নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চূড়ান্ত রকম ফাঁকিবাজ একজন মানুষ আমি!

ফয়সাল রকি

Know thyself.

ফয়সাল রকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প: আষাঢ়ে গল্প

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮



নিষাদের সঙ্গে পরিচয়টা হয় হঠাৎ করেই, তারপরই সম্পর্ক। সম্পর্কের সাড়ে তিন মাস বয়সে বিয়ে। তবে সম্পর্কটা প্রেমের নয় বন্ধুত্বের। এজন্যই সরাসরি প্রেম জাতীয় কিছু বলতে একটু দ্বিধা হচ্ছে। বিয়ের আজ চার মাস হতে চললো। নিষাদ মেয়েটা খুবই গম্ভীর, অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলে না। তবে স্বামী হিসেবে ওর প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। বিয়ের পর ওর গ্রামের বাড়িতে আসা হয়েছিল একবার মাত্র। হঠাৎ করেই এবার উইকএন্ডে জেদ ধরলো গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাবে। যেহেতু জেদটা ওর স্বভাবের বাইরে, কাজেই ধরে নিলাম, নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমি হ্যাঁচ প্যাঁচ না করে রাজি হয়ে গেলাম। রাতে খাওয়ার পর হাঁটতে বের হলাম একা। উদ্দেশ্য হলো সিগারেট খাওয়া আর পুকুর পাড়ে বসে সন্ধ্যার হিম শীতল বাতাস খাওয়া। লোকালয় থেকে একটু দূরে একটা বড় পুকুর আছে। নিরবতা যাদের ভালো লাগে তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। তবে মাঝে মাঝে পুকুরের বড় বড় মাছগুলো লাফালাফি করে, শব্দ পাওয়া যায়।

পাড়ে বসে সিগারেট জ্বালতে গিয়ে একটু অবাক হলাম; চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার, অথচ আজ তো অমাবশ্যা নয়। কিন্তু এত অন্ধকারের কারণ কী? কারণ খোঁজায় মন না দিয়ে আয়েশ করে সিগারেট জ্বাললাম। হঠাৎ মনে হলো, পিছনে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। ঘাড় ফেরালাম। কালো কোর্ট-প্যান্ট পরিহিত এক ভদ্রলোক, আমার ঠিক পিছনে। পরিচিত মনে হলো, কিন্তু চিনতে পারছি না। হতেই পারে শ্বশুড়বাড়ী এলাকায় এসেছি, স্বল্প পরিচিত কেউ হতে পারে। উনি বললেন, রফিক না?
কণ্ঠটা শুনেই চিনতে পারলাম, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম স্যার। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আসলে ভার্সিটি ছেড়েছি প্রায় সাত বছর, এই দীর্ঘ সময় স্যারের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। কিন্তু এই গ্রাম্য পরিবেশে স্যারের উপস্থিতি আমাকে বেশ অবাক করলো। সবচেয়ে বেশি অবাক হলাম যে, উনি এই অন্ধকারের মধ্যে আমাকে চিনতে পেরেছেন। স্যারকে সালাম দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম সিগারেটটা লুকাতে।
উনি বললেন, অসুবিধা নাই, সিগারেট খাও। তারপর-কেমন আছো?
একটু লজ্জিত হয়ে বললাম, ভাল। স্যার এখানে কোথায় এসেছেন?
- এই আরকি, হঠাৎ মনে হলো গ্রাম দেখতে এলাম।
- কখন এসেছেন?
- আজ বিকেলেই। তুমি তো নতুন বউ সঙ্গে করে শ্বশুড়বাড়ি এসেছো, তাই না?
আমি আবারো লজ্জিত হলাম, একই সঙ্গে অবাকও হলাম যে, স্যার কিভাবে জানলেন ব্যাপারটা!
উনি বললেন, সেই যে পাশ করে বের হলে, আর তো এলে না। আমি ইদানিং তোমাদের অনেকের খোঁজ খবরই রাখছি, তুমি তো ভুলেই গেছো।
আমি যে খোঁজ খবর রাখি না- এটা সত্য। হয়তো স্যার আমার কথা মনে রেখেছেন আর বাকিটা অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়েছেন।
স্যার বললেন, ‘রফিক আসি। কাল আবার দেখা হবে।’ উনি আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই চলে গেলেন। অনেকটা অন্ধকারে মিলিয়ে গেলেন।
বিষয়টা যে খুব একটা স্বাভাবিক নয়, তা বুঝতে পারলেও খুব দ্রুতই ভুলে গেলাম। কাকতালীয় কিছু ঘটনা জগতে ঘটে যায়, এটাও হয়তো তেমনি একটা। স্যার চলে যাবার পরে যে নিরবতা তৈরি হয়েছিল তা ভাঙ্গতেই বোধহয় বড়-সড় কয়েকটা মাছ স্বশব্দে নড়ে-চড়ে উঠলো। যাইহোক, এই সুযোগে আয়েশ করে দ্বিতীয় সিগারেটা জ্বাললাম।

ভোর রাতে ঘুম ভাঙ্গলো।
খানিকটা আলো ফুটেছে চারিদিকে।
রাতে ঘুম ভাঙ্গলে সাধারণত তৃষ্ণা লাগে। খাটের কাছাকাছি এক গ্লাস পানি সবসময়ই রাখার চেষ্টা করি। এখানেও খাটের কাছাকাছি, মাথার দিকে একটা চেয়ারের ওপর এক গ্লাস পানি ঢাকা দিয়ে রেখেছে নিষাদ। জানলা দিয়ে আসা ক্ষীণ আলোয় গ্লাসটা নিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, নিষাদ বিছানায় নেই। হয়তো টয়লেটে গিয়েছে। পানিটা খেয়ে খাটে পা ঝুলিয়ে বসলাম। নিষাদের জন্য অপেক্ষা করছি। ও এলে টয়লেটে যাবো একবার।

বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গেলো। নিষাদ এলো না। গিয়ে টয়লেটটা একবার চেক করে আসবো কিনা ভাবছি। কিছুটা আলসেমী গ্রাস করলো। আরেক দফা শুয়ে পড়লাম।

সকাল হয়ে গিয়েছে।
ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি নিষাদ পাশে আধশোয়া হয়ে আছে। নাম ধরে ডাকলাম কিন্তু সাড়া দিলো না। বললাম, ভোর রাতে ঘুম ভাঙ্গলো কিন্তু তোমাকে পেলাম না!
এবারো কিছু বললো না। মন খারাপ করেছে নাকি! বললাম, কোনো সমস্যা? শেয়ার করতে পারো অন্তত।
- হুম, শেয়ার তো করতেই পারি।
- তাহলে করো।
- বলছি। কাল বিকালে কয়েকটা বাচ্চা ছেলেমেয়ে গাছতলায় খেলছিলো, মনে আছে?
হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম, যদিও তেমন কিছু মনে পড়ছে না।
- ওদের মধ্যে টুকটুকি নামের একটা নয়/দশ বছরের মেয়ে ছিল। ঐ যে তোমাকে কী যেনো জিজ্ঞেস করেছিলো।
মনে পড়েছে। আমার হাতে একটা জিপো লাইটার ছিল। ওটা কিভাবে জ্বলে, কাজ কী জাতীয় কৌতুহলী প্রশ্ন। বললাম, হুম, টুকটুকি।
- মেয়েটা মারা গেছে।
- বলো কী? কিভাবে?
- রাতে মারা গেছে। অথচ আমাকে একবার ডাকলোও না। ভোর ঘুম থেকে উঠেছি বকুল ফুল কুড়ানোর জন্য। তখন ঘটনা শুনলাম।
বলে রাখা ভালো যে, নিষাদ একজন ডাক্তার। কাজেই প্রতিবেশী একটা বাচ্চা মেয়ে হঠাৎ করেই মারা গেলো আর তাকে ডাকা হলো না, বিষয়টা তার কাছে খারাপ লাগতেই পারে। বললাম, কিন্তু মারা গেলো কিভাবে?
- সাপে কেটেছে!
- সাপ!
- হ্যাঁ। গোখড়া সাপ। ওরা আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল না। থাকার মতো একটাই ঘর অবশিষ্ট আছে। টুকটুকি আর ওর বড় বোন ঘরের বারান্দায় শুয়েছিলো। মেঝেতে পাটী বিছিয়ে।
- আর সাপটা এসে কামড়ে দিলো?
- অনেকটা তাই। আমি মেয়েটাকে খুব আদর করতাম। বাড়ি এলেই ডাক্তার আপু ডাক্তার আপু বলে দৌড়ে আসতো।
নিষাদ নিঃশব্দে কাঁদছে। আমি বিছানা ছাড়লাম। ওকে আর বেশি অস্বস্বিতে ফেলতে চাইলাম না।

বেলা দশটা-এগারোটা নাগাদ অদ্ভুত কিছু অভিজ্ঞতা হলো।
টুকটুকিকে দেখতে ওদের বাড়িতে গেলাম। ছোট্ট একটা উঠান পেরিয়ে বারান্দাসহ দুইটা ঘর। বাচ্চা মেয়েটার মৃত দেহটা বারান্দায় একটা জলচৌকির ওপর রাখা। শরীরটা নীল হয়েছে কিনা ঠিক ধরতে পারলাম না। বাড়ির পারপাশে শ’খানেক মানুষ ভীড় করেছে। পুরো গ্রামই বোধহয় ভেঙ্গে এসেছে। বাইরে দিকে একটা জটলা দেখলাম। একদল মানুষ গোল হয়ে ঘিরে কিছু একটা দেখছে। আমিও উৎসুক জনতা। ভীড় ঠেলে গিয়ে যা দেখলাম, তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। ট্যাঁটা নামক একটা গ্রাম্য অস্ত্র দেখলাম, যা অনেকটা বল্লমের মতো দেখতে কিন্তু মাথায় এক গোঁছা মোটা-শক্ত সূচ রয়েছে। ট্যাঁটাটা মাটিতে গেঁথে রয়েছে আর তার মাথায় একটা জ্যান্ত সাপ! চারপাশে বৃত্তাকার একটা দাগ দেয়া হয়েছে। সম্ভবত চুন জাতীয় কিছু একটা ব্যবহার করেছে। এটাই নাকি সেই সাপ যেটা টুকটুকিকে কামড়েছে! এই বিষাক্ত প্রাণীটাকে বাঁচিয়ে রাখার কারণ বুঝতে পারলাম না। একজনকে জিজ্ঞেস করতেই সে বললো, ওঝা আসতেছে। সাপ জ্যান্ত আছে, মানুষও জ্যান্ত হবে!
কী আজব কথা! বাচ্চাটা মারা গেছে মাঝরাতে। এখন তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করাটা জরুরী। সেখানে এই মানুষগুলো অপেক্ষা করছে ওঝার জন্য? ওঝা কি মৃত মানুষকে বাঁচাতে পারবে? বেঁচে থাকলেও সাপের বিষ নামানো সংক্রান্ত একটা ব্যাপার হয়তো ভাবা যেতো, যদিও এখন হাতের কাছেই ভ্যাকসিন পাওয়া যায়! বিষয়টা নিষাদকে জানানো দরকার। ওর তো আশেপাশেই থাকার কথা।

নিষাদকে আশেপাশে পেলাম না। বরং কিছু আজগুবি ঘটনার অবিশ্বাস্য গল্প শুনলাম। আরো অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সবাই বিশ্বাস করছে যে, এখানে একটা অলৌকিক ঘটনা ঘটবে আর তারা সেটার সাক্ষী হবে। এখন যার ঝুলিতে যত গল্প আছে তারা সেগুলো ঢেলে দিচ্ছে। পাশের গ্রামের এক মহিলাকে নাকি কবরে পর্যন্ত নামানো হয়েছে সেখান থেকে বেঁচে ফিরে এসেছে কিংবা কোন ওঝা কতজনকে বাঁচিয়েছে জাতীয় সব আজগুবি গল্প!

ওঝা এলো আরো প্রায় ঘন্টা খানেক পরে।
ওঝা দেখতে কেমন হবে, এটা নিয়ে আমার মধ্যে একটা কৌতুহল কাজ করছিলো। ওঝা কি সাপুড়ের মতো পোশাক-পরিচ্ছদে থাকবে নাকি অন্যরকম? হাতে কি বীণ থাকবে, মাথায় রঙ্গিন পাগড়ি কিংবা ঝোলা? এক আসবে নাকি দল-বল নিয়ে আসবে? তারচেয়ে বড় বিষয় হলো, ওঝা আসলে করবেটা কী?
ওঝা এলো একদল মানুষ সঙ্গে নিয়ে, তাদের সাথে যোগ দিলো আরেকদল গ্রামবাসী। ফলে দলটা বড়সড় হয়ে গিয়েছে। আমি ভীড় ঠেলে গিয়ে ওঝা দেখার মতো সাহস করতে পারলাম না। তবে দূর থেকে যতখানি দেখা গেলো তাতে মনে হলো জনাব ওঝা বাদামী রঙের সাফারি পড়ে এসেছে, হাতে একটা ডাক্তারি ব্যাগ! আধুনিক ওঝা দেখছি!
দলবল নিয়ে ওঝা বাড়ির মধ্যে ঢুকবে এমন সময় বাইরে উৎসুক জনতার মধ্যে একটা উল্লাসের ঢেউ খেলে গেলো। বাড়িতে ঢোকার আগ মুহূর্তে ওঝা দাঁড়িয়ে দুই হাত ওপরে তুলে সবাইকে থামার ইশারা করলেন। এবং জনতা থেমে গেলো। তারপর সবাই অপেক্ষা করতে থাকলো কী হয় জানার জন্য। আমিও ধিরে ধিরে সামনে এগুতে থাকি। খানিকক্ষণ পর ওঝা দরজার বাইরে এসে এলেন এবং অনেকটা ঘোষণা দেবার মতো করেই বললেন, “আত্মা বেশি দূরে যায়নি, কাছাকাছি আছে। আপনারা দোয়া করেন।”
উৎসুক জনতার মধ্যে আবারো একটা উল্লাসের ঢেউ খেলে গেলো, যেনো সবাই এমন একটা ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করছিলো। যদিও আমি এবারো তার চেহারা ঠিক মতো দেখতে পেলাম না। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই দরজার কাছাকাছি পৌঁঁছাতে পারলাম এবং পরবর্তী কার্যক্রম নিজ চোখে দেখার সুযোগ পেলাম।
টুকটুকিকে তার দলের লোকেরা ঘিরে রয়েছে। এরই মাঝে ওঝা মানুষটি তার ডাক্তারি ব্যাগ খুলে একটা ইঞ্জেকশন রেডি করলেন। তারপর সেটি টুকটুকির শরীরে পুশ করলেন। এতে অবশ্য মৃত বাচ্চাটির শরীরে তেমন কোনো প্রভাব হয়েছে বলে মনে হলো না। যাইহোক, কিছু সময়ের মধ্যেই দেখলাম, তার লোকেরা কোত্থেকে যেনো চারটা কলা গাছ যোগাড় করে নিয়ে এলো। তারপর চার/পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যে সমপরিমাণ বাহুবিশিষ্ট একটা বর্গক্ষেত্রের মতো জায়গা পরিস্কার করে তার চারপাশে চারটা কলা গাছ পুঁতে ফেললো। তবে বর্গক্ষেত্রে না হয়ে আয়তক্ষেত্রও হতে পারে, দূর থেকে নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। তাদের ব্যাগ থেকেই কয়েকটা সাদা কাপড় বের করলো। পুরোপুরি ধবধবে সাদা। অনেকটা বয়স্ক মহিলাদের শাড়ির মতো। তারপর সেগুলো দিয়ে কলাগাছের চারপাশ ঢেকে দিয়ে একটা ঘরের মতো বানালো যদিও উপরে কোনো ছাউনী দেয়া হয়নি। এরপর কী হবে অনেকটা অনুমান করতে পারছি। ওঝার লোকেরা ধরাধরি করে খুব সাবধানে টুকটুকির মৃত দেহটা ঐ ঘরের ভেতর নিয়ে রাখলো। সেসময় ওঝা বললেন, বাড়ির ভেতর কোনো পুরুষ মানুষ থাকতে পারবে না। মহিলারা থাকেন, বাকিরা চলে যান। মহিলারা চুলে বাঁধন খুলে দেন। যাদের পরচুলা, নকল দাঁত আছে তারাও চলে যাবেন। নাপাক থাকলেও চলে যাবেন।
ওঝা সাহেবের এই আদেশে সবাই নড়ে চড়ে উঠলো। আমি তো রীতিমতো লাফিয়ে উঠলাম। এতোক্ষণ খেয়াল না করলেও এখন যা দেখলাম তাতে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না। মিরাজুল ইসলাম স্যারকে ওঝার বেশে দেখবো কখনো ভাবতে পারিনি! আমি এক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছি। মনের ভেতর ঝড় বয়ে চলছে! এই মানুষটা কি সত্যি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক? কিংবা হুবহু তাঁর মতোই দেখতে আরেকজন মানুষ? নাকি আমি ভুল দেখছি? গতরাতেও কি সত্যিই তাঁর সাথে আমার দেখা হয়েছিল নাকি সেটাও ভ্রম? যদি সত্যিই তাঁর সাথে দেখা হয়ে থাকে তাহলে তিনি কি জানতেন যে আজ এরকম কিছু একটা ঘটবে যার জন্য তাঁর সাথে আমার আজও দেখা হবে? কাল আবার দেখা হতে পারে জাতীয় কিছু একটা তিনি সম্ভবত বলেছিলেন।
আমি যে এতো কিছু ভাবছি তার মধ্যেই মিরাজুল ইসলাম স্যার ওরফে ওঝার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি কিন্তু তিনি কিছুতেই এদিকে তাকাচ্ছেন না। তাঁর একমাত্র দৃষ্টি ও মনোযোগ ঐ ঘরটার দিকে। তাঁর লোকেরা পুরুষদের বের করে দেয়া শুরু করেছে। শুধু বের করে দিয়েই ক্ষান্ত না। বাড়ির দরজার থেকে খানিকটা দূরে সরিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। আমি সরে এসেছি। ভেতরে সম্ভবত কয়েকজন মহিলা রয়ে গেছেন।
ভেতরে কী হচ্ছে তা আমরা কেউ বুঝতে পারছি না। ভেতর থেকে কোনো শব্দ আসছে না। বাইরেও লোকজন তেমন একটা কথাবার্তা বলছে না। আমি জানি এখানে অলৌকিক কিছু হবে না। প্রকৃতির তার নিয়মের বাইরে কিছু ঘটবে দেয় না। কাজেই এখানে যারা উৎসুক জনতা অলৌকিক কিছু একটা ঘটার জন্য অপেক্ষা করছে তারা যে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরাশ হবে তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তাদের অপেক্ষাটাই নিরর্থক হয়ে যাবে।
অপেক্ষার পালা কতক্ষণে শেষ হলো জানি না। তবে যখন শেষ হলো তখন জনতার মধ্যে আবার উল্লাস ছড়িয়ে গেছে। মেয়েটা বেঁচে গিয়েছে বলেই জানলাম। প্রকৃতির নিয়মের বাইরের একটা ঘটনা ঘটলো যা সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছি না। ওঝা সাহেব দলবল নিয়ে বিজয়ীর বেশে বের হয়ে যাচ্ছেন। পেছন পেছন উৎসুক মানুষের দল তো রয়েইছে। কাছেই কোথাও হয়তো তাদের জন্য গাড়ি অপেক্ষা করছে। আমি কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করলাম না। সাইন্সের ছাত্র হিসেবে এরকম একটা অলৌকিক একটা বিষয় মেনে নেয়াটা আমার জন্য অসম্ভব ও অস্বস্তিকর।

মিরাজুল ইসলাম স্যারের সম্পর্কে খোঁজ নেবার জন্য বন্ধু বান্ধব, পরিচিতজনদের সাথে যোগাযোগ করলাম কিন্তু কেউ তাঁর সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারলো না।

পরদিন ঢাকা ফিরলাম।
ঢাকা ফিরেই প্রথম যে কাজটা করার চেষ্টা করলাম, তা হলো ভার্সিটিতে গিয়ে তাঁকে খুঁজে বের করা। পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে গিয়ে জানতে পারলাম, তিনি বছর তিনেক আগে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। এরপরে তিনি কোথায় গিয়েছেন তা কেউ জানে না।

ছবি: গুগল মামা।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

ত্রাতুল বলেছেন: ভালো লেগেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১

মা.হাসান বলেছেন: অসাধারণ একটা শুরু হয়েছিলো। চমৎকার চলছিলো। হঠাৎ শেষ করে দিলেন।
নিষাদ চরিত্রটার কি প্রয়োজন ছিল? আমি অনুমান করি আপনি আরো কিছু লিখতে চেয়েছিলেন, পরে কোনো কারণে মত পরিবর্তন করেছেন। আপনাকে অনুরোধ করবো ২য় পর্ব লেখার জন্য।

সাফারি পরা ওঝা নতুন জিনিস। তবে বাস্তবে সাপ এবং ওঝা নিয়ে এমন অনেক ঘটনা দেখেছি বিজ্ঞানে যার ব্যাখ্যা দেয়া মুশকিল।
অনেক শুভ কামনা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: ছোট্ট একটা সমস্যা হয়েছে, গল্পটা তিন সময়ে লেখা। এক অংশ লিখেছিলাম কয়েকবছর আগে, তারপর একটা অংশ মাস খানেক আগে, তারপর একটা কয়েকদিনের মধ্যে। ২য় পর্ব লেখার ইচ্ছা আপাতত নেই, তবে আপনার অনুরোধ রাখার চেষ্টা করবো। সাফারি- ব্যাপারটা হঠাৎই এসেছে, তেমন কিছু ভাবিনি। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক এই বিষয়গুলো কিংবা বিশ্বাসগুলো এখনো মানুষের মাঝে আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খুবই মজার

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য জন্য ধন্যবাদ নূরু ভাই।
ভালো থাকবেন।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার অসম্পূর্ন গল্প।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: হে হে হে, আসলে এটুকুই লিখেছিলাম। ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পের থীমটা সুন্দর। একটা অতিপ্রাকৃতিক ব্যাপার আছে। আপনার সেটাকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতাও আছে.....কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি খুব একটা মনোযোগ দিয়ে গল্পটা লেখেন নাই। কেমন যেন একটা খাপছাড়া ভাব আছে।

আমি কি ঠিক বললাম? জানি না। আমার যেটা মনে হলো, সেটাই বললাম। আমার ভাবনা বিস্তারিত বললে হয়তো বোঝাতে একটু সুবিধা হতো। কিন্তু অনেক কিছু বলতে হবে.....তাই বিস্তারিততে গেলাম না।

তাই বলে আবার ভাববেন না, গল্পটা ভালো হয়নি। সুন্দর হয়েছে। তবে, আরো সুন্দর হতে পারতো। :)

আমিও লেটেস্ট দু‘টা পোষ্ট দিয়েছি। একটা ভৌতিক গল্পের, আরেকটা সাফারী পার্কে বেড়ানোর। সময় করে দেখে/পড়ে কেমন লাগলো জানালে ভালো লাগবে। গল্পকারদের মন্তব্য আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই, শুরুতেই ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। তবে বিস্তারিত বললে মন্দ হতো না।
ঐ যে মা.হাসান ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে বলেছি যে, গল্পটা তিন সময়ে লেখা। এক অংশ লিখেছিলাম কয়েকবছর আগে, তারপর একটা অংশ মাস খানেক আগে, তারপর একটা কয়েকদিনের মধ্যে। এজন্য খাপ ছাড়া মনে হতে পারে। শুরুটা তো আসলে অনেক আগে লিখেছিলাম তাই পুরো ব্যাপারটা আসলে আগের মতো মাথায় নেই। তারপরেও আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু পাঠকের চাহিদা মেটাতে পারিনি মনে হচ্ছে :| । তবে এটাও একটা ভালো দিক যে, পাঠকের চাহিদা আছে আমার লেখায়।
হে হে হে, গল্পকার ব্যাপারটা মন্দ না :D

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৮

বলেছেন: গল্পটিকে পড়লাম -
চমৎকার ফিকশন ও টাানিং ছিলো....
তবে কিছুটা মিল ও অমিল রয়ে গেছে।।।



ভালো লাগলো।।।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবান ল ভাই মন্তব্যের জন্য।
তবে মিল ও অমিলটা একটু পরিস্কার করলে ভালো হতো।
ভালো থাকবেন।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: গল্প না বাস্তব?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

ফয়সাল রকি বলেছেন: কিছু গল্প, কিছু বাস্তব।
ধন্যবাদ খাঁজা বাবা।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: ১। আমার কাছে কিন্তু নিষাদ চরিত্রটার প্রয়োজন আছে মনে হলো। সেটা না হলে টুকটুকির মৃত্যুর নিউজ দিতে অন্যরকম চিন্তা করতে হতো।
২। তবে মাঝরাতে মিরাজুল ইসলামের সাথে কথোপকথন না দিলেও পারতেন। হয়তো দূর থেকে চলে যাওয়া দেখাতে পারতেন তাহলে কিছুটা সাস্পেন্স থেকে যেত। (এর আগে নায়ক কোথায় যেন উনার মৃত্যুর কথা শুনেছিল)। এই অংশ লেখার সময় আপনার মনে অন্য কোন থীম কাজ করছিল, মনে হলো। এবং এইজায়গা থেকে অন্য কোন গল্প হতে পারতো যেটা ঊপরে সবাই আশা করেছিলেন। ২য় পর্ব লিখতে বলেছে সবাই।
৩। আরেকটা কাজ করতে পারতেন, টুকটুকির মৃত্যুর কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে চিকিতসার এক পর্যায়ে নিষাদকে সরিয়ে দিয়ে ওঝার এ্যাকশন শুরু করতে পারতেন। যেখানে নিষাদ খুব চেস্টা করেও মেয়েটাকে বাঁচাতে পারছে না। অবস্থা কেন যেন খারাপই হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার ফেল করছে কিন্তু একজন ওঝা এসে ঠিকই জীবিত করে দিল। বাস্তবতার কাছাকাছিও হলো।
৪। যত ভালো লেখেন না কেন একদম অবাস্তব কিছু পাঠক'কে বিশ্বাস করানো খুব কঠিন।

লেখা ভালো লেগেছে। আরও লিখুন। আমি যা উপরে বলেছি ভেবে নতুন একটা প্লট দাড়া করিয়ে ফেলুন।
দুঃখিত এই লেখা কিভাবে যেন আমার চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। সাধারণত আমি ব্লগের প্রায় সব গল্পই পড়ি।
ধন্যবাদ।


১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: খুবই গঠনমূলক সমালোচনা।
আবার নতুন করে লিখতে হবে মনে হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্র আপনার সমালোচনাগুলো কাজে লাগানো যাবে।
যদি ৩ নম্বর পয়েন্টকে হাইলাইট করে শুরু করি, তাহলে নিষাদ চরিত্রটারও প্রয়োজনীয়তা থাকবে।
প্রথম সাক্ষাৎটাও না হয় বাদ দেয়া যাবে, সরাসরি দেখা না হয়ে অন্যভাবে।
তবে ঐ গল্পে টুকটুকিকে মৃত্যুর কাছাকাছি রেখে এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে নাও আনা যেতে পারে।
দেখা যাক। তবে দ্বিতীয় পর্বের ব্যাপারটা মনে হয় হবে না।
ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: গল্পের নাম কিন্তু পছন্দ হয় নি। নাম দেখেই পাঠকের মনে শুরুতেই একটা আবছা আইডিয়া তৈরি হয়ে যায় লেখা পড়া আগেই।
আপনার গল্পের নাম প্রথমেই লেখাটাকে হালকা করে দিয়েছে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: হুম, আমারো তাই মনে হচ্ছে। আপাতত থাক।

১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

বলেছেন: মিল অমিল ৮ নাং মন্তব্যকারী খুব সুন্দর করে বলে দিয়েছেন।।।
গল্পের নামকরণে " আষাঢ়ে গল্প না লিখে - "অমানিশার গল্প" দিলে কেমন হতো??

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

ফয়সাল রকি বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আরেকটু সময় নিয়ে গল্পটা লেখা দরকার ছিল।
তবে সমালোচনাগুলো খুবই গঠনমূলক, আশা করি ভবিষ্যতে কাজে আসবে।
আরেকটা কথা, গল্পের শিরোনাম নিয়ে সারাজীবনই ভেজালে থাকি, কখনোই মেলাতে পারি না। এটা নিয়ে নিজের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব কাজ করে সবসময়ই।
ভালো থাকবেন।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

জুন বলেছেন: আমি ভুত নিয়ে একটি বই পড়েছিলাম ফয়সল রকি । সেখানে একটি গল্প ছিল এক গ্রামে জমিদার বা এই টাইপের ধনী লোকের
সুন্দরী বৌ ছিল অতিপ্রাকৃত এক নরকের প্রানী । রাত হলে সে গিরিগিটির মত আকৃতি নিয়ে গ্রামের মানুষ সহ বিভিন্ন প্রানীর রক্ত চুষে খেত । আমি ভেবেছিলাম আপনার নিষাদই হয়তো সেই গল্পের মত একটি চরিত্র হবে । কিন্ত এখানে এসে শেষ করলেন এটা কি ঠিক হলো :(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

ফয়সাল রকি বলেছেন: শেষটা পছন্দ হলো না? :( শেষটা নিয়ে আরেকটু সময় দেয়া দরকার ছিল। গল্প তো আসলে গল্পই।
যাই হোক, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জুনাপু।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ফয়সাল রকি,
গল্পটা পড়ে মনে হলো ঠিক কি যেন একটা নেই গল্পে ।
পরে মন্তব্যে দেখলাম আপনি বলেছেন আসলে তিনটা বিভিন্ন সময়ে লেখাটা লিখেছেন । তখন মনে হলো মিসিং জিনিষটা কি । গল্পে আপনি একটা আপাত অসম্ভব ব্যাপার সত্যি হয়েছে সেটাই বলেছেন । কিন্তু সেই থ্রিলটা গল্প বলায় নেই। তিনটে সময়ে লেখা বলেই হয়তো লিংকটা মিসিং । গল্পের ঘটনাটা বেশি বলা হয়েছে কিন্তু তার পাশাপাশি ঘটনার কারণে সাধারণ ভাবে ঘটা উচিত ছিল এমন উত্তেজনা, বিস্ময়গুলো নেই । কেন নেই সেটাও আপনি বলেছেন ।বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে অনেক্ষন আগে সাপে কাটা মৃত একজন মানুষকে ভালো করে তোলার যে দ্বান্দ্বিকতা আপনার মনে দেখা দিয়েছে সেটার কারণেই মনে হয় গল্পটাকে একটা থ্রিলার, অতিপ্রাকৃতিক গল্প বা সায়েন্সফিকশনের কোনো একটা ক্যাটাগরিতে ফেলে আপনি লিখেন নি। তাই এই ক্যাটাগরির কোনো গল্প ভেবে মজাটাও পাওয়া যাচ্ছে না। সেটাই গল্প শেষ করেই মনে হয়েছিল । এটা কিন্তু কোনো সমালোচনা না কোনো ভাবেই । এটা আমার ভাবনার কথা বললাম গল্প নিয়ে । আপনার লেখাটা ভালোই হয়েছে সেটা অবশ্যই বলছি । ভালো থাকবেন ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে এতো কিছু চিন্তা করিনি লেখার সময়, শুধু গল্পের থিমটা মাথায় ছিল। বাকিটা হয়ে গেছে।
তবে পরের লেখায় আশাকরি কিছু ভুল ত্রুতি শোধরাতে পারবো।
ভালো থাকবেন।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। ভালো থাকবেন।

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পটার মধ্যে কিছু একটা মিসিং আছে মনে হচ্ছে।

একটানে গল্পটা শেষ করলে হয়তো অন্যরকম কিছু হতো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

ফয়সাল রকি বলেছেন: হতো হয়তো। যাইহোক, পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.