নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- ভাই, রক্ত দিলে কি ওজন কমে?
কম্পিউটার স্ক্রীন থেকে চোখ সরিয়ে তাকাতেই দেখি আহসান সাহেব দাঁড়িয়ে। খুব স্থূল নয় তবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজন মানুষ। বয়স ত্রিশের আশেপাশে হবে। তাঁর ওজন নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা থাকার কথা নয়। ঠিক শুনেছি কিনা বোঝার জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম, কী বললেন?
- মানে, ব্লাড ডোনেট করলে কি মানুষের ওয়েট কমে।
ঠিকই শুনেছি, তবে এবার কিছু ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করলেও আহসান সাহেবকে খুব একটা সিরিয়াস মনে হলো না। হা-হা করে সজোড়ে হেসে উঠলাম।
- হাসির কী হলো ভাই?
- না, এমনি। হঠাৎ এ প্রশ্ন কেনো?
- ভাবছি, দু-এক ব্যাগ রক্ত দিলে যদি ওজন কিছুটা কমে তাহলে মন্দ হয়না।
- মনে হয় ওজন কমে না। প্রতি তিন মাসে এক ব্যাগের বেশি রক্ত দিতে পারবেন না। সিনেমার নায়ক হলে অবশ্য অন্য কথা।
- সিনেমার নায়ক হলে অন্য কথা মানে?
- বুঝলেন না? বাংলা সিনেমায় দেখেননি, জসিম, টাকার অভাবে দিনের মধ্যে কয়েক ব্যাগ রক্ত বিক্রি করে তারপর এক সময় নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে বেশিরভাগ সময় সে টাকা ছিনতাই হয়ে যায়। যাই হোক, এক ব্যাগে সম্ভবত পাঁচশো মিলি রক্ত থাকে।
- তাহলে পাঁচশো মিলি সমপরিমাণ ওজন তো কমবে?
- মনে হয় না। রক্ত দেবার পর আপনার শরীর দুর্বল হবে, তখন আপনি জুস খাবেন, কোক খাবেন, মিষ্টি খাবেন। কাজেই উল্টা ওজন বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
- ও। তাহলে রক্ত দিলে ওজন কমে না।
- কাকে রক্ত দেবেন?
- আপনি জানেন না ঘটনা?
- না তো।
- ইডি স্যার এক্সিডেন্ট করেছেন। জানেন তো?
না-সূচক মাথা নাড়লাম।
- ভোর রাতে। এক্সিডেন্ট হয়েছে। প্রাইভেট-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ। দেশের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। ডান পায়ে ফ্রাকচার হয়েছে, আর কেটে কুটে গেছে কয়েক জায়গায়। তাই ডাক্তার দুই-তিন ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করে রাখতে বলেছে।
ইডি স্যারের এক্সিডেন্টের খবরটা জানা উচিত ছিল। শুনে তো খুব একটা সিরিয়াস মনে হচ্ছে না। আর এজন্য দুই-তিন ব্যাগ রক্ত তো দরকার পড়ার কথা না। বললাম, ও। রক্ত ম্যানেজ হয়েছে? গ্রুপ কী?
- ও পজিটিভ।
- ভালো তো। সহজেই পাওয়া যাবে।
- ম্যানেজ হয়ে যাবে। ডিজাইনার সুমন ভাই এক ব্যাগ দেবে, আরেক ব্যাগের জন্য রহমান ভাইকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
- হুম।
- আপনার ব্লাড গ্রুপ কী?
- বি পজিটিভ।
কাজে মন দিলাম। আহসান সাহেব গল্প এগোতে না পেরে চলে গেলো। আমি ভাবছি, রহমান ভাইর কথা। মাঝ-বয়সী, সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। মার্কেটিং এর লোক। কারো সাতে-পাঁচে নেই। তিনি রাজি হচ্ছেন না কেনো? মানুষ হিসেবে ইডি স্যারকে সাধারণত কেউ পছন্দ করে না। তিনি অত্যন্ত বদমেজাজী। অফিসের কয়েকজন তো বরং অপছন্দ করে, নেহাত চেয়ারম্যান স্যারের ছেলে বলে কারো কাছে তাঁর নামে নালিশ করতে পারে না। কিন্তু রহমান ভাই’র তো রক্ত দিতে আপত্তি থাকার কথা নয়। ব্যাপারটা একটু বোঝা দরকার। তার আগে ইডি স্যারের এক্সিডেন্টের ডিটেইলটা নিতে হবে।
মিনিট বিশেক পরে সেলস সংক্রান্ত তথ্যের জন্য রহমান ভাইর কিউবের দিকে এগোলাম। কাছাকাছি যেতেই জটলা চোখে পড়লো। পাঁচ-ছয়জন তাঁর কিউবের আশে পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ঘিরে রয়েছে আর তিনি শুকনা মুখে চেয়ারে বসা। বললাম, কী ব্যাপার এতো ভিড় কেনো? রহমান ভাই কিছু তথ্য লাগে যে।
সত্যম নামের কম বয়সী ছেলেটা বললো, স্যার, আপনিই বরং একটা সুরাহা করে দিন।
- কিসের সুরাহা?
- ইডি স্যারের অপারেশনের জন্য ব্লাড লাগবে। রহমান স্যারের ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ করেছে কিন্তু তিনি ব্লাড দিতে চাইছেন না।
রহমান ভাইর দিকে তাকালাম, ঘটনা কী রহমান ভাই?
তিনি শুকনা মুখে বললেন, ঘটনা তেমন কিছু না। ওরা রক্ত দিতে বলছে কিন্তু আমি তো রক্ত দেই না।
সত্যম বললো, স্যার, আজকে হয়তো আপনি ব্লাড দিতে চাইছেন না, কিন্তু আল্লাহ না করুক, আপনার যদি কখনো ব্লাড লাগে তখন কি নেবেন না?
যৌক্তিক প্রশ্ন। রহমান ভাই কোনো উত্তর দিলেন না। পরিস্থিতি সামাল দেবার জন্য বললাম, বিষয়টা তো অন্যরকমও হতে পারে। রহমান ভাই, আপনি কি আগে কখনো রক্ত দিয়েছেন?
তিনি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।
বললাম, ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিক জাতীয় কোনো সমস্যা আছে? কিংবা এসপিরিন জাতীয় কোনো ওষুধ খাচ্ছেন?
তিনি না সূচক মাথা নাড়লেন। সত্যম বললো, স্যার তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
বললাম, রহমান ভাই, আপনি রক্ত না দিতে চাইলে কোনো সমস্যা নেই। এদের কথা শুনতে হবে না।
পাশে দাঁড়ানো আরেকজন বললো, রক্ত ম্যানেজ হয়ে যাবে। তবে আমরা জানতে চাই, স্যার কেনো রক্ত দিতে চাচ্ছেন না।
মৃদু হেসে রহমান ভাইকে বললাম, ভাই সমস্যাটা বলে ফেলুন। পোলাপান আপনাকে ছাড়বে না।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রহমান ভাই বললেন, আপনারা ব্যাপারটা নিয়ে হাসাহাসি করবেন।
বললাম, না না, কেউ হাসাহাসি করবে না। আমি গ্যারান্টি।
উনি বললেন, এটা আমি কারো সাথে কখনো শেয়ার করতে চাইনি কিন্তু আপনারা যেহেতু ছাড়বেন না তাই বলছি। আমার মধ্যে একটা কুসংস্কার কাজ করে। আমি যতবার রক্ত দিয়েছে ততবারই পেশেন্ট মারা গিয়েছে।
রহমান ভাইর এমন কথার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। কেউ হাসাহাসিও করলো না। সত্যম ছেলেটা খুবই অবাক হয়ে বললো, বলেন কী? ঘটনা সত্যি?
রহমান ভাই বললেন, আমার যা ধারণা তাই বলেছি। এ পর্যন্ত যতবার রক্ত দিয়েছি তারা সবাই মারা গেছে।
- তাহলে তো এবারো রক্ত দিলে ব্যাপারটা মন্দ হয় না!
একটা হাসির রোল পড়ে গেলো। কিন্তু কে বললো কথাটা? জটলার মধ্যে ইউনুস আলী দাঁড়িয়ে ছিলো এতক্ষণ খেয়াল করিনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে একসেসরিজ সাপ্লাই করে সে। ইডি স্যার তাকে একবার খুব হেনস্তা করেছিলো। সেবার কোনো একটা আইটেম প্রতি পিস উনিশ টাকা করে সাপ্লাই দেবার মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন ইডি স্যার। কিন্তু পেমেন্টের সময় তিনি বেঁকে বসলেন, কোনো ভাবেই উনিশ টাকা করে পেমেন্ট দেবেন না। তিনি দেবেন তেরো টাকা করে পেমেন্ট। ব্যাপারটা কোয়ালিটি সংক্রান্তও নয়, প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ঠিকই ছিল। ইউনুস আলীকে যে তিনিই মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন এবং বললেন, ‘যদি আমি উনিশ টাকা বলে থাকি তাহলে তখন আমি খাওয়া ছিলাম!’ ইউরোপে পড়াশোনা করা মানুষ, তিনি যে মাঝে মাঝেই রঙ্গিন তরল খান সেটা কম-বেশি সবাই জানি। বেচারা ইউনুস আলী ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ব্যাপারটা মেনে নিয়েছিল। হয়তো অন্য কোনো আইটেমে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তাই বলে তাঁর মৃত্যু কামনা একটু বেশি হয়ে যায় আরকি। বললাম, রসিকতা না। রহমান ভাই আপনি কি সিরিয়াস?
- অবশ্যই সিরিয়াস। আপনারা বিশ্বাস করবেন না জানতাম।
সত্যম বললো, আমরা বিশ্বাস করছি স্যার। দু’একটা ঘটনা শেয়ার করেন আমাদের সাথে। প্লিজ।
- ঠিক আছে। প্রথম যেবার রক্ত দিলাম সে ঘটনাটা বলি। আমি তখন ভার্সিটিতে থার্ড ইয়ারে পড়ি। এর আগে কখনো রক্ত দিই নি। সেদিন দুপুরে ভাত খেয়ে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম হঠাৎ এক বড় ভাই এসে আমাকে রক্তের গ্রুপ জিজ্ঞেস করলেন। গ্রুপ বলায় তিনি সাথে সাথে একটা হাত ধরে বললেন, রক্ত দিতে হবে। তারপর নিয়ে গেলেন পিজি হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে হাত ছাড়লেন। পেশেন্ট ছিলো উনার দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। এক্সিডেন্ট করেছিলো। ধারণা করা হচ্ছিলো বাঁচবে না, তারপরেও শেষ চেষ্টা। আমি রক্ত দেবার পরের দিন পেশেন্ট মারা গেলো।
- এখানে তো নিজেকে দোষী ভাবার কিছু নেই।
- হুম। এ ঘটনার জন্য দোষী ভাবিনি। আমার রক্তে যে আসলেই খারাপ কিছু একটা আছে তা এর পরের ঘটনাগুলোর জন্য ভাবতে বাধ্য হয়েছি। পরেরবার যাকে রক্ত দিলাম তাঁকেও চিনি না। এক মহিলার শরীরে হিমোগ্লোবিনের ইমব্যালেন্সের কারণে নাকি মাঝে মাঝেই রক্ত দিতে হয়। তাঁকে রক্ত দেবার একদিন পরে তিনিও মারা গেলেন। সুস্থ মানুষ। কিন্তু আমার রক্ত শরীরে যাবার পরে আর টিকেনি। একবার তো রক্ত দেবার আগেই পেশেন্ট মারা গেলো।
আবারো একটা হাসির রোল পড়লো। রহমান ভাই নিজেও মিটিমিটি হাসছেন। বললেন, সেবার আমার এক কাজিনকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলের পুরুষ ওয়ার্ডে বসে আছি, পাশের বেডের পেশেন্টের আত্মীয়র সাথে দু’একটা কথা হচ্ছিলো। জানলাম তাদের ও পজিটিভ রক্ত দরকার। ব্যাস আমাকে পাকড়াও করে ফেললো। ব্লাড ম্যাচিং করতে দিয়ে আমাকে খাওয়াতে নিয়ে গেলো। নান রুটি শিক কাবাব খেয়ে ওয়ার্ডে ফিরতেই শুনি পেশেন্ট এক্সপায়ার করেছে।
যে রহমান ভাই এতক্ষণ শুকনা মুখে বসে ছিলেন, তিনি এখন রসিয়ে রসিয়ে গল্প করে পোলাপানকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন।
পরদিন অফিস গিয়ে শুনলাম, গত সন্ধ্যায় রহমান ভাই ইডি স্যারকে রক্ত দিয়েছে এবং স্যারের অবস্থার সামান্য অবনতি হয়েছে। এটা নিয়ে রহমান ভাই সারাদিন শুকনা মুখে বসে থাকলো। আবারো কিছু তথ্য নেবার জন্য তাঁর কাছে গেলাম। আগের মতোই শুকনা মুখে বসে রইলেন। কাজ শেষে বললাম, কাল তাহলে ব্লাড দিলেন?
- ওরা জোর করে নিয়ে গেলো। বিশ্বাস করেন, আমি রক্ত দিতে চাইনি।
- আপনি এতো টেনশন করছেন কেনো?
- টেনশন করবো না? যদি ইডি স্যারের কিছু হয়ে যায় তাহলে তো আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। চাকরিও থাকবে না।
- কিচ্ছু হবে না। টেনশন করবেন না।
- শুনলাম অবস্থা নাকি এখন খারাপের দিকে!
- আরে না। তেমন কিছু না। আপনি খামাখাই ভাবছেন। কিছুই হবে না।
- আপনি বলছেন তো? আমি আসলে খুব টেনশনে আছি। এমনিতে প্রেসার নাই, কিন্তু কেনো যেনো মনে হচ্ছে প্রেসার বেড়ে গেছে, ঘাড়টা ব্যথা করছে।
- কী বলেন এসব? আপনি তো এতো দুর্বল মানুষ না। কড়া করে এককাপ চা খান আর মাথা থেকে সব ঝেড়ে ফেলুন।
- জ্বী ভাই। ঠিকই বলেছেন। আমি তো আসলেই এতো দুর্বল মানুষ না।
দুর্বল মানুষকে চাঙ্গা করার জন্য পোলাপানগুলোকে দায়িত্ব দিয়ে নিজের আস্তানায় ফিরে গেলাম। ইডি স্যার সুস্থ হয়ে ফিরলে এই মানুষটাকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করবে। করুক। তবে তিনি এখন যে কষ্ট পাচ্ছেন সেটা থেকে তো মুক্তি পাবেন। তারচেয়ে বড় কথা, তাঁর রক্তে যে কোনো সমস্যা নেই সেটা তো প্রমাণিত হবে।
সরকারি ছুটি থাকায় দু’দিন পরে অফিস গিয়েই রহমান ভাই’র খোঁজ করলাম। শুনলাম তিনি আসেননি তবে ইডি স্যারের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সার্জারীর পরে বেডে দেয়া হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ বেড রেস্ট। অবশ্য হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়নি।
লাঞ্চের পরে রহমান খবর পাওয়া গেলো।
সকাল থেকে তাঁর কল রিং বাজছে কিন্তু তিনি রিসিভ করছেন না। অবশেষে তাঁর স্ত্রী কল রিসিভ করেছিলেন।
তিনি নাকি ভোর রাতে হার্ট এ্যাটাক করে মারা গেছেন।
(সমাপ্ত)
অফটপিক: মাঝেমাঝে দুয়েকবার ব্লগে ঢুকতে পারলেও লগিন করতে পারি নি। আর ভিপিএন ব্যবহার করতে ভালো লাগে না। যাইহোক, লগিন করতে পেরে একখানা গল্প দিলাম, জানিনা মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিতে পারবো কি না।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য কেউ ফোনটা রিসিভ করলে ভালো হয়।
ব্লগে তো ঢুকতে পারিনা। মাঝে এক দুবার ঢুকতে পেরেছিলাম স্বল্প সময়ের জন্য।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন ফয়সাল রকি!!
গল্পের বিয়োগান্ত দৃশ্য ভাল লেগেছে।
মানুষ যা চায়, তা সবসময় হয় না।
শুভকামনা।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ বিজয় রয়, ভালো আছি।
মানুষ যা চায়, তা সবসময় হয় না- এভাবে ভাবিনি। আসলে একবার রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টা মাথায় এসেছিল যে, এরকম একটা গল্প হতে পারে। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অপরিচিত যাকে প্রথম রক্ত দিয়েছিলাম, তিনি সম্ভবত মারা গিয়েছিলেন।
ভালো থাকবেন।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পতো ভালই লিখেছেন। পড়ে মনে হলো পাকা হাতের রষদ। নিয়মিত লিখে যান। ব্লগকে সমৃদ্ধ করুন।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: হে হে হে... ধন্যবাদ।
ব্লগে নিয়মিত হবার চেষ্টা করি। তবে কিছুদিন ধরে তো ঠিকমতো লগিনই করতে পারি না।
ভালো থাকবেন।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক সময় ভাবার বিপরীত হয়।
ব্লগ এখন সুস্থ্য, আপনার লিখাগুলো উপভোগ করার সময় চলে আসলো।
শুভকামনা সব সময়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: অনেকদিন পর রিপ্লাই দিচ্ছি। ভালো থাকবেন।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকি ভাই,
খুব ভালো গল্প লিখেছেন। এক কথায় ওলট পুরান। তবে রহমান সাহেবকে বাঁচিয়ে রাখলে গল্পে একটা মেসেজ পৌঁছে যেতে। সুন্দর গল্পে ভালো লাগা রেখে গেলাম। পোস্টে তৃতীয় লাইক।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: রহমান সাহেবকে বাঁচিয়ে রাখলে হয়তো ভালো নাও লাগতে পারতো! যাইহোক আছেন কেমন?
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কেমন আছেন? খুব ভালো লিখেছেন।ভালো লাগা রেখে গেলাম।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
মা.হাসান বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে। এর চেয়ে ভালো লেগেছে দীর্ঘদিন পর আপনাকে দেখে।
ইডির মতো লোকেরা অন্যের রক্তের উপরেই বেঁচে থাকে
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মা.হাসান ভাই। রেগুলার হবার চেষ্টা করবো।
তবে, গল্প সম্পর্কে আপনার অবজারভেশনটা মন্দ না। ইডিরা আসলেই তাই।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: রহমান সাহেবের জন্য মায়া লাগছে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: রক
আপনার গল্পগুলি সবসময়ই খুব দারুন হয়। এবারেরটাও চমটৎকার লেগেছে। লাস্টের ট্যুইস্ট দারুন হয়েছে।
এখন আশা করি ব্লগে নিয়মিত হবার চেস্টা করবেন।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই।
ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগছে।
নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন।
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঝরঝরে গল্প। ব্লগে পড়ার জন্যে উত্তম।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২১
ফয়সাল রকি বলেছেন: ভাই, মন্তব্যটা কি পজিটিভ না নেগেটিভ ঠিক বুঝলাম না
যাইহোক, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০০
সুমন কর বলেছেন: শেষটা এমনই আশা করেছিলাম। ভালো লাগা রইলো।
+।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: শেষটা তাহলে আগেই অনুমান করে ফেলেছেন! ব্যাপার না, পরের বার হয়তো অনুমান করতে পারবেন না, কিংবা অনুমান করতে পারবেন। ধন্যবাদ।
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: হায় হায়, শেষ পর্যন্ত রহমান সাহেব নিজেই মারা গেলেন!!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: সেটাই তো...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। + +
ছোটগল্প হিসেবে খুব ভাল হয়েছে। চরিত্রগুলোতে কোন অতিরঞ্জন নেই, অনাবশ্যক কোন চরিত্র নেই।
এখন তো ব্লগ ব্লকমুক্ত। ফিরে আসুন এবং আরো লিখুন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
আখেনাটেন বলেছেন:
শেষে মৃত রহমান সাহেবের স্ত্রী'র বদলে অন্য কেউ ফোনটা রিসিভ করলে যুৎসই হত।
ভালো লেগেছে লেখা ।
*ব্লগে ফিরে আসায় শুভেচ্ছা।