![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচিত একজন এসেছিলো পরামর্শের এর জন্য ...... এসেই বলল ডাক্তার সাহেব বড় বিপদে আছি পরামর্শ দরকার । সমস্যা তার মেয়ে সুমির । তার কথা শুনলাম, পরামর্শও দিলাম নিজের মতো করে । আপনাদের কাছে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না ...... মাথার মধ্যে একটা বিষয় খোচা দিচ্ছে , এই চিত্র কি আমাদের প্রতিটা ফ্যামিলির ?
প্রশ্ন >>>>>>> “সুমির পরিমল কাকা আমাদের পারিবারিক বন্ধু। বিয়ের পর থেকে দেখেছি-আমার স্বামী এবং শাশুরী ওদের পরিবারে সংগে খুব আন্তরিক ব্যাবহার করতেন। সুমির জন্মের সময় প্রচন্ড ক্রাইসিসের মুহূর্তে ইনিই পাশে ছিলেন আমার স্বামীর । এখন সুমির বয়স ১৬ ।
সেদিন বসার ঘরের পরদা টা সরাতেই চমকে উঠলাম। সুমি ওর পরিমল কাকার কোলের উপর বসে!!! গোপন হাসিতে ভরা ঘরের পরিবেশ। তারপর থেকে রাত্রে ঘুমোতে পারছিনা- কাউকে কিছু বলতে পারছিনা, দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। বারবার বোঝাতে চেষ্টা কছি নিজেকে, যে এ নেহাতই স্নেহ-ভালবাসার প্রকাশ, কিন্তু সুমি যে বড় হয়ে গেছে !!!” উনি থামলেন ...... আবার বললেন এ কী হল!!! এখন কী হবে ?
আমার পরামর্শ ছিল এ রকমঃ >>>>>> অনভিপ্রেত হলেও, বয়ঃসন্ধিকালের বিভ্রান্ত বাকে এমন ঘটনা খুব বিরল নয়। অবশ্যই, এ ঘটনার সুধুর প্রসারী ও নেতিবাচক ফল এড়াতে এ মুহূর্ত থেকেই চেষ্টা করতে হবে, যাতে আপনার মেয়ে নিজেই বেরিয়ে আসতে পারে অস্থায়ী, দেহ সর্বস্ব এবং নীতিহীন এই সম্পর্ক থেকে। সুমির বয়স এখন অল্প, মন কোমল এবং ব্যাক্তিত্ব গঠনের কাজটিও তার অসম্পূর্ণ। জীবন, সংসার এবনহ মানবচরিত্র বোঝবার জন্য, যে পরিনত মনস্কতা দরকার, তা এখনও বিকাশিত হয়নি ওর মধ্যে। অথচ, প্রাকৃতিক নিয়মে দেহের রসায়নে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। সেক্স হরমোনের নিঃসরন ও প্রজনন ক্ষমতাকে স্ক্রিয় করে তোলার ফলে সে যৌনজীবনের উত্তেজনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। সর্বাঙ্গীণ বিকাষের কয়েকটি গুরুত্ব পূর্ণ দিকে কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে- যেমন সামাজিক বিকাশ, নীতিগত বিকাশ এবং ইমোশনাল ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে। তাই অনৈতিক প্রলোভনে সায় দিয়েছে সে। এই পরিস্থিতিতে, প্রথমেই আপনি আপনার স্বামীর বন্ধুকে মেয়ের অসাক্ষাতে ডেকে কথা বলুন। প্রয়োজনে আগে কথা বলে নিন আপনার স্বামীর সংগে। ওই ভদ্রলোকোকে বোঝান, এই পরিবারে তিনি আদরনীয়, ঠিক কতটা সন্মান দেওয়া হয় তার বন্ধুতাকে।সাময়িক সুখের বিনিময়ে তিনি তার সমস্ত আত্মসন্মান ও মানবিক যোগ্যতা হারাতে বসেছেন। পিতৃতুল্য কাকা অনাত্মীয় হলেও সম্পর্কের খাতিরে মৌলির মনে শ্রদ্ধার স্থানটি বজায় রাখতে পারেন নিজের সংযম ও প্রচেষ্টায়। উল্টোদিকে, মেয়ের সংগে কথা বলে দেখুন, ওর জীবনে-বাবা,মা সকলে থাকা সত্বেও কোন শুন্যতা বোধ থেকে ও এই অবৈধ সম্পর্ককে স্বীকার করে নিল। ভৎসনা বা অবহেলা নয় , আরও কাছে টানুন মেয়েকে। তার মানসিক সমৃদ্ধি যেন শরীরী আবেদনকে অতিক্রম করার জোর রাখে। আপনিই পারবেন মেয়েকে এই লক্ষহীন সম্পর্কের ফাঁদ থেকে রক্ষা করতে।
তবে সবচেয়ে আগে একটা কথা। আপনি যা দেখেছেন, তা দিনের আলোর মতো সত্যি নিশ্চয়ই , কিন্তু আপনার নজর যা বলছে, যা ইঙ্গিত কছে আপনার মনকে- সেটা ঠিক তো ? আপনি একটি কিশোরী মনের প্রানখলা উচ্ছ্বাস আর প্রত্যুত্তর উৎসারিত এক নিরমল স্নেহকে ভুল ব্যাখ্যা করছেন না তো? হতেও তো পারে !!! কথা বলুন আলাদা, উভয়ের সংগেই, ওদের প্রতিক্রিয়াই বলে দেবে , আপনি ঠিক না ভুল।
>>>>>>>(একটি মনো বৈজ্ঞানিক আলোচনা ,সব নাম ঠিকানা কাল্পনিক, প্রবীর ঘোষ এর লেখা থেকে কিছু ধার করা )
এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ... ভাল থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সময়োপযোগী একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। অনেক দিন হলো এই ধরনের কাছাকাছি একটি লেখা লেখার চেষ্টা করেছিলাম। কারো উপকারে আসলে এবং জানালে ভালো লাগবে নিশ্চয়।
কন্যা সন্তানের বিশেষ পরিচর্যা এবং প্রয়োজনিয়তা ।
Click This Link