![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কিছুদিন আগে থানায় গিয়েছিলাম একটি GD করার জন্য। সেখানে আমি ডিউটি অফিসারের সাথে আমার সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করার এক মুহূর্তে দেখলাম হিজাব পরা একটি সুন্দরি মেয়ে সাথে একজন সুদর্শন পুরুষ ঢুকল সেই রুমে।
-ডিউটি অফিসার মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল আপনাদের সমস্যাটি কি?
-মেয়েটি বললো গত কয়েক মাস যাবত আমার স্বামীর সাথে আমার বনা-বনতি হচ্ছে না। আমার মনে হয় ও অন্য কোন মেয়ের প্রতি আসক্ত। এছাড়া ও ইদানীং আমার সাথে প্রচুর খারাপ ব্যবহার করছে । আমার কেন জানি মনে হয় ও নেশাও করে, ও কেমন জানি বদলে গেছে আমাকে একদম সহ্য করতে পারেনা।
-মেয়েটির সব কথা শুনে পুলিশ অফিসার বললো, তো আমাদের কাছে এসেছেন কেন?
-মেয়েটি বললো, আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি GD করতে চাই। একই সাথে আপনি আমার স্বামীকে ফোন করে ভালোমত হুমকি দিয়ে দেন যেন সে আর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার না করে ।
-পুলিশ অফিসার বললো, দেখুন আপনাদের এই পারিবারিক সমস্যার জন্য প্রথমে আপনারা পারিবারিকভাবে মুরুব্বিদের মাধ্যমে আলোচনা করুন। তাছাড়া পারিবারিক টুকটাক সমস্যার জন্য থানায় আসতে হয় না, এতে আপনার সংসারের অশান্তি আরো বাড়বে। জীবন মানেই একজন অন্যজনকে একটু ছাড় দেওয়া একটু সময় দেওয়া, দেখবেন কিছুদিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে।
-তখন মেয়ের সাথে আসা পাশের সুদর্শন ছেলেটি বললো, “আরে ওর স্বামী অনেক খারাপ, সবসময় ওকে সন্দেহ করে আর গালমন্দ করে ......... ” আপনি প্লিজ একটা কিছু করেন।
-এমন সময় পুলিশ অফিসার ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি এই মেয়ের কি হন?
-ছেলেটি বললো, আমি ওর অফিসের কলিগ।
-তখন পুলিশ অফিসার একটু হেসে বললো, ও তাই! তো আপনি উনাদের ফ্যমিলির বিষয়ে এতো আগ্রহী কেন জানতে পারি?
-ছেলেটি বললো, ও আমার খুব ভালো একজন বন্ধু ও সহকর্মী এই জন্য।
সেখানে আরো অনেক কথা হল। এরপর পুলিশ বাধ্য হয়ে মেয়েটির GD গ্রহণ করল। এর পর মেয়েটি ও তার প্রিয় কলিগ থানা থেকে চলে গেল।
শেষে পুলিশ অফিসার আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “আমি আমার চাকরীর জীবনে একটি বিষয় দেখেছি, যদি কারো স্ত্রী চাকরী করে অথবা স্বামীর থেকে বেশি উপার্জন করে তাহলে উক্ত ফ্যমিলিগুলো খুব একটা টিকতে পারে না, কারণ কি জানেন?
কারণ হলো এই মেয়েটির যে সমস্যা তা সমাধান করা উচিত ছিল ওনাদের পরিবারের মুরুব্বীদের মাধ্যমে। আর এখন তা না হয়ে এই ধরনের সুবিধাবাধি কলিগদের কুপরামর্শের জন্য মেয়েরা পারিবারিক সামান্য সমস্যা নিয়েও চলে আসে থানাতে !!!!
আর একবার যদি কোন পারিবারিক বিষয় থানা পর্যন্ত আসে সে পরিবার টিকা খুব মুশকিল হয়ে যায়। আমাদের সমাজে মেয়েরা সবাই খারাপ না, খারাপ হল এদের পাশে থাকা কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। যারা নিজেদের সুবিধা আদায় করার জন্য একটি পরিবার নষ্ট করে দিতেও দ্বিধা বোধ করে না।
আমি অফিসারের কথা শুনে মুগ্ধ হলাম। তখন আমি মনে মনে ভাবলাম আমাদের পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে আমাদের একটি শক্তিশালী পরকীয়া প্রেম বিরোধী আইন প্রণয়ন করা উচিত অন্যথায় আমরা রেখে যাব আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভয়ংকর পৃথিবী।
,,,, উভয় পক্ষের শাস্তির বিধান রেখে পরকীয়া প্রেম বিরোধী কার্যকর আইন তৈরির প্রয়োজন আছে কিনা এইদেশে? কি বলেন আপনারা??
লিখেছেনঃ শাওন তালুকদার।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
ভাল সাজেশন। তবে কাবিনের টাকা দিলেই পরকীয়া দূর হবে না। প্রয়োজন উভয়ের নৈতিকভিত্তি শক্ত করা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: ভুয়া ঘটনা। কৌশলে মেয়েদের কে ঘরের বাইরে চাকরি করা থেকে বিরত রাখার আহবান।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫১
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঘটনা ভুয়া হবে কেন! আপনি নিজেই খেয়াল করে দেখবেন অনেক মহিলা চাকরিজীবী কতটা দাপট নিয়ে থাকেন। তবে আমি মেয়েদের ঘরের বাইরে চাকরী করার বিরুদ্ধে নই, বরং তাদের চাকরী করার বিষয়টি অবশ্যই পজিটিভ। কিন্তু তাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচারের শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো নারীর সঙ্গে স্বামীর সম্মতি ব্যতীত যৌনসঙ্গম করেন এবং অনুরূপ যৌনসঙ্গম যদি ধর্ষণের অপরাধ না হয়, তাহলে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের দায়ে দায়ী হবেন, যার শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। এটি জামিনযোগ্য ধারার অপরাধ।
এ ক্ষেত্রে নির্যাতিতাকে অন্য লোকের স্ত্রী হতে হবে।
★★তবে ব্যভিচারের ক্ষেত্রে স্ত্রীলোকের কোনো শাস্তির বিধান আইনে নেই। আমার প্রশ্ন হল, ব্যভিচার বা তথাকথিত পরকীয়ার কারণে কেন শুধুমাত্র পুরুষ দোষী সাব্যস্ত হবে! যে নারী তার স্বামীর অজান্তে এ কাজ করতে পারে বা পরকীয়া করলো সে কেন দোষী হবে না!! তার মানে সে নারী জন্য তার এসব দোষও মাফ! আর বাস্তব কথা বললেই কৌশল হয়ে যায়। আমাদের অবশ্যই বাস্তবের সাথে মিল রেখে চলতে হবে। কেউ চায় না সংসারে অশান্তি আসুক, খারাপ হোক। কিন্তু অশান্তি তখনই আসে যখন কর্তৃত্বের প্রশ্ন চলে আসে, ইচ্ছে স্বাধীনতার প্রাধান্য চলে আসে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১৫
আহা রুবন বলেছেন: মেয়েটির অভিযোগ স্বামী তাকে সন্দেহ করে। সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ কিন্তু আছে। মেয়েটি তার কোনও আত্মীয়কে নিয়ে আসার কথা থানায়। এনেছে এমন একজনকে! হয়ত তাকেই সন্দেহ করে। সন্দেহ তৈরি হতে পারে এমন কিছু করা থেকে সাবধান থাকা উচিত। হয়ত চাকরি করে বলে মেয়েটি এসব গ্রাহ্য করে না। আমি মেয়েদের চাকরির বিপক্ষে নই।(আমার মা চাকরি করত, স্ত্রী চাকরি করে।) কিন্তু মেয়েদের সতর্ক হতে বলব।
লেখকের সঙ্গে একমত। মেয়েরা যেন ছোটবেলা থেকে নিশ্চিত হয়ে বশে থাকে, তার স্বামী অর্থ উপার্জন, বয়স, শিক্ষা,সম্মান সব বিষয়েই এগিয়ে থাকবে। উল্টো বা সমানও যদি হয়ে যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংসার টেকে না। আমাদের সমাজে অহরহ দেখা যায় একজন পুরুষ কবি, সাহিত্যিক,গায়ক,অভিনেতা,রাজনীতিকের স্ত্রী অল্প শিক্ষিত অথচ স্বামীটি বিখ্যাত হয়ে যাবার পরও স্ত্রীকে ত্যাগ করেননি। আর দেখুন একজন মহিলা কবি, অভিনেত্রী যদি একটু নাম করে ফেলেন, স্বামী যদি হয় সাধারণ তো হয়েছে তাদের সংসার...!
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
একদম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। সমস্যা হল মানসিক। তারা নিজেদের প্রভাব, দাপট, স্ট্যাটাসকে প্রাধান্য দিতে চায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আইন টাইন বুঝিনা। পারিবারিক সমস্যার সমাধান দুই পরিবার মিলে করা উচিত। অবশ্যই বাবা মা নন। অন্যদের সমন্বয়ে। কারণ, বাবা মা সবসময় তাদের সন্তানদের পক্ষেই থাকেন...
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করে সমাধা করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃত্ব, আধিপত্যকে অপনোদন করতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমি মনে মনে ভাবলাম আমাদের পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে আমাদের একটি শক্তিশালী পরকীয়া প্রেম বিরোধী আইন প্রণয়ন করা উচিত!!!!
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১০
মার্কো পোলো বলেছেন:
সঠিক সাজেশন। পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন জরুরী।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
কোন আইন করে আসলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। যতই আইন করা হোক, ভাঙার মত অবস্থা হলে সেটা ভাঙবেই।
তবে শুধু বিয়ের পরের সম্পর্কই না, যে কোন সম্পর্ক ভাঙার পিছনে মূল কারণটা উভয়ের সাম্যাবস্থা না থাকাটাই।
জ্ঞানের দিক ব্যতিত, অন্যান্য সকল দিক দিয়ে যদি একটা মেয়ে ছেলের থেকে এগিয়ে থাকে - তাহলে সম্পর্কটা টিকে না। এই ক্ষেত্রে প্রভাবক আবার ছেলেরাই। কারণ মেয়েটা এগিয়ে থাকায় ছেলেদের সাথে তার সম্পর্ক ভাল হয়।
আবার যদি ছেলে এগিয়ে থাকে - তাহলেও দুই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। প্রথমত ছেলের সাথে সম্পর্কে থাকা মেয়েটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। দ্বিতীয়ত, ছেলেটা এগিয়ে তার অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্কও ভাল থাকে - সেই ক্ষেত্রে মেয়েদের আচরণও প্রভাব খাটায়।
যদিও প্রকৃতিগত ভাবে সাম্যাবস্থা সম্ভব নয়। যেহেতু জ্ঞানের দিক বাদ দিলাম - সেখানে শারিরীক আকর্ষণীয় দিকটা চলে আসে। এর উপর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই - পুরোটাই প্রকৃতিগত ব্যাপার।
এরজন্য জ্ঞানের দিকে সাম্যাবস্থা আনাই ভাল। দুইজনের জ্ঞান সমপর্যায়ে থাকলে দুইজন যে কোন সিচ্যুয়েশন হ্যান্ডেল করতে পারবে।
নিজস্ব ভাবনা যদিও।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
মার্কো পোলো বলেছেন:
খুব ভাল একটা সাজেশন। সঠিক কথা বলেছেন। জ্ঞানের দিক দিয়ে সাম্যাবস্থা আনা ভাল। তবে আমি অনেককে খেয়াল করেছি জ্ঞানের দিক থেকে সাম্যাবস্থা থাকলেও মেয়ের দিক থেকে প্রভাব টা বেশি আসে।
যাইহোক অন্য সবকিছুর সাথে এ সাম্যাবস্থাও জরুরী।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২
প্রথমকথা বলেছেন: প্রয়োজন উভয়ের সুশিক্ষা।
পরকীয়া প্রেমের জন্য আইনের দরকার নেই, সব চাইতে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হল, বিয়ের সাথে সাথে তার কাবিনের টাকা দিয়ে ইসলামকে অনুসরণ করা। কারণ যতো দিন কাবিনের শর্ত থাকবে ততো দিন উভয়ের পরকীয়া চলবে। তখন মেয়ে বুঝবে যে আগেই তার কাবিনের টাকা দেয়া হয়ে গেছে, এখন আর কোন বাড়াবাড়ি করা যাবে না। ছেলেও বুঝবে বিয়ে করতে হলে আবার টাকা লাগবে। অনেকাংশে পরকীয়া ভালবাসা কমে যাবে বলে মনে হয়।