নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে ক্ষমতাধর? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাকি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০১


কে ক্ষমতাধর? সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাকি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস? প্রশাসন চোরের পক্ষে থাকবে নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির আদেশ মানবেন?

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর গতকাল বুধবার (৩১ আগস্ট) আদালতে প্রকাশ্য এসব প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।

তিনি বলেছেন, কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসী আড়ুয়াকান্দি গ্রামের একটি মন্দির থেকে একশ ৬০ ভোল্টের সোলার প্যানেল চুরি করে তা নিজের শ্বশুরবাড়িতে স্থাপন এবং ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা থেকে ৪টি গাছ কেটে ব্যক্তিগত ভবনে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। এই অভিযোগের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে আমি নিজে জানানোর পরও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। এটা দুঃখজনক।

পাসপোর্টের জন্য তথ্য যাচাইয়ের নামে হাইকোর্টের একজন বিচারপতির বাসায় যেয়ে পুলিশের এএসআই সালামের ঘুষ দাবির বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ওই মন্তব্য করেন।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর আদালতে বলেন, ‘গত ২৪ আগস্ট আমার এক নিকটাত্মীয়ার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য আড়ুয়াকান্তি গ্রামে যাই। এসময় এলাকাবাসী কদমবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ওইসব অভিযোগ নিয়ে আসেন। সেখানে প্রশাসনের লোকজন ছিল। তাদের এ বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে এর সত্যতা পায়। কিন্তু তারা ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সোল্যার প্যানেল চুরির বিষয়টি ওই চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছালে একদিন রাতের আধারে ওই মন্দিরে মাত্র ৬০ ভোল্টের একটি সোলার প্যানেল লাগিয়ে যায়। এরপর আবার ৬০ ভোল্টের পৃথক একটি সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে ওই মন্দিরে। এ অবস্থায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ওই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তারা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির কথা আমলে নেননি। সুপ্রিম কোর্টর একজন বিচারপতির কথা তাদের কাছে কিছু না। এই হলো অবস্থা।’

এসময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর বলেন, আমি বলার পরও চুরির বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এতে ওই এলাকার জনগণের মনে কী ধারণা সৃস্টি হবে বলুনতো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

প্রািন্ত বলেছেন: এটাই বাংলাদেশের অপ্রিয় সত্য কথা। চোরে চোরে যখন খালাতো ভাই, তখন কারও কিছু করার থাকে না। এদেশের সরকার যেখানে ৫% ভোট নিয়ে জোর করে ক্ষমতা আকড়ে ধরে রয়েছে, তখন এমন ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাবে এটাই স্বাভাবিক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

মার্কো পোলো বলেছেন: ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার দুঃসাহসও আজকাল পাচ্ছে।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

নীল আশরাফ বলেছেন: এদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হল বিচার বিভাগ, তারপর পুলিশ, তারপর স্থানীয় সরকার প্রশাসন। আপনারাই বলুন, কে কার কথা মানবে?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

মার্কো পোলো বলেছেন: দুর্নীতিগ্রস্থ খাত ঠিক আছে, তবে ক্রম টা উল্টো হবে। মনে হয় স্থানীয় সরকার থেকেই হবে। আর বিচার বিভাগকে অবমাননা করলে পরে জনগণের আস্থা আরো কমে যাবে।
ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার লেখনি।

অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

মার্কো পোলো বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.