নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-আপা, তোমাদের বাড়িটায় কেমন যেন একটা অশুভ ব্যাপার আছে।
-হুম, হানাবাড়ি টাইপের, না?
-সিরিয়াসলি কেমন যেন একটা অনুভূতি হচ্ছে।
-একদম বাজে বকবি না। ঢাকা শহরের আটতলা এপার্টমেন্টকে তোর হানাবাড়ি বলে মনে হচ্ছে! আমার সাথে ফাজলামো করিস?
-মোটেও না। তুমি আসলে সিরিয়াসলি নিচ্ছো না ব্যাপারটা। আমি এরকম কিছু কিছু বিষয় ধরতে পারি।
-হুম।
-বিল্ডিংটা তো একদম নতুন। আশেপাশের বেশ কয়েকটা প্লটও খালি। এমন তো হতে পারে যে, এই প্লটটাতে অভিশপ্ত কিছু একটা ছিল। হয়তো এখানে কেউ গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে কিংবা আরো খারাপ কিছু। এ বিষয়গুলো তো কেউ সহজে প্রকাশ করতে চায় না।
-হিমুগিরি আর কত করবি! চাপাবাজি বাদ দে। এসব ভাওতাবাজী দিয়ে আমাকে ভয় দেখাতে পারবি না। তোর ঘটনা তো আমি বুঝি। ধানমন্ডির বাসাটা তোর হোস্টেল থেকে কাছাকাছি ছিল যখন তখন আসতে পারতি। আর উত্তরা একটু দূর হয়ে যায়। তাই না?
মাজেদ মাথা চুলকাতে থাকে। ব্যাপারটা রানু আপা যে সহজেই ধরে ফেলবে তা সে বুঝতে পারেনি। বললো, ঠিক তা না। তবে তুমি তো আমাকে পাত্তা দিলা না, ব্যাপারটা দুলাভাইকে জানাতে হবে।
-তোর দুলাভাই রাত এগারোটার আগে ফিরবে না। কাজেই রাতটা থাকতে হবে। থাকবি?
-রাতে থাকা যাবে না। সকালে ক্লাশ আছে।
-তাহলে পরেরবার এসে তোর দুলাভাইকে বলে যাস।
রান্নাঘরের দিকে চলে গেল রানু। ঢাকা কলেজে অনার্স পড়ুয়া চাচাতো ভাইটার জন্য মায়া হয় রানুর। ধানমন্ডির বাসায় থাকতে দু’একদিন পরপর আসতো। ছেলে মেয়ে দুইটাও ওর খুব নেওটা। ছোটমামা বলতে প্রায় পাগল। মাজেদ বাসায় এলে বরং ভালোই লাগে। আত্মীয়হীন ঢাকা শহরে নিজের মানুষ পাওয়া তো খুবই মুশকিল একটা ব্যাপার। ওদিকে, বছর বছর বাড়ি ভাড়া বেড়ে প্রায় সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছিলো ধানমন্ডির বাসাটা। তাছাড়া আবরারের বাবার অফিসটাও গাজীপুর শিফট হলো। আবরার এখনো ছোট ক্লাশে পড়ে, মিতুর এখনো স্কুল শুরু হয়নি। কাজেই এলাকা পাল্টানোর জন্য এটা একটা ভালো সুযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই বাসাটা একটু বেশি ভেতরে। লিফট চালু হয়নি এখনো। তাই ছয়তলায় ওঠানামাতে ওদের একটু কষ্টই হচ্ছে।
রাত নয়টার দিকে ডাইনিং টেবিলে খেতে বসেছে মাজেদ। আবরার পাশের চেয়ারে বসে মামাকে তার ব্যাটারী চালিত লাল গাড়িটা কিভাবে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে খুলে আবার জোড়া লাগিয়েছে তার বর্ণনা দিচ্ছে। মাজেদও মন দিয়ে শুনছে। ভাগ্নের এসব খুঁটিনাটি বিষয় তার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়। গ্রাম থেকে ঢাকা এসে প্রথম কম্পিউটার গেইম কিভাবে খেলতে হয় তা এই ভাগ্নের কাছেই শেখা। খেলা শেষ হবার পর যে কম্পিউটার ‘শাট-ডাউন’ দিতে হয় সেটাও ভাগ্নেই দেখিয়েছে। এগুলো নেহাতই তিন-চার বছর আগের স্মৃতি। তবে এরপরের সময়গুলোতে বন্ধনটা আরো বেশি দৃঢ় হয়েছে। কাজেই ওরা বাসা শিফট করে উত্তরা চলে আসায় একটু বেকায়দা তো হয়েছেই। আবরার বললো, আচ্ছা মামা, তুমি আমাকে একটা রিয়েল ক্রিকেট ব্যাট কিনে দেবে?
-ব্যাট তো তোর আছেই। আবার আরেকটা লাগবে কেন?
-ওটা তো টেনিস বলের। আমার রিয়েলটা লাগবে। সাকিব ভাইয়া যেটা দিয়ে খেলে ওরকম।
-কাঠের বলের জন্য?
-হ্যাঁ মামা। বাবা বলেছে, আমাকে ক্রিকেট একাডেমীতে ভর্তি করে দেবে। আরেকটু বড় হয়ে বিকেএসপিতে ভর্তি হবো। তারপর সাকিব ভাইয়ার মতো আইপিএল-বিপিএল খেলে বেড়াবো।
-সাকিব ভাইয়া তো শুধু আইপিএল-বিপিএল খেলে না, জাতীয় দলেও খেলে। জাতীয় দলে খেলবি না? বাংলাদেশ দলে?
-খেলবো। সব খেলবো।
-গুড। আগে জাতীয় দল, তারপর আইপিএল-বিপিএল।
-আচ্ছা মামা, সাকিব ভাইয়াকে আমিও ভাইয়া বলি, তুমিও ভাইয়া বলো। তুমি ভাইয়া বললে তো সে আমার মামা হবে। তাহলে আমি কি মামা ডাকবো?
-মামা ডাকার দরকার নাই। সাকিব ভাইয়া হলো সবার ভাইয়া। যেমন চাঁদ মামা হলো সবার মামা তেমনি সাকিব ভাইয়াকে তুই ভাইয়া বললেও সমস্যা নাই। ঠিক আছে?
-ওকে বুঝেছি। তাহলে আমাকে একটা ব্যাট কিনে দিও।
-আচ্ছা দেবো।
ডিংডং।
কলিংবেল বাজতেই আবরার ছুটে গেল দরজার দিকে। রানু দরজার আইহোলে চোখ রেখে বললো, বাবা আসেনি। চারতলার আন্টি এসেছে।
রানু দরজার খোলার আগেই আবরার ছুটে গেল মামার পাশের চেয়ারটার উদ্দেশ্যে। কাছাকাছি যেতেই দেখলো মিতু ইতিমধ্যে চেয়ার দখল করে ফেলেছে। আসন্ন সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে আবরার দ্বিতীয় মাত্রার চিৎকার দিলো, আম্মু!
আবরারের ডাক শুনেও যেন শুনলো না রানু। দরজার খুলতেই চারতলার ভাবী হাসি হাসি মুখে বললেন, ভাবী কাঁচামরিচ আছে?
-আছে, ভেতরে আসুন।
ভেতরে আসবো না ভাবী- বলেও গুটি গুটি পায়ে ভেতরে এলেন চারতলার ভাবী। বললেন, মেয়েটা এতো জ্বালায় আর বলবেন না ভাবী। চিকেন খাবে চিকেন খাবে করে সন্ধ্যা থেকে অস্থির, আর এখন খেতে বসে বলছে ডিম মামলেট খাবে।
-বাচ্চা মানুষ, একটু তো জ্বালাবেই।
-বাসায় কাঁচামরিচ নেই। ওদিকে দারোয়ানটাও ফোন ধরছে না। নামায পড়তে মসজিদে গেছে কিনা কে জানে! বয়স্ক একটা দারোয়ান! কবে যে পাল্টাবে?
-মনে হয় না সহজে দারোয়ান চেঞ্জ করা হবে। তবে এখনো তো অনেক ইউনিট খালি আছে। সবগুলোতে মানুষ উঠে গেলে আরেকটা দারোয়ান রাখতে হবে। বসেন ভাবী, আমি মরিচ আনছি।
এই ভাবী প্রচুর কথা বলে। একবার গল্প শুরু করলে আর থামানো যাবে না। কাজেই তাড়াতাড়ি বিদায় করতে হবে। হাতে করে কাঁচামরিচের বাটিটা এনে রানু বললো, যে ক’টা লাগে নেন।
কাঁচামরিচ হাতে নিতে নিতে চারতলার ভাবী বললেন, বাসায় কি গেস্ট এসেছে?
-হ্যাঁ ভাবী। কাজিন এসেছে। ঢাকা কলেজে পড়ে।
-ও। তাহলে আর ডিস্টার্ব না করি।
-না না ডিস্টার্বের কী আছে।
-কিসে পড়ছে কাজিন?
-ম্যাথে, সেকেন্ড ইয়ার।
-বাহ্, ভালো তো। ঠিক আছে ভাবী, আজ উঠি।
রানু কিছু বলার আগেই ভাবী উঠে পড়লেন। দরজার কাছাকাছি গিয়ে হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ালেন। বললেন, আচ্ছা ভাবী, বাসায় কেমন যেন একটা স্মেল পাচ্ছি।
-মাঝে মাঝে আমিও পাই। সম্ভবত গ্যাসের গন্ধ।
-ঠিক, গ্যাসের স্মেল।
-গ্যাসের লাইনে সমস্যা আছে। তবে সবসময় গন্ধ পাই না, মাঝে মধ্যে পাই। আবরারের বাবা ফ্ল্যাট মালিকের সাথে কথা বলেছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই মিস্ত্রি পাঠানোর কথা আছে।
-সাবধানে থাকবেন ভাবী।
রানু একটা অর্থপূর্ণ হাসি দেবার চেষ্টা করলো।
- আরেকটা কথা ভাবী, কিচেনের এগজোস্ট ফ্যানটা চালিয়ে রাখবেন সবসময়।
রানু আবারো হাসার চেষ্টা করলো। চারতলার ভাবী বিদেয় হলেন। দরজা লাগিয়ে ভেতরে ঢুকতেই মাজেদ বললো, বললাম না, বাসায় অশুভ কিছু একটা আছে। আমাকে তো পাত্তাই দিলে না।
-কোনো পাত্তা টাত্তা নাই। তুই খা। আরেকটা মাছ নিবি?
-বেশি থাকলে দাও।
মাজেদের প্লেটে আরেকটা মাছ তুলে দিতে দিতে রানু বললো, তোর জন্য একটা ভালো আইডিয়া পেয়েছি।
-কী?
-উত্তরায় একটা টিউশনি শুরু কর। সপ্তাহে তিন/চার দিন আসবি। পড়াবি। আর এখানে এসেও ঘুরে যাবি।
-মন্দ বলো নি। কিন্তু টিউশনি পাওয়াটা একটু কঠিন ইদানিং।
-দাঁড়া দেখি, ম্যানেজ করা যায় কিনা। চারতলার ভাবীর মেয়েটা ক্লাশ থ্রিতে পড়ে। ওর জন্য টিউটর খুঁজছে। এতো ভেতরে বাসা যে, টিউটর আসতে চায় না। কথা বলবো?
-বলো বলো। খুবই ভালো হয়।
রানু ভাবলো, কাল বিকালে বাচ্চারা যখন ছাদে খেলতে যাবে, তখন বিষয়টা নিয়ে ভাবীর সাথে আলাপ করতে হবে।
আবরারের বাবা ফিরলো রাত সাড়ে-বারোটায়।
বাচ্চারা সাধারণত দশটা-সাড়ে দশটার মধ্যেই ঘুমিয়ে যায়। মাজেদ চলে যাবার পরে বাচ্চারা খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেছে। রানু এগারো পর্যন্ত অপেক্ষার পর রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছে। আবরারের বাবার কাজেই চাপ বেড়ে গেছে ইদানিং। মাঝে মধ্যেই মাঝ রাতে ফেরেন। অফিসের গাড়ি এসে বাসার গেটে নামিয়ে দিয়ে যায়। কাজেই খুব একটা টেনশন হয় না। তবে দারোয়ান চাচা তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন, তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে হয় আরকি।
রাতের খাবার সেরে একটা গল্পের বই নিয়ে কিছুক্ষণ সোফায় লেপ্টে থাকলো রানু। অন্যান্য ভাবীদের মতো টিভি সিরিয়াল দেখার অভ্যাস তার নেই, তবে বই পড়ার অভ্যাস আছে। পড়তে পড়তেই ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসছিলো বারবার তবুও আবরারের বাবার খোঁজ নেই। সাধারণত দেরি হলে ফোন করে জানায়। আজ কল করেনি, তারমানে খুব একটা দেরি হবে না। মানুষটা ইদানিং খুব পরিশ্রম করে। ওর খুব ইচ্ছা দেশের বাইরে সেটেল হয়ে যাবে। দেশে নাকি ভালো লাগে না। বিদেশে নাকি নাগরিক সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো। তাছাড়া এখন বিদেশ গেলে বাচ্চাদের এডজাস্ট হতে খুব একটা সমস্যা হবে না। ওদের পড়াশোনাও ভালো হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে রানুর এসব ভালো লাগে না। নিজের মানুষ ছেড়ে নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ যাবার কথা একবারের জন্যও তার মাথায় আসে না। বিয়ের পর প্রথম প্রথম ঢাকায় এসেই বাড়ির জন্য, বাড়ির মানুষগুলোর জন্য তার মন অনেক কেঁদেছে। কিন্তু আবরারের বাবার ভিন্ন মত।
রাতে আবরারের বাবার সাথে খুব একটা কথা হলো না রানুর। মানুষটা বোধ হয় আজ একটু বেশি ক্লান্ত। ডাইনিং টেবিলে টুকটাক কথা হলো। কাল সন্ধ্যায় রানুকে রেডি থাকতে বলেছে, অফিসের কোনো এক কলিগের বিয়ের প্রোগ্রাম। কাজেই অফিস থেকে একটু আগেই ফিরবে কাল, তারপর একসাথে প্রোগ্রামে যাবে।
রানুর ঘুম ভাঙ্গলো ভোর ছয়টায়।
আগে এলার্ম দিতে হতো। ইদানিং অভ্যাস হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে যেদিন একটু দেরি হয়ে যায়, সেদিন আর ফজরের নামাযটা পড়া হয় না। শীতের শুরু, এখনো ভোরের আলো ফুটেনি। আরেকটু পরেই পূর্ব আকাশে লাল সূর্যটা ফুটবে, চারপাশে খানিকটা কুয়াশার চাদর থাকার সম্ভাবনা আছে যদিও। তবে ফজরের নামাযটা পড়ার সময় আছে।
চোখ ডলতে ডলতে রান্নাঘরের দিকে এগোলো রানু। ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা খাবার অভ্যাস ওর অনেক পুরোনো। চায়ের পানিটা বসিয়ে দিয়ে ওযু করতে যাবে। তারপর নামায পড়ে এসে এক কাপ গ্রীন-টি খাবে।
প্রতিদিনের এই রুটিনটা আজ ঠিকঠাক মতো চললো না। রান্নাঘরের বাতি জ্বালিয়ে চায়ের পাতিলটা চুলায় তোলার পর ম্যাচের কাঠিটা জ্বালতেই ভয়ংকর শব্দে বিস্ফোরণ হলো। রানু ছিটকে পড়ে গেল মেঝেতে। কী হলো, কেন হলো কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানু দেখলো সারাবাড়িময় আগুন আর আগুন। ওর শাড়ীতেও আগুন জ্বলছে। আগুনের শিখা আর উত্তাপে চোখ মেলতে পারছে না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দৌড়ে শোবার ঘরে চলে এলো সে। সেখানে আগুনের মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেশি। বিকট শব্দের কারণে আবরারের বাবার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। সে নিজেও বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে! চারপাশে এতো আগুন কেন? তার শরীরে, বাচ্চাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। বাচ্চারা ঘুমের মধ্যেই চিৎকার করছে কিংবা তাদেরও ঘুম ভেঙ্গে গেছে। রানু জানে না কী করবে। সে চিৎকার করলো, আবরারের বাবা, তুমি বাচ্চাদের নিয়ে বের হও আমি নিচে যাচ্ছি সবাইকে ডাকতে।
আবরারের বাবা রানুর কথা শুনলো কিনা তা রানু জানলো না। সে দৌড়ে নামা শুরু করলো সিঁড়ি দিয়ে। চারতলার দরজার সামনে আচমকা দাঁড়ালো। কলিংবেল টিপলো টানা কয়েকবার তারপর পাগলের মতো দরজার ধাক্কালো। চিৎকার করে বলছে, ভাবী গেট খুলেন। আমাদের বাসায় আগুন লেগেছে। আমার বাচ্চা দুইটা আগুনে পুড়ছে। ওদের বাঁচান।
দ্রুতই চারতলার ভাবী দরজার খুললেন ঘুম ঘুম চোখে। তবে সারা গায়ে আগুন নিয়ে একটা মানুষকে চিৎকার করতে দেখে তিনি সাথে সাথেই দরজা বন্ধ করে ফেললেন। তিনি জানেন না এটা কেন করলেন! হয়তো তিনি রানুকে চিনতে পারেননি কিংবা চিনতে পারলেনও জ্বলন্ত একটা মানুষকে দেখে ভয় পেয়ে গেছেন কিংবা অন্য কিছু। যা কেবলমাত্র এই অদ্ভুত শহরের মানুষের পক্ষেই সম্ভব।
রানু সাহায্যের আশা করেছিল। কিন্তু মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দেবার পরে সে আর কিছু বলতে পারেনি। দুই সেকেন্ড দাঁড়িয়ে রইলো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে, তারপর দৌড়ে নামতে থাকে নিচের দিকে। অন্য কোনো বাসায় নক করার কথা তার মাথায় এলো না। শাড়ীর প্রায় বেশিরভাগ অংশই জ্বলে গিয়ে চামড়া পর্যন্ত আগুন চলে যাচ্ছিলো ফলে জ্বালাতন বাড়তে লাগলো।
বয়স্ক দারোয়ান চাচা সবে মসজিদ থেকে নামায থেকে ফিরে চৌকিতে শুয়েছেন। সিঁড়ি দিয়ে জ্বলন্ত রানুকে নামাতে দেখার আগেই খানিকটা চিৎকার চেঁচামেচী শুনেছেন তিনি। রানুর সারা শরীরে আগুন দেখে তিনি ছিটকে উঠে দাঁড়ালেন। তাঁর চৌকিতে পাতা পাতলা তোষক দিয়ে জড়িয়ে ধরলেন রানুকে। রানুর শরীরে আগুন তখনো জ্বলছে। দ্রুতই কোথা থেকে যেন আধ-বালতি পানি এনে ঢাকলেন তোষকে। ধোঁয়ায় ভরে গেল পুরো গ্যারেজ। দারোয়ান চাচা বাড়ির মেইন গেটের তালা খুলে ফেললেন তারপর চিৎকার করে আশেপাশের মানুষ ডাকার চেষ্টা করলেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই একদল মানুষ বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। ছয়তলায় উঠে আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কেউ হয়তো ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেছিলো ফলে দূর থেকে সাইরেন বাজিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাহসী মানুষদের গাড়ি আসতে শোনা গেল। আর একটা সবুজ রঙ্গের সিএনজি অটো রিক্সায় করে দারোয়ান চাচাকে দেখা গেল রানুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
এরপরে কী হয়েছিলো তা আমরা আলোচনা করতে চাই না। হয়তো রানু বেঁচে গিয়েছিলো কিংবা শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় সত্তরভাগ পুড়ে যাবার কারণে সে মারা গিয়েছিলো। আবরার, মিতু কিংবা তাদের বাবার খবর আমরা টেলিভিশনের খবরে কিংবা পত্রিকার মাধ্যমে পাই। কিন্তু ফ্ল্যাটের মালিক যে সময়মতো গ্যাসের লাইন মেরামত করেনি কিংবা সেই ডেভেলোপার কোম্পানী যারা সবকাজ ঠিক মতো শেষ না করে বা সবকিছু সঠিকভাবে চেক না করে বিল্ডিং হ্যান্ডওভার করেছে তাদের কথা কিংবা চারতলার সেই ভাবী যিনি আগের সন্ধ্যায় কাঁচামরিচ ধার নিয়েছিলেন যা আর কখনো ফিরিয়ে দিতে পারেননি- তাদের কথা আমরা কখনো জানতে পারি না। শুধু জানতে পারি, সেদিন কুয়াশা কেটে গিয়ে একটা টকটকে লাল সূর্য উঠেছিল। যে সূর্যটা ঢাকাবাসীর কারো জন্য ওঠেনি, শুধুমাত্র সিএনজি অটোরিক্সার গ্রিলের ভেতর কাঁতরাতে থাকা রানুর জন্য উঠেছিল।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই । ভালো থাকবেন।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন:
কষ্টজনক গল্প
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: জ্বী আপু। তবে এরকমটা আমাদের ঢাকাতেই ঘটে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার সাবলীল লেখনী ।
শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।
ভালো থাকবেন।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন:
আহা জীবন
আহারে বাস্তবতা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: জ্বী আপু, খুবই মর্মান্তিক ছিল।
ভালো থাকবেন।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
শের শায়রী বলেছেন: সাবলীল লেখনি। শুভ কামনা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ শের শায়রী ভাই।
ভালো থাকবেন।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনন্য লিখনী।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উন্নতমানের পরিপক্ক লেখা! গল্পে গল্পে দারুণ ম্যাসেজও দিয়ে দিলেন! পোস্টে বিশাললললল একটা লাইক।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০
ফয়সাল রকি বলেছেন: বিশাললললল একটা লাইকের জন্য বিশালললললল একটা ধন্যবাদ।
আপনি সম্ভবত আমার ব্লগে এই প্রথম মন্তব্য করলেন।
স্বাগতম এবং ধন্যবাদ।
৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পটা ব্স্তবময়।
রানুর জন্য মন খারাপ হলো।
+++++
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: লিখতে গিয়ে আমারো মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো। বুঝতে পারছিলাম না যে, কিভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়।
যাই হোক এত্তোগুলো প্লাসের জন্য এত্তোগুলো ধন্যবাদ।
৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: গল্পের প্লট খুব সুন্দর। প্যারা করে নাম্বারিং দিলে প্রতিটা ঘটনার টাইম ফ্রেম পরিষ্কার ভাবে বুঝে যেত।
নীচের শেষ প্যারা আরেকবার রি-রাইট করুন। দেখবেন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
তবে আমি গল্পের শেষ পাঠকের সাথে এভাবে সরাসরি কথোপকথনে না যাওয়াটাই পছন্দ করি। আপনি গল্পটা বলে, কারণ বলে পাঠকের কাছে ছেড়ে দিন। তারাই ভেবে নিক, চিন্তা করে বের করুক। এভাবে পাঠক'কে নিজের লেখায় সম্পৃক্ত করলে গল্প জমে উঠে।
অন্য কিছু মনে করবেন না। আমি আপনাকে হেল্প করতে চেয়েছি শুধু।
গল্পে লাইক।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, বরাবরের মতো গঠনমূলক চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শেষ প্যারা নিয়ে আপনার মতামতটা আমার কাছে একটু অন্যরকম, তাই হয়তো দিয়েছি। তবে নাম্বারিং এর ব্যাপারটা মাথায় আসেনি। যাই হোক, আপাতত লেখা তো প্রিন্ট করে ফেলেছি পরবর্তী সময়ে বিষয়টা মাথায় রাখবো।
আরেকটা কথা, আপনি যে আমাকে হেল্প করতে চেয়েছেন, ব্যাপারটা নিয়ে আমার মোটেও সন্দেহ নেই। আপনার কাছে অনুরোধ, পরবর্তীতেও সাজেশন দেবেন, এতে আমার উপকার হয়।
ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: আসলে ব্লগে সাহায্য করতে যেয়ে মাঝে মাঝে আমাকে কটু কথাও শুনতে হয়েছে। তবে আমি চেষ্টা করি সবাইকে সাহায্য করার। মাত্র ছোট্ট একটা হেল্প লেখাকে আমূল পালটে দেয়। কোন গল্প লেখার সময় নাম্বারিং এর ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। এটা আপনার অনেক ঝামেলা বাঁচিয়ে দেবে। এই গল্পে ডিংডং প্যারা কিছুক্ষণ পড়ার পর বুঝা যাচ্ছে যে এটা অন্য/পরের সময়ের ঘটনা।
আপনার কাছে অনুরোধ, পরবর্তীতেও সাজেশন দেবেন, এতে আমার উপকার হয়। - ঠিক আছে। যতটুকু পারি আমি চেষ্টা করবো।
শুভ কামনা রইলো।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০০
ফয়সাল রকি বলেছেন: টেনশন নেবেন না, মোটেও কটু কথা শোনার সুযোগ পাবেন না।
ভালো থাকবেন।
১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অসম্ভব সুন্দর লেখা। বই কেনার অপেক্ষায় রইলাম। ++
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ সৌরভ ভাই।
বই কিনবেন জেনে খুবই আনন্দিত বোধ করছি।
মেলায় দেখা হবে আশা করছি। ভালো থাকবেন।
১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার লেখনী আপনার। পুরো বইটা পড়ার আগ্রহ হচ্ছে...
আপনি কি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লিখেছেন? পড়তে পড়তে পত্রিকা/ টিভিতে দেখা দুঃখজনক ঘটনা মনে পড়ল।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা। এরকম একটা ঘটনা কয়েক বছর আগে ঘটেছিল ঢাকায়, সম্ভবত উত্তরায়।
বইমেলায় আসছে। আপনার হাতে কিভাবে পৌঁছানো যায় বলুন তো, চেষ্টা করবো।
১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
ফাহমিদা বারী বলেছেন: সাবলীল লেখা। পড়তে খুব ভালো লেগেছে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
ভালো থাকবেন।
১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো সাবলীল লেখা পড়তে।
পোস্টের ছবি দেখে ভেবেছিলাম আপনার আবার বইমেলায় বই আসছে কিনা।
শুভকামনা রইল
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
বইমেলায় গল্পগ্রন্থ আসছে তো একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম এ বিষয়ক-
যে সূর্যটা রানুর জন্য উঠেছিল....
ভালো থাকবেন।
১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সুন্দর লেখা, ভালো লাগল
..............................................
শুভকামনা থাকল
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল ভাই।
ভালো থাকবেন।
১৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঝরঝরে গল্প!
জরুরী মেসেজ।
সমস্যা হলো যাদের জন্য মেসেজ তারা যে গল্প পড়ে না।
তাদের কেবলি অর্থ গৃধ্নুতা। তা মানুষের প্রাণ গিয়ে হোক, পঙ্গু হয়ে হোক তারা বিকারহীন!
আমজনতার জীবনই শুধু বদলায়, নতুন লাল সূর্যের সাথে সাথে - - -
+++++
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভৃগুদা।
কথাটা ঠিকই বলেছেন, ...সমস্যা হলো যাদের জন্য মেসেজ তারা যে গল্প পড়ে না। .... আমজনতার জীবনই শুধু বদলায়, নতুন লাল সূর্যের সাথে সাথে ...
ভালোলাগা জানবেন।
১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রকিভাই,
আমি কিন্তু ব্লগে দেরিতে এলেও গল্পটি আগে পড়েছি। শহুরে ব্যস্ততাময় জীবনে বাস্তবধর্মী গল্পে ভালোলাগা রেখে গেলাম। পোস্টে একাদশ লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম।
একটা কথা, টানা একবারে পড়তে গিয়ে কি কোথাও খাপছাড়া মনে হয়েছে?
ভালো থাকবেন।
১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৮
আনমোনা বলেছেন: প্রতিদিনের ঘটনা, বা দূর্ঘটনা। কষ্টদায়ক।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২১
ফয়সাল রকি বলেছেন: এসব মেনে নেয়া খুবই কঠিন, কষ্টকর।
ভালো থাকবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ময়ূরী বলেছেন: কষ্টদায়ক।
লেখায় ভালা লাগা জানিয়ে গেলুম সঙ্গে লেখকের জন্যে দোয়া।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ময়ূরী। ভালো থাকবেন।
২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৫
করুণাধারা বলেছেন: ফয়সাল রকি, আমি বইমেলায় যাই না ধূলাবালিতে অসুস্থ হয়ে পড়ি দেখে, কিন্তু ব্লগারদের বই ঠিকই সংগ্রহ করে নিতে পারি।
আপনি আমাকে বইটা দিতে চেয়েছেন বলে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু আমি প্রতিবছর যেমন রকমারি থেকে সহব্লগারদের বই কিনি, এবারো তেমনি কেনার পরিকল্পনা আছে, আপনার বইটাও আমার তালিকায় আছে। আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আপনার বইটা রকমারিতে চলে আসবে...
এই বই ভালো লাগুক সবার- শুভকামনা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: তালিকায় আমার বইয়ের নাম রেখেছেন জেনে খুবই আনন্দিত হলাম।
না যাবার কারণটা জানা ছিল না। আমিও খুব একটা সময় দিই না, বা দিতে পারি না। অফিসে প্রায়ই রাত আটটা-নয়টা পর্যন্ত থাকতে হয়। তবে কোনো এক শুক্রবার/শনিবার বউ বাচ্চা সমেত উপস্থিত হই।
রকমারিতে এখনো আসেনি। তবে চলে আসবে আশা করি।
ধন্যবাদ।
২১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
তন্ময় সাগর বলেছেন: বেশ লাগলো।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় সাগর ভাই। ভালো থাকবেন।
২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: গল্পের শুরু ভালো লেগেছে কিন্তু পড়তে পারব না, আমি কাজে ব্যস্তা থাকি এবং আজি সত্য প্রেম উপন্যাসে কাজ করছি।
আপনার সলতা কামনা করছি।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে সময় করে পুরাটা পড়বেন আর আরেকটা মন্তব্য দেবেন আশাকরি।
২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এবার পড়েছি, আপনিও আরেকবার পড়লে ভালো হবে, আরও উন্নত হবে। গ্যাসের লাইনে সমস্যা হলে সর্বনাশ হয়। সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিৎ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আব্দুলহাক ভাই। আমি লেখার মান উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবো।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: একদম ঝরঝরে লেখা।