![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সময় দাম্পত্য জীবনে অশান্তির কারণে স্বামী স্ত্রীকে বা স্ত্রী স্বামীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে দেন। আবার দুই পরিবারের প্রতিহিংসার জের কখনো কখনো আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
দাম্পত্য অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য মামলা করতে পারেন পারিবারিক আদালতে। কিন্তু দাম্পত্যে কলহ হলেই আদালতে?
পারিবারিক দ্বন্দ্ব, দুই পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের অভাব কিংবা নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে দাম্পত্যে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়ায়, তখনই দেখা দেয় জটিলতা। পারিবারিক আদালতে দাম্পত্য সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার জন্য যেকোনো পক্ষ আবেদন করতে পারে। কিন্তু এতে করে জটিলতা বাড়ে। কেউ যদি সংসার করতে নিতান্তই না চান, তাহলে জোর করে সংসারে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু সমাধান।
অনেক স্ত্রীকে দেখা যায়, স্বামী যদি কোনো কারণে তালাক দেন, তাহলে স্ত্রীর তালাকের বিষয়টি গোপন রেখে যৌতুকের মিথ্যা মামলা ঠুকে দেন। এর প্রধান কারণ থাকে, সংসার যদি মামলার ভয়ে টিকে থাকে।
অনেক স্বামীকে দেখা যায়, জেল-জরিমানার ভয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আপস করে আবার সংসার শুরু করেন। আইন-আদালতের ভয়ে সংসার করা এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে চললে ভবিষ্যতে জটিলতা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। যদি সত্যি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে এই অভিযোগের বিষয়ে হুট করেই আদালতে যাওয়া ঠিক নয়। এর আগে বুঝেশুনে এবং অভিযোগের ভিত্তি যাচাই-বাছাই করেই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মিথ্যা মামলা করাও কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইদানীং ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ আনতে দেখা যায়। এসব মামলায় উভয়ে আপস করে নেবে—এ শর্তে জামিন চাওয়া হয়। আদালতকেও এ শর্তে অনেক সময় জামিন মঞ্জুর করতে দেখা যায়। অনেক ঘটনায় দেখা গেছে, জামিনের লোভে অনেকে কিছুদিন ভালো চলেন, কিন্তু মামলা-মোকদ্দমা প্রত্যাহার করার পর আবার শুরু হয় কলহ-বিবাদ। অনেকে তো আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নির্যাতনে মামলা করে বসেন, যা পরবর্তী সময়ে মিথ্যাও প্রমাণিত হয়।
★কী করণীয়
দাম্পত্যে ফাটল দেখা দিলে প্রথমেই এ নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে নিতে হবে। বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে কেন সম্পর্কে ফাটল হচ্ছে, এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী এবং আদৌ একসঙ্গে ঘর-সংসার করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে নেওয়া উচিত। নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত থাকলে তা ঝেড়ে ফেলাই ভালো। কোনো কারণে নিতান্তই সংসার করা সম্ভব না হলে এ নিয়ে অহেতুক মামলা-মোকদ্দমা করা উচিত নয়। নিজেরা আলোচনা করে কার কী পাওনা রয়েছে, দাবিদাওয়া কী, সন্তান থাকলে এর দায়দায়িত্ব কার থাকবে—এসব বিষয় ঠিক করে শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদই ভালো। যদি কোনো কারণে মনে হয়, দুজনেই ভুল করেছেন, তাহলে আইন অনুযায়ী পুনরায় সংসার করার সুযোগ আছেই। যে সংসার নিজেদের চেষ্টায় বাঁচানো যাবে না, সেটি কী করে আদালতের মাধ্যমে ঠেকানো যাবে?
বিবাহ সম্পর্কিত মিথ্যা মামলার কারণে কত যে বিড়ম্বনা সহ্য করতে হয় সেটি ভুক্তভোগী ছাড়া কারো পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে তাদের বোঝা উচিত অযথা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারে যাওয়াটা কতটা যুক্তিসংগত। হয়রানি করে লাভবান হওয়া যায় না, বরং নিজের মানসম্মান, নৈতিকতাই বিসর্জন হয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
মার্কো পোলো বলেছেন:
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।