নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বর্তমানে প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুতারং কেহ পক্ষ বা বিপক্ষ ভেবে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

এম.এইচ.সজিব

আমি বর্তমানে প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুতারং কেহ পক্ষ বা বিপক্ষ ভেবে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

এম.এইচ.সজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবিজ! তাবিজ!! তাবিজ!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১


তাবিজ ব্যবহার যে একটি শিরক তার কিছু হাদিস আজ সবাইকে দেখাচ্ছিঃ
হাদিস ১: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“যে ব্যক্তি মাদুলি বা তাবিজ ঝুলাল, সে শিরক করল” (মুসনাদে আহমাদ)।
হাদিস ২: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “কোনো উটের গলায় যদি মালা বা বালা জাতীয় কিছু থাকে, তাহলে তা কেটে ফেলতে হবে”(বুখারী)।
হাদিস ৩: রাসুল (সঃ) বলেন,“যে ব্যক্তি তার দাড়িতে গিঁঠ দিল (পেঁচিয়ে রাখল) অথবা সূতার মালা পরিধান করল অথবা পশুর মল বা হাড্ডি দিয়ে ইস্তেনজা করল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে মুক্ত” (আহমাদ)।
হাদিস ৪: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,“ঝাড়-ফুঁক এবং মাদুলি ও তেওয়ালা ব্যবহার করা শিরক” (আবু দাউদ)।
অন্য হাদীসে তিনি আরো বলেন,“যে ব্যক্তি মাদুলি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন না” (ইবনে হিব্বান)।
হাদীসে ‘তেওয়ালা’ বলতে এমন বস্তুকে বুঝানো হয়েছে, যা স্বামীকে স্ত্রীর নিকটে অধিকতর প্রিয় করে বলে ধারণা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।
আর ‘তামীমাহ’ বা ‘তামায়েম’ বলতে এমন জিনিসকে বুঝানো হয়েছে, যা সাধারণতঃ বাচ্চাদের গলায় হিংসা, বদ নজর ইত্যাদি প্রতিরোধের জন্য ঝুলানো হয়। এটি নিছক শিরক।
কেননা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে না।
আমরা সবাই জানি আল্লাহ রব্বুল আলামিন শিরক এর গুনাহ মাফ করবেন না। তাবিজ ব্যবহার শিরক এটা আমার মন গড়া কথা নয়। আমি আপনাদের সহিহ হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বুঝিয়েছি। আপনি এতদিন তাবিজ সম্পর্কে না জেনে ব্যবহার করে থাকলে আজ থেকে তওবা করে নিজেক সংশোদন করুন।
আর তারপরও যদি আপনি রাসুল (সঃ) এর সহিহ হাদিস না মেনে আপনার নিজের যুক্তি দিয়ে আপনার হুজুর বা পীরের দেওয়া তাবিজ ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আপসোস করা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

আহলান বলেছেন: আহলুস সুন্নাহ ওয়ালা জামাতের মতে কুরআনে কারীমের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুয়ায়ে মানকুলা ইত্যাদি দ্বারা তাবিজ দেয়া জায়েজ। তবে শর্ত হল তাবিজের মধ্যে নিজস্ব মতা আছে মনে করে তার উপর ভরসা না করা। তাছাড়া কুফুরী কালাম দ্বারা তাবিজ দেয়া বা অর্থ জানা যায়না এমন কালাম দ্বারা তাবিজ দেয়া জায়েজ নয়। (আহসানুল ফাতওয়া, খন্ড ৮, পৃঃ ২৫৫)। তাবিজ জায়েজ হওয়ার পে অসংখ্য দলীল রয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা গেল।

ইমাম আবু বাকর ইবনে আবী শাইবাহ ‘মুনান্নাফ’ গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন, আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (স.) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন ******** দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন। এই হাদীসটি ইমাম আবূদাউদ (রাহ.) তাঁর সুনানে আবূ দাউদের কিতাবু-তিব্বের **** অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।

উপরোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল-তাবিজ দেয়া জায়েজ। যদি শিরক হত তাহলে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) এর মত বিখ্যাত বুযুর্গ সাহাবী তাবীজ লিখে ছোট ছোট শিশুদের গলায় লটকিয়ে দিতেন না। বিধায় কোন হাদীস পেলেই তার ব্যাখ্যা, মর্মার্থ, প্রয়োগ স্থল না বুঝে কোন কিছুর ব্যাপারে শিরকের সার্টিফিকেট লাগানো আদৌ ঠিক নয়।
১নং দলীলঃ আল্লাহতাআলা এরশাদ করেন -“আমি কোরআন মজিদের কিছু অংশএমন নাযিল করেছি- যা যাহেরী-বাতেনী রোগের জন্য ঔষধবা শেফা স্বরুপ এবং মোমেনদেরজন্য রহমতস্বরুপ” (সুরা বনী ইসরাইল )“ইসা ( আলাইহিস সালাস) বলেন,আমি তোমাদের জন্যমাটি দ্বারা পাখীরআকৃতি তৈরী করছি।অতঃপরতাতে ফুঁক দিচ্ছি। আল্লাহরহুকুমে সেটা জীবিতপাখি হয়ে যাবে।আমি আল্লাহরহুকুমে কুষ্ঠরোগী ও অন্ধকে ভালকরি এবং মৃতকে জীবিত করি”- আলকোরআন

২নং দলীলঃ – নবী করিম সল্লল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদকরেছেন-“যে ব্যক্তি কোরআন মজিদেরদ্বারা রোগ মুক্ত হতে পারেনি- তারজন্য আল্লাহ যেন কোনশেফা মন্জ্ঞুর না করেন” – আলহাদিস

৩ নং দলীলঃ নবী করিম সল্লল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদকরেছেন-” সুরা ফাতিহা মৃত্যু ব্যতীত সবরোগের ঔষধ” (তাফসিরে কাশশাফ)

৪ নং দলীলঃহযরত আবদুল্লাহইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুবলেনঃ আমি একদিন একস্বর্পদংশিত অর্ধমৃতরোগীকে সুরা ফাতিহা পাঠ করে ফুঁদিয়ে রোগমুক্ত করি।এতে তারপিতা খুশি হয়ে আমাকে একপালছাগল দান করেন।আমি তা নিয়ে হুযুরসল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরদরবারে হাযিরহয়ে ঘটনা বর্ণনা করলাম। হুযুরসল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএরশাদ করলেন-রান্না করে আমাকে কিছু গোশতদিও। আল হাদিস

৫ নং দলীল: হযরত আবূ সাঈদখুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুহতে বর্নিত আছে, তিনি বলেনঃ ”একবার আমরা সফরে ছিলাম।একস্থানে আমরা অবতরণ করি। হঠাৎএকটি দাসী এসে বললোঃ এ জায়গারগোত্রের নেতাকে সাপে কেটেছে।আমাদের লোকেরা এখন সবাইঅনুপস্থিত। ঝাড় ফুঁক দিতে পারেএমন কেউ আপনাদের মধ্যে আছে কি?আমাদের মধ্য হতে একটি তারসাথে গেল। সে যে ঝাড় ফুঁকওজানতো তা আমরা জানতাম না।তথায় গিয়ে সে কিছু ঝাড় ফুঁক করল।আল্লাহর অপার মহিমায় তৎক্ষণাৎসে সম্পূর্ণ রুপে আরোগ্য লাভ করল।অনন্তর সে ৩০ টি ছাগী দিলএবং আমাদের অতিথেয়তায় অনেকদুধও পাঠিয়ে দিল।সে ফিরে আসলে আমরা তাকে জিজ্ঞাসকরলাম: তোমার কি এবিদ্যা জানা ছিল?সে বললঃ আমিতো শুধুসুরা ফাতিহা পড়ে ফুঁক দিয়েছি।আমরা বললাম ঃ তাহলে এই প্রাপ্তমাল এখনও স্পর্শ করো না।প্রথমে রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেসকরো।মদিনায়এসে আমরা রসুল্লল্লাহ সল্লল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এঘটনা হুবুহু বর্ণনা করলাম।তিনি বললেনঃএটা যে ফুঁক দেওয়ারসুরা তা সে কি করে জানলো? এ মালভাগ করো। আমার জন্যেও এক ভাগরেখো। [ সহীহ বুখারী ”ফাযায়িলুল কুরআন” অধ্যায়। ; সহীহমুসলিম; সুনানে আবু দাউদ]সহীহ মুসলিমের কোন কোন বর্ণনায়আছে যে, ফুঁক দাতা হযরত আবু সাঈদখুদরী (রাঃ)।(তাফসির ইবনে কাসির ১ম খন্ডসুরা ফাতিহার ফযীলত)উপরোক্ত দলীল প্রমাণ করে –কোরআনের আয়াত দ্বারা ঝাড় ফুঁককরা জায়েজ এবং নবী করীমসল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএতে সম্মতি দিয়েছেন।

দলীল নং ৯:মুসলিম শরীফে হযরতআউফ ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহুআনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখআছেঃহযরত আউফ ইবনে মালেকরাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত-তিনি বলেন, আমরা জাহেলিয়াতযুগে ( দেবদেবির নামে) ঝাড় ফুঁককরতাম।মুসলমান হওয়ার পরআমরা আরয করলাম- ইয়া রসুলল্লাহসল্লল্লাহু আলািহি ওয়াসাল্লাম!আপনি ঝাড় ফুঁক ব্যাপারে কি বলেন?হুযুর সল্লল্লাহুআলািহি ওয়াসাল্লাম এরশাদকরলেন- তোমাদের ঝাড় ফুঁকের মন্ত্রআমার কাছে পেশ করো। হ্যাঁ,যদি তাতে শিরিকের বিষয়না থাকে তাহলে ঝাড় ফুঁকে কোনদোষ নেই” [ মুসলিম শরীফ]
১০নং দলীলঃ”যাদুল মাআদ” নামকগ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে – তাবিজতুমার ধারন করা জায়েজ কিনা- এপ্রসঙ্গে ইবনে হিব্বান নামক হাদিসবিশারদ হযরত ইমাম জাফর সাদিক( রাঃ) কে প্রশ্ন করেন। হযরত জাফরসাদিক (রাঃ) বললেনঃ ”যদি আল্লাহর কালাম হয়অথবা রসুলুল্লাহর হাদিস হয়-তাহলে ধারণ করো এবং ঐ তাবিজেরমাধ্যমে আল্লাহরকাছে শেফা প্রার্থনা কর”।( যাদুলমাআদ)

১১ নং দলীলঃ ইমাম আহমদ বিনহাম্বল (রহঃ) এর পুত্র আবদুল্লাহ( রহঃ) বলেন” আমি আমারপিতা ইমাম আহমদইবনে হাম্বলকে হৃদকম্পন রোগী ওজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তাবিজতুমার লিখতে দেখেছি”[ আদিল্লাতুআহলিছ সুন্নাহ ও অন্যান্য গ্রন্থ]আপত্তিঃহাদিসে আছে,যে ব্যক্তি ( কুফুরী) তাবিজ লটকালো,সে শিরিক করলো।উত্তরঃ এই হাদিসের অর্থ হলযে তাবিজে জাহেলী যুগের মন্ত্রবা নল-নইছা ইত্যাদি থাকে,সেগুলো ধারণ করলে অবশ্যই শিরিকহবে।

ইমাম কুশাইরী (রাহ.) ঝাড়-ফুঁক এবং তাবিজকে দোয়ার বিকল্পরূপে উল্লেখ করেছেন। কারণ, দোয়া তাবিজ এবং ঝাড়-ফুঁক প্রভৃতি সবকিছুতেই আল্লাহর নামের ওছিলা গ্রহণ করে আল্লাহ্র নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করা হয়, যা অবৈধ হওয়ার কোন কারণ নেই। বরং এগুলিও একান্তভাবে আল্লাহ্র নিকটই সাহায্য প্রার্থনার একটি পদ্ধতিরূপে গ্রহণযোগ্য। এই গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিকে কুফুরী ও জাহেলিয়াত যুগের শেরেকী কালামের কুফুরী ও জাহেলিয়াত যুগের শেরেকী কালামের সাথে একাকার গণ্য করা মোটেও যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: যতদূর মনে পরে হযরত ইমাম হাসান রাঃ এর গলায় চার "কুল" গুল লেখা তাবিজ ছিল। এবং যারা তাবিজ বিরোধি তারাও হাদিস টি সহী মানেন। এ বিষয় কি বলবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.