নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-হুজুর! আজকের প্রশ্নটি আমার স্ত্রীর, আমিও খানিকটা খটকায়। জানতে চাচ্ছিলাম, ইসলাম কেন পৈত্রিক সম্পত্তিতে মেয়েকে ছেলের অর্ধেক নির্ধারণ করল?
- খুব ভাল প্রশ্ন করেছো। তা পৃথিবীর কোন কোন ধর্ম নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছে। প্রচলিত অন্যান্য ধর্মে তো পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের ভাগই নেই।
-আপনি এখানে কেন অন্যধর্ম টানছেন! ইসলাম শ্রেষ্ঠ বলেই তো আমরা ঈমান এনেছি। কিন্তু, সম্পত্তি বন্টনের বিষয়ে কোথায় যেন প্যাঁচ খেয়ে গেছি।
-বৎস! তুমি ভাগাভাগির অংকে ঠিকই মাথাটা খাটাচ্ছ, কিন্তু বাস্তবতা চিন্তা করার সুযোগ শয়তান তোমাদের দিচ্ছে না। শুনো, একটি মেয়েকে ইসলাম ছেলের চেয়েও সর্বক্ষেত্রে এবং সর্বদা বেশি দিয়েছে। সম্পদে বেশি সম্পত্তিতেও বেশি। দুনিয়াতে বেশি আখেরাতেও বেশি।
-এটা কী বললেন, হুজুর!
-দেখো, যেখানে একটি ছেলে তার মা, স্ত্রী, সন্তানকে ভরণপোষণ করতে গিয়ে পাচ্ছে বাবার সম্পত্তি থেকে 50%, সেখানে একটি মেয়ে কোনো রকমের খরচের দ্বায়িত্ব ছাড়াই পাচ্ছে, 25%। কাকে বেশি দেয়া হল, বল?
জন্ম হওয়ার পর সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত ভরণপোষণ করা, অতঃপর সুপাত্রস্হ করা- এটা বাবার কর্তব্য। বাবা না থাকলে এ দ্বায়িত্ব ভাইকে পালন করতেই হবে। বিয়ের পর ভরণপোষণে আজীবন স্বামীর দ্বায়িত্ব। স্বামী মারা গেলে সন্তানদের দ্বায়িত্ব।
স্বামী মিলিয়ন টাকা দিলেও নারী বাবার অংশ পাচ্ছে। সন্তানাদি যদি না থাকে কিংবা কুসন্তান হওয়াতে মায়ের ভরণপোষণ না করতে পারে, এজন্য নারীর শেষ বয়সের নিরাপত্তার জন্য স্বামীর সম্পত্তিতেও চতুর্থাংশ/অষ্টমাংশ ধার্য্য করা আছে।
অন্যদিকে; নারীদের যাতে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়া হয়, আখেরাতের সুসংবাদ এবং ভীতি দুটোই দেয়া হয়েছে।
বাবাকে বলেছে- “তোমার এক কন্যা হলে এক জান্নাত, দুই কন্যা হলে দুই জান্নাত, তিন কন্যা হলে তিন জান্নাত”। খেয়াল করে দেখ, ছেলের বেলায় এই সুসংবাদ দেয়া হয় নি। আবার বৃদ্ধবয়সে একজন নারী যাতে কোনভাবে নিগৃহীত না হন, “মায়ের পদতলে জান্নাত” ঘোষণা করে সমগ্র নারীর পা’কে জান্নাতের উপরে রেখে দেয়া হয়েছে।
-আচ্ছা হুজুর, এখন যদি কোনো দেশে আইন করা হয়, পৈত্রিক সম্পত্তিতে ছেলে মেয়ের ভাগ সমান এবং তার কোনো মেয়ে এই দাবি করে?
-অসুবিধা নেই। তবে পারিবারিক বিপর্যয় আসবেই। তখন সবকিছুতে সমান অধিকার আসবে। স্বামী বলবে, আমি কেন একা মোহর দেব, আমি কেন একা ভরণপোষণ দেব? মোহরানা হবে, ফিফটি ফিফটি। স্ত্রী-সন্তানের জন্য আমি কেন দশ বছর বিদেশে থাকব? বরং স্বামী-সন্তানের জন্য তুমি থাকবে পাঁচ বছর, আমি থাকবো পাঁচ বছর। দেশে থাকলে মাসের পনের দিন থাকবো আমার বাড়িতে এবং পনের দিন তোমার বাড়িতে।
এজন্য আদর্শ নারীরা বলেন- সমান অধিকার নয়, বরং নায্য অধিকার চাই।
#হু_জু_রে_র_হু_জ_রা
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ । নারী-পুরুষ সমান হতে গিয়েই পাশ্চাত্যের পরিবারপ্রথা ভেঙ্গেছে। দিন দিন শিশুসদন আর বৃদ্ধাশ্রম বেড়েছে। হ্যাঁ, আপনি পরিবারের সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলতে পারেন।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৪
অসম্ভব আলো বলেছেন: ভাইজান কি মাদ্রাসার ইস্টুডেন্ট?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: এখন আর যাই না।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
বিজন শররমা বলেছেন: অসম্ভব আলো বলেছেন: ভাইজান কি মাদ্রাসার ইস্টুডেন্ট? আবালের যুক্তি। ভরনপোষন স্বামী-স্ত্রী ৫০-৫০ বহন করছে এমন উদাহরণ দুনিয়ায় কোটি কোটি। বিপর্যয় হয়নি । ভাইজান কি মাদ্রাসার ইস্টুডেন্ট? আবালের যুক্তি। ভরনপোষন স্বামী-স্ত্রী ৫০-৫০ বহন করছে এমন উদাহরণ দুনিয়ায় কোটি কোটি। বিপর্যয় হয়নিভাইজান কি মাদ্রাসার ইস্টুডেন্ট? আবালের যুক্তি। ভরনপোষন স্বামী-স্ত্রী ৫০-৫০ বহন করছে এমন উদাহরণ দুনিয়ায় কোটি কোটি। বিপর্যয় হয়নিভাইজান কি মাদ্রাসার ইস্টুডেন্ট? আবালের যুক্তি। ভরনপোষন স্বামী-স্ত্রী ৫০-৫০ বহন করছে এমন উদাহরণ দুনিয়ায় কোটি কোটি। বিপর্যয় হয়নি।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: ভরনপোষন স্বামী-স্ত্রী ৫০-৫০ বহন করছে ঠিকই কিন্তু বিপর্যয় হচ্ছেনা - একথা এত জোর দিয়ে বলা যায়না। স্বামী স্ত্রী যদি কেবল লিভ টুগেদার করে জীবন কাটিয়ে দেয়, তাহলে কোন সমস্যা হবার কথা নয়, কিন্তু পরিবার গঠন করলে, সংসারের দায়িত্ব নিলে যে কোন একজনকে সংসারে সময় দিতেই হয়, নয়তো সে সংসার টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
ইসলাম এমন একটি জীবনবিধান, যাতে সমান অধিকারের বদলে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টনের কথা বলা হয়েছে। স্ত্রী কোটিপতি হলেও তার ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামী এড়াতে পারেনা। অপরপক্ষে স্বামী ১০ জন চাকরবাকর রেখে দিলেও সংসারের দায়িত্ব স্ত্রী এড়াতে পারেনা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন । ধন্যবাদ।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩
অসম্ভব আলো বলেছেন: পশ্চিমাদের সবকিছু ব্যবহার করে পশ্চিমারা বিপর্যস্ত - একথার মানে কি? এত বিপর্যয় হলে এরা এত উন্নত কি করে হয়? এদেরতো বরং এতদিনে ধূলায় মিশে যাবার কথা ছিল।
খাদিজার অধীনে জব করেও মোহাম্মদ বুঝতে পারেনি মেয়েরাও সরাসরি অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: খুবই দুঃখিত। পারিবারিক বিপর্যয়ের কথা বলেছি। আপনি পশ্চিমের ডিভোর্সের হার দেখতে পারেন।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৪
অসম্ভব আলো বলেছেন: ভাঙন (ডিভোর্স) মানেই কি খারাপ। একটা সময় ছিল মানুষ ক্রীতদাস রাখত। একসময় ক্রীতদাসরা তাদের মালিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল এবং মালিক-দাস প্রথাকে ভেঙে দিল তথা ডিভোর্স দিল। তাতে কি এখন কোন সমস্যা হচ্ছে?
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: বিষয়টা একেবারেই চিন্তাগত পার্থক্য। কারো কাছে বিয়ে হওয়া মানেই "লাইফ হেল", তার কাছে ডিভোর্স মানে নবজীবন। আবার কারো কাছে বিয়ে এবং পরিবার হচ্ছে, মূল জীবন। তার কাছে ডিভোর্স মানে বিপর্যয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
অসম্ভব আলো বলেছেন: আবালের যুক্তি। ভরনপোষন স্বামী-স্ত্রী ৫০-৫০ বহন করছে এমন উদাহরণ দুনিয়ায় কোটি কোটি। বিপর্যয় হয়নি।