নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোর্ট ম্যারেজ কি? আইনে এর কোন বৈধতা আছে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫


কোর্ট ম্যারেজ শব্দটা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কেউ পালিয়ে গিয়ে আবার কেউ সবার অজান্তে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে থাকে। কোর্ট ম্যারেজ সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ। কোর্ট ম্যারেজ সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে পরবর্তী সময়ে অনেক আইনি ঝামেলার মধ্যেও পড়তে হয়।

অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা আদালতপাড়ায় আইনজীবীর চেম্বারে গিয়ে বলে তারা কোর্ট ম্যারেজ করতে চায়। অনেক আইনজীবীও কোর্ট ম্যারেজ বিষয়টি ব্যাখ্যা না দিয়ে বিয়ের একটি হলফনামা সম্পন্ন করে দেয়। কিন্তু কোর্ট ম্যারেজ বলতে আসলে কী বোঝায়? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

★কোর্ট ম্যারেজ কি?

আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো বিধান নেই। এটি একটি লোকমুখে প্রচলিত শব্দ। প্রচলিত অর্থে কোর্ট ম্যারেজ বলতে সাধারণত হলফনামার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের ঘোষণা দেওয়াকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
এ হলফনামাটি ২০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে নোটারি পাবলিক কিংবা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এটি বিয়ের ঘোষণামাত্র। অর্থাৎ এ হলফনামার মাধ্যমে বর-কনে নিজেদের মধ্যে আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে, এ মর্মে ঘোষণা দেয় মাত্র।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক আইন অনুযায়ী প্রথমে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। তারপর তারা ইচ্ছা করলে এ হলফনামা করে রাখতে পারে। পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে না করে শুধু এ হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত নয়। অনেক সময় বিয়ের হলফনামায় বিয়ের জন্য আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য শর্তগুলো না মেনেই হলফ করা হয়, বিশেষত সাক্ষীদের উপস্থিতি ছাড়াই। এতে বিয়ের হলফনামাটি পরিপূর্ণ হবে না।

★বিয়ের নিবন্ধন করা কি জরুরী বা বাধ্যতামূলক?

মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী, প্রতিটি বিয়ে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে, অর্থ্যাৎ মুসলিম আইনে প্রতিটি বিবাহের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
কার সঙ্গে কার, কত তারিখে, কোথায়, কত দেনমোহর ধার্য, কী কী শর্তে বিয়ে সম্পন্ন হলো, সাক্ষী ও উকিলের নাম প্রভৃতির একটা হিসাব সরকারি নথিতে লিখে রাখাই হলো নিবন্ধন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী বিয়ে নিবন্ধন করার দায়িত্ব মূলত বরের। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় কাজি ও পাত্রের দুই বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় ধরনের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। বিয়ে রেজিষ্ট্রী না করে শুধুমাত্র হলফনামায় ঘোষণা দিয়ে ঘর-সংসার করার প্রবণতা অমাদের দেশে ক্রমেই বাড়ছে। অথচ এর কোন বৈধতা নেই। বিশেষ কয়েক শ্রেণীর নারী-পুরুষের মধ্যে এরকম বিয়ের প্রবণতা বেশী দেখা যায়। তন্মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক, যৌন কর্মী এবং বিশেষ প্রেম-ঘটিত তরুণ-তরুণী।

যে ক্ষেত্রে কাজি বিয়ে পড়িয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে কাজি তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে নিবন্ধন করবেন। নিকাহনামা বা কাবিননামা ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

★নিবন্ধন করা থাকলে সুবিধা কি?

♣বিয়ে নিবন্ধন করা থাকলে তালাকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয়।
♣স্ত্রীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায়ের জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়।
♣সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়।
♣কাবিননামা ছাড়া শুধু বিয়ের হলফনামা সম্পন্ন করা হলে বৈবাহিক অধিকার আদায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

★হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রে করণীয় কি?

হিন্দু বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা মেনেই প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

★হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রে নিবন্ধন করতে হবে কি? বা হিন্দু বিবাহে নিবন্ধন করা কি বাধ্যতামূলক?

বর্তমানে হিন্দু বিয়েতে নিবন্ধনের বিষয়টি ঐচ্ছিক করা হয়েছে। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ অনুযায়ী হিন্দু বিবাহের দালিলিক প্রমাণ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে হিন্দু বিবাহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন করা যাবে।
তবে কোন হিন্দু বিবাহ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত না হলেও তার কারণে কোন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সম্পন্ন বিবাহের বৈধতা ক্ষুণ্ণ হবে না।

★সাক্ষী ছাড়া কি বিয়ে হবে?

না। সাক্ষী অবশ্যই লাগবে। মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন পুরুষ অথবা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে।

★বয়স কত হতে হবে?

ছেলে ও মেয়েকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অর্থ্যাৎ ছেলের ক্ষেত্রে ২১ এবং মেয়ের ক্ষেত্রে ১৮ বছর হতে হবে। এবার সাথে যা যা থাকা লাগবে তা হচ্ছে আপনার বয়স, তবে আপনার বয়স যে আইনে নির্ধারিত বয়সের বেশি বা সমান হয়েছে তার প্রমাণ কি! হ্যা প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র যদি থাকে তা কাজীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। পরিচয়পত্র যদি না থাকে তবে এসএসসি পাশের সনদ কিংবা জন্মনিবন্ধন পত্র সাথে নিয়ে গেলেই হবে। আর ছেলে/মেয়ে দুইজনের দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে।

★বিয়ের খরচ কত হবে?

কাবিন নামার ক্ষেত্রে খরচ যেকোনো বিয়ের ক্ষেত্রে একই। মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে একজন বিবাহ রেজিস্ট্রার দেনমোহরের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণ করে থাকেন। ধার্য্যকৃত দেনমোহরের প্রতি হাজার বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি। তবে রেজিস্ট্রেশন ফি এর পরিমাণ ১০০ টাকার কম হবে না এবং ৪০০০ টাকার উপরে হবে না।
যেমনঃ কারো বিয়ের দেনমোহর ১০,০০০ টাকা হলে ফি হবে ১০০ টাকা, ১০,৫০১ টাকা হলে ১১০ টাকা (প্রতি হাজারের অংশবিশেষের জন্যও ১০ টাকা), ১১,০০০ টাকা হলেও ১১০ টাকা, দেনমোহরের পরিমাণ ৫০০,০০০ টাকা হলেও ৪০০০ টাকা (সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪০০০ টাকা) আবার দেনমোহর ১০০০ টাকা হলেও ফি দিতে হবে ১০০ টাকা (যেহেতু সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০ টাকা)। উল্লেখ্য রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব বরপক্ষের।

★কোর্ট ম্যারেজ করে ফেললে করণীয় কি?

যদিও কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো বিয়ে নেই, তবু প্রচলিত অর্থে কোর্ট ম্যারেজের নামে কেউ শুধু বিয়ের হলফনামা করে থাকলে এবং বিয়েটি নিবন্ধন করা না থাকলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কাজির সঙ্গে সরাসরি আলাপ করে বিয়ে নিবন্ধন করে নেওয়া উচিত এবং হলফনামার সঙ্গে সব তথ্য ও তারিখ মিল রেখে বিয়ের নিবন্ধন করে নিতে হবে। হিন্দুরাও বিয়ে নিবন্ধন করে নিতে পারেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়লাম এবং প্রিয়তে রাখলাম ভবিষ্যতে যদি কাজে লাগে!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ। আশাকরি কাজে দিবে।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি, যারা পরকীয়া করে
কাজের বেটি বা অন্য কারো বৌ নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে
বিয়ে করে। নিজের স্ত্রী পুত্র রেখে। এই সব বিয়ে কোর্ট
বিয়ে নামের নিবন্ধী করে বা স্ত্রী পুত্র পূত্রীকে বানোয়াট
নোটিস দিয়ে তিন মাস বা তারও অধিক দিন অতিবাহীত
করে। আইনত তাদের শাস্তি কি হতে পারে?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩২

মার্কো পোলো বলেছেন: অবশ্যই। এটি ফৌজদারী অপরাধ। বিয়ে নিয়ে প্রতারণা করলে এর শাস্তি সম্পর্কে দণ্ডবিধি তে দেওয়া আছে। দণ্ডবিধির ৪৯৩ ধারা থেকে ৪৯৬ ধারা পর্যন্ত বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির বিধান আছে, যার অধিকাংশ অপরাধই জামিন অযোগ্য।

♣৪৯৪ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো ব্যক্তি এক স্বামী বা এক স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও পুনরায় বিয়ে করেন, তাহলে দায়ী ব্যক্তি সাত বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
♣৪৯৫ ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় বা পরবর্তী বিয়ে করার সময় প্রথম বা আগের বিয়ের তথ্য গোপন রাখেন, তা যদি দ্বিতীয় বিবাহিত ব্যক্তি জানতে পারেন, তাহলে অপরাধী ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
♣৪৯৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি আইনসম্মত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ব্যতীত প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করেন, তাহলে অপরাধী সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
♣এছাড়া কোনো মুসলমান ব্যক্তি ১ম স্ত্রী থাকলে সালিসি পরিষদের অনুমতি ছাড়া এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আরেকটি বিয়ে করেন, তিনি ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬ (৫) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যক্তিকে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
♣♣কোথায় কীভাবে আইনের আশ্রয় নিতে হবে?
বিয়ে-সংক্রান্ত অপরাধের জন্য অভিযোগ থানা বা আদালতে গিয়ে চাওয়া যাবে। থানায় এজাহার হিসেবে মামলা দায়ের করতে হবে। যদি মামলা না নিতে চায় তাহলে সরাসরি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে সরাসরি মামলা দায়ের করা যাবে। কেউ কেউ থানায় না গিয়ে সরাসরি আদালতে মামলা করে থাকেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। আদালতে মামলা করার সময় যথাযথ প্রমাণসহ অভিযোগের স্পষ্ট বর্ণনা দিতে হবে এবং সাক্ষীদের নাম-ঠিকানাও দিতে হবে। আদালত অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যেকোনো আদেশ দিতে পারেন। অনেক সময় অভিযোগ আমলে না নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন।
♣কেউ যদি স্বামী বা স্ত্রীর পরিচয়ে নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে অথচ আদৌ কোনো বিয়ে সম্পন্ন হয়নি তাহলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করার সুযোগ আছে এবং এ মামলা থানায় করতে হবে। এ ছাড়া ভুয়া কাবিননামা তৈরি করলে জালিয়াতির অভিযোগও আনা যাবে।
♣♣তবে যে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে-
♦বিয়ে যেভাবেই সম্পন্ন হোক না কেন কাবিননামা কিংবা বিয়ের সব দলিল নিজের কাছে রাখা উচিত।
♦কাবিননামার ওপর কাজির সিল স্বাক্ষর আছে কি না যাচাই করে নিতে হবে এবং কোন কাজির মাধ্যমে বিয়েটি সম্পন্ন হলো তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া ভালো।
♦মুসলিম বিয়ে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এটা স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই মনে রাখতে হবে। বর্তমানে হিন্দু বিয়ের নিবন্ধনও ঐচ্ছিক করা হয়েছে। বিয়ের হলফনামা করা থাকলে তাও সংগ্রহে রাখতে হবে।

♣♣সবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৬

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: এত আইন দিয়ে কি হবে ?

টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারচ্ছি না।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

মার্কো পোলো বলেছেন: আইন না থাকলে মানুষ যেমন অপরাধ প্রবণ হয়ে যেত, তেমনি সমাজও হত কলুষিত। তবে আইন থাকলেই হবে না, এর বাস্তুক প্রয়োগ অবশ্যই থাকতে হবে।

দ্রুত আপনার বিয়ের ফুল ফুটুক এই কামনাই করি।

ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আমার বিয়ের কাবিন রেজিষ্টি ছিলনা, অথচ আমরা
চব্বিশ বছর সংশার করেছি, অথচ আমার স্বামী
পরকীয়া করার কাবিন লুকিয়ে ফেলে আমার সাথে
সংশার ভেঙে দেয়। আমার বড় বড় দুটি ছেলে মেয়ে
আছে।
এটা কতটুকু অপরাধ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

মার্কো পোলো বলেছেন: বড় ভুল করেছেন বিয়ের সময় রেজিস্ট্রি না করে। এজন্যই বিয়ের প্রমাণাদি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। কেননা বিয়ে হল এক ধরনের চুক্তি, যেখানে রেজিস্ট্রেশন চুক্তিনামা হিসেবে কাজ করে। আর বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার পর রেজিস্ট্রেশন কপি না থাকলে প্রতিকার পাওয়া অসম্ভব হয়ে পরে।
অপরাধ অনেক ধরনের হয়েছে। প্রথমত, উনি ২৪ বছর সংসার করেছে অথচ রেজিস্ট্রেশন করেনি। দ্বিতীয়ত, উনি আরেকটা বিয়ে করে আপনার সাথে প্রতারণা করেছেন। তৃতীয়ত, আপনার অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। চতুর্থত, ১ম বিয়ের তথ্য গোপন করে আরেকটা অপরাধ করেছেন।
আপনাদের বিষয়ে কিছু তথ্য জানলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার জানতে পারতাম। আপনাদের বিয়ে কি কাজী নাকি কোন হুজুরের কাছে সম্পন্ন করেছিলেন? নিকাহনামা কি আপনার কাছে নেই? বিয়ের সময় দেনমোহর ধার্য হয়েছিল, যেটা নিকাহনামায় বা মুখে মুখে ধার্য হয়েছিল?
প্রতিকার হিসেবে আপনি রেজিস্ট্রেশন কপি না থাকলেও বিবাহ সম্পর্কিত প্রতারণার মোকদ্দমা করতে পারেন। তবে সুবিধা হচ্ছে আপনার ছেলে মেয়ে আছে, যেখানে মোকাদ্দমার বিষয়াদি এবং বিয়ে প্রমাণ করার জন্য সহজ হবে। দেনমোহর আদায় না হয়ে থাকলে সেটাও পাবেন।
ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আমার বিবাহ হয় কাজির মাধ্যমে। আমার স্বামী বেকার
ছিল। শুধুই বিশ্বাসই আমি কাবিনের তোয়াক্কা করিনাই।
আমার স্বামী ওআমার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা
থানায়। আমার স্বামী চাকুরী করত চট্রগাম সেই সুত্রে
আমিও চট্রগ্রাম বসবাস করি। প্রায় দশ বছর অতিবাহীত
হওয়ার পর কাজী চাচার অসুস্থতার কথা জানতে পারি
আমি কাজি চাচার কাছ থেকে কাবিনের কাগজ ফিরে
এনে চট্রগামের বাসায় রাখি। সেখান থেকে আমার স্বামী
লুকিয়ে ফেলে। আর চট্রগ্রামেই আমি কাবিনটা রেজিস্ট্রি
করতে চেয়ে ছিলাম।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

মার্কো পোলো বলেছেন: বিশ্বাস করে ভুল করেছেন। আরেকটা ভুল করেছেন কাবিননামা না নিয়ে। এটি ছাড়া ডিভোর্স পরবর্তী সাক্ষ্যপ্রমাণে সমস্যায় পড়তে হয়। তবে আপনি চাইলে এখনও বিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন। ছেলে মেয়ে থাকলে সেটা প্রমাণ করা কঠিন কিছু না। এ সম্পর্কে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। আমি একটা পোস্টে আপনার মতই এরকম ঘটনা উল্লেখ করেছিলাম, যেখানে রেজিস্ট্রি, কাবিননামা ছাড়াও উচ্চ আদালত মেয়ের পক্ষে রায় দিয়েছে। পড়লে বুঝতে পারবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১১

ফাহেল৯৬ বলেছেন: একটা জিনিস জানার ছিলো,নেটে অনেক খুজেও পাই নি। তাই এখানে প্রশ্ন রাখলাম। অামার পরিচিত একজন তার প্রেমিকাকে গোপনে বিয়ে করে কাজি অফিসে, সেটা রেজিস্ট্রিও করে। নিকাহনামার মূল কপিও তার কাছে অাছে। এখন ব্যাপার হলো তারা ফ্যামিলিকাল ভাবে অনুষ্ঠান করে অাবার বিয়ে করবে (ঔই ২ জনই, কিন্তু এবার ফ্যামিলির অনুমতিতে,অাগের বিয়ে ছিলো নিজেরা নিজেরা ফ্রেন্ড সার্কেলের উপস্থিতিতে)। এই অবস্তুায় তারা চাচ্ছে না অাগের বিয়ের ব্যাপারটা ফ্যামিলিতে জানুক, কারন এক্ষেত্রে মান সম্মান একটু নস্ট হবে, ২ পক্ষের ফ্যামিলিও ভাববে এরা অনেক মাতববর হয়ে গেসে। এখন করণীয় কি যাতে অাগের বিয়ে সম্পর্কে জানতে না পারে?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৫

মার্কো পোলো বলেছেন: দেখুন উনারা আগেই যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ে সম্পন্ন করে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে দুই পরিবারের সম্মতিতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিয়ের ব্যাপারটা প্রকাশ করতে বলেন। আগেই বিয়ে সম্পন্ন করে নিয়েছেন। সুতরাং পূণরায় দ্বিতীয়বার বিয়ে পড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তবে দুই পরিবারের সম্মতিতে অনুষ্ঠান করতে পারেন।
ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১২

mohammad shalauddin বলেছেন: আমার বিয়ে হয় ৯ জুন, ২০১৮ তে, বিয়ের পর বিভিন্ন সমস্যার দরুন আমি কর্মহীন হয়ে পরি। তারপর আমার স্ত্রী আমার মা এর সাথে বুঝে না বুঝে অনেক সময়ই বাজে আচরণ করে। তারপর ও আমি রেগে না গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আমার শারীরিক কোন সমস্যাও নেই। গত ডিসেম্বর ১১, ২০১৮ তারিখে আমার স্ত্রী হঠাৎ নিজের বাবার বাড়ি চলে যায়। এবং আমাকে অনবরত ডিভোর্স দেয়ার কথা বলে। কিন্তু আমার সাথে তার কোন রাগারাগি বা কথা কাটাকাটি হয়নি। সে যাবার আগেও আমাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিল। এমতাবস্থায় সে আমাকে তালাক দিতে চাচ্ছে, কিন্তু আমি তালাক দিতে চাচ্ছি না। এক্ষেত্রে কোন আইনানুগ সমাধান আছে কি না, জানতে চাচ্ছি। ধন্যবাদ। (বিপ্লব-ঢাকা)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২২

মার্কো পোলো বলেছেন: আপনি দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। কারো স্ত্রী যদি আইনগত কোন কারণ ছাড়াই তার স্বামীর সাথে একত্রে বসবাস না করে, সে ক্ষেত্রে স্বামী দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে।

এক্ষেত্রে দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের মামলায় আপনাকে অবশ্যই প্রমান করতে হবে যে, আপনি নির্দোষ ও নিরীহ মনোভাব নিয়েই আদালতের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন।

তবে স্ত্রী যদি প্রমাণ করতে পারে যে, স্বামী তার সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করেছে, তবে স্বামী ডিক্রি পাবে না। নিষ্ঠুরতার আকার প্রকৃতি এমন হতে হবে যে, ওই অবস্থায় স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর ঘরে যাওয়া নিরাপদ নয় , তখন সেটা হবে একটি উত্তম বৈধ প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৪

জেমস২৫২৫২৫২৫ বলেছেন: লাষ্ট ২ টি কমেন্টের উত্তর আপনি দেননি, আশা করি আমি উত্তরটি পাবো।
আমার প্রেমিকার বাসায় ঝামেলা চলছে তাই সে আমাকে বলেছে শুধু হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে ষ্ট্যাম্পে একটি লিখিত প্রমান রাখতে যেনো পরবর্তিতে আমাদের পরিবারদের বিয়ের প্রমান হিসেবে ষ্ট্যাম্পে লিখিত প্রমান দেখাতে পারি। কিন্তু তার ইচ্ছা যে আমাদের বিয়ে সম্পর্কে আমরা ২জন ছাড়া অন্য কেউ যেনো না জানতে পারে। এও বলেছে, আমরা কোর্টে কোনো রেজিষ্ট্রি করবো না শুধু হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়াবো ষ্ট্যাম্পে প্রমান রেখে কোনো সাক্ষি ছাড়া। বলে রাখছি আমাদের বয়স বেশি না। আমাদের মাত্র ১৭ বছর। আমাদের অনেক বেশি সমস্যা তাই আমরা চাই কেউ যেনো আমাদের আলাদা না করতে পারে। ভবিষ্যতে, আমাদের পরিবার আলাদা করতে পারে এইটা আমাদের ধারনা। তাই আমাদের এই অল্প বয়সে পদক্ষেপটি নিতে হচ্ছে। আমরা অল্প বয়সে বিয়ে করার জন্যআইনের কাছে যেনো ধরা না পরি তাই রেজিষ্ট্রি করতে চাইছিনা
এইটা কি সম্ভব?

আশা করি শিঘ্রই উত্তর দিবেন। ধন্যবাদ!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

মার্কো পোলো বলেছেন: প্রথমত, হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়ানো ইসলামে জায়েজ আছে, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত পরবর্তীতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। বিয়ের প্রমাণাদি বা ডকুমেন্ট হচ্ছে রেজিস্ট্রেশন।
দ্বিতীয়ত, সাক্ষী ছাড়া বিয়ে বৈধ নয়, বিয়েতে অবশ্যই ২ জন সাক্ষী উপস্থিত থাকতে হবে। হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়ালেও সাক্ষী থাকতে হবে।
তৃতীয়ত, আইনে বিয়ের জন্য দুজনেরই সাবালক/সাবালিকা হতে হবে (ছেলে ২১, মেয়ে ১৮)। আপনাদের এই মুহুর্তে বিয়ে সম্পন্ন করা মানে অনেক ঝামেলায় জড়ানো। স্ট্যাম্পে লিখিত প্রমাণ এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। কারণ, আইনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য বিয়ের কাবিননামা বা রেজিষ্ট্রেশন থাকা অবধারিত।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.