নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনাকে যদি কেউ মোবাইলে বিরক্ত করে তাহলে আপনি কি করবেন??

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১২



আপনাকে যদি কেউ মোবাইলে বা টেলিফোনে বিরক্ত করে তাহলে আপনি তার বিরুদ্ধে চাইলে আইনি ভাবে একশন নিতে পারেন। কিন্তু কিভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

আপনাকে কেউ হয়তো মোবাইল বা টেলিফোনে বিরক্ত করছে, গালিগালাজ, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করছে, নাম্বার ব্লক বা ব্ল্যাক লিস্টে রেখে দিচ্ছেন কিন্তু অন্য নাম্বার থেকে কল দিয়ে আবারো সেই পরিস্থিতিতে ফেলে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আপনি বুঝতে পারছেন না কি করবেন। অনেকে আবার হয়তো চাঁদা দাবি করছেন বা অপমানকর কথা বলছেন বা হুমকি দিচ্ছেন, তখন আপনি কি করবেন বুঝতে পারছেন না। এজন্য আপনাকে কি করতে হবে জেনে নিন।

♣কেউ যদি উপরোল্লিখিত সমস্যা করে থাকে তাহলে আপনাকে BTRC তে ফোন করে কমপ্লেইন করতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা একশন নিবে এবং ৩ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।

যোগাযোগের ঠিকানা:-
Bangladesh Telecommunication Regulatory
Commission (BTRC)
Phone (PABX): + 880 29611111
Email: [email protected]



♣♣অন্য দিকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এ সম্পর্কে কি বলে?

♦টেলিফোনে বিরক্ত করার দণ্ড -
→টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭০ ধারায় বলা হয়েছে, বার বার টেলিফোন করে কাউকে বিরক্ত করা বা অসুবিধার সৃষ্টি করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত যদি অন্য কোন ব্যক্তির নিকট এরূপে বারবার টেলিফোন করেন যে, তা উক্ত অন্য ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহলে এরূপে টেলিফোন করা একটি অপরাধ হবে এবং তার জন্য দোষী ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে দণ্ডনীয় হবেন৷

♦অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা প্রেরণের দণ্ড -
→বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৬৯ অনুসারে, যদি কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোন অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোন বার্তা প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যন্ত্রপাতির পরিচালন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির নিকট প্রস্তাব করেন, বা উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়োক্ত ব্যক্তি সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে উক্তবার্তা প্রেরণ করেন, তাহলে প্রস্তাবকারী ও প্রেরণকারীর এ কাজ হবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত প্রস্তাবকারী বা, প্রেরণকারী বা, ক্ষেত্রমত, উভয়ে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।

আবার কোন ব্যক্তি যদি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট অশ্লীল, গুরুতরভাবে অপমানকর, হুমকিমূলক কোন বার্তা বা অন্যকোন ভীতিকর বার্তা বা কোন কথোপকথন বা ছবি বা ছায়াছবি প্রেরণ করেন, এ ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন।

বিঃদ্রঃ অনেকেরই এ সম্পর্কে ধারণা নেই, যার কারণে মুখবুঝে সহ্য করতে হচ্ছে অনেক মানসিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নানান অশান্তি। সুতরাং এ সম্পর্কে ধারণা রাখুন, আপনিও এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

প্রথমকথা বলেছেন: খুব সুন্দর উপকারি পোষ্ট।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২১

মার্কো পোলো বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.