নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরার্থবাদ

২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪



পরার্থবাদ আসলে কি? এর তাৎপর্যই বা কতটুকু? পড়ুন এবং জানুন। দর্শনের আলোকে তুলে ধরলাম।

পরার্থবাদ এর ইংরেজি শব্দ 'Altruism', যার বিপরীত হচ্ছে স্বার্থপর বা আত্নবাদ (ইংরেজি egoism), অর্থ্যাৎ ইগোইজম বা আত্মবাদের বিরোধীভাব হিসাবে পরার্থবাদ ব্যবহৃত হয়।এর উৎপত্তি ফরাসি শব্দ 'অলট্রুইজমি' (altruisme) থেকে। বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ ১৮৩০ সালে এই শব্দের ব্যবহার সবার কাছে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তোলেন।

পরার্থবাদ হচ্ছে সেই নীতি বা প্রথা যা অন্যের কল্যাণের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অর্থ্যাৎ নিজের চেয়ে অন্যের প্রয়োজনকে সবসময় অনেক বড় করে দেখা এবং প্রয়োজনে নিজের স্বার্থত্যাগ করার প্রবণতাকে পরার্থবাদ বলে।
সহজ কথায় পরার্থবাদ হচ্ছে অন্যে লোকের কল্যাণে যত্নবান হওয়া ও তাদের সাহায্যার্থে কাজ করা।

নীতিবিদ্যা ও সামাজিক বিবর্তনবাদ অনুসারে পরার্থবাদকে উল্লেখ করা হয়েছে কোন ব্যক্তির দ্বারা সেই আচরণ সমষ্টিকে যা অপর কোন ব্যক্তির উপযুক্ততা বা যোগ্যতাকে বর্ধিত করে এবং পাশাপাশি কোন কর্তার উপযুক্ততাকে হ্রাস করে।
অভিব্যক্তিমূলক মনোবিদ্যায় মানবীয় আচরণে এর বিস্তর প্রয়োগ করা হয়েছে, যেমন- দানশীলতা, জরুরী সহায়তা, জোট অংশীদারগণকে সাহায্য, বৈবাহিক উপহার, সরকারি পণ্য উৎপাদন ও পরিবেশবাদ।

পরার্থবাদকে নৈতিক মতবাদের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এখানে বলা হয়েছে ব্যক্তি নৈতিকভাবে অন্যের কল্যাণ করতে বাধ্য। যার বিপরীত দর্শন হচ্ছে নৈতিক ইগোইজম বা আত্নবাদ, যেখানে নৈতিক কর্তাগণ সবসময় নিজেদের স্বার্থে নিযুক্ত থাকবেন।

আবার ধর্মীয় দিক থেকে এর ব্যাপকতা রয়েছে অনেক।ইসলাম থেকে শুরু করে প্রতিটি ধর্মেই পরার্থবাদকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক মূল্যবোধ হিসেবে উন্নীত করা হয়েছে।ইসলাম ধর্মে যা ইথার (Ithar) ধারণার সাথে সম্পর্কিত।

পরার্থবাদ কথাটির সাধারণ অর্থ সুপরিচিত। এই অর্থে পরার্থবাদ দ্বারা অপরের জন্য দুঃখ-কষ্ট সহ্য করা বা ত্যাগ স্বীকারের মনোভাব বুঝায়। আত্মবাদের ন্যায় পরার্থবাদকেও মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি বলে অগাস্ট কোঁৎ মনে করেন।
যেমন ধরুন - মা যখন সন্তানের জন্য কষ্ট স্বীকার করে তখন মা পরার্থপরতার পরিচয় দেয়। পরার্থপরতা যখন মানুষের একটি সামাজিক অনুভূতি তখন এই অনুভূতির চর্চা এবং উন্নতি সাধন দ্বারা মানুষের সমাজকে স্বার্থের সংঘাত থেকে মুক্ত করা সম্ভব বলে কোঁৎ মনে করতেন। সমাজকে উন্নত করার মাধ্যম হিসাবে পরার্থবাদকে উক্ত দার্শনিক একটি নীতিগত তত্ত্ব হিসাবে দাঁড় করান। কোঁৎ এর মতে স্বার্থপরতা কেবল মানুষের নয়, মনুষ্যত্বের জীবের মধ্যেও এর সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। এটা কেবল মৌলিক জৈবিক অনুভূতি এবং এই অনুভূতির জন্যই পশু-পাখিও সন্তানকে বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য নিজে বিপদ বরণ করে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৬

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বুঝেছি মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কে জাগ্রত করার অনাতম উপায় এই পরার্থবাদ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। আশা করি পরবর্তী লেখাগুলোতেও আপনাদের সহযোগিতা ও সাহস পাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.