিসের এক অংশ দেখাবে আর আপনি শুধু হাতির পা ধরেই বলবেন- ইয়েস, হাতি আসলে পিলারের মত। তারা "শিক্ষক গাধাদের পড়ান" এই লাইনের "শিক্ষক গাধা....." পর্যন্ত বলবে, আপনি ভাবতেই পারবেন না যে, গাধা'র পর আরো অনেক কিছু রয়ে গেছে।
ভ্রাতার-ভগিনীগণ! পড়তে থাকুন, তবে বই পড়েই স্কলার বনে যাবেন না। সঠিক জানতে আলেমদের দ্বারস্থ হোন। তা না হলে পড়তে পড়তে একেবারে খাদে পড়ে যাবেন।
☆আল্লাহ সকলকে সঠিক রাহে প্রদর্শন করুন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩০
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন কিন্তু যখন হয় তখন চিন্তাও করনা !
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: একটু পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়- একজন মানুষ নাস্তিকও হয় মূলতঃ নির্দিষ্ট কিছু বই পড়ে, লেকচার শুনে কিংবা ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে ব্লগ/আর্টিকেল পড়ে। নাস্তিকতার পক্ষে মিছিল-মিটিং হয় না, সরাসরি নাস্তিকতার দাওয়াত দেয়া হয় না। এটি একটি ইন্টেলেকচুয়াল মেথড।
চমৎকার বলেছেন...........
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২১
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, সুন্দর কম্প্লিমেন্টের জন্য।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: চিন্তার কথা। এই ধরনের বই আশে পাশে অনেক।
আমরা কোরআন ভাল করে বুঝার চেষ্টা করি না। বুঝে পড়ার চেষ্টা করলে মনে হয়, বেশি ভালো হয়।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: জী, বুঝেই পড়তে হবে। আর নিজে নিজে বুঝতে যাওয়াটা অনেক রিস্ক। ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
ডাঃ মারজান বলেছেন: একটি ভালো পোস্ট। আল্লাহ আমাদের কুরআন বুঝে পড়ার ক্ষমতা দান করুন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম পুরস্কার দান করুন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আমিন। আপনাকেও আল্লাহ উত্তম উত্তম প্রতিদান দিন।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
গ্রিন জোন বলেছেন: কিন্তু বইটাতে কি লেখা আছে সেটা তো জানা গেলো না..........
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। এরকম বইতে কিছু আয়াতের অংশবিশেষ উল্লেখ কথা হয়। যেগুলোতে হযরত ঈসা (আঃ) এর প্রশংসা করা হয়েছে এবং তার নবুওতের কথা বলা হয়েছে। কাট-পিস করেছে। একজন সাধারণ মানুষ জানে না, এই আয়াতের আগে আগ-পিছ, বিভ্রান্ত হবেই। বর্তমানে ইসলামের এরূপ অনেক ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। যারা আধুনিক শিক্ষিত তারা এসব বই পেয়েই পূর্বের আলেমদেরকে ভুল-মিথ্যাবাদি বলে নতুন পথ ধরছেন। এইসব মানুষেরা জানেনই না,যে বই পড়ছেন, সেটাতে আংশিক আলোচনা করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
নতুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন এই রকমের অনেক বই আছে যেটার মাধ্যমেই বিভিন্ন ফেরকা তৌরি হয়েছে... মাজহাব তৌরি হয়েছে।
শত শত ইমামের ব্যক্ষায় যে ইসলামও এখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ইমামদের ব্যাখ্যাকে ফিরকাবাজী বললে কিছুই বলার থাকে না। "প্ল্যানে কিবলা কোন দিকে হবে", ইমামদের ব্যাখ্যা ছাড়া সরাসরি কোর'আন-হাদিস থেকে দলীলটা দিয়েন দয়া করে।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
নতুন বলেছেন: রাসুল আ: কি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধ করে গেছেন?
এই রকমের ছোট খাটো নতুন নতুন বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সবাই একটা সম্মতিতে আসতেই পারে।
কিন্তু আপনি তো প্রচার করছেন যে আমাদের পক্ষে কোরান/হাদিসের অথ`বোঝা সম্ভব না তাই ইমামের অনুসরন না করে যারা মনে করে কোরান/হাদিস অনুসরন করা যাবে তারা আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৮
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: “কিন্তু আপনি তো প্রচার করছেন যে আমাদের পক্ষে কোরান/হাদিসের অথ`বোঝা সম্ভব না তাই ইমামের অনুসরন না করে যারা মনে করে কোরান/হাদিস অনুসরন করা যাবে তারা আশির্বাদ নাকি অভিশাপ?"
-বিষয়টা এভাবে বলবো কীভাবে!! যে বিষয়গুলোতে স্পষ্ট বিধান রয়েছে, সেগুলোতে কারো ব্যাখ্যা করা কিংবা মানা তো হারাম (ইজমা-এ-উম্মত)। বলা হয়েছে, যে সমস্ত আয়াত কিংবা হাদিস পরস্পর বিরোধী কিংবা ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
যেমন সুরা বাকারাতে আছে- “والمطلقات يتربص بأنفسهن ثلاثة قروء” এখানে قروء মানে কী? এটা তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে যান নি। এখন তো মুজতাহিদগণের ব্যাখা মানতে হবে?
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬
পাউডার বলেছেন: লেখক বলেছেন: জী, বুঝেই পড়তে হবে। আর নিজে নিজে বুঝতে যাওয়াটা অনেক রিস্ক। ধন্যবাদ।
আল্লাহ বলছেন কোরআন কে সহজ করে দেয়া হয়েছে।
১২:১ - আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো সুস্পষ্ট গ্রন্থের আয়াত।
১২:২ - আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
১৬:৮৯ - সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।
৩৯:৪১ - আমি আপনার প্রতি সত্য ধর্মসহ কিতাব নাযিল করেছি মানুষের কল্যাণকল্পে। অতঃপর যে সৎপথে আসে, সে নিজের কল্যাণের জন্যেই আসে, আর যে পথভ্রষ্ট হয়, সে নিজেরই অনিষ্টের জন্যে পথভ্রষ্ট হয়। আপনি তাদের জন্যে দায়ী নন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৯
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব ভাল বলেছেন। এখন তো সবাই ইলমে ওহীর ব্যাখ্যাকার।
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২১
আহসানের ব্লগ বলেছেন:
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন: আমাদের ব্রেনটা ঠিক কম্পিউটারের মতন যে যা সেভ করে দিচ্ছে তাই সেভ করার আগে বিষয় গুলো ভালো করে পরখ করে নেয়া দরকার না হলে জীবন পথে আমরা পথ ভ্রষ্ট হতে পারি ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন- "ভালো করে পরখ করে নেয়া দরকার."
১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
টিএম.নীরব বলেছেন: শয়তান কিন্ত অনেক বড় আলেম ছিলো, যখন সে যুক্তি বলা শুরু করলো তখন তাকে আল্লাহ রহমত থেকে বঞ্চিত করা হল, আদীপিতা আদম ( আঃ) কিন্ত যুক্তি দিতে পারতেন আল্লাহ আপনি জান্নাতে এই গাছ কেনো রাখলেন, কেনো আমার খাওয়া সময় ফেরেশতা দিয়ে মানা করলেন না আরো অনেক কিছু, সে কিন্ত তর্ক করেন নাই, যে কারনে ভুল করেছেন তার জন্য খোমা চেয়েছেন, এখন বিষয় হল ইমাম হানাফি রহঃ সাহাবিদের দেখা পেয়ে ছিলেন সে ভাবতে লাগলেন এক এক জন সাহাবি দুর দেশে চলে যায়তেছে, কেও মারা যায়তেছে, তাহলে এরা কে কি হাদিস বা রাসূলের কথা জানে আমি এটা লেখে এক করতে চাই, তখন তিনি এই কাজ শুরু করে দিলেন, ওই জামানায় সব সাহাবির কাছ থেকে রাসূল সাঃ কথা একত্রকরণ করলেন, তার পরে যখন ইহুদিদের দালালরা বিষয় টা জান্তে পারলেন তখন তাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় রাখলেন, পথ ভুলা মানুষের মাজে রাসূলের কথা গুলোকে বাতিয়ে গেলেন, এজন্য তাকে ইমাম বলা হয়ে থাকেন, এই মানুষ টি ৪০ বছর এশারের ওজু দিয়ে ফজরের নামাজ পরেছেন, যে মানুষ টি কোরআন, আর হাদিস কে সারা জিবন মাথায় করে টানলেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে প্রচার করলেন, তাকে আজ কিছু বুদ্ধি মান মাতাল মানতে চায়না ও মানবে না আরো মানুষকে মানতে দিবেনা,যারা মুরুব্বি মানে না তারা বিয়াদোব, পথ হারা, ভাই আপনাদের কে বলতে চাই বর্তমানে কিছু ( সবাই না) ডাঃ ডিক্রী নিয়ে ইসলাম কে ভুল ভাবে প্রচার করেছেন যুক্তি দিয়ে বুজাইবার চিষ্টা করেছেন কিন্ত আমি আগেই বলেছিলাম ইসলামে যুক্তি চলতে পারেনা, ধন্যবাদ,
ইসলামি বই পড়ার আগে সচেতন হয়ে পড়ুন,
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৩
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। ঠিকই বলেছেন - মানুষ এখন একটি পুস্তিকা পড়েই সালফে সালিহীনকে যাচ্ছেতাই গালি দেয়!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২
প্রামানিক বলেছেন: এই সব বইয়ের কারণে অনেকেই পথ ভ্রষ্ট।