![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আব্দুর রাজ্জাক রাজ ভাই কে কেউ ভুলে যান নাই তো?
বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে তে সর্বপ্রথম ২০০ উইকেটের মালিক! বর্তমানে ২০৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে উইকেটের মালিক ও তিনি। সাকিব আল হাসান ২০৬ উইকেট নিয়া তার ঘাড়ে শ্বাস ফেলতেসে! ওয়ানডে তে এক ইনিংস এ সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেটের মালিক ও তিনি, বাংলাদেশের পক্ষে!
তাকে দিয়েই বাংলাদেশের স্পিন বোলার দিয়ে বোলিং শুরু করার সাহসি-যুগ শুরু হয়! তার যে কোন সময় বোলিং এ এসে খেলা ঘুড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য ছিল। বেশ কয়েকবার সে সামর্থ্যের প্রমান ও রেখেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে কেউ তার অতীতের অবদান মনে রাখে নাই
অবশ্য কারন ও আছে!
২০১৩ সালের মার্চে শেষ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন! এরপর ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২টি ওয়ানডে খেলে মাত্র ৭টি উইকেট পেয়েছিলেন! এদিকে ঘড়োয়া ক্রিকেটের ত্রাস আরাফাত সানি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের জায়গা টা থিতু করে নেন! এরপর থেকেই আব্দুর রাজ্জাক অনেকটা আড়ালে!
টেস্টে তিনি কখনই আহামরি ধাচের বোলার ছিলেন না! তাই টেস্ট ক্যারিয়ার টা আড়ালেই থেকে যাক
টেস্টে আমাদের মূল জেনুইন স্পিনার তাইজুল ইসলামের জায়গায় আব্দুর রাজ্জাক কে আশা করেছিলাম বিশ্বকাপে। কিন্তু তাকে দলে না দেখে বেশ বিস্মিত হয়েছিলাম! কারণ, ২০১৪ সালের আগস্টের পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিরতে না পারলেও ঘড়োয়া ক্রিকেটে বেশ ভালই করছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, অন্ততঃ পত্রিকার পাতা তাই বলে
তাই তাকে একটা সুযোগ বিশ্বকাপে দেয়া হোউক এই আশায় ছিলাম!
গত বছর বাংলাদেশ ৪টা হোম ওয়ানডে সিরিজ খেললো! একটা না একটায় তো অন্ততঃ আব্দুর রাজ্জাক কে সুযোগ দেয়া যেত! জিম্বাবুয়ে কে দেখলে আব্দুর রাজ্জাক এর বোলিং এর ধার যেন চারগুন বেড়ে যেত, অন্ততঃ সেই জিম্বাবুয়ের সাথেই একটা সুযোগ দিয়ে দেখতো নির্বাচকেরা! কেন দেন নাই জানিনা, তার নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ে কম বুঝেন না!
কিন্তু কথা হচ্ছে, মাত্র ৩৩ বছর বয়স আব্দুর রাজ্জাক এর! উনি উপমহাদেশের মধ্যে জন্মানো বাহাতি স্পিনারদের মধ্যে উপরের দিকে থাকবেন! অনেক ক্রিকেটার ৪০ বছর পার করে গেছেন খেলতে খেলতে! অনিল কুম্বলে, সনাত জয়াসুরিয়া, শেন ওয়ার্ন বুইড়া হইয়া গেসে খেলতে খেলতে, পরে অবসর নিসে! রঙ্গনা হেরাথ, আবদূর রেহমান এর বয়স তো আব্দুর রাজ্জাক ভাই এর চেয়ে বেশি, তারা খেলতেসে! তাই আমার একটাই দাবি, উনাকে এখনই বাতিলের খাতায় না ফেলে দেয়া হোঊক। অন্ততঃ একটা বার একটা ওয়ানডে সিরিজে দলে ডেকে তাকে সুযোগ দেয়া হোঊক।
না, আমি বলতেসি না রাজ ভাই রে টি-২০ বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপে খেলাক! উনি টি-২০ প্ল্যায়ার না। উনি জেনুইন ওয়ানডে প্ল্যায়ার, তাকে ওয়ানডে তেই সুযোগ দেয়া হোউক। অন্ততঃ একবার, শেষবার হইলে না হয় তাই, কিন্তু দেয়া হোউক সুযোগ!!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
ফজলুভাই বলেছেন: শুভাগত'র জায়গা টা নিয়া একটু রাজনীতি আছে ভাই
দলে এই জায়গাটাই শুধুমাত্র প্রশ্নবিদ্ধ, ৩ ফরম্যাটের দল মিলাইয়া!
আর রাজ ভাই একটা জায়গা আসলেই পাওনা, কিন্তু অলক কাপালির দলে আসতে আরো ভাল করা লাগবে ভাই
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অবশ্যই তাকে সুযোগ দেয়া যেতেই পারে।
গুড পোষ্ট +++++
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
ফজলুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই
আপনার কমেন্ট আমার পোস্টে দেখলেই সাহস পাই
আসলেও ভাই, আমি রাজ্জাক ভাই এর বিরাট ফ্যান বলে না, উনার একটা সুযোগ পাওনা
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২
ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: দেয়া হোক
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
ফজলুভাই বলেছেন: সেটাই আমারো দাবি ভাই
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
কিরমানী লিটন বলেছেন: প্রিয় টাইগার আব্দুর রাজ্জাকের জন্য শুভকামনা, আপনার জন্যও ...
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
ফজলুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই
আপনার জন্যেও শুভকামনা রইল
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
দ্বিতীয় আমি - আমার ভিতরের লুকায়িত মানুষ বলেছেন: আবদুর রাজ্জাক ভাই একসময় আমাদের সেরা স্পিনার ছিলেন। কিন্তু সমস্যা হল, এই মূহুর্তে আরাফাত সানি, তাইজুলরা তার চেয়ে ভালো করছে। সুতরাং দলে আবদুর রাজ্জাক ভাইকে নেয়ার মত কোন যায়গা দেখছি না। তাকে বাতিলের খাতায় ফেলছি না, তবে বাকিরা তার চেয়ে ভালো করছে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
ফজলুভাই বলেছেন: ভাই, সাকিব-সানি'র কাছে তো তাইজুল ওয়ানডে দলে খুব একটা জায়গা পায়না! তাইজুল আর জুবায়ের ওয়ানডে দলে বিবেচনায় থাকে/স্কোয়াড এ থাকে! আমি বলতেসি, ঐ বিবেচনার জন্যে রাজ্জাক ভাই কে আবার সুযোগ টা দেয়া হোউক ধন্যবাদ!
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: রাজ্জাক ঘরোয়া ক্রিকেটে এত ভাল পারফর্ম করার পরও নেয় না৷ আশা করি রাজ্জাককে আবার অন্তত একটা সুযোগ দিবে নির্বাচকরা৷
তবে নাসিরকে বাদ দিয়ে শুভাগতকে দলে নেওয়ার পর বুঝতে বাকী থাকে না৷ নির্বাচকরা শুধু পারফর্মেন্সই বিবেচনায় আনে না৷ আরও কোন ব্যাপার থাকতে হয়৷
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৮
ফজলুভাই বলেছেন: এটাই আমার কথা ভাই। পত্রিকায় যা পড়ি, তার ঘড়োয়া ক্রিকেটের পারফর্মেন্স যথেষ্ট ধারাবাহিক!
একটা সুযোগ অন্ততঃ দেয়া হোউক
আর শুভাগত'র ব্যাপারটা হইল আসলে আমাদের দেশের চিরাচরিত কিছু থাকে না?? মামা-চাচা-বাবার জোর ঐরকম কিছুই হবে হয়ত
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইজান
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২
মশিকুর বলেছেন:
আমার ধারনা তিনি লুজ ফিল্ডিং এবং ক্যাচ মিছের কারনে বাদ পড়েছেন। এছাড়া আর কোন কারন দেখি না। সময় মত ব্রেক-থ্রু তিনি অনেকবারই দিয়েছেন। তার বোলিং নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই। আবার দলে দেখলে ভালই লাগবে...
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১
ফজলুভাই বলেছেন: না ভাই, আসল কারন ঐটা না! তাইজুল বা জুবায়ের, কেউই আহামরি ফিল্ডার না যে রাজ্জাক ভাই কে বাদ দিয়ে তাদের হাতে রাখতে হবে!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য আমাদের সকলেরই ভালো লাগবে তাকে আবার দলে দেখতে পেলে।
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
মশিকুর বলেছেন:
তাইজুল খেলছে দুইটা ওডিআই আর জুবায়ের খেলছে তিনটা ওডিআই এরাতো নিজেরাই দলে জায়গা পাইতেছে না
এদেরকে আপনি রাজ্জাকের সাথে কম্পেয়ার করতেছেন কেন??? আর আমি কখন বললাম যে তাইজুল বা জুবায়ের আহামরি ফিল্ডার?
প্লেয়ার হিসেবে রাজ্জাককে আমার অনেক ভাল লাগে। কিন্তু ফিল্ডিং এটা শুধু আমার কথা না এখানে দেখেন
ধন্যবাদ
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
ফজলুভাই বলেছেন: ভাই, আমি বুঝাইতে চাইসি যে তাইজুল আর জুবায়ের কেই মূলত স্কোয়াড এ রাখা হয় আরাফাত সানির সাথে! এরা কেউই সাকিব আর সানির বদলে খুবে একটা খেলার সুযোগ পায় না! সানির জায়গায় আমি রাজ্জাক ভাই কে চাই ও না! আমি তাই বলতে চাইসি তাইজুল আর জুবায়ের কে যে হাতে রাখা হয়/মাঝে মধ্যে সুযোগ দেয়া হয় ঐ জায়গায় রাজ্জাক ভাই কে রাখা হোউক
আর ভাই, আমাকে লিঙ্ক দেয়া লাগবে না! আমি জানি কে কয়টা ওয়ানডে খেলসে, কে কেমন ফিল্ডার
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫০
বিদ্যুৎ বলেছেন: হায়রে আবেগ! এই না হলে আমরা বাঙ্গালী হলাম কি করে। এরকম এক সময় মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ভাইকে অন্তত একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ না দেওয়ার জন্য আমরা অনেকেই আফসোস করেছি। এখন ক্রিকেটে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। তাই এখন শুধু আবেগ দেখালে হবে না পুরোমাত্রায় পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
ফজলুভাই বলেছেন: আপনার মন্তব্য দেখে আমি হাসতেসি ভাই
আপনি এখানে কোন জায়গায় আবেগ দেখলেন আমি বুঝলাম না!
আমি কি বলসি যে আরাফাত সানি কে বাদ দিয়া রাজ্জাক কে খেলাইতে হবে? আমি বলতে চাইসি যে রাজ্জাক কে ২/১ টা স্কোয়াড এর জন্য বিবেচনায় রাখা হয়
আর নান্নু'র সাথে আপনি রাজ্জাক এর তুলনা করতে পারেন না
রাজ্জাক অন্য মাত্রার প্ল্যায়ার, সে অনেক কিছু দিসে এককালে! তাই সে একটা সুযোগ এর দাবি রাখতেই পারে
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: তিনি দেশের জন্য অনেক করেছেন।এজন্য তার প্রতি আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ।
কিন্তু সব সময় সবার ভাল যায়।রাজ্জাক ভাই এখন তার খারাপ সময় পার করছেন তাই নতুন রাজ্জাকদের সুযোগ দেওয়াই হয়েছে বুদ্ধিমানের কাজ।
আশা করি রাজ্জাক ভাইকে আবারো জাতীয় দলে দেখব।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
ফজলুভাই বলেছেন: নতুন রাজ্জাক মানে আরাফাত সানি, সে তো খেলছেই! আমি তো তাকে বাদ দিয়ে রাজ্জাক ভাই কে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি না!
স্কোয়াড এ তাইজুল,জুবায়ের কে ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হয়, আমি রাজ্জাক ভাই কে অন্ততঃ দলে ডাকার কথা বলছি! আর সুযোগ পেলে যদি দুই/একটা ম্যাচ খেলে তাহলে উনি পুরনো আত্নবিশ্বাস টাও ফেরত পাবেন
আর উনি আগে যা দিয়েছেন,সেই হিসেবে ২/১ টা সুযোগ তার পাওনা আশা করি সুযোগ পেলে উনি নিজের সামর্থ্যের প্রমান রাখতে পারবেন
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: এই মুহূর্তে ওনাকে আসলেই দলে চাই ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২
ফজলুভাই বলেছেন: আমিও ভাই এই মূহুর্তেই উনারে চাই
কিন্তু টি-২০'র জন্য উনি খুব একটা উপযোগি না, আরাফাত সানি ই খেলুক
১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সমস্যাটা হইলো - সে ক্রমাগত লেগ স্ট্যাম্পে বল ফেলছিল শেষ দিকে। এরজন্য বাদ পড়ে আবার ফিরে আসলেও - এই সমস্যাটা কমেনি।
লেগ স্ট্যাম্পে বল ফেলায় উইকেট পাওয়ার চেয়ে রান বেশি দিচ্ছিল। সীমিত ওভারের মাশরাফির দলে এত রান দেওয়া বোলার বেমানান।
আমার মনে হয় না সে সুযোগ পাবে আর। একদিকে পেসের উত্থান ঘটছে। আরেকদিকে স্পিনে বাম হাতি - ডান হাতি কম্বিনেশন গড়া হচ্ছে। সেইখানে সাকিব থাকতে তাকে নেওয়া হবে বলে মনে হয় না।
আর বাঁ হাতি দুইজন নিলেও সীমিত ওভারে আরাফাত সানীই বেশি যোগ্য।
তবে টেস্টে রাজ্জাককে নেওয়া যেতে পারে। তাইজুলের স্ট্রাইক রেট খারাপ। পাঁচ-ছয় উইকেট পেলেও - তার অনেক বেশি ওভার বল করতে হয়। রানও খায়। ব্যাটসম্যানরা সেট হয় তার কারণেই। ইফেক্ট অতটা নেই।
এই ক্ষেত্রে রাজ্জাক বেশ ভাল। তবে, তাইজুল তো ভবিষ্যৎ। রাজ্জাক শেষ পর্যায়ে।
সেই হিসাবে রাজ্জাককে এখন দলের বাইরের কেউই ভাবতে হবে।
যদি কখনো সুযোগ পায় - সেইটা হয়তো, তাকে সম্মানের সাথে অবসর নেওয়ার জন্যই পাবে।
দল এখন বেশি কম্পিটিটিভ তো।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯
ফজলুভাই বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে ভাই।
রাজ্জাক ভাই এর শেষের দিকে রান দেয়াটা বেশি ই ছিল বটে! কিন্তু ভাই তরপর তো দেখলাম ডমেস্টিক এ ভালই করসে! আর অভিজ্ঞতা তো কিনতে পাওয়া যায় না, অভিজ্ঞতার একটা মূল্যায়ন থাকা উচিৎ!
আরাফাত সানি ইণ্টিলিজেণ্ট বোলার, তার জায়গায় আমি সাকিব এর সাথে রাজ্জাক ভাই কে চাচ্ছি না,কিন্তু তাইজুল বা জুবায়ের কে যেখানে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে, সেখানে রাজ ভাই কে যেই ফরম্যাটেই হোক, অন্তত একবার ডাকা হোউক!
১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: জুবায়ের তো লেগি। তার তো আলাদা জায়গা থাকবেই। লেগির বোলিং প্রধানত নির্ভর করে অধিনায়কের উপর। মুশির মত অধিনায়ক পারবে না জুবায়েরকে ব্যবহার করতে। এইখানে মাশরাফিই মেইন। জুবায়ের আমাদের সম্পদ। তাকে শুধু একটু কেয়ার করতে হবে।
আর বোলিং ইউনিটে আমাদের পেসার, বাঁ হাতি পেসার, বাম-হাতি ডান-হাতি স্পিনার থাকলেও - লেগ স্পিনার নেই। এই ক্ষেত্রে আমি জুবায়েরকে দলে রাখতে চাইবই। একটা লেগ স্পিনারের সামর্থ্য আছে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার। শেন ওয়ার্ণ বা নিকট অতীতে আবদুর রেহমানের বোলিং কিন্তু পুরো দলকেই চাঙ্গা করে তুলেছিল।
মাশরাফির সাথে জুবায়ের বেশি খেলেনি। কয়টা ম্যাচ গেলেই দেখবেন জুবায়ের অনন্য উচ্চতায়। যেমনটা এখন নাসির।
আর তাইজুলের ক্ষেত্রে বলব - তার স্ট্যামিনা! সে একটানা বল করে যেতে পারে। তার ইফেক্ট অতটা না। ৪০ ওভার বল করলে ৫ উইকেট না পাওয়াই অন্যায়। তার ক্ষেত্রে ভাগ্যই কাজ করছে বেশি।
আর রাজ্জাক এখন বয়সের ভারে কিছুটা হলেও দুর্বল। ঘরোয়া লীগ দিয়ে আন্তর্জাতিকের মান বের করা যাবে না। সাম্প্রতিক বিপিএল-এই এইটা দেখা গেল। এছাড়া শুভাগত, ফরহাদ রেজা স্যারেরাও ঘরোয়া পর্যায়ে ডেডলি খেলোয়ার।
ফারুক আহমেদ সোহাগ গাজীকে নিয়ে একবার বলেছিল, 'ঘরোয়াতে সে উইকেট পাচ্ছে - আপনারা শুধু সংখ্যাটাই দেখছেন। কিন্তু ওর বল তো আমরা দেখেছি - আপনারা না। তার বোলিং এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মত না।'
কথাটা ঠিক ছিল। কারণ, দক্ষিন আফ্রিকার সাথে গাজীর বোলিং-এই সেইটা বুঝা গেছে।
এছাড়া লিটন দাস তো এক উজ্জল দৃষ্টান্তই।
রাজ্জাকের বয়স এখন ৩২/৩৩। তাকে দলে রাখার চেয়ে তাইজুলদের ঝালিয়ে নেওয়াটাই স্বাভাবিক। সবাই ভবিষ্যৎ দেখে।
আমি ওয়ানডে-টি২০-এ রাজ্জাককে চাই না।
কিন্তু দেশের মাটিতে টেস্টগুলোতে রাজ্জাককে দরকার। তাইজুল-সাকিব-রাজ্জাক বা সাকিব-রাজ্জাক-জুবায়ের - টেস্টের স্পিন কম্বিনেশন এটা হলে ভাল হয়।
তারপরও কথা একটাই। ভবিষ্যৎ। দলটা এখন এগুচ্ছে। এখন অভিজ্ঞতার খাতিরে রাজ্জাককে নিলে দলে ব্যাটসম্যান একটা কম নিতে হবে - নয়তো, নতুন কাউকে বসাতে হবে।
দুই ক্ষেত্রেই রিস্ক। রাজ্জাক বলতে ভ্রাত্যই।
তবে, আমি আশাবাদী - ইংল্যান্ডের সাথে সিরিজটার টেস্টে রাজ্জাক থাকবে। স্পিনার দিয়ে ইংলিশদের নাকানি-চুবানি খাওয়াতে চাইলে জুবায়ের-রাজ্জাক-সাকিব কম্বিনেশনটাই পারফেক্ট। দুই অভিজ্ঞ বাঁ হাতি সাথে লেগি। যেইটা ইংলিশদের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন (উদাহরণঃ শেন ওয়ার্ণ)
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
ফজলুভাই বলেছেন: ভাই, আপনার কথাগুলা খুব ভাল লাগলো! আমি আপনার সাথে মোটামুটি একমত!
কিন্তু কথা হচ্ছে, যতই বলেন, ওয়ানডে এর চেয়ে আমি জুবায়ের কে টেস্ট এ খেলানোর পক্ষে! ওয়ানডে/টি-২০ লেগিদের খেলা না! বর্তমান যুগে তো আরো না! শেন ওয়ার্ন/অনিল কুম্বলে কিন্তু টেস্ট খেলেই আগাইসে, তাই আমি জুবায়ের এর জন্য টেস্টের পক্ষেই! আর আমি যতদূর জানি, আবদুর রেহমান লেফট আর্ম স্পিনার ভাই!
রাজ্জাক ভাই কে টেস্ট এ নেয়া হলেও ভাল! কিন্তু আমি ভাই আবারো বলতেসি, রাজ্জাক ভাই ওয়ানডে তে একটা সিরিজের জন্য হলেও সুযোগ দেয়া হোক,কিন্তু অইটা সানি কে বসিয়ে না, সানির অবর্তমানে।
আর আমিও ভাই, ইংলিশ দের স্পিনে নাচানাচি দেখার অপেক্ষায় আছি! রাজ্জাক ভাই দলে থাকলে আরো ভাল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: শুভাগত কে কোন যুক্তিতে নেয়া হলো মাথায় আসছে না ভাই। রাজ ভাই আর কাপালীকে সুযোগ দেয়া উচিত ছিলো।