নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বর্তমানে প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুতারং কেহ পক্ষ বা বিপক্ষ ভেবে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

এম.এইচ.সজিব

আমি বর্তমানে প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। সুতারং কেহ পক্ষ বা বিপক্ষ ভেবে আমাকে ভুল বুঝবেন না।

এম.এইচ.সজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবেবরাত নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা •••

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৫২

এক শ্রেণীর শবেবরাত প্রেমিক কওমী আলেমরা সূরায়ে দুখানের প্রথম আয়াতের তাফসীর করা শুরু করলেন যে, এখানেও শবেবরাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে । এরা অন্দ্ব চোখে শস্যের ফুল দেখছেন ! মূর্খতা কোন্ পর্যায়ে পৌঁছলে এসব অলীক স্বপ্ন গভীর নিদ্রার মাঝে চলে আসতে পারে, বুঝতে আর বাকি নেই ! কওমী সমাজে অন্যতম সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য তাফসীর হলো " মা'আরিফুল কুরআন । " মূল তাফসীরকারক হলেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা মুফতি শফি সাহেব রহ: । বাংলায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা কওমী আলেম ও সুপ্রসিদ্ধ লেখক মাওলানা মুহিউদ্দিন খান রহ: । শবেবরাত প্রেমিক ভায়েরা সূরায়ে দুখানের আয়াতে معارف القران পড়লেই সহজে অনুধাবন করত পারতেন । সেখানে কি বলা হয়েছে ? কিন্তু শবেবরাত পালনকারী অন্দ্ব হুজুররা এ জায়গায় মুফতি শফি রহ:'র তাফসীরও ডাস্টবিনে ছুঁড়ে মারবে ! কারণ শবেবরাত বিরোধী কোন কথায় তো তাঁদের সহ্য হয়না ।
আল্লাহপাক বলেন
حم و الكتاب المبين انا أنزلناه في ليلة مباركة
" সুস্পস্ট এই কুরআনের শপথ , নিশ্চয়ই ইহা আমি একটি অত্যন্ত মোবারক রাত্রীতে অবতীর্ণ করেছি । সূরা দুখান ১

*** মোবারক রাতটি কোন্ মাসের মধ্যে ছিলো তা' সুস্পস্ট করে আল্লাহপাক বলেন
شهر رمضان الذي انزل فيه القران
" পবিত্র মাহে রমজানে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করা হয়।"
সূরা আল্ বাক্বারা ১৮৫

*** সর্বশেষ মোবারক রাতটিকে চূড়ান্তভাবে সুনির্দিষ্ট করে আল্লাহপাক বলেন
انا أنزلناه في ليلة القدر
" এই কুরআন অবতীর্ণ করেছি কদরের রাত্রীতে। "

এখানে প্রদত্ত আয়াতগুলোর মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। যদিও শবেবরাত প্রেমিকদের এসব নিয়ে গবেষণার সময় নেই! তাঁরা অন্দ্ব হয়ে মন গড়া আমল ও তাফসীর নিয়ে মহা ব্যস্ত!
(সংগৃহীত)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৫

মুচি বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট। ভালো লাগল।

এ সংক্রান্ত একটা ভিডিও দেখেছিলাম, যেখানে মাওলানা-মুফতিগণ ব্যখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু কমেন্ট সেকশনে যারা মন্তব্য করছিলেন.. সেগুলো আক্রমণাত্মক ছিল খুব। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।

শবে-বরাত বিষয়টি অত্যন্ত জটিল একটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। সবাই সত্য খুঁজে পাক। আমীন।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ঘরে কি ভালো খাবার দাবার তৈরি হয়নি? আপনার কি পেটে অসুখ?

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪১

মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার জন্য। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান। আমিন।

৪| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১:৫৪

শহীদ আম্মার বলেছেন: জনাব, উনারা যেমন এসব আয়াতের অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়ে ভূল করেছেন। ঠিক আপনিও শাবানের মধ্যরাত(শবে বরাত ব্যবহার ঠিক নয়) সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলো গোপন করে ভূল করেছেন। আপনি চাইলে ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচিত "কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শবে বরাত: ফযীলত ও আমল" বইটি পড়তে পারেন। মনে রাখবেন শরীয়তে কোন বিদআত যেমন গ্রহণযোগ্য নয় তেমনি দালিলিকভাবে প্রমাণিত কোন ছোট বিষয়কেও অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

যেমন
শেষ রাতে, আযানের পরে, জুমার দিন ইত্যাদি সময়গুলোতে দোয়া কবুল হওয়া সংক্রান্ত অনেক হাদীস আছে। এখন কেউ এ সময়গুলোতে দোয়া করল আর কেউ করল না । ব্যস এটা এতটুকুতেই সীমাবদ্ব।

এক্ষেত্রে সমস্যা হল কেউ এসময় দোয়া করার জন্য শামিয়ানা টানালো, খাওয়ার আয়োজন করলো, মাইকের ব্যবস্থা করলো যা রীতিমত ভন্ডামী। আরেক দল এসবের বিরেধীতা করতে গিয়ে সোজা শেষ রাতের গুরুত্ব জুমার দিনের গুরুত্বকেই অস্বীকার করলো। উভয়টা চরম মূর্খতা।

আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,
শাবানের মধ্য রাতে তথা ১৪ শাবান দিবাগত রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের (মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত) ক্ষমা করেন বলে সহীহ দ্বারা প্রমানিত। সূতরাং কোন বান্দা যদি এই সুযোগে রাত জেগে আল্লাহর ক্ষমা চাই আপনি বাধাঁ দেওয়ার কে?
বরং পারলে এই রাতে যা কিছু অন্যায় করা হয় সেগুলোর বিরেধীতা করুন। অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলোতে আমরা যা জানতে পারি। তা হলঃ
১। এই মাসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশী বেশী রোযা রাখতেন। তবে শুধু শবে বরাতের কোন রোযা নেই।
২। বা্ন্দার আমল এই মাসে আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয় । তাই বেশি বেশি ভাল আমল করা উচিত।
এছাড়া মধ্য শাবানের রাতে (শবে বরাত)-
১। নির্দিষ্ট কোন নামায নেই।
২। নির্দিষ্ট কোন যিকির নেই।
৩। দলবদ্ব কোন ইবাদত নেই।
৪। বিশেষ কোন খাবারের আয়োজনের ফযীলত নেই।
৫। এছাড়া আলোক সজ্জা-আতশবাজি এসব শুধু শবে বরাত নয় বরং ইসলামেই কঠোরভাবে নিষিদ্ব।

আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান ও আমলের তাওফীক দান করুন। আমীন।











































































৫| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ২:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধীরে ধীরে এই ভ্রম কেটে যাচ্ছে। তবে একটু সময় লাগবেই। এতদিনের পুরোনো একটা অভ্যাস ছাড়তে অনেকের খারাপ লাগছে...

৬| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৩:০৫

নতুন বলেছেন: যখন দুই ইসলামের বিভিন্ন ধামিকরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ঝগড়া করবে তখন মানুষ ইসলাম থেকে দুরে চলে যাবে।

এখনই মানুষ দুরে যাচ্ছে প্রতিদিন।

৭| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে বড় আগে মানুষের মন থেকে কুসংস্কার দূর করতে হবে।

৮| ০২ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

অদৃশ্য বালক বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=THxSxDx4q3k

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.