নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিভোর্স শিখিয়ে দিবে যে ১০টি জিনিস।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩


ডিভোর্স শিখিয়ে দিবে যে ১০টি জিনিস। ডিভোর্স দেওয়ার আগে একবার হলেও ভাবুন।

বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স, শুনতে যতই সহজ মনে হোক না কেন ব্যাপারটা আসলে ভীষণ কঠিন একটা কিছু। একটা ডিভোর্স আপনাকে যা শিক্ষা দিয়ে যাবে, গোটা জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা একত্রিত করলেও বুঝি সেই শেখাটা হয়ে ওঠে না। ডিভোর্স আপনার মর্জিতে হোক বা অন্য কারো দ্বারা হোক, আপনার জীবনটা আগাগোড়া পাল্টে দেবে। কখনো পরিবর্তনটা হবে খারাপ, কখনো হবে খুব ভালো। কী হবে সেটা নির্ধারণ করবে কেবল সময়।

১) ডিভোর্সে আসলে কেউ জেতে না

হ্যাঁ, হতে পারে ডিভোর্স হয়েছে আপনার মর্জিতে কিংবা আপনি নিজেই দিয়েছেন ডিভোর্স। কিন্তু সত্য এটাই যে, বিবাহবিচ্ছেদে আসলে কেউ জেতে না। ডিভোর্সের অর্থে এটাই যে আপনারা দুজনে একটি সম্পর্ক রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২) পৃথিবীর কোন কষ্টের সাথে এটার তুলনা নেই

ভালোবাসা থাকুক বা না থাকুক, সংসার ভাঙার কষ্ট একটা ভয়াবহ জিনিস। অনেকটা সময় একটা জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর সেটা যখন ভেঙে যায়, নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে নেয়াটা একটা ভয়ংকর কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ডিভোর্সে কেবল স্বামী বা স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভাঙে না, সম্পর্ক ভাঙে সেই প্রতিটি মানুষের সাথে শ্বশুরবাড়ির সূত্রে যাদের সাথে আবদ্ধ ছিলেন আপনি।

৩) সঠিক কাজটি করা মাঝে মাঝে চরম কঠিন হয়ে দাঁড়ায়

হ্যাঁ, কাজটি হয়তো সঠিক। এই ডিভোর্স দেয়াটাই আপনার জন্য ভালো, সবার জন্যও ভালো। কিন্তু মাঝে মাঝে সঠিক কাজটা করে ওঠা যে কি ভীষণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সেটা জানতে পারবেন কেবল ডিভোর্সের সময়েই।

৪) স্মৃতি মুছে ফেলার কোন ব্যবস্থা নেই জীবনে

সম্পর্ক হয়তো নেই। কিন্তু ভালো হোক বা খারাপ, সেই পুরাতন সম্পর্কের স্মৃতি আজীবন আপনাকে তাড়া করে ফিরবে।

৫) সম্পর্ক তৈরির চাইতে ভেঙে ফেলা অনেক বেশি কঠিন

একটা ভালো সম্পর্ক তৈরির কাজটা খুব কঠিন মনে হয়? একমাত্র ডিভোর্সের সময়েই আপনি অনুভব করতে পারবেন যে সম্পর্ক ভেঙে ফেলার চাইতে কঠিন কাজ আর কিছু নেই।

৬) পৃথিবীতে কেউ আপন নয়

এই ডিভোর্সের সময়ে আশেপাশের অনেক আপনজনেরই আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে পড়বে। এবং খুব আশ্চর্য হয়েই অনুভব করবেন যে এই পৃথিবীতে আসলে সত্যিকার অর্থে কেউই আপন নয়। মাঝে মাঝে পরিবার পর্যন্ত নয়!

৭) হাত বাড়ালেই অন্য একটা জীবন

জীবন চিরকাল একইভাবে চলবে, এই ভুল ধারণাও আপনার ভাঙিয়ে দেবে ডিভোর্স।

৮) কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যায়

হ্যাঁ, এখন হয়তো কেউ নেই পাশে। জীবনটা মনে হচ্ছে ভীষণ কঠিন। তবে সত্যটা এটাই যে সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যায়, হতে বাধ্য।

৯) সমব্যথী আরও আছেন

আপনি একাই নন, সম্পর্ক ভাঙনের জ্বালা যে আরও অনেকেই মাঝেই আছে, সেটা কেবল ডিভোর্সের পরই অনুভব করতে পারবেন। বুঝবেন তাঁদের বেদনা।

১০) মাঝে মাঝে আমরা কল্পনার চাইতেও বেশি সাহসী হয়ে উঠি

“আমি পারব না/ আমাকে দিয়ে হবে না” ইত্যাদি কতকিছুই তো ভাবি আমরা নিজের সম্পর্কে। কিন্তু একটা ডিভোর্স আপনাকে শেখাবে যে আসলে কি ভীষণ সাহসী মানুষ আপনি!

তাই ডিভোর্সের পূর্বে অন্তত আরেকবার ভাবুন....।।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: এই সময়ে আপনি নিজেকে খুব ভালো করে চেনার একটা সুযোগ পাবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

মার্কো পোলো বলেছেন: হুম। সেটা ঠিকই পরে বুঝতে পারে কিন্তু করার কিছুই থাকে না।
ধন্যবাদ ভাই।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আজ কাল বেশীর ভাগ সংশার ভাঙে পরকীয়ার কারন। যে সব নারী পুরুষ পরকীয়া লিপ্ত হয় তারা
সংশাত সন্তান সমাজ কোনও দিকেও তোয়াক্কা করেনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

মার্কো পোলো বলেছেন: ঠিক। তাদের কাছে সংসার, মন কিছুই না, বরং বিয়েটাই সব।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: মেয়েদের ডিভোর্সের ক্ষমতা দেওয়াই এখন সমাজে ডিভোর্সের প্রবনতা অাগের তুলোনায় অনেক বেশি।''

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

মার্কো পোলো বলেছেন: একদিকে ঠিক আছে, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ (MFLO), ১৯৬১ অনুযায়ী মেয়েরাও ডিভোর্স দিতে পারে যদি কাবিননামায় তাকে ডিভোর্স দেওয়ার ডেলিগেটেট পাওয়ার দেওয়া হয়। তবে একতরফাভাবে ছেলেদের ডিভোর্সের ক্ষমতা থাকলেও ভয়াবহ হতে পারতো।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয় সামনে এনেছেন। সত্যিই যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন তা ডিভোর্সের আগে একবার হলেও ভেবে দেখা উচিত। যখন ডিভোর্সের চিন্তা কারো মাথায় আসে তখন শুধু একপাক্ষিক চিন্তা থাকে অন্য কিছু চিন্তা মাথায় আসে না। তবে পশ্চিমা বিশ্বে ডিভোর্সের পক্ষের যুক্তি শুনে আমি তাজ্জব হয়েছি। যাইহোক আমাদের চিন্তা বা বাস্তবতা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে সম্পূর্ন আলাদা। আরেকদিন ডিটেইলস্ বলবো। +++++++++++++

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

মার্কো পোলো বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ডিভোর্সে একপক্ষীয় দিক/চিন্তা বেশি থাকে।
ওকে। পশ্চিমা যুক্তি, চিন্তা আপনার কাছে শোনার প্রতীক্ষায় থাকলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

রুবিনা পাহলান বলেছেন: বিয়ে মানে যদি হয় দু’টি আত্মার মিলন তবে যখন আত্মা ভিন্ন মতের হয়ে যায় তখন সেখানে যে কোন আত্মত্যাগ বা সমঝোতাই বিফলে যায়। তবে একান্তই আমার মত, একই ছাদের নীচে, একই ঘরে, একই রুমে, একই বেডে এবং একই বালিশে মুয়ে দু’দিকে মখ ফিরিয়ে থেকে দু পরিবারকে এবং সমাজকে যদি দেখানো হয় আমরা সুখে আছি তবে তার চেয়ে ডিভোর্স অনেক ভাল। ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১২

মার্কো পোলো বলেছেন: হুম। ঠিক বলেছেন। প্রেম হোক বিয়ের আগে, আর প্রেম, বিয়ে দুটোই হোক পরিবারের মতে। বিয়ের পর জ্বালা সহ্য করার চেয়ে এরকম বিয়ে না হওয়াই ভালো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.