নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চূড়ান্ত রকম ফাঁকিবাজ একজন মানুষ আমি!

ফয়সাল রকি

Know thyself.

ফয়সাল রকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: তিন নম্বর বেড

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৭



বসে থাকতে থাকতে ঝিমুনির মতো চলে এসেছে। এটা অ্যানেসথেসিয়ার ফলাফল কি না সেটাও বুঝতে পারছি না। যাইহোক, অনুভূতিটা মন্দ নয়। মাঝে মাঝে সবকিছু স্লো-মোশন ছবির মতো চলছে, আবার মাঝে মাঝে ঝিমুচ্ছি। হঠাৎ সুরুজ ভাই বললেন, এই পটকা, এদিকে আয়। তিন নম্বর বেডে শুয়ে পড়।

সুরুজ ভাই হলেন ডেন্টিস্ট, মহল্লার বড়ো ভাই। আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। তাঁর চেম্বারে এলে নিজের ছোট ভাই’র মতোই দেখেন। তাঁর চেম্বারটা অবশ্য অন্যান্য চেম্বার থেকে কিঞ্চিত আলাদা। সারি সারি করে চারটা বেড সাজানো, প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা ইন্সট্রুমেন্ট রাখা। পাশাপাশি আরেক সারিতে কয়েকটা চেয়ার রাখা। সেগুলোর একটাতে বসেই ঝিমুচ্ছি। তাঁর আন্ডারে দু’তিনজন বিডিএস ডাক্তার থাকলেও প্রত্যেক রোগীর প্রতি তাঁর নিজের নজরদারী করা চাই। ফলে আমার মতো কেউ কেউ বসে ঝিমায়, আবার কেউ কেউ ব্যথায় কাতড়াতে কাতড়াতে দাঁতে দাঁত চেপে সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করে। সুরুজ ভাই একটা এসিস্ট্যান্টকে ডেকে আমার দিকে ইশারা করে বললেন, সোলায়মান, লোকাল দিয়েছিস কতক্ষণ আগে?
- স্যার, বিশ মিনিট হবে। আবার দিবো?
ব্যাটা বলে কী! মিনিট বিশেক আগে ডান গালের ভেতরের মাংসে যে লোকাল অ্যানিস্থিশিয়া দিয়েছে তার যন্ত্রণায় তো কূল পাচ্ছি না! গাল নাড়াতে পারছি না। সুরুজ ভাই বাঁচিয়ে দিলেন, বললেন, থাক, লাগবে না। তুই ট্রে রেডি কর।
আমি গুটি গুটি পায়ে তিন নম্বর বেডে গিয়ে শুলাম। এটাকে বেড না বলে আসলে চেয়ার বললেই ভালো হয়। আশে পাশে অনেক সুইচ, ইচ্ছে মতো দেহের বিভিন্ন অংশ ওঠানামা করা যায়, মাথার ওপর অপারেশন থিয়েটার স্টাইলের একটা লাইটও আছে। পাশের ট্রেতে নানান কিসিমের যন্ত্রপাতি। রুট ক্যানেল করার সময় দাঁতের রুট খোঁচানোর জন্য বিভিন্ন মাপের খোঁচানো কাঠি দেখা যাচ্ছে। সেবার একটা দাঁতে রুট ক্যানেল করানো হয়েছিল। উফ! রুট ক্যানেলের সময় যখন দাঁতের ভেতরে বারবার খোঁচাচ্ছিলেন, তখন কী যে একটা অমানুষিক আনন্দ হচ্ছিলো বলে বোঝানো যাবে না। যে পরিমাণ ব্যথা নিয়ে ডেন্টিস্টের কাছে এসেছিলাম, মনে হচ্ছিলো সে ব্যথাটাই খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাড়াচ্ছে!

কতক্ষণ তিন নম্বর বেডে পড়ে রইলাম জানি না। ঝিমুনিটা আরো গাঢ় হচ্ছিলো। এর মাঝে কখন যেন সোলায়মান এসে বুকের ওপর একটা ন্যাপকিন বিছিয়ে সেটার ওপর কিছু যন্ত্রপাতি রেখে গেছে বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ মনে হলো খুব কথা বলতে ইচ্ছা করছে, নিদেন পক্ষে গুনগুন করে একটা গান গাওয়া দরকার। গুনগুন করলাম কিন্তু কোনো আওয়াজ হলো না। সুরুজ ভাইকে ডাক দিলাম, কিন্তু এবারো আওয়াজ বের হলো না। সন্দেহ হলো, তাহলে কি লোকাল বেশি দিয়ে ফেলেছে যে ঠিক মতো ঠোঁট নাড়াতে পারছি না! ভুল করে কয়েক ফোঁটা গলায় চলে যায়নি তো আবার! অদ্ভুত একটা অনুভূতি হলো! গিনিপিগ গিনিপিগ মনে হলো নিজেকে। ঠিক এসময় সুরুজ ভাই এসে পড়লেন। পাশ থেকে চেয়ারটা টেনে মাথার পাশে কোণাকুনিভাবে বসলেন। সোলায়মানও যেন কোত্থেকে উদয় হলো। একটা ইউশেপ চিকন পাইপ মুখের একপাশে ঢুকিয়ে দিলো। সুরুজভাই বললেন, ভাইয়া মুখ হাঁ কর।
বড়ো একটা হাঁ করার চেষ্টা করলাম কিন্তু কতখানি বড়ো হলো বুঝতে পারলাম না। মাথার উপর অপারেশন লাইটটা জ্বালিয়ে দিলেন, তারপর নামিয়ে আনলেন মাথার কাছাকাছি। এ অভিজ্ঞতা নতুন না, কাজেই ভয় পাবার মতো কিছু হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে কপালটা খুব চুলকাতে ইচ্ছা হলো। মনে হলো, এখনি না চুলকালে মারা যাবো। সমস্যা হলো, এই মুহূর্তে এমন কিছুই করা যাবে না। হাত দুইটাই ন্যাপকিনের নিচে, পাশাপাশি সুরুজ ভাই এখন কাজ শুরু করেছেন। কাজেই নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে এখন চুলকানো যাবে না, আরেকটু পরে নিশ্চয় সুযোগ পাবো! এই জাতীয় সমস্যাগুলো খুবই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে আসে। যেমন, যখন খুব মনোযোগ দিয়ে ডান হাত দিয়ে কিছু একটা লিখছি ঠিক তখনি বামহাতের কব্জিতে মশা এসে বসবে। মশা বসেছে, দেখেছি কিন্তু তাড়াতে পারছি না। আবার লেখায় মনোযোগ দেবো ঠিক তখনি মশাটা কামড়াবে। শুধু কামড়িয়েই উড়ে যাবে তা নয়, কামড়িয়ে সে বসেই থাকবে, রক্ত খেতে থাকবে না মারা পর্যন্ত। তখন যদি মশার উপস্থিতিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ উপেক্ষা করা যায় তাহলে রক্ত খেতে খেতে ঢোল হয়ে ফুলে সেখানেই পড়ে থাকবে। আমি আপাতত নিজেকে বোঝাতে থাকি, একটু পরেই সুরুজ ভাই সরে যাবে, তখন একটা সুযোগ নেবো কপাল চুলকানোর। কপাল চুলকানোকে উপেক্ষা করার চেষ্টা আরকি।

সুরুজ ভাই বললেন, সবসময় দাঁতের অবস্থা খারাপ করে তোরা তারপর ডাক্তারের কাছে আসিস। এমন একটা সময় আসিস যখন আমার কিছু করার থাকে না।
কিছু একটা বলা দরকার কিন্তু কিছু বললাম না। তিনি বললেন, ঠিক করে বলতো কোন দাঁতটায় ব্যথা?
অনেক শক্তি সঞ্চয় করে মৃদু স্বরে বললাম, নিচের পাটির ডানদিকে।
উনি বললেন, উম হু। তোর নিচের পাটির দাঁত তো ঠিকই আছে। সমস্যা তো উপরের পাটিতে। শোন, অনেক সময় এমনটা হয়। উপরের দাঁতের সমস্যা কিন্তু ব্যথা মনে হয় নিচের দাঁতে।
কিছু বললাম না। উনি যা ভালো মনে করেন তাই করবেন। কিন্তু ব্যথাটা সত্যিই নিচের পাটির দাঁতে। সুরুজ ভাই হুকের মতো কিছু একটা বস্তু দিয়ে নিচের পাটির দাঁতে টাং টাং করে বাড়ি মারলেন। বললেন, লাগে?
লাগে, তবে সহ্য করা যায়। হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লাম।
উনি মুচকি হাসলেন। তারপর উপরের পাটির একটা দাঁতে টাং টাং করে বাড়ি মারলেন। এবার ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলাম। উনি বললেন, নিচের পাটিতে যে জোড়ে মেরেছি, উপরে তার অর্ধেকও মারিনি। বুচ্ছিস এইবার, ব্যথা কোন দাঁতে?
আবারো হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লাম। এই সামান্য বিষয়টা বোঝানোর জন্য এতো জোড়ে না মারলেও পারতেন। যাইহোক, এবার নিশ্চয় ট্রিটমেন্ট শুরু করবেন।

সুরুজ ভাই ট্রিটমেন্ট শুরু করলেনও। আমি বিরাট একটা মুখ হাঁ করে চুপচাপ শুয়ে আছি। আর উনি ইচ্ছামতো দাঁত খুঁচিয়ে যাচ্ছেন। খানিকক্ষণ পরে বললেন, তোর তো ছয় নাম্বার দাঁতের অবস্থা ভালো না। অবশ্য রুট ক্যানেল লাগবে না, একটা ফিলিং দিলেই হবে। ভালো ফিলিং আছে আমার কাছে, কয়েক বছর ঝামেলামুক্ত থাকতে পারবি। তারপর আবার আসবি।
হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লাম।
- কিন্তু সাত নাম্বার দাঁতটা মনে হয় এফেক্টেড। বরং এক্স-রে করে দেখি। কি বলিস?
আমার বলাবলির অপেক্ষায় না থেকে সোলায়মানকে ডেকে একটা এক্স-রে করতে বললেন। সুরুজ ভাইর চেম্বারে একটা ছোট্ট পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন আছে। ডিএসএলআর ক্যামেরার সাইজের। দেখতেও একদম ক্যামেরার মতো। সামনের দিকে লেন্সের মতো উঁচুও আছে, সম্ভবত ঐদিক দিয়ে রে বের হয়। যাই হোক, সোলায়মান ব্যাটা এক্স-রে ক্যামেরা বের করলো। তারপর আমার মুখের ভেতর একটা ফিল্ম ঢুকিয়ে দাঁতের পেছনে সেট করে ধরতে বললো। আঙ্গুল দিয়ে আটকে ধরলাম মুখের ভেতরে। আমি এসবে অভ্যস্ত। আগেও বেশ কয়েকবার এসবের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সোলায়মান এবার ক্যামেরা তাক করে রে পাঠিয়ে দিলো ফিল্মে। এক্স-রে শেষ। বললো, আরো দশ মিনিট ঝিমান, টাইম লাগবে।

এক্স-রে রিপোর্টটা হতে নিয়ে সুরুজ ভাই বললেন, সোলায়মান তোর হাত তো অনেক ভালো হয়ে গেছে। আট নাম্বার দাঁতও ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে। কিনননতু, আট নাম্বার দাঁতের অবস্থা তো আরো বেশি খারাপ। আক্কেল দাঁত! বের হতে গিয়ে ঠিক মতো বের হতে পারেনি। মাড়ির ভেতরে বাঁকা হয়ে সাত নাম্বার দাঁতের সাথে আটকে গেছে। ভেরি ব্যাড, ভেরি ব্যাড। সোলায়মান, আরেকটা এক্স-রে কর। এবার আট নাম্বার দাঁত ফোকাস করবি যেন পুরাটা আসে, ঠিক আছে?

সোলায়মান মাথা নাড়লো। আমি কিছুই বলার সুযোগ পেলাম না। আরেকবার এক্স-রে করা হলো।

এক্স-রে রিপোর্ট রেডি কিন্তু সুরুজ ভাই’র সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ঝিমুচ্ছি। হঠাৎ মনে হলো, কপালটা তো চুলকানো হলো না। এতক্ষণে অবশ্য চুলকানিটাও নাই। তবুও মৃদু একবার কপালটা চুলকে নিলাম। আশেপাশে ঘুরঘুর করতে থাকা সোলায়মানকে ইশারায় ডাকলাম। কাছে আসতেই বললাম, পানি খাবো।
সোলায়মান পানি আনতে গেল। ঠিক তখনি আবিস্কার করলাম, আমার আওয়াজ ফিরে এসেছে। আহ, শান্তি।
সোলায়মানের পানি নিয়ে ফেরার আগেই সুরুজ ভাই এসে এক্স-রে রিপোর্টটা হাতে নিলেন। অদ্ভুতভাবে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাসলেন। একবার এক্স-রের দিকে তাকান, একবার আমার দিকে তাকান! তারপর বললেন, কি রে পটকা, কী মনে হয়? ভালো না খারাপ?
বললাম, খারাপই তো মনে হয়।
- হুম, বেশ খারাপ।
ভয় পাওয়া দরকার কিনা বুঝতে পারছি না। বললাম, তাহলে?
- তাহলে আর কী, চুপচাপ শুয়ে থাক। যা করার আমি করছি। প্রথমে আক্কেল দাঁতটা তুলতে হবে। বাঁকা হয়ে মাড়ির ভেতর আটকে গেছে। উঠতে পারছে না। কিন্তু তোর তো এই দাঁতে ব্যথা হবার কথা, ব্যথা হয় না?
- না, ব্যথা নাই।
- আজব। তুই একটা আজব ছেলে। যে দাঁতের অবস্থা কাহিল সেটার ব্যথা নাই, আর যেটা সামান্য ক্যাভিটিতে ফুটা হয়ে যাচ্ছে সেটার ব্যথা নিয়ে এসেছিস!
বোকার মতো হাসলাম। ব্যথা না হলে তো আর জোড় করে ব্যথা আনতে পারবো না।
সোলায়মান পানি নিয়ে এসেছে। একটা সুইচ টিপতেই ঘাড়সহ মাথা উপরে উঠে গেল। আধ-শোয়া হয়ে পানি খেলাম।
সুরুজ ভাই বললেন, পেট কি ভরা না খালি?
প্রশ্নটা ঠিক বুঝলাম না। সেটা বুঝতে পেরে উনি বললেন, দাঁত তুলবো তো, আগামি কয়েকঘন্টা খেতে পারবি না। কাজেই যদি পেট খালি থাকে তো কিছু খেয়ে আয়।
বললাম, না, খিদা নাই।
- ঠিক আছে। শুয়ে পড় আবার।
শুয়ে পড়লাম। সুরুজ ভাই সোলায়মানকে কী কী যেন ইন্সট্রাকশন দিলেন, শুনতে পেলাম না। কিন্তু দেখলাম সোলায়মান দাঁতে বের করে হাসছে। খানিকক্ষণ পর একটা ইনজেকশন সিরিঞ্জ নিয়ে হাজির হলো সোলায়মান। আবারো কি অ্যানিস্থিশিয়া দেবে?
অ্যানিস্থিশিয়া দিয়ে সোলায়মান বললো, শুয়ে থাকেন পাঁচ-সাত মিনিট। স্যার আসতেছে।
স্যারের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আবার ঝিমুনি শুরু হয়ে গেল। অ্যানিস্থিশিয়া ইফেক্ট। এবার বোধহয় অবস্থা বেশি খারাপের দিকে চলে গেল। এলোমেলো একটা স্বপ্নও দেখে ফেললাম। কী দেখলাম মনে নাই। তবে স্বপ্ন ভাঙ্গলেও ঝিমুনি কাটে না। এর মাঝেই কখন যেন সুরুজ ভাই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমার হাঁ করা মুখের ভেতর ইচ্ছা মতো যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন। ব্যথা তেমন অনুভব করতে পারছি না, হালকা কিছু চাপ টের পাচ্ছি। যাই হোক, এর মাঝেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কি না বুঝতে পারলাম না। সুরুজ ভাই’র ডাকে চেতনায় ফিরলাম, ঐ পটকা, মুখ বন্ধ করিস না এখন। হাঁ কর। বড়ো হাঁ।
বড়ো একটা হাঁ করার চেষ্টা করলাম। চোখ খুলে স্পষ্ট করে তাকাতেই মাস্ক পড়া সুরুজ ভাই’র মুখমন্ডল প্রকট হলো। ঘেমে ভিজে গিয়েছেন, অথচ রুমে কড়া এসি চলছে। উনি বললেন, তোর কপালটা খারাপ রে পটকা। অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্তু সহজে বের হচ্ছে না। মনে হয় হাড় কেটে বের করতে হবে। কী বলিস?
আমি কিছু বলি না। বলার কিছু নাই। হাড় কাটা নিশ্চয় একটা বড়ো বিষয়, সেটার জন্য তিনি আমার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন না। তাছাড়া আমি ‘না’ বললে তো তিনি শোনার কথা না। নিচের পাটির দাঁতে ব্যথা নিয়ে এলাম, তিনি বললেন উপরের পাটির ছয় নম্বর দাঁতে সমস্যা। তারপর ক্রমান্বয়ে সাত এবং আট নম্বরে গিয়ে থামলেন। যা ভালো হয় তাই তো করবেন!
উনি আমার উত্তরের অপেক্ষাও করলেন না। সোলায়মানকে ডেকে আরো যেন কী কী সব বের করতে বললেন। মনে হলো সোলায়মান আবারো একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।
কেমন যেন একটা ঘোরের ভেতর চলে গেছি। সময় কিভাবে কাটছে বুঝতে পারছি না। সোলায়মান তার মতো যন্ত্রপাতি যোগান দিয়ে যাচ্ছে, সুরুজ ভাই এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি ঝিমুচ্ছি আর জাগছি। মুখ কিন্তু হাঁ করাই থাকে। হাঁ করে কিভাবে ঝিমুচ্ছি বোঝা যাচ্ছে না। যাই হোক, এবার ঝিমুনি কাটলো অদ্ভুত একটা শব্দে, তবে শব্দটা পরিচিত। চোখ মেলতেই দেখি সুরুজ ভাই আমার বুকের ওপর চড়ে বসেছেন, হাতে ড্রিল মেশিন। মেশিনটা বন্ধ করলেন, শব্দ থেমে গেল। পাশে তাকিয়ে দেখি সোলায়মানের হাতে ইলেকট্রিক কড়াতের মতো ছোট একটা যন্ত্র। যন্ত্রের মাথায় কড়াতের ব্লেডের মতো গোল একটা চাকতিও আছে! রীতিমত কেটেকুটে ফেলার আয়োজন। ভয়ে আত্মা বেরিয়ে আসার দশা হলো। হাত-পা নাড়ানোর চেষ্টা করতেই দেখি সেগুলো অসাড়, বেঁধে রেখেছে নাকি অ্যানিস্থিশিয়ার ফল বুঝতে পারলাম না। সুরুজ ভাই ড্রিল মেশিনটা চালু করে বললেন, একদম ভয় পাবি না। এরকম অনেক হাড় কেটে দাঁত বের করেছি। কোনো ব্যাপার না। সোলায়মান, কাটারটা রেডি রাখ।
সোলায়মান বললো, রেডি আছে স্যার।
- হাতুড়ি-ছেনি কই?
- সব রেডি স্যার। গাল কেটে দাঁত বের করবেন নাকি?
সুরুজ ভাই কোনো জবাব দিলো না। ড্রিল মেশিনের শব্দটা ধীরে ধীরে কাছে আসতে লাগলো। আমি বড়ো করে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে সম্ভাব্য বিপদের জন্য অপেক্ষা করছি। সুরুজ ভাই’র মুখমন্ডল থেকে গড়িয়ে দু’ফোঁটা ঘাম পড়লো আমার বুকের ওপর। ছ্যাঁত করে শব্দ হলো কি? ঘাম পড়লো নাকি এসিড? ড্রিল মেশিনের শব্দটা আরো প্রকট হলো, মনে হচ্ছে মুখের ভেতর ঢুকে গেল।
পরবর্তী কিছুক্ষণ কী হলো আমি বর্ণনা করতে পারবো না। ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছি। কোনো ব্যথাও অনুভূত হচ্ছে না। শুধু বুঝতে পারছি সুরুজ ভাই তাঁর সকল শক্তি আর অভিজ্ঞতা ঢেলে দিয়ে আমার দাঁত বের করার চেষ্টা করছেন। কতক্ষণ সময় গেল জানি না, হয়তো অনন্তকাল হবে। এক পর্যায়ে তিনি সফলভাবে একটা দাঁতকে তিন টুকরো করে বের করে বিজয়ীর হাসি হেসে বললেন, সোলায়মান, বলেছিলাম না, বের হবে! বের তো হতেই হবে।
বড়ো টুকরোটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, নে, সুভ্যেনির হিসেবে রাখ।
হঠাৎ করেই জ্ঞান হারালাম।

শীত শীত লাগছে।
চোখ মেলতেই একরাশ আলো এসে পড়লো। মাথাটা জ্যাম হয়ে আছে। গভীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে যেমনটা লাগে আরকি। হঠাৎ মনে পড়লো, ডেন্টিস্টের চেম্বারে ছিলাম। এখনো কি সুরুজ ভাইয়ের চেম্বারে আছি? দাঁত তোলা কি শেষ? চোয়ালটা নাড়ানোর চেষ্টা করতেই খুব সহজেই নাড়ানো গেল। অ্যানিস্থিশিয়ার প্রভাব কি শেষ? চেয়ারেই তো বসে আছি। হঠাৎ সুরুজ ভাই’র আওয়াজ পেলাম, এই পটকা, আর কত ঘুমাবি? উঠ, যা, তিন নম্বর বেডে শুয়ে পড়।

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো। তাহলে এখনো তিন নম্বর বেডে যাইনি? অ্যানিস্থিশিয়ার দুর্দান্ত প্রভাবে নেহাতই একটা দুঃস্বপ্ন দেখলাম। এ যাত্রায় তাহলে বেঁচে গিয়েছি। বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলাম। তারপর তিন নম্বর বেডের দিকে হাঁটা দিলাম। হঠাৎ মনে হলো প্যান্টের ডান পকেটে কী যেন খোঁচা লাগলো। হাত দিয়ে বের করে সামনে আনলাম, তিন টুকরো হওয়া দাঁতটার বড়ো টুকরাটা!

ছবি: ফ্লিকার

প্রকাশিত: যে সূর্যটা রানুর জন্য উঠেছিল
পাওয়া যাবে: নৈঋতা ক্যাফে
স্টল নং: ৪৮৩
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০।
অনলাইনে: রকমারী


মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কমনীয় প্রকাশ ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। ভালো থাকবেন।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাপরে কী ভয়ংকর। আসলেই দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেলে এমনই হয়। যে ডর লাগে ভাই , ড্রিল মেশিন ঢুকাইয়া কি না কী করে, আর হা করতে করতে জীবন শেষ, পারলে এরা সব দাঁতই নষ্ট করে আবার ঠিক করার জন্য রেডি
ভালো লাগলো

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমরা আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাঁতের যত্ন করি না, ছোট বেলায় তো ধুমায় চকলেট খাই আর নিয়মিত চেকাপ করাই না। ফলাফল হলো, যখন ডেন্টিস্টের কাছে যাই, তখন প্রায় সবগুলোর অবস্থাই কম বেশি খারাপ থাকে! তবে বড় হবার পর প্রথম যেবার একা একা ডেন্টিস্টের কাছে গেলাম তার আগের রাতে আমার এক বন্ধু খুবই ভয় দেখিয়েছিল! যাইহোক, যত কত ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া যায় ততই ভালো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রুদ্ধশ্বাস দাত উত্তোলন কাহিনী ;)

বেশ বাস্তবতা অনুভব করলাম নিজের দাত তোলার অভিজ্ঞতায় ;)
বুকের উপর ভর দিয়ে যখন সাড়াশি দিয়ে টানছিল, মি. বিনের মুভি মনে করে আর
প্রানান্তকর চেষ্টার রকম দেখে হাসিও আসছিল বেশ!

তবে হার্ড এনেস্থেসিয়ার পরও যখন দিব্যি হেটে হাসপাতল ছেড়েছি -সবাই বেশ অবাকই হয়েছিল।

পোষ্টে +++

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩০

ফয়সাল রকি বলেছেন: দাঁতের চিকিৎসা বড়োই ভয়াবহ একটা বিষয়! আপনার অভিজ্ঞতাও দুর্দান্ত! লোকাল দেবার পর তো ঘন্টা খানেক মুখই নড়াতে পারি না।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। কিন্তু চোখের ডাক্তার যেমন গেলেই চশমা ধরিয়ে দিতে চায়, দাঁতের ডাক্তারও তেমনি গেলেই ফিলিং, রুটক্যানেল ইত্যাদি করিয়ে দিতে চায়। দাঁত তুলে ফেলতে বলে। ভয়ে তাই যাওয়া হচ্ছে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে একবার দাঁতের ব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলাম। (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উল্টোদিকের দোতলা), গিয়ে যার হাতে পড়লাম, তিনি ডাক্তার না সহকারী, এখন আর মনে পড়ছে না। উনি কি সব দেখে টেখে বললেন দাঁত তুলে ফেলতে হবে। এবং এখুনি। ব্যথার চোটে আমিও আগাপাশতলা না ভেবে রাজী হয়ে গেলাম। এরপর উনি আমাকে একটা হাতল ভাঙ্গা কাঠের চেয়ারে বসিয়ে দাঁতে লোকাল অ্যানেসথেশিয়া দিলেন। আমি তাৎক্ষণিক ব্যথামুক্তির আনন্দে উদ্বেলিত। এরপর চেয়ারে বসিয়েই ছেনি, হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে ঠুকে আমার মাড়ির একটা দাঁত তুলে ফেললেন!! এখন ভাবলে গাঁ শিউরে ওঠে।

হলে ফিরে অ্যানেসথেশিয়ার প্রভাব কেটে গেলে মুখ ফুলে এক ফিট চওড়া হয়ে গেলো এবং ব্যথায় তিনদিন পাগলপ্রায় হয়ে ছিলাম। আপনার সুরুজ ভাইয়ের 'ছেনি হাতুড়ি' পড়ে মনে পড়ে গেলো।

লেখায় প্লাস।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: হা হা হা...আপনার অবস্থা তো আসলেই খারাপ হয়েছিল দেখছি! তবে সুরুজ ভাই ভদ্রলোক, গল্পের খাতিরে এসব লিখলেও তিনি কিন্তু এসব ব্যবহার করেন না!
অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৬

শের শায়রী বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা একদিন গেলাম দাতের ডাক্তারের কাছে শুধু পলিশিং আর স্কেলিং করার জন্য ব্যাটা কয় দাত তুল্যতে হবে, বুঝেন অবস্থা।

লেখায় ভালো লাগা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: ওদের ব্যবসাও সাধারণ এমবিবিএস ডাক্তারের থেকে কম! তাই বোধহয়, রোগী পেলে সদ্ব্যবহার করার ট্রাই করে কেউ কেউ!!!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের এলাকার এক চাচি গেছে দাতের ডাক্তারের কাছে কিন্তু দাত ট্রিটমেন্টের ২ দিন পর বুঝতে পারলেন সেই দাতে ব্যাথ ছিল সেটা ঠিক আছে পাশের দাতে ক্যাপ পড়ানো হয়েছে। হাসতে হাসতে শেষ।

ভয়াবহ অবস্থা দাত নিয়ে আমাদের।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: মজার কথা বললেন তো! তিনি কি আসলেই বুঝতে পারেন নি?
যাই হোক, দাঁতের যত্ন নিন নিয়মিত।
ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প।
আমার জীবনে আমি সবচেয়ে বেশী যত্ন নিয়েছি দাঁতের। অথচ আমার দাঁতের অবস্থা ভাল না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনার ক্ষেত্রে তাহলে ব্যতিক্রম কোনো সূত্র কাজ করেছে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

নিভৃতা বলেছেন: হা হা হা। গল্প পড়বো না মন্তব্য পড়বো! হাসত হাসতে পেটে খিল।
বেশ লিখেন আপনি। অশেষ ভালো লাগা।
আর একটা কথা, আমার উনি কিন্তু ডেন্টিস্ট :D

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১

ফয়সাল রকি বলেছেন: আগে গল্প পড়বেন, তারপর সাথে সাথে মন্তব্য করবেন এবং তারপর অন্যদের মন্তব্য পড়বেন!!! নতুবা কী মন্তব্য করতে চেয়েছিলেন তা ভুলে যাবেন।
আচ্ছা, আপনার উনার চেম্বারে কি ছেনি ডিল মেশিন কখনো দেখেছেন নাকি? সাবধানে থাকবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

পুলহ বলেছেন: গল্পের নির্মাণ প্রফেশনাল। ক্ষেত্র প্রস্তুত করে আচমকা পাঠককে রুদ্ধশ্বাস অনুভূতির মুখোমুখি করে দিলেন, তারপর আবার সব স্বাভাবিক.।.।
কিন্তু সত্যিই কি স্বাভাবিক? স্বাভাবিকতার রেশ মিলাতে-না-মিলাতেই তো গল্পের শেষ ট্যুইস্টটা হাজির। আবারো বলি- গল্প নির্মানে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন লেখক।
was a good read. thanks !

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ পুলহ।
আসলে সুুরুজ ভাই-র চেম্বারে তাঁর অস্ত্রের নিচে এতো সময় থাকতে হয়েছে যে, এসময় এই গল্পটা নিয়ে অনেক বারই ভেবেছি। পরে একদিন লিখে ফেললাম।
ভালো থাকবেন।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

করুণাধারা বলেছেন: দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া আর চিকিৎসার সময়টা আমার কাছে একটা বিভীষিকা বলে মনে হয়। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে যে গল্প লেখা যায়, আর সেই গল্পের শেষে একখানা টুইস্ট দিয়ে "সাঙ্গ করি মনে হবে হইল না শেষ" অবস্থায় ছেড়ে দেয়া যায় সেটা এই গল্প পড়েই জানা হল। B-)
++++

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: এই লেখাটা পড়ে ডেন্টিস্টের কাছে গেলে একটু ভয় লাগার সম্ভাবনা আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কখনো তেমন একটা ভয় হয়নি। "সাঙ্গ করি মনে হবে হইল না শেষ" অবস্থাটা একটু চিন্তায় ফেলতে পারে কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। এমন কিছু বাস্তবে হয় না। তবে এমন একটা মন্তব্য পেলে লেখকের ভালোই লাগে। ধন্যবাদ করুণাধারা। ভালো থাকবেন।
চতুর্থ লাইকের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার গল্প। শুভকামনা রইলো্

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।
ভালো থাকবেন।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দাঁতের ডাক্তারের পরিচয় পেয়ে হাসবো না কাঁদবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। বাস্তবে যদি হয়ে থাকে তাহলে খুবই বিষণ্নের। তবে পাঠকদের কাছে যথেষ্ট উপভোগ্য হয়েছে হাহাহাহা....
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় রকি ভাইকে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চৌধুরি সাহেব!
বাস্তবে তিনি মোটেও এমন নন! খুবই সাবধানে ও মোটেও ব্যথা না দিয়ে কাজ করেন। শুধু আমাকে দেখলেই বলেন, রকি তোমাকে দেখলেই আমি টাকার গন্ধ পাই B:-/

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এক বৈঠকে পাঠ করলাম
দারুন উপভোগ্য হয়েছে।
সবাই গল্প লিখতে পারেনা
কিছু কিছু লেখক পারেন,
আপনি তাদের মধ্যে একজন।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০

ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই। এমন একটা চমৎকার মন্তব্য যে কেউ পেতে চাইবে।
ভালো থাকবেন।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: দাত নিয়া ঠাট্টা মস্করা করবেন না, হু কইয়া দিলাম

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: মস্করা করি নাই তো! উনি এমনেই দাঁত তুলেন!

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছোটবেলায় দাঁত উৎপাটন নিয়ে আমার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে। :)
আপনার গল্প ভালো লাগলো।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করুন, আমরা জানতে চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৯

সুমন কর বলেছেন: ডেন্টিস্টের কাছে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে তাই বলতে পারছি, বর্ণনা বেশ হয়েছে। আপনিও গিয়েছিলেন বুঝতে পারলাম। গল্প ভালো হয়েছে। +।

০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমিও বেশ কয়েকবার গিয়েছি ভ্রাতা! যেসকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে, তাতে তো ভয়ই লাগে মাঝে মাঝে!
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.