নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
●আজকাল অনেকে “আলবানী আলবানী” বলে নাক-মুখের পানি একাকার করে ফেলছেন। আলবানী রাহিমাহাল্লাহ যা বলছেন, তা-ই ফুল এন্ড ফাইনাল হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। তিনি যে হাদিসকে সহীহ বলেছেন, সেটাই যেন চূড়ান্ত; এরকম ভাব নিচ্ছেন অনেক ভ্রাতা-ভগিনীগণ।
শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানীর ভ্রান্ত বিষয়গুলির সম্পর্কে যুগশ্রেষ্ঠ আলেমগণ অত্যন্ত কঠোর মন্তব্য করেছেন। অধিকাংশ আলেম স্বতন্ত্র কিতাব লিখেছেন। “সাবাতু মুয়াল্লাফাতিল আলবানী” এর গ্রন্থকার এ ধরণের ৫৭টি কিতাবের নাম উল্লেখ করেছেন। এ সমস্ত গ্রন্থে শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানীর ভ্রান্তিগুলো আলোচনা করা হয়েছে।
■■নিম্নে যুগের বিখ্যাত কয়েকজন শরিয়ত- বিজ্ঞানীর মন্তব্য এবং কিতাবাদীর অবতরণ করা হয়েছে।
■স্কলারদের অভিমত
●সাউদী আরবের প্রধান মুফতী আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন বায এর নাছির উদ্দীন আলবানী সম্পর্কে অভিমতঃ
(ক) নাছির উদ্দীনআলবানী এমন প্রকাশ্য ভুল করেছেন যাহা আমাদের জানা মতে পূর্বের কোন আলেম এমনটি করেননি।
তিনি আরো বলেন- আলবানী সাহেব ছহীহ হাদীস
সমূহের বিরোধিতাকারী। (সূত্র: সালাসু রাসায়েল
ফিসসালাত : ইবনে বাজ ১/২৮)
(খ) কখনো তিনি ছহীহ হাদীসকে জয়ীফ/দূর্বল বলে ভুল করেন, আবার কখনো দূর্বল হাদীসকে তিনি ছহীহ বলে ভুল করেন। (সূত্র : দরুস ইবনে বাজ : ১১/২৬, ২. মাজমুআয়ে ফতুয়া ইবনে বাজ : ২৫/৭১)
●জামেয়াতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ এর দাওয়া বিভাগের প্রধান ড.আব্দুল আযীয আল আসকার শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সম্পর্কে লিখেছেন, “আলবানী এবং তার অনুসারীরা মূলতঃ সালাফী নয়”
অর্থাৎ এরা সালাফী (পূর্ববর্তীদের অনুসারী)
হওয়ার দাবী করে কিন্তু বাস্তবে এরা সালাফী নয়।
আলবানী সাহেবের তাহকীকের প্রকৃত অবস্থা:
১. উদা বিন হাসান উদা ৫০০ হাদীসের একটি সঙ্কলন
বের করেছেন। এই কিতাবে যে ৫০০ হাদীস উল্লেখ
করা হয়েছে, এগুলো মুলত: আলবানী সাহেবের
তারাজু বা পূর্বের মতামত থেকে ফিরে আসার
ব্যাপারে আালোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ
আলবানী সাহেব পূর্বে একটা হাদীসকে সহীহ
বলেছেন, পরে মত পরিবর্তন করে সেটাকে যয়ীফ
বলেছেন। এধরনের রুজু দু’একটি হাদীসে ঘটেনি।
এখানে মোট পাচ শ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে।
■■শায়খ সম্পর্কে গ্রন্থাবলীঃ
এ সম্পর্কে কিতাব লিখেছেন তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হল-
১. শায়খ হাবীবুর রহমান আজমী (রহঃ)। তাঁর রচিত কিতাবের নাম-
ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺷﺬﻭﺫﻩ ﻭﺃﺧﻄﺎﺅﻩ
২. উত্তর আফ্রিকার বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-গুমারী (রহঃ)। তাঁর কিতাবের নাম হল-
” ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﻟﻤﻘﻨﻊ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺍﻟﻤﺒﺘﺪﻉ “
৩. শায়েখ আব্দুল আযীয গুমারী-
” ﺑﻴﺎﻥ ﻧﻜﺚ ﺍﻟﻨﺎﻛﺚ ﺍﻟﻤﻘﻌﺪﻱ ﺑﺘﻀﻌﻴﻒ ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ “
৪. শায়েখ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ আল-খাজরাযী
” ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺗﻄﺮﻓﺎﺗﻪ “
৫. উস্তাদ বদরুদ্দিন হাসান দিয়াব দামেশকী-
” ﺃﻧﻮﺍﺭ ﺍﻟﻤﺼﺎﺑﻴﺢ ﻋﻠﻰ ﻇﻠﻤﺎﺕ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ “
৬. শামের বিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ আল-
হারারী,
ﺍﻟﺘﻌﻘﺐ ﺍﻟﺤﺜﻴﺚ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻃﻌﻦ ﻓﻴﻤﺎ ﺻﺢ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ
৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ)
” ﺃﻳﻦَ ﻳﻀﻊ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﻳﺪﻩ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺮﻓﻊ ﻣﻦ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ “
৮. শায়েখ ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ আনসারী (রহঃ)
” ﺗﺼﺤﻴﺢُ ﺣﺪﻳﺚ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭﺍﻟﺮﺩّ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ
ﻓﻲ ﺗﻀﻌﻴﻔﻪ “
৯. শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহঃ)
” ﻛﻠﻤﺎﺕٌ ﻓﻲ ﻛﺸﻒ ﺃﺑﺎﻃﻴﻞ ﻭﺍﻓﺘﺮﺍﺀﺍﺕ “
১০. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ
ﻗﺎﻣﻮﺱ ﺷﺘﺎﺋﻢ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻭﺃﻟﻔﺎﻇﻪ ﺍﻟﻤﻨﻜﺮﺓ ﻓﻲ ﺣﻖ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻷﻣﺔ
ﻭﻓﻀﻼﺋﻬﺎ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ
১১. শায়েখ হাসান বিন আলী আস-সাক্কাফ,
” ﺍﻟﺒﺸﺎﺭﺓُ ﻭﺍﻹﺗﺤﺎﻑ ﻓﻴﻤﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﺔ ﻭﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻘﻴﺪﺓ ﻣﻦ
ﺍﻻﺧﺘﻼﻑ”
■বিখ্যাত সালাফী আলেমদের মধ্যে যারা শায়েখ
নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এর এ সমস্ত ভ্রান্ত
বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, তাদের
কয়েকজনের নাম নিচে উল্লেখ করা হল-
১. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহঃ)।
২. শায়েখ হামুদ বিন আব্দুল্লাহ (রহঃ)।
৩. ড. বকর বিন আব্দুল্লাহ আবু যায়েদ।
৪. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আদ-দাবীশ
(রহঃ)।
৫. সফর বিন আব্দুর রহমান।
৬. মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান সা’আদ।
৭. শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মা’নে আল-উতাইবি।
৮. শায়েখ ফাহাদ বিন আব্দুল্লাহ আস-সুনাইদ।
৯. আবু আব্দুল্লাহ মুস্তফা আল-আদাবী।
■জামেয়াতুল ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ এর দাওয়া বিভাগের প্রধান ড.আব্দুল আযীয আল আসকার শায়েখ নাসীরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সম্পর্কে লিখেছেন, “আলবানী এবং তার অনুসারীরা মূলতঃ সালাফী নয়” অর্থাৎ এরা সালাফী (পূর্ববর্তীদের অনুসারী) হওয়ার দাবী করে কিন্তু বাস্তবে এরা সালাফী নয়।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।