![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খালি খাই আর খাই।খাওয়ার পরে ঘুমাই।ঘুম থেকে উঠে আবার খাই।তারপর আবার ঘুমাই।এইভাবেই নিজের ওজনটাকে প্রায় শতকের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছি।এখন শতকে পৌঁছানোর চেষ্টায় আছি।
একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিতে সরকারী দলের ভূমিকা যেমন খুবি গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বিরোধী দলের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে খুব সহজেই বলে দেয়া যায় যে সরকার ব্যারথ, সেটার পক্ষে অনেক যুক্তি দাড় করানো যাবে খুব সহজেই। ফেসবুক খুললেই এরকম অসংখ্য পোস্ট প্রতিদিন পাওয়া যায়, লাইক কমেন্টের সংখ্যায় সেসব খুব উচ্চমানের পোস্ট। এরকম সরকারের দোষ খোজা খুব সহজ, কিন্তু একটা দল যখন সরকার চালায় তখন তাদের অনেক চরায় উতরাই পার হতে হয়। ফেসবুক পোস্টে যেরকম বলে দেয়া সহজ আমার পি পি ই কই, দেশ লকডাউন করে না ক্যান, এটা ওটা কিন্তু সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক কঠিন। কারণ তাদেরকে অনেক আগ পিছ ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, এটা এরকম সহজ না যে আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ফেললাম আর পিঁপিঁই হাজির হয়ে গেল। যাইহোক এই সরকারের অনেক দোষ ত্রুটি আছে, সেসব খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন কিছু না, আর আপনি যদি সহজে সেসব খুঁজে না পান তাইলে আপনে দলকানা।
কিন্তু একটা ব্যাপার হল সরকারের ভুল ত্রুটির পাহাড়ে আমাদের প্রধান বিরোধী দলগুলোর ভুল ত্রুটি চোখের আড়াল হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণের বিরাট একটা অংশের সমর্থিত দল বি এন পি, উত্তরবঙ্গের বিরাট দল জাতিও পার্টি আর বেহেস্তি দল জামাত, আসলে এদের ভূমিকা কি ছিল গত ১২ বছর?? খুব হাস্যকর ভূমিকা ছিল রাজনীতিতে।
অপেক্ষাকৃত ছোট দল জামাত দিয়েই যদি শুরু করি, তারা খুবি চাপে ছিল এই ১২ বছর, নিজেদের পাছা বাঁচাতেই বেশ একটা সময় কেটে গেল তাদের। কিন্তু আসলেই জনগণের পাশে কি আদৌ তারা কোনদিন দাড়াতে পেরেছে? এই সময়ে তাদের অর্জন বলতে ২০১৪ এর নির্বাচনে বেশ পেট্রোল বোমা মারা, বাশেরকেল্লা নামের বিরাট এক পেজ খুলা, সেখান থেকে চাঁদে তাদের কোন এক নেতাকে লাইভ টেলিকাস্ট করা এসব। আসলে তারা জনগণের পাশে কখনো দাড়াতে পারেনাই। তাদের রাজনীতি একটা বিশেষ ধর্মের লোকদের নিয়ে, কিন্তু অভারল জনগণের কোন বৃহৎ স্বার্থে তারা কাজে আসেনাই। এই যে করোনা যায় দেশে, একমাত্র বাঁশের কেল্লা ছাড়া তাদের ত্রাণ দেয়ার খবর কোথাও দেখলাম না। তবে তারা একটা দিক দিয়ে সফল, বিএনপি তাদের ঘাড়ের উপর চরে বেশ কিছু আন্দোলন করে নিয়েছে ২০১৪ তে বা তার আগে। এখন মাঠে জামাত ও নাই, বিএনপির হরতাল ও নাই।
জাতিও পার্টির অবস্থা আরও নাজুক, এই বারো বছরে তারা সরকারী দলের পা চেটে প্রধান বিরোধী দল হতে পেরেছে ঠিক, কিন্তু মূলত তারা সরকারের সাথে হাইড এন্ড সিক গেম খেলেছে। এই এরশাদ সাহেব সরকারের পক্ষে কথা বলেন তো এই উনি নিখোঁজ হয়ে যান। উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় দল হলেও সারাদেশের মানুষের কাছে কখনো জনপ্রিয় হতে পারলনা। বিগত বছরগুলোতে তারা প্রধান বিরোধী দল নামমাত্র হলেও সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা তো দুরে থাক, সরকারের পা চেটে কুল পাইল না। সরকারের নেয়া ভুল সিদ্ধান্তের কখনো সমালোচনা করতে পারে নাই।
এবার সবচেয়ে বড় দল বিএনপি এর কথায় আসি, এদের নেত্রিত্তস্থানিও ব্যাক্তিরা এত বড় বোকাচোদা, যে এই পর্যন্ত সরকারকে বেশ চাপে ফেলা যায় এরকম কোন আন্দোলন করতে পারে নাই। সত্যি কথা বলতে জনগণের একটা বিরাট অংশের সমর্থন তাদের আছে, দেশের একটা বড় অংশ এখন আওয়ামীলীগ সরকারের উপর বিরক্ত। সরকার যতই বলুক, তেরা ভোট চুড়ি করে নাই, নির্বাচন সুষ্ঠু হইছে, আসলে কি হইছে সেসব সবাই জানে। কিন্তু এই বিরক্ত হওয়া জনগণকে সংগঠিত করে কিভাবে আন্দোলন করা যায় তারা এখন পর্যন্ত সেটাই করে উঠতে পারেনাই। তারা সরকারের কোন কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারে নাই। তারা এতটাই অসহায় এখন যে, শেষ সফল আন্দোলন করতে পেরেছিল জামাতের সাহায্যে, আজ জামাত তাদের সাথে নাই, তারা ঘর থেকেও বের হতে পারেনাই। একথা সত্য যদি কেও জোড় করে কিছু নিয়ে সে টিকে থাকতে পারেনা, কিন্তু বর্তমান সরকার অনেক কিছু করেই টিকে আছে শুধুমাত্র বিএনপি তাদেরকে কোনভাবেই চাপে ফেলতে পারেনাই এইজন্যে। এইখানে যতটা দোষ আওয়ামীলীগের, তার চেয়ে বেশি দোষ বিএনপির। আর এসব কারনেই জনগণ তাদেরকে এখন আর ভরসা করতে পারেনা। সরকারের অনেক বাজে সিদ্ধান্তের ব্যাপারেই তারা সামান্য একটা সংবাদ সম্মেলন ও করতে পারে না। জনগণের জন্যে খারাপ এমন কোনকিছুতেই তারা জনগণের পাশে দাড়িয়ে আন্দোলন করতে পারেনাই। ধরেন, এই যে ৫৭ ধারা বা আইসিটি আইন করে জনগণের বিরাট একটা অধিকার, কথাব বলার অধিকার হরণ করা হইছে অথচ বিএনপি এসবের বিরুদ্ধে একটা শক্ত আন্দোলন করতে পারেনাই। কি আজব এক দল, যারা জনগণ কি চায় সেটা বুঝতে পারল না। জনগণের সিম্পাথি অর্জন করতে পারলনা সরকারী দল এত সুযোগ দেয়ার পরেও। যদি কেও বলেন যে সরকার অনেক চাপে রাখছে, হত্যা গুম ছিল তাদেরকে বলব ভাই এসব ২০০১-২০০৬ ও ছিল। ভোট চুরির প্রথম নীল নকশা ছিল বিএনপির, কিন্তু আওয়ামীলীগ ২০০৬ সালে যেই আন্দোলন করছে, বিএনপির সব নকশা বাতিল করে দিসে। আওয়ামীলীগ খালি বিএনপির অসমাপ্ত এবং ব্যারথ ভোট চুরির নীল নকশাকে সফলভাবে প্রয়োগ করছে। আমার মনে হয় জনগণ এখন বিএনপির উপরে বেশি বিরক্ত,লুথা একটা দল তারা। তৃনমূল পর্যায়ের লোকজন এখন সবাই আওয়ামীলীগ করে, কারণ আর কতকাল লন্ডনের তারেক জিয়ার পথ চেয়ে বসে থাকবে।
কিন্তু বিএনপির বা জাতীয় পার্টির এই ধরনের নীরবতা, আন্দোলন না করতে পারা, অথবা সরকারের সমালোচনা করতে না পারা আমাদের জনগণের জন্যে অনেক বড় হুমকির ব্যাপার। কারণ সরকার এখন কোন আইন বানাতে, কোন সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পায়না, কারণ জানে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই। তারা একসময় যাদেরকে ভয় পেত তারা আজকে ঢাল তলোয়ার বিহীন যোদ্ধা। আর দিনশেষে এসবের জন্যে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে জনগণ কারণ সরকারী দলের কোন সিদ্ধান্ত যখন জনগণের স্বার্থের বাইরে যায়, তখন কথা বলতে হয় বিরোধী দলগুলোর, জনগণকে একসাথে করে আন্দোলন করতে হয়, সরকারকে ভয় দেখাতে হয়। সেসব না করতে পারার জন্যে আমার মনে হয় যতটা না সরকারী দল দায়ী, তার চেয়ে বিরোধী দলগুলোর দূরদর্শিতার অভাব দায়ী।
তাই আমার কথা হল, সরকারী দলকে যথেষ্ট সমালোচনা করা হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যতটা প্রাপ্য তার চেয়ে বেশি করা হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিরোধী দলের ব্যারথতাগুলো আমাদেরকে অনেক বেশি ভোগাচ্ছে। আমাদের তাদেরকেও তাদের সমালোচনার ভাগ বুঝিয়ে দেয়া উচিত। জনগণের খারাপ সময়ে তারা অনেক ভাল ভূমিকা রাখতে পারত, জনগণকে সাহায্য করতে পারত, কিন্তু তারা আসলে কিছুই করতে পারেনা, হয়ত পারবেও না।
আমার এই পোস্টে কথাও আমি বলিনি যে আওয়ামীলীগের কোন দোষ নাই, শুধুমাত্র সরকারের দোষ ধরতে যেয়ে বিরোধী দলগুলোর দোষ এড়িয়ে যাওয়া হয় সেটাই বলতে চেয়েছি।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: গত এক যুগ ধরে তো দেশে একটাই সরকার।
দরিদ্র দেশে বেশি দল থাকা ঠিক না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তৃণমূলের কোন লোক আওয়ামীকে পছন্দ করে না । তবে ভয়ে বলে না। তবে বিএনপি প্রতিবন্ধী দল এখন।