নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চূড়ান্ত রকম ফাঁকিবাজ একজন মানুষ আমি!

ফয়সাল রকি

Know thyself.

ফয়সাল রকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: অনির্ধারিত গন্তব্য

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০



আজ একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠেছেন ইজাজুল ইসলাম সাহেব। বুধবারে সাধারণত কোনো ক্লাশ নেন না তিনি, কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে না গেলেও সমস্যা নেই। নাস্তার টেবিলে বসে ইজাজুল ইসলাম সাহেবের যখন মনে পড়লো, থার্ড ইয়ারের ফাইনালের আগে শেষ একটা ক্লাশ নেবার কথা দিয়েছিলেন, আর সেই ক্লাশের জন্য সময় দিয়েছিলেন আজ বারোটা দশে; তখন তাঁর এটাও মনে পড়লো, একমাত্র গাড়িটা আজ তাঁর স্ত্রীর দখলে থাকবে এবং তা কাল রাতেই ঠিক হয়েছে। সকালের নাস্তা ডাইনিং টেবিলে রেডি রেখে স্ত্রী বেরিয়ে পড়েছে উত্তরা, তার বোনের বাসার উদ্দেশ্যে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হবে যদিও বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ব্যবহার তিনি পরিহার করেছেন। অথবা আজকের ক্লাশটা বাতিল করতে হবে। কিন্তু ক্লাশটা বাতিল করা ঠিক হবে না, ছেলেগুলোর পরীক্ষার বেশি দেরি নেই। এইসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্টেই যাবেন। ট্যাক্সি ক্যাব পাওয়াটা দুঃসাধ্য একটা ব্যাপার, তারচেয়ে বরং সবুজ রঙের সিএনজি চালিত অটো রিক্সায় ভ্রমন করা যেতে পারে। সবুজ রঙের এই বাহনগুলোর জন্য মিটারের ব্যবস্থা থাকলেও তারা যে মিটারে না চলে দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়ার দাবী নিয়ে কন্ট্রাক্টে চলে সেটা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই, বরং অনেকদিন পর এই বাহনে ভ্রমন করবেন বলে তাঁর মধ্যে মৃদু উত্তেজনা দেখা দিল।

পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির দুই নম্বর রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে শ্যামলী পর্যন্ত হেঁটে এলেন ইজাজুল ইসলাম সাহেব। পাঁচ মিনিটের পথ পেরোতে তিনি দশ মিনিট সময় ব্যয় করলেন। এই সময়ের মাঝে তিনি কয়েকটা সবুজ রঙের অটো রিক্সার দেখা পেলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, কোনো অটো রিক্সাই কলা ভবন যেতে রাজি হলো না। তবে অটো রিক্সা পাবার আশা এখনো ছেড়ে দেননি। শ্যামলী বাসস্টান্ডে কোনো একটা ব্যবস্থা হবে বলে তাঁর ধারণা। কিন্তু অনেকদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার না করার ফলে তিনি আসলে জানেন না যে, দশটা-সাড়ে দশটার দিকে শ্যামলী বা তার আশপাশের এলাকা হতে অটো রিক্সা পাওয়া কত কঠিন! আর তারচেয়েও কঠিন হলো পাবলিক বাসে উঠতে যাওয়া। শ্যামলী হলের সামনের ফুট ওভারব্রিজ পার হতে হতে নিচে তাকিয়ে কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলেন, অসংখ্য গাড়ি ছুটে চলছে ক্রমাগত আর কিছু কিছু গাড়ির কালো ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে উপরে উঠতে উঠতে হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। অথচ যে গাড়িগুলো এই কালো ধোঁয়া ছাড়ছে সেগুলোর তো রোড পারমিটই পাবার কথা না! কিন্তু দিব্যি পেয়ে যাচ্ছে ছাড়পত্র। এসব নিয়ে খুব একটা মাথা না ঘামিয়ে ওভারব্রিজ থেকে নেমে রাস্তার পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

মিনিট বিশেক ধরে সিএনজি অটোরিক্সা ধরার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেন। সিএনজি অটোরিক্সা পাবার আশা নিয়ে শ্যামলী বাসস্ট্যান্ডে এসেছিলেন কিন্তু এখানে যে অবস্থা, তাতে তো কোন ট্রান্সপোর্টই পাবেন বলে মনে হচ্ছে না। একটা করে বাস আসছে আর অপেক্ষারত মানুষগুলো রীতিমত মারামারি করে বাসে উঠছে। বাস যাবার সাথে সাথে ফুটপাথটা একটু হালকা হলেও পরক্ষণেই আবার ভারী হয়ে উঠছে মানুষের উপস্থিতিতে। এসময় তাঁর মনে একটা শংকার উদয় হলো যে, আজ হয়তো তিনি ক্লাশটা মিস করবেন। হঠাৎ করেই তাঁর খুব সিগারেটের তৃষ্ণা পেলো। সাধারণত তিনি নিয়মিত সিগারেট খান না, তবে মাঝে মাঝে খুব তৃষ্ণা পায়। ফুটপাথের পাশে একটা ভ্রাম্যমান সিগারেট বিক্রেতাকে দেখা যাচ্ছে। তিনি ভাবলেন, একটা সিগারেট জ্বালিয়ে ফুটপাথের অপেক্ষাকৃত খালি অংশে চলে যাবেন।

ভীড় ঠেলে বের হতে যাবার সময় পেছন থেকে কেউ একজন ধাক্কা দিল। ধাক্কার চোটে তিনি পড়ে যাচ্ছিলেন প্রায়, তাল সামলে উঠার আগেই একজন যুবক এগিয়ে এসে তাঁকে ধরে ফেললো। পাঞ্জাবী-জিন্স পরা যুবকটি তাঁকে সালাম দিল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে যুবকটিকে চেনার চেষ্টা করছেন।
- স্যার, কেমন আছেন?
- ভালো। তুমি কেমন আছো?
- স্যার, মনে হয় আমাকে চিনতে পারেন নি?
- না এখনো চিনতে পারিনি। কোন ইয়ারে পড় তুমি? নাকি পাশ করে গেছো?
- আমি আপনার সরাসরি ছাত্র ছিলাম না স্যার।
- ও। কোন ডিপার্টমেন্টের?
- স্যার, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও ছিলাম না। আপনার সাথে একবার পরিচয় হয়েছিল আর আপনি আমাকে দুইশো টাকা ধার দিয়েছিলেন সেদিন।
- তাই নাকি? মনে করতে পারছি না।
- আপনি ব্যস্ত মানুষ স্যার, হয়তো ভুলে গেছেন।
- কি করছো এখন?
- গ্রামের বাড়িতে জানে যে চাকরি করছি, কিন্তু আসলে টিউশনি করি। আর টুকটাক একটা ব্যবসা আছে, স্বাধীন ব্যবসা।
যুবকটি পকেটে হাত দিয়ে দু’টো একশো টাকার নোট এগিয়ে দিল। বললো, স্যার নিন। আপনি বলেছিলেন, যেদিন দেখা হবে সেদিন ফেরত দিও।
ইজাজুল ইসলাম সাহেব কি করবেন বুঝতে পারছেন না। যুবকটিকে চিনতে পারছে না, অথচ যুবকটি বলছে যে তিনি তাকে দুইশো টাকা ধার দিয়েছেন। এখন সে ধার শোধও করতে চাইছে!
- আমি কি সত্যিই তোমাকে টাকা ধার দিয়েছিলাম? আমার তো কিছুই মনে পড়ছে না।
যুবকটি এক গাল হেসে বললো, স্যার, আমি মোটেও মিথ্যা বলছি না। আপনার সঙ্গে আমার যখন দেখা হয়েছিল তখন আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। পিক-পকেট হয়েছিল। একটু চেষ্টা করলেই মনে করতে পারবেন স্যার।
ইজাজুল ইসলাম সাহেব যুবকটির দিকে তাকিয়ে আছেন একদৃষ্টিতে। হয়তো মনে করার চেষ্টা করছেন কিন্তু মনে করতে পারছেন না যে কোথায় দেখা হয়েছিল যুবকটির সাথে। তবে হাসিটা বেশ পরিচিত লাগছে। বললেন, না না, এটা হয় না। আমি তো তোমাকে চিনতেই পারছি না, তোমার টাকা আমি নেবো কিভাবে!
যুবকটি আবারো এক গাল হেসে বললো, স্যার টাকাটা রাখুন। আমি মোটেও মিথ্যে বলছি না। একটু ভাবুন মনে করতে পারবেন, আর যদি আমার কথা আপনার মনে না পরে তাহলে ফকিরকে টাকা দিয়ে দেবেন। আমি বরং চলি, দেরি হয়ে যাচ্ছে।
ইজাজুল ইসলাম সাহেব কিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবকটি তাঁর হাতে টাকাটা গুঁজে গিয়ে এক দৌড়ে প্রায় চলন্ত একটি লোকাল বাসে উঠে পড়লো।
তিনি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। নিজেকে খুব বোকা বোকা মনে হচ্ছে। খানিকটা ধাতস্ত হয়ে ভ্রাম্যমান সিগারেটের দোকানের দিয়ে এগিয়ে গেলেন তিনি। একটা সিগারেট জ্বালিয়ে পাঞ্জাবীর ডান পকেটে হাত দেওয়া মাত্রই যুবকটিকে চিনতে পারলেন তিনি! যুবকটি মোটেও মিথ্যা বলেনি। তার সাথে দেখা হয়েছিল এক ইন্টারভিউ বোর্ডে। সেবার একটি বেসরকারী ব্যাংকের প্রবেশনারী অফিসারের জন্য আয়োজিত ভাইভা বোর্ডে ছিলেন তিনি। যুবকটিকে সেখানেই দেখেছেন। যুবকটির কথা বিশেষভাবে তাঁর মনে থাকার কথা ছিল, কিন্তু ভুলে গেছেন। যুবকটি ভাইভায় খুব একটা খারাপ করেনি সেদিন। তিনি ভাল নাম্বারও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার কথা শুনে তো মনে হলো, ঐ চাকরিটা সে পায়নি!
সেদিন প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে যুবকটি যখন পিছন ফিরে ভাইভা রুম থেকে বের হতে যাচ্ছিলো, তখন বোর্ড মেম্বারদের একজন লক্ষ্য করলেন যে, যুবকটির পিছনের পকেটটি কাটা! তিনি তাচ্ছিল্যের সুরে যুবকটিকে ডেকে বললেন, এ রকম একটা ছেঁড়া প্যান্ট পড়ে ভাইভা দিতে এসেছো?
যুবকটি ঘুরে দাঁড়িয়ে মিষ্টি হেসে বলেছিল, স্যার, পিক-পকেট হয়েছে। অফিসের নিচে এসে বুঝতে পেরেছি। ততক্ষণে আর পাল্টিয়ে আসার মতো সময় ছিল না। সরি স্যার।
- এরকম কেয়ারলেস হলে চাকরি করবে কিভাবে? ব্যাংকে চাকরি করতে হলে সবদিকেই সিরিয়াস হতে হয়।
- চাকরিটা হয়তো হবে না স্যার। চাকরির পরীক্ষা দেবার বয়স প্রায় শেষ, আর হয়তো দুই একটা পরীক্ষা দিতে পারবো। তবে স্যার বারবার যদি পিক-পকেট হতে থাকে তাহলে হয়তো চাকরিও আর পাওয়া হবে না, সেক্ষেত্রে পকেটমারের স্বাধীন ব্যবসায় নাম লেখাতে হবে। কে জানে, এই পকেটমারও হয়তো আমার মতোই মাস্টার্স পাশ বেকার!
ইজাজুল ইসলাম সাহেব সেদিন বলেছিলেন, হতাশ হবে না। এটা হবে কি না জানি না, তবে দোয়া করি চাকরি একটা ঠিকই হবে তোমার।
সেদিনও একগাল হেসে যুবকটি বিদায় নিয়েছিল। বিদায় নেবার আগে যুবকটিকে দু’টো একশো টাকার নোট ধরিয়ে দিয়েছিলেন ধার হিসেবে।
যুবকটির শোধ দেয়া টাকা থেকে সিগারেট দাম চুকিয়ে ফুটপাথ ধরে এগিয়ে এসওএস শিশু পল্লীর সামনে অপেক্ষাকৃত খালি জায়গায় দাঁড়ালেন। যুবকটির কথা ভাবতে ভাবতে মন খারাপ হয়ে গেলো তাঁর। পাশাপাশি একটাও ভাবছেন, দুইশো টাকার কম টাকা পকেটে নিয়ে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়াটা ঠিক হবে, নাকি বাসায় ফিরে যাবেন?

ছবি: গুগল।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

রাজসোহান বলেছেন: পুত্তুম পিলাচ। :প

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

ফয়সাল রকি বলেছেন: B-)

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

নুসরাত অনি বলেছেন: খুব ভালোলাগা রইল লেখকের লেখায়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নুসরাত অনি।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আপনার লেখনী বেশ সুন্দর ও পরিণত। লেখাটা আরেকটু লম্বা হলে বুঝি মন ভরতো। সেটা লেখকের সার্থকতা অবশ্য! :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাহমিদা বারী।
লেখাটা প্রথম আমার বউকে পড়তে দিই আর তাকে বলি, আরেকটু বড় হলে মনে হয় ভাল হতো। কিন্তু সে বললো, দরকার নাই।
বউয়ের চেয়ে বড় পাঠক আর কোথায় পাবো বলুন।!

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

রাতু০১ বলেছেন: সুন্দর লেখা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ রাতু০১।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

সুমন কর বলেছেন: নতুন প্লট। গল্প ভালো লাগল। প্লাস।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: তাহলে কি দাঁড়ালো? যে দুশ টাকা দিয়েছে তিনিই পকেট কেটেছে ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: তেমনি তো ঘটলো ব্যাপারটা।
ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

রাজসোহান বলেছেন: গল্প পড়ার সময় আমি ভাবছিলাম আপনি হয়তো লোকটাকে গোলকধাঁধায় ফালাবেন। সে ক্রমাগত একটার পর একটা ট্রান্সপোর্ট নিচ্ছেই কিন্তু তার গন্তব্য আসছেই না। হেহে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: ভাল একটা আইডিয়া দিলেন। থ্যাংকু থ্যাংকু।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

রাজসোহান বলেছেন: হ, লুপহোল নিয়ে একটা লেখেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: মাথায় থাকলো।
লেখা হয় কি না দেখা যাক।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তার মানে স্বাধীন ব্যাবসাটা সেই পকেট কাটা _
লেখায় ভালোলাগা !

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু।
স্বাধীন ব্যবসায় কেউ কি যেতে চায় বলুন? সবাই তো ভাল একটা চাকরি নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়... মাঝে মাঝে গন্তব্যটা অনির্ধারিত থেকে যায়!

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর তো ! খুব ভাল লাগল ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা। ভাল থাকবেন।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

জুন বলেছেন: ফয়সাল রকি, গতরাতে আপনাকে বলেছিলাম আজ আপনার লেখা গল্পগুলো পড়বো। সব কাজ ফেলে রেখে আপনার লেখা নিয়ে বসলাম । প্রথমেই পড়লাম এই গল্পটি যেখানে ইজাজুল সাহেবের কষ্টের চেয়েও বেশি ধাক্কা দিয়ে গেলো সেই অচেনা যুবকটি । আমাদের দেশের মাথা যারা টিভি খুল্লেই দেখি বিদ্রুপাত্নক ভাষায় একে অপরকে গালিগালাজ করছে । আর কে ক্ষমতায় গিয়ে বসবে সেই চিন্তা। গ্যাস তেল চাল ডাল পরিবহন ভাড়া কর বাড়ানো চলছে ক্রমাগত। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন তো দুরের কথা আমাদের বিশাল শিক্ষিত যুব সমাজের বেকারত্ব ঘোচাতে কোন পরিকল্পনা দেখিও না শুনিও না। যার ফলে মাদক ব্যাবসায়ীদের রমরমা ।
দুর্ভাগ্য আমাদের ছেলেপুলেদের। এমন কোন নেতা আ্রর আসলো না যে কিনা গোলক ধাধায় পড়ে যাওয়া যুব সমাজকে কোন পথ দেখাতে পারলো না আলো দেখাতে পারলো সুন্দর এক ভবিষ্যতের ।
সুন্দর মর্মস্পর্শী গল্পে অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

ফয়সাল রকি বলেছেন: এতো বড় মন্তব্য দেখে মনটা ভরে গেলো।
এই গল্পটা অনেকদিন ধরে মাথার ভেতর ঘুরছিলো। লেখার পরে শান্তি পেয়েছি।
এই যুবকটি একান্তই আমার কল্পনা প্রসূত তবে কখনোই চাই না এমন যুবকরা আমাদের সমাজে থাকুক।
ধন্যবাদ জুন আপু।

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্পটা।
পাব্লিক ট্রান্সপোর্টে উঠতে পারা, জায়গা পাওয়া অথবা সিএনজি পাওয়া অমানবিক পরিশ্রমের ব্যাপার বা ভাগ্য মনে হয় মাঝে মাঝে।
যে কোনো পরিস্থিতিতে অচেনা যুবকটির মতো হাসতে পারা এক অর্থে নিয়তিকে চড় মারাই! কত শত ট্যালেন্টেড মানুষ যে কীসের অভাবে জবলেসটা বোঝাটা খুব দুষ্কর! দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ কী করে হবে বুঝি না!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: এসবই আমাদের নিত্যদিনের সমস্যা। সমাধানও আমরা করি নিজেরা নিজেদের মতো।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা খুব ভালো লাগলো। শিক্ষিত বেকাররা চাকুরী না পেয়ে এমন কাজ করছে যা তাদের করার কথা না কথাটা খুব ভালো ভাবে তুলে ধরেছেন। আমার ধারনা এই যুবক উনার পকেট কাটে নাই, যে ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা দিয়েছিল, সেই কেটেছে। উপকারীর ক্ষতি করার মানসিকতা এই ছেলের হওয়ার কথা না, কি বলেন?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: ঐ ছেলের মানসিকতা কেমন তা তো এখন বলতে পারছি না, পাঠকই ভালো বলতে পারবে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভুয়া ভাই।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর ছিমছাম গল্প। গল্পে প্লাস + +
শিক্ষিত যুবকেরা বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত হয়ে এরকম বা এর চেয়েও নিন্দনীয় কোন স্বাধীন পেশায় জড়িত হয়ে যেতে পারে- এ রকমের একটা ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা বা প্রবণতা সম্পর্কে ভাবার সময় আমাদের আজকের দিনের সমাজপতিদের কাছে নেই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
বেকারত্ব আসলেই অভিশাপ। তবে সুদিন আসবেই।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা গোছানো, ছিমছাম। ভাল লেগেছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: বাহ, আপনি তো অনেক লেখাই পড়ে ফেলেছেন একে একে।
এতগুলো লেখায় মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.