নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রান্সের মসজিদসমূহ। কেউ যদি চক্ষু নিয়ে যেতে পারে এবং অন্তর দৃষ্টি দিয়ে অবলোকন করতে পারে, শুধু মসজিদের পরিবেশ থেকেই বিশাল শিক্ষা নিয়ে আসতে পারবে।
কী চমৎকার দৃশ্য! কেউ আফ্রিকান কৃষ্ণকায়, কেউ চীন-জাপানের ক্ষুদ্রকায়। কেউ এশিয়ান ভেতো কিংবা রুটি খায়, কেউ ওয়েস্টার্ন শ্বেত কিংবা মাটিকায়। কেউ লক্ষ ইউরোর গাড়ি নিয়ে এসেছে, কেউ শুধু বাঁচার লক্ষ্যে ইউরোপের পাড়ি দিয়েছে।
সালাতে, কেউ হাত ছেড়ে তো কেউ হাত ধরে, কেউ নাভীর উপরে তো কেউ নাভীর নিচে ধরে। কেউ আমিন উচ্চস্বরে, কেউ আমিন নিম্নস্বরে পড়ে । কেউ ফরয পড়ে দোয়া করে করজোড়ে, কেউ সালাম ফিরিয়েই না জিরিয়ে দৌড়ে।
কিন্তু একটি মুহূর্তের জন্য কেউ কারো দিকে (সেই) “সহীহ” দৃষ্টিতে তাকায় না, সবাই একে অন্যের প্রতি প্রচণ্ড “দ্বায়িফ” তথা দূর্বল। একজন আরেকজনের ভাষা বুঝে না, অথচ এক চিলতে হাসি সমেত সালাম, কুশল বিনিময় করে। মসজিদে ঢুকতে কিংবা বের হতে গায়ে গায়ে কিংবা পায়ে পায়ে লেগে গেলে সেই আদিম সভ্যতার ইঙ্গিতযুগের মতো অনেকের ভাষাহীন অভিব্যক্তিতে ভ্রাতৃত্ব আর মানবতার পরিবেশ আপনার অন্তর নাড়িযে যাবেই।
চোখে ভেসে ওঠে, ইসলামের সেই যুগ। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মদিনায় আগত সাহাবীদের পরস্পরে আচরণ। একজন আরেকজনকে চেনেন না, অনেকে অনেকের ভাষাই বুঝেন না, কিন্তু কী একটা unity, একটা commitment, একটা compromise - তাদেরকে অভূতপূর্ব মিলনে মিলিয়ে দিয়েছে! সালমান ফারসি (রাঃ) তার পারস্যকে নামের পাশে পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু শুধু অঞ্চলের ভিন্নতার কারণে বিলাল হাবশি (রাঃ)’র নিচেও নামেন নি, উপরেও উঠেন নি।
এমন অদ্ভুত মিলনে, পরস্পরের এমন আচরণে ভেসে ওঠে-“রাষ্ট্র যার যার, ধর্ম সবার”। কতশত দেশের পাসপোর্ট নিয়ে বসবাস করে, খাবার-দাবার, শিক্ষা-সংস্কৃতি সহ জীবনপদ্ধতিতে যোজন যোজন ফারাক নিয়ে শুধু কালিমা-এ-শাহাদাতের ঐক্যের কারণে একাকার হয়ে আছে।
আরেকটি বিষয়ও দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয় যে, ‘’মাসআলা-মাসাইলগত মতপার্থক্যকে ঐক্য বিনষ্টের কারণ”- কথাটি সর্বাবস্হায় সঠিক নয়। এসব মতানক্য নিয়েই ঐক্য করতে হবে। মাসাঈলগত পার্থক্যকে উম্মাহর ঐক্যের অন্তরায় মনে করে নতুন প্লাটফর্ম তৈরী করতে গেলে মুসলমানদের মধ্যে তৃতীয় আরেকটি ভাগ হবে বৈ কিছু হবে না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ, শিরোনামটি নির্ভর করবে কনসেপ্ট এর উপরে। যদি রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়ে জনগণ একত্র হয়, আপনি বলতে পারেন।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
বিপরীত বাক বলেছেন: এটা ফ্রান্স রাষ্ট্র টা আর ফ্রেঞ্চ জাতির ক্রেডিট।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: মসজিদে কি সবাই ফরাসী আসে?
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
বিপরীত বাক বলেছেন: না তা বলছি না। মসজিদে সব ফরাসি অবশ্যই নয়। তবে ওই মসজিদে যারা আসে তারা সবাই ফ্রান্স রাষ্ট্রটায় বসবাস করে আর ফরাসি দের সাথে চলাফেরা করে। এজন্যেই উন্নত মানসিকতা র ছিঁটেফোটা হলেও পেয়েছে।
তাই বলছি যে, এটা ফ্রান্স রাষ্ট্র টা আর ফ্রেঞ্চ জাতির ক্রেডিট।
আপনের কথা ঠিক হলে আফগানিস্তান আর সিরিয়া তে এখন বেহেশতি বাগান থাকতো আর জান্নাতি সুবাতাস বইতো।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: হাহাহা। ইউরোপ আমেরিকা গিয়ে আফগানিস্থান আর সিরিয়াকে জান্নাত বানানোর চেষ্টা করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১১
জনি চৌধুরী বলেছেন: আপনার শিরোনামটা এমন হলে ভালো হতো ''রাষ্ট্র সবার ধর্ম যার যার'' কারণ আপনি হিন্দু আমি মুসলিম তাহলে আমি কি আপনার ধর্ম পালন করবো নাকি আপনি আমারটা? এই শিরনামের সাথে বিশ্লেষণটি যায়না। আপনি ফ্রান্সের যে বর্ণনা দিয়েছেন সেটা হলো সব মুসলিম (সব ধর্মের মানুষ না) এক হয়ে সালাত আদায় করছে (মুসলিমদের ভিতরে যে বিভক্ত সেটা সেখানে এক হয়ে গেছে) সেটাই প্রকৃত ধর্ম যার থেকে আমরা অনেকটা দূরে আছি।