নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সকাল থেকেই আকাশটা কেন যেন মন খারাপ করে বসে আছে। মাঝে মাঝে অশ্রু বির্সজন দিয়ে যাচ্ছে; কখনো টিপ টিপ বৃষ্টির আকারে, আবার কখনো বা মুষলধারে। এখন বৃষ্টি না হলেও আকাশে মেঘের কমতি নেই, তার ওপর আবার ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। কাঁথার ভেতর শরীরটা গলিয়ে দিতেই ঘুম পেয়ে যাচ্ছে টোকনের। কে যেন বলেছিল আজ পূর্ণিমা; পূর্ণিমার ছাদে দাঁড়িয়ে জ্যোছনা দেখার একটা আলাদা মজা আছে। কিন্তু আজ জ্যোছনা দেখা হলো না, তাই খানিকটা মন খারাপ নিয়ে একটা অ্যাবসার্ড নাটকের বই হাতে করে শুয়ে পড়েছে টোকন।
আজ সারাটা দিন ঘরে কেটে গেছে। বৃষ্টির মধ্যে কোথাও যেতে ইচ্ছে হলো না। তাছাড়া মালিবাগ এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে থাকে। নোংরা, ময়লা পানি। বিরক্তিকর একটা পরিবেশ। বর্ষা নামার আগেই মেসটা পাল্টাতে হবে। তবু এরমাঝেই বন্ধুরা একে এক ছাতা মাথায় বেড়িয়ে গেছে যে যার কাজে, কিন্তু টোকনের আর বেরোনো হলো না। ক্যাসেট প্লেয়ারটা বেশ কয়েকবার বাজতে বাজতে অটোস্টপ হলেও একঘেয়েমী কাটছিলোনা। এরই মাঝে সাড়ে সাতটার দিকে মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো। সুপ্রভা। কলটা রিসিভ করতেই ওই প্রান্তে ঝাঁঝাঁলো কন্ঠ শোনা গেল, “দরজাটা খোল, তোদের কি কলিংবেল নষ্ট? পাঁচ মিনিট থেকে নক করছি।”
ঝড়ের মতো এসে ঝড়ের মতোই চলে গেল সুপ্রভা। সে নাকি ট্যাক্সি ক্যাব দাঁড় করিয়ে রেখেছে। যাবার আগে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে গেল। আর বললো, “আমি ম্যাসেজ পাঠানোর আগে এটা খুলবি না। তোকে আমি বিশ্বাস করি টোকন।”
দরজা লাগিয়ে খামটা হাতে নিয়ে নির্বিকারভাবে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলো টোকন। দু’একবার অনুমান করার চেষ্টা করলো ভেতরে কী থাকতে পারে। কিন্তু পারলো না। হাল ছেড়ে দিয়ে ভাবলো, ‘ম্যাসেজের জন্যই অপেক্ষা করি’। টোকন জানে সুপ্রভা ওর প্রতি খানিকটা দূর্বল, তবে প্রেম নিবেদন যে চিঠির মাধ্যমে করবে না, এটা বুঝেছে আরো আগে। মধ্যবিত্ত টোকনদের কাছে সুপ্রভারা সব সময়ই বন্ধু হিসেবে অনেক ভাল ভূমিকা পালন করে, কিন্তু এর বেশি কখনও নয়।
হঠাৎ করেই অ্যাবসার্ড নাটকের প্রতি টোকনের ভাললাগা বেড়ে গেছে। সেই যে অ্যাবসার্ড নাটকের ওপর থিসিসটা লিখলো, তারপরেই হয়তো। টেকো অভিনেত্রী নাটকের মিঃ মার্টিন চরিত্রটা পড়ার সময় যখন নিজেকে ওই চরিত্রে মেলাতে চেষ্টা করছিল; ঠিক তখনি সুপ্রভার ম্যাসেজটা এলো, 'Open the envelop'.
টেবিলের ওপরে রাখা ধূসর রঙ্গের মোটা খামটা হাতে নিয়ে আবারো অনুমান করার চেষ্টা করলো। অবশেষে কৌতুহল জয়ী হওয়ায় খুলে ফেললো খামটা। টুপ করে ছোট্ট একটা চিরকুট বেড়িয়ে এলো।
টোকন,
আমার লেখা একটা উপন্যাসের শেষ অংশটা দিলাম। পড়। এখানে নাটকের নাম টোকন আর স্বভাবতই নায়িকা আমি, মানে সুপ্রভা। তবে, কোনভাবেই ধরে নিস না যে, নায়কের নাম টোকন হওয়া মানেই নায়ক তুই। আমার উপন্যাসে নায়ক হওয়ার মতো সৌভাগ্য তোর হয়নি, তবে তোর নামটার হয়েছে।
ভাল থাক।
ইতি
তোর বন্ধু
সুপ্রভা।
খামের ভেতর থেকে বাকী কাগজগুলোও বের করলো। ভাবলো, আগে ‘টেকো অভিনেত্রী’ না আগে সুপ্রভার লেখা? টেকো অভিনেত্রী তো আগেও পড়েছি এবার বরং টেষ্টটাকে একটু পাল্টানো যাক। শুরু হোক সুপ্রভার লেখা।
“আজও সন্ধ্যাটা ভাল কাটেনি সুপ্রভার। টোকনকে যখন সে ফোন করলো, টোকন তখন কফি হাউজে। চুটিয়ে আড্ডা দেবার কথা থাকলেও, দূর থেকেই সুপ্রভা দেখলো, টোকন আর মানসী আলো আঁধারির মাঝে বসে আছে নিরবে। এ দৃশ্যটাই ওকে পাগল করে তুললো। মাত্র কদিনেই মানসী কেমন করে যেন ছিনিয়ে নিয়ে গেল এতদিনের পরিচিত মানুষটাকে। ভেঙ্গে দিল সব স্বপ্ন।
আজ আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ মায়াবী আলো নিয়ে চেয়ে আছে সমস্ত মানবজাতির দিকে। টোকন হয়তো ছাদে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমা দেখছে মন ভরে। টোকন জ্যোছনা খুব পছন্দ করে। আর ঠিক তখনি সুপ্রভাও ছাদে দাঁড়িয়ে, একই চাঁদের আলোয় হিসেব করছে জীবনের পাওয়া-না পাওয়াগুলো। সে হারিয়ে যাচ্ছে অতীতের মাঝে।
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। তার হাত বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে। তার মামার ইংল্যান্ড থেকে পাঠানো ছুরি দিয়ে সে হাত কেটে নাম লিখেছে টোকনের, প্রিয় টোকনের। এরই মাঝে বেশ খানিকটা রক্ত বেড়িয়ে গেছে শরীর থেকে। সামনেই পড়ে আছে ঘুমের ওষুধের পাতা। যে জীবনে টোকন নেই, সে জীবন জোড় করে ধরে রাখার কোনও মানে হয় না। দেরী হয়ে যাচ্ছে সুপ্রভার। তবুও সে ভাবে, টোকন কি আগের মতো একবার আসবে না? নীচে এসে ডাকবে না, ‘সুপ্রভা, নেমে আয়, কফি হাউজে যাই’।
সুপ্রভার দেরী হয়ে যাচ্ছে। তবুও সে অপেক্ষা করে চলে। চোখের দৃষ্টিতে আরো খানিকটা ঝাপসাময়তা বাড়ে। সে অপেক্ষা করে। অথচ দেরী হয়ে যাচ্ছে। চোখের দৃষ্টি আরো ঝাপসা হতে থাকে।”
লেখাটা হাতে নিয়ে টোকন বুঝতে পারলো না, পাগলী মেয়েটা কী বলতে চায়, আর কীই বা লিখেছে। সুপ্রভার সাথে কথা বলা দরকার, অথচ মোবাইলে কোন টাকা নেই। বাইরে বৃষ্টি খানিকটা কমেছে। একটা কার্ড কিনলেই হয়। আজ তো জ্যোছনা স্নান হলোনা, বরং খানিকটা বৃষ্টি স্নান হলে মন্দ হয় না।
বৃষ্টি স্নান সেরে টোকন যখন রুমে ফিরলো, তখন প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়ে গেছে। আর তাছাড়া ‘অফ-পিক আওয়ার’ আসতেও ঘন্টা খানেক বাকী। কাজেই খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে দোষ নেই ভেবে টোকন দৈনন্দিন কাজ কর্মের শেষ অংশগুলো করতে থাকলো, তবে মনের ভেতরে সুপ্রভা বিষয়ক চিন্তাটা চলতেই থাকলো।
সুপ্রভাই ফোন করলো আগে, এগারোটা বাজার একটু পরে। বললো, “দোস্ত, কেমন লাগলো?”
“বুঝলাম না।”
“মানে? তুই লেখাটা পড়িসনি?”
“পড়েছি। আচ্ছা, ব্যাপারটা কী?”
“শ্রেফ উপন্যাস। অবশ্য জীবন বৃত্তান্তও বলতে পারিস।”
“ফাজলামো রাখ। মানসীটা কে শুনি?”
“টোকনের প্রেমিকা। আমার উপন্যাসের খল নায়িকা।”
টোকন কিছু বলার মতো খুঁজে পেলো না। আর তাছাড়া সে এখন যাই বলবে সুপ্রভা সেটাকেই হেসে উড়িয়ে দেবে।
“শোনো, টোকন ঠাকুর। ‘মিষ্টার এন্ড মিসেস আই আর’ মুভিটা দেখেছো?”
“না।”
“গুড, তাহলে তোকে একটা প্রশ্ন করি। সিনেমায় অবশ্য নায়ক নায়িকাকে বলে। এক্ষেত্রে উল্টোটা। বলতো, পৃথিবীতে Smoothest sound কোনটা?”
“জানি না।”
“জানতাম তুই জানবি না। উত্তরটা হলো, শিশির ঝরার শব্দ। এখন তোকে আরেকটা শব্দ শোনাবো। মন দিয়ে শোন।”
এরপর খানিকক্ষণ টোকন টুপ টুপ শব্দ শুনলো। বৃষ্টি শেষ হয়ে যেমন টিনের চাল থেকে টিপ টিপ করে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ে, অনেকটা সেই রকম।
“বলতো কিসের শব্দ?”
“বলতে পারছি না।”
“রক্ত পড়ার শব্দ, বুঝলি। আমার হাত কেটে একটা নাম লিখেছি। সেই হাত থেকেই চুইয়ে চুইয়ে রক্ত ঝরছে। আমার বড় মামা কিন্তু ইংল্যান্ডে থাকে।”
“ফাজলামো বন্ধ কর।”
“এটা একটা বড় সমস্যা বুঝলি। আমি যাই বলি লোকজন তাই ফাজলামো মনে করে। এমনকি তুই, যে আমার এত কাছের বন্ধু, তুই পর্যন্ত অবিশ্বাস করছিস আমাকে। আমার কথাগুলো কি সত্যিই ফাজলামো মনে হচ্ছে?”
“উফ্ সুপ্রভা!”
“আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু টোকন তুই কিছু একটা ভুলে যাচ্ছিস।”
“মনে হয় না।”
“না, তুই ভুলে যাচ্ছিস। আজ আমার জন্মদিন। আর তুই আমাকে এখনো উইশ করিসনি। তুই আরো যেটা ভুলে যাচ্ছিস সেটা হলো, আমার হাত দেখে তুই বলেছিলি, আমার মৃত্যু হবে আমার কোনও এক জন্মদিনে।”
“আমি হাত দেখতে জানি না।”
“আমিও তাই ভাবতাম। তবে আজ কেন যেন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে।
“মাফ কর ভাই।”
“না, মাফ করবো না। আমার সামনে পড়ে আছে কয়েকপাতা ঘুমের ওষুধ। আর আমি অপেক্ষা করে যাচ্ছি, আমার প্রিয়, খুব প্রিয় একজন মানুষের জন্যে। নিকট অতীতে যে এসে দেখতো আমি ছাদে দাঁড়িয়ে আর সে বলতো, ‘সুপ্রভা, নেমে আয়, কফি হাউজে যাই’। আমি জানি না আর কতক্ষণ অপেক্ষা করবো। চোখের পাতা ঝাপসা হয়ে আসছে।”
সুপ্রভার শেষ কথাগুলোর মধ্যে এমন কিছু একটা ছিল যে, টোকন নির্বাক হয়ে থাকলো। ফোনের লাইনটা কেটে গেল। সে কেমন যেন অস্থির হয়ে গেল। সে যেন দেখতে পেল, সুপ্রভা ছাদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত, আর তার একহাত দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে।
সুপ্রভাকে কয়েকবার ফোন করার চেষ্টা করলো। কিন্তু ও প্রান্তে ফোন বন্ধ। কোন রকম কাপড়টা জড়িয়েই টোকন এক দৌড়ে বাইরে বেড়িয়ে এলো। বন্ধুদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় এখন তার নেই। সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো একটা রিক্সা কিংবা ক্যাবের জন্য।
হালকা বৃষ্টি পড়ছে। এরই মাঝে রিক্সা খুঁজতে খুঁজতে ভিজে গেছে টোকন। আর ওদিকে, ভিজে গেছে সুপ্রভাও। তার হাত থেকে এখন টকটকে লাল রক্ত ঝরছে না, ঝরছে পানি মেশানো রক্ত। সে অপেক্ষা করছে। অথচ তার দেরী হয়ে যাচ্ছে। ঝাপসা হয়ে আসছে দৃষ্টি।
ফটো: গুগল মামা।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নন্দী মিঠুন।
ব্লগে স্বাগতম, লিখতে শুরু করুন।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম, কেমন লাগলো বুঝতে পারলাম না....... । আমি ভাই স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড মানুষ। ভালোবাসাকে এতো জটিল করার মানে বুঝলাম না। ভালোবাসলে বলে ফেললেই হয়, খামোখা হাত কেটে রক্তারক্তি কান্ড ঘটানোর দরকার কি?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ভুয়া ভাই, ভালোবাসা ব্যাপারটাই জটিল একটা বিষয় মনে হয়.... তবে গল্পের খাতিরে নাটকীয়তা করা বলতে দ্বিধা নেই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
একটু সস্তা ধরণের প্লট বলেই মনে হলো
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: পুরাপুরি সস্তা একটা প্লট--- কোনো সন্দেহ নেই।
তবে সন্তা প্লটেও আবেগ-অনুভূতি থাকে, হয়তো আমার লেখা সেভাবে আপনাকে ছুঁতে পারেনি।
ভালো থাকবেন।
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
জীবন সাগর বলেছেন: রিপোষ্ট করে পড়ার সুযোগ দানে ধন্যবাদ।
ভালই লাগলো কথা বলার ও লেখার ধরণ
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ জীবন সাগর।
নতুন কিছু লেখার সময় পাচ্ছি না, তাই পুরানো লেখাই রিপোষ্ট করলাম।
৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঐ বয়স আর ঐ অনুভটাই এমন!
যুক্তি, বুদ্ধি কিছূই খাটাতে মন চায় না! কেবলই অনুভবের নৌকা চলে চলা....
ভাল লাগল ।
+++
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
এখানে বয়সটা একটা ইস্যু, আবেগগুলো এসময় বেশি কাজ করে।
৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৯
নাজমুল ইসলাম রনি বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। কথা গুলো খুব ভালো লেগেছে। ইলেকট্রিক্যাল
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ইলেকট্রিক্যাল ভাই।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গল্প ভাল লিখেছেন++
চাঁদগাজী ভাইয়ের কথায় না হেসে পারলাম না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর ভাই।
চাঁদগাজী ভাই যথার্থই বলেছেন
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
সুমন কর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে। +।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর ভাই।
৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৩
ফাহমিদা বারী বলেছেন: গল্পটা আগেই পড়েছিলাম মনে হচ্ছে। ভাল লেগেছিল। জানি না কেন,এমন গল্প আমি ঠিক লিখতে পারি না। হয়ত এসব গল্প লেখার জন্যও একটা বয়স থাকে।
শুভকামনা আপনার জন্য।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: হয়ত এসব গল্প লেখার জন্যও একটা বয়স থাকে ----- হুম কথা সত্য। এখন এরকম লেখা আর আসেনা।
ধন্যবাদ ফাহমিদা বারী আপা।
১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অ্যাবসার্ড নাটকের বই!!!!
টোকনতো দেখছি ভয়ংকর লোক!!! এতো বোর একটা বিষয়েও আগ্রহ দেখাতে পারে!!!
গল্প ভালো হয়েছে!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: হু হু ... অ্যাবসার্ড নাটকের বই!
দ্য লেসন নামে একটা মঞ্চ নাটক দেখেছিলাম, সম্ভবত সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটারের (ক্যাট)... চমৎকার লেগেছিল। আর একবার বিশ্ববিদ্যালয়-এর থিয়েটারের ইন-হাউজ প্রোডাকশনে মিঃ মার্টিন চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম
সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ-এর একটা নাটক আছে, "উজানে মৃত্যু"। পড়তে পারেন। এটারো রিহার্সেল করেছিলাম কিন্তু মঞ্চে নামানো হয় নি।
বিষয়টা মোটেও বোর না... ইন্টারেস্টিং।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২১
নিয়াজ সুমন বলেছেন: শুভ কামনা গল্পকার। চালিয়ে যান…
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নিয়াজ সুমন ভাই।
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সুপ্রভারা বোকাই হয়।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: কথা সত্য। সুপ্রভারা বোকাই হয়।
ধন্যবাদ কঙ্কাবতী রাজকন্যা।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই সুন্দর ।
আপনার লেখা নিয়মিত পড়ার ইচ্ছে আছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই।
সাথে থাকুন।
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন অবশ্য আপনি গল্প ভালই লিখেন ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২
জুন বলেছেন: সুপ্রভা টোকনের প্রেমে পড়েছে ভালো কথা কিন্ত সেই বংকিম যুগের মত এখন কি সুপ্রভারা হাত কাটে ফয়সাল রকি !
মনে হয় না
তবে আপনার লেখার স্টাইলটি ভালোলাগলো অনেক ।
+
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: হা হা হা। বংকিম যুগের মত এখন কি সুপ্রভারা হাত কাটে কি না, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়! তবে ব্যাখ্যা দুই রকম দেয়া যেতে পারে, এক. ০.০০০০১% মানুষ হয়তো এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না, প্রেমের কারণে এখনো কিন্তু আত্মহত্যা করে অবুঝ ছেলে মেয়ে গুলো। মাস খানেক আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের (সম্ভবতঃ) এক ছাত্র প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছে, যদিও বিষয়টাকে আমি কখনোই সমর্থন করি না... তারপরেও তো ঘটে! আর দুই. এই লেখাটা ৮/৯ বছর আগের, তখন হয়তো আমার মধ্যেও এরকম অনুভূতি কাজ করতো!
যুক্তি কি গ্রহণযোগ্য হলো?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
জুন বলেছেন: আপনার যুক্তিতো অবশ্যই গ্রহনযোগ্য ফয়সাল রকি
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ভাল থাকবেন জুন আপু।
ধন্যবাদ।
১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পে অভিব্যক্ত ভালবাসার আবেগ হৃদয়স্পর্শী। তবে হাত কাটাকাটির ব্যাপারগুলো বিদেশে টীন এজারদের মধ্যে বেশী হয় বলে শুনেছি।
গল্পে ভাল লাগা + +
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই মন্তব্যের জন্য।
আমাদের দেশের টিনএজারদের মধ্যেও প্রবনতা আছে কম বেশি। রিসেন্টলি আমার টিনএজার ভাগ্নে প্রেমে পাগল হয়ে হাত কেটে নাম লিখা শুরু করেছে।
১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৫
শামচুল হক বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রেখে গেলাম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১১
আটলান্টিক বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
২০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:১২
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
ফয়সাল রকি বলেছেন: পুরোটাই পড়ুন কবি।
তারপর আরেকটা মন্তব্য দিন।
ধন্যবাদ।
২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
নজসু বলেছেন:
আপনার ব্লগ দেখছি গল্পে গল্পে ভরা।
নিয়মিত আসতে হবে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: হা হা হা.... আসুন, নিয়মিত আসুন। তবে আমি কিন্তু নিয়মিত না
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমার কাছে গল্প ভালই লেগেছে।
অনেক দিন লেখেন না যে?
সময় করে লিখবেন।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলেই অনেকদিন পোষ্ট দেয়া হয়নি, আসলে অনেকদিন লগিনই করা হয়নি।
২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: যদিও গল্পে টোকন বা সুপ্রভার বয়স বা পেশা সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি, পড়ে মনে হল ওরা কৈশোরে, টীনএজার, ছাত্র। এই বয়সে অতি আবেগে এ ধরণের অর্থহীন পাগলামি অনেকেই করে। দুঃখজনক।
আপনার অন্য গল্পগুলোর তুলনায় এটার উপস্থাপন একটু দূর্বল মনে হয়েছে, হয়ত প্লট তেমন শক্তিশালী নয় বলেই।
ভাল থাকবেন। হ্যাপী ব্লগিং।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১০
ফয়সাল রকি বলেছেন: টোকন বা সুপ্রভার বয়সটা টিনএজার বা ছাত্র-ছাত্রী! আসলে লেখাটা অনেক আগের আর তখন আমারো সেরকমই বয়স ছিল বলেই হয়তো বয়সের বা কর্মের বিষয়টা স্পষ্ট করার কথা মনে আসেনি।
প্লটটা হয়তো তেমন শক্তিশালী নয় কিন্তু গল্পটার আবেদন আমার কাছে অন্যরকম। তখন একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছিলাম আর কি... হা হা হা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩
নন্দী মিঠুন বলেছেন: খুবই ভালো হয়েছে................