![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা ৯০ এর দিকে জন্মগ্রহণ করেছি এবং যারা গ্রামে বড় হয়েছি তারা গ্রামের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখেছি আবার শহরের সবচেয়ে অত্যাধুনিক দৃশ্যও দেখেছি।
-এখন তোমরা ঘরে বসেই টেলিভিশনে শত শত চ্যানেল ঘুরাও। মুহূর্তেই দেশ বিদেশের খবরটুকু পাচ্ছ। আর তখনকার সময় শুধুই সাদাকালো টিভি ছিল। আশেপাশের কয়েক বাড়ির মধ্যে একটা। ডিশ নামক কিছু ছিল না। তাতে শুধু বিটিভি আর ইটিভি ছিল। তাও চালের উপরে থাকা এন্টেনা ঘুরাতে হত। প্রতি শুক্রবার দুপুরে বাংলা ছবি, আলিফ লায়লা কিংবা বড় কোন অনুষ্ঠান থাকলে সেই সাদাকালো টিভি বাড়ির উঠানে বসানো হত। আর ঐ বাড়ির পুরুষ-নারী সকলে উঠানে বসে টিভি দেখত।
-তোমরা এখন কোথাও গেলে হরদমছে সেলফি তুলে আপলোড কর, বিয়েতে ডিএসএলআর কিংবা ভিডিও করাও আরও কত কি। আর তখনকার সময়ে কি হত জানো? বড় বড় বিয়ের অনুষ্ঠান হলে তাতে বড়জোর “কোডাক” এর ফিল্ম সিস্টেম ক্যামেরা আনা হত। আর তাকে ঘিরে কত উত্তেজনা। ক্যামেরা থেকে ফিল্ম খোলার সময় অনেক বাড়তি সতর্কতা ছিল। কারণ রোদের তাপ লাগলেই ফিল্ম জ্বলে যেত। কারো কাছে ক্যামেরা থাকা মানে বিশাল ব্যাপার।
-আজ প্রত্যেকের হাতে হাতে সেলফোন। কিন্তু ২০০০ এর আগে সেলফোন কি জিনিস আমরা তা দেখিনি বললেই চলে। বাড়িতে ফোন থাকতো না বললেই চলে। বাজারে ফ্যাক্স এর দোকানে থাকতো মোবাইল। তাও স্মার্টফোন না। নোকিয়ার বড় সাইজের ফোন গুলো। তখন এতটা স্ট্রং নেটওয়ার্ক ছিল না। কথা বলার জন্য টিনের চালে উঠতে হত। এমনকি অন্য কোথাও থেকে ফোন করলে ফিরতি কোলের জন্য পে করতে হত।
-আজ কারো কাছে রেডিওর কদর নেই। তখনকার সময় এরকম এফএম ছিল না। ছিল শুধু বাংলাদেশ বেতার। বাড়িতে দুপুরে রকমারি গানের অনুষ্ঠান সবাই একসাথে শুনতো। মা, চাচী, জেঠী সহ বাড়ির সকলেই উঠানে রোদ পোহাতাম আর রেডিও শুনতাম। সেই শো শুনে বাড়ির বয়স্ক ও মুরুব্বীরা পোকলা দাতে হেঁসে দিত।
-জানো, তখনকার সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে কাছারি ঘরে হুজুরের কাছে পড়তে যেতাম। তারপর বন্ধুরা মিলে বিলের মধ্যে ফুটে থাকা শাপলা কুড়িয়েছি। ডুব দিয়ে শালুক তুলেছি, আগুনে পোড়া দিয়ে তা খেয়েছি। বৃষ্টিতে পিছলা পিছলা খেলতাম। বিকালে হাডুডু হাডুডু খেলতাম। স্কুল ফাঁকি দিয়ে এখান থেকে সেখানে ছুটেছি। পুকুরে ডুবিয়ে ডুবিয়ে মাছ ধরে জোলাবাতি খেলতাম। সবাই একসাথে পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। পুকুরে ডুব দিয়ে মাটি তুলতাম। পুকুরের উপরে আম গাছের উপরে উঠে পানিতে লাফিয়ে পড়তাম, আবার উঠতাম আবার লাফ দিতাম। অন্য রকম সে অনুভূতি।
-রাতে ঝি ঝি পোকার ডাক শুনে ভয়ে গা গরম হয়ে যেত। আমাদের কে ভূতের গল্প শুনিয়ে আমাদের দাদি-নানিরা ঘুম পাড়াতেন। জীবনের সেরা কিছু সময় ছিল সেগুলো।
-সন্ধ্যা হলেই হারিকেন জ্বালিয়ে পড়তে বসতাম। প্রতিদিনের রুটিনবাঁধা নিয়ম ছিল হারিকেনের চিকনি(গ্লাস) পরিষ্কার করতে হতো। মাঝেমধ্যে চিকনি ভেঙ্গে ফেলতাম, পরে গালি শুনতাম। কাগজ দিয়ে ভাঙ্গা অংশ ঢেকে পড়তে বসতাম।
-সন্ধ্যার পর প্রশ্রাব করতে ভয় পেতাম। যদি ভূতে ধরে এই ভয়ে দরজায় দাঁড়িয়েই বা জানালা দিয়ে ছেড়ে দিতাম।
অথচ তোমরা আজ যারা স্কুল,গেমস, পিসি নিয়ে পড়ে থাকো, তোমরা তোমাদের পরবর্তী জেনারেশনের কাছে কি নিয়ে গল্প করবে, বল তো? অন্তত গল্প করার জন্য হলেও তোমাদের গ্রামে যাওয়া দরকার। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য লুকিয়ে আছে অদূরের ঐ গ্রামে।
আমরা যা মজা করেছি, শৈশবকাল পার করেছি যা এখন শুধু কল্পনাই মাত্র। শৈশবের সেই রঙিন দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজো মনের মধ্যে অজানা এক শিহরণ জাগায়। কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো! কালেরগর্ভে হারিয়ে গেলেও স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা কখনই ভুলবো না।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঠিক বলেছেন ভাই। গ্রামের কী যে অপরূপ দৃশ্য রয়েছে সেগুলো আমরা দেখেছি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের সে সৌভাগ্য হয়নি।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সেই যুগ - এই যুগ।
৯০ এর দিকে যারা জন্মগ্রহণ তারা সত্যিকারের ভাগ্যবান। দুটো যুগকে তারা পেয়েছে। সেই যুগের সীমাবদ্ধতার মজাও পেয়েছে, ডিশের চ্যানেল ধরানোর জন্য এন্টেনা লাগাতে আমি বেশ কয়েকবারই ইলেক্ট্রিক শক খেয়েছি (তার ভুল চেনার কারণে), আর এখন আরাম আয়েশে বসে ডিশে চ্যানেল পাল্টাচ্ছি ক্রমাগত - কিন্তু কোনটাই আর ভাল লাগেনা এখন।
মোবাইলের আগের যুগও পেয়েছি, মোবাইলের যুগও পেয়েছি। আমি সেই রেয়ার শ্রেণীর অন্তভুর্ক্ত লোক যে নোকিয়া মোবাইলে স্নেক খেলেছি আর এখন স্মার্ট ফোনের স্ট্র্যাটেজীবেসড গেমও খেলছি।
আহা! সেই যুগ, এই যুগ।
ছোটবেলার অনেক কিছুই মিস করি এখন। সবচেয়ে বেশি বোধহয় মিস করি - শুক্র, শনিবারের বিটিভিকে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
মার্কো পোলো বলেছেন:
আহা! সেই যুগ, এই যুগ!
সত্যিই অনেক মিস করি। খুব ভোরবেলা উঠে বাড়ি থেকে যে বের হতাম খোঁজ খবর থাকতো না, গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত কতবার যে ঘুরেছি। এখন শুধুই স্মৃতি।
টিভির এন্টেনা ঘুরাইতাম আর বলতাম হইছে নাকি, আইছে নাকি। আরো কত কি!
মনে পড়লে ইমোশনাল হয়ে যাই।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৫
রিফাত_হাসান বলেছেন: সমস্যা টা কোথায় জানেন? সমস্যা হল আমরা এক জেনারেশন আরেক জেনারেশন কে শুধু ছোট করতেই জানি। আমরা এটা করেছি, সেটা করেছি। তোমরা কি করছ? হা হা হা
বর্তমান জেনারেশনের এই অবস্থার জন্য শুধু মাত্র এবং শুধু মাত্র আগের জেনারেশনের লোকজনই দায়ী। তারা পারেনি আমাদেরকে এমন সুন্দর একটা শৈশব দিতে। পারেনি প্রতিটি মহল্লায় পার্ক বানাতে। গ্রামের সাথে যোগাযোগ রাখতে। দিয়েছে শহরের দানালের জঙ্গল। হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছে, কম্পিউটার কিনে দিয়েছে। এবং দিন শেষ ব্লগে আমাদেরকেই শুনিয়েছে, তোমরা কি করছ? আমরা হেন করেছি, তেন করেছি। হা হা হা
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮
মার্কো পোলো বলেছেন:
এখনতো গ্রামেও আগেরমতো পরিবেশ দেখি না। আমরা আগে যে মজা করতাম এ যুগের পোলাপানের মধ্যে সেটির কিছুই খুঁজে পাই না। গ্রামেও সেই শহুরে হাওয়া। প্রত্যেকের হাতে স্মার্টফোন। সবাই এফবি, ইন্টারনেট, গান নিয়ে সময় পার করে। আগের সেই চিরচেনা পরিবেশ আর নেই।
দায়ী শুধু আমরা একা না, সাথে দায়ী ডিজিটালের ছোঁয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
পথহারা মানব বলেছেন: অনেক অনেক মিস করি...সেই দিনগুলি। শুক্রবারের দুপুরের বাংলা ছবি, বৃহস্পতিবারের ছায়াছন্দ, পাশের বাড়ির গাছের আম চুরি, খেজুর গাছের উপর উঠে পেঁপে গাছের ডগা দিয়ে পাইপ বানিয়ে খেজুরের রস খাও্য়া, ছুটির দিনে চড়ুইভাতি, স্কুল পালিয়ে ডাংগুলি খেলা, কোন টুর্নামেন্টে কাপ জিতলে সেই কাপ দেখিয়ে বাজারের দোকান থেকে টাকা উঠিয়ে হোটেলে বসে জম্পেশ খাওয়া, গুলতি দিয়ে পাখি শিকার, বিকাল বেলা বড়শি দিয়ে মাছ ধরা, দলবেঁধে পুকুরে ডুবিয়ে চোখগুলোকে লাল ঠকঠকে করে ফেলা, সুপারি গাছের খোল দিয়ে প্যাড বানিয়ে ক্রিকেট খেলা, দুপুরের ঘুম ফাঁকি দিয়ে লাটিমের কোপাকুপি আর দিনশেষে মায়ের হাতের কানমলা অথবা বাবার বেত পিঠে ভাঙা...উফ! আরো কত বলব...না আরা বলা সম্ভব নয়।
এই জেনারেশনের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি তোমাদেরকে এমন একটা শৈশব না দিতে পারার জন্য।
ভালো লাগল++
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
মার্কো পোলো বলেছেন:
এ সবই আমিও পার করেছি। খুব ইমোশনাল হয়ে গেলাম। অথচ এ জেনারেশন এসব শুনলে ভাববে এসব গল্প শুনাচ্ছে, যা তাদের কাছে কল্পনা জগতের প্রতিচ্ছবি মাত্র।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
মেহেরুন বলেছেন: ফেলে আসা দিনগুলো আমায় যে পিছু ডাকে.।.। পড়তে গিয়ে ছোট বেলায় ঘুরে এলাম। ছোট বেলা নিয়ে আমার একটা পোস্ট ছিল অনেক আগে আমার ছেলেবেলা নামে। ভালো লাগলো। দাওয়াত রইলো আমার ব্লগে। ভালো থাকবেন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
আমিও মাঝেমধ্যেই স্মৃতিচারণ করি সেই শৈশবের দিনগুলি, হারিয়ে যাই পুরনো দিনে কাটানো রঙিন দিনে।
আপনাকেও আমার ব্লগে স্বাগতম। সাথে শুভকামনা রইলো।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০২
মেহেরুন বলেছেন: পথহারা মানব বলেছেন: শুক্রবারের দুপুরের বাংলা ছবি, বৃহস্পতিবারের ছায়াছন্দ, পাশের বাড়ির গাছের আম চুরছুটির দিনে চড়ুইভাতি.।।।মনে পরে গেলো।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
শুক্রবার আসলেই আমাদের হার্টবিট বেড়ে যেত, খুবই রোমাঞ্চিত থাকতাম কখন সিনেমা আরম্ভ হবে, কখন আলিফ লায়লা শুরু হবে। বৃহষ্পতিবারে ছায়াছন্দ দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতাম, ছায়াছন্দ শুরু হওয়ার সময় যে মিউজিক বাজত সেটা শুনে শিহরিত হতাম। সবসময় ছায়াছন্দের সেই সুর কানে বাজতে থাকতো।
আবার ছুটিরদিনে চড়ুইভাতি....। এখনো মনে পড়ে বাড়ির পিছনে, পুকুরপাড়ে, আম গাছের নিচে কতবার যে চড়ুইভাতির আয়োজন করেছি।
আহা! সেই শৈশব যদি আবার ফিরে পেতাম!
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মার্কো পোলো ,
"নষ্টালজিক" এই একটি মাত্র শব্দ ছাড়া আর কিছু বলার থাকেনা ।
৯০ বা তারও আগের মানুষের যে বর্ণাঢ্য দিন গেছে, তা গেছে । তা ছিলো মানবিক । বর্তমান প্রজন্ম যেন রোবটিক । আমরাও এখন আধা রোবোটিক ।
নতুন প্রজন্মের জন্যে শুধু বলা --- একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়....
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
মার্কো পোলো বলেছেন:
যখন ভাবি নতুন প্রজন্মের শৈশব আর আমাদের দুরন্ত শৈশব তখন অবাক লাগে নতুন প্রজন্ম কতটা বঞ্চিত হচ্ছে সেই মায়া ভরানো, ভালা লাগা দুরন্ত রঙিন দিনগুলি থেকে। জন্মের পর তারা কখনো সেই স্বাদ পাবে না, তারা ডিজিটাল, ভার্চুয়াল জগতে চলে এসেছে যেখানে গ্রামের সেই দিনগুলির ঠাঁই নেই। রোবটিক্স জীবন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫
সুমন কর বলেছেন: শৈশবের সেই রঙিন দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজো মনের মধ্যে অজানা এক শিহরণ জাগায়। কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো ! -- ঠিক বলেছেন।
আপনার দেয়া বর্ণনার সবগুলোই আমি শৈশবে পেয়েছি। লেখা ভালো হয়েছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৭
মার্কো পোলো বলেছেন:
শৈশবের স্মৃতিচারিত এই দিনগুলি আমরা বুঝি কতটা বেখেয়ালি হয়ে, হন্য হয়ে ঘুরেছি, মজা করেছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
CamEye বলেছেন: আমারও মনে পড়ছে অনেক কথা! আসলে আপনার যে অনুভুতিটা হচ্ছে সেটা সেই যুগকে ভালোবাসার ফল, তাছাড়া আর কিছুই না! বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই যুগকে ভালোবাসে, তারাও পরবর্তীতে এই যুগটাকে মিস করবে। তারা হয়তো তার ছেলে মেয়েদের গল্প করবে "আমরা ২জি, ৩জি, ৪জি তে নেট করতাম!!", তখন হয়তো তার ছেলেরা ৬জি, ৭জি তে নেট করবে! হয়তো নেট বলেই কিছু থাকবেনা, অন্য কিছু থাকবে! এই যুগেই কত কিছু আছে গল্প করার মতো যা পরবর্তীতে থাকবেনা!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১২
মার্কো পোলো বলেছেন:
সেটি ঠিক আছে। কিন্তু প্রকৃতির সাথে যে একাত্মবোধ, ভালবাসা সেটি তারা কখনো বুঝবে না। এখনকার রোবটিক্স লাইফের সাথে প্রকৃতির বিস্তর তফাৎ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
অন্তু নীল বলেছেন: ভাউ, ভীষণ নস্টালজিক হয়ে পরলাম।
সেই সে দিনগুলো। সত্যিই সেই সময়টা আর এখনকার শিশু কিশোরেরা পাবেনা কোনোদিন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
মার্কো পোলো বলেছেন:
ভাই, স্মৃতিগুলোর কথা পড়লে খুব খারাপ লাগে। কতটা দুরন্তপনায় কাটিয়েছি দিনগুলো। সেগুলো আজ শুধুই স্মৃতি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন খারাপ হয়ে যায় এসব ভাবলে
আমরা নিজেরাই অফিস সংসার নিয়ে ব্যস্ত বাচ্চাদের এসবের কিছুই স্পর্শ দিচ্ছি না
ঘরে বসে ল্যাপটপ আর মোবাইল ছাড়া আর কি করবে
সুন্দর পোস্ট ভাল লাগল খুব
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঠিক। শুধু যান্ত্রিকতাকেই ঠাঁই দিচ্ছি। যে কারণে নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগই বাইরের পরিবেশ, পরিস্থিতি সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই।
তাদের কিছু জিজ্ঞেস করলেই শোনা যায় কোন মুভি কেমন, দেখা হয়েছে কিনা, গেমস এর আদ্যপ্রান্ত, মোবাইল কোনটা ভাল, কে কোন ফোন ইউজ করে এসব। কিন্তু হায়! এসবের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির সাথে মানুষের বন্ধন, ভালবাসা, অনুভূতি, আমাদের শৈশবের সেই রঙিন দিনগুলো।
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট!
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে তাই একটা লাইক দিলাম।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:০৭
মার্কো পোলো বলেছেন:
আজগে কি ধন্যবাদ দিমু নাকি থ্যাঙ্কু দিমু?
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন:
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৮
মার্কো পোলো বলেছেন:
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বেশ ভাল ব্যাপার! আমিও উভয় যুগ পাচ্ছি কিন্তু কথা হলো সামনে এমন কিছু আসবার কথা যা কল্পনাও করছি না আমরা!
১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঠিক বলেছেন। এখনই যে রোবটিক্স লাইফ দেখছি পরে হয়তো আরো করুণ মূহুর্ত দেখতে হবে।
ধন্যবাদ গেমু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৭
আরিয়ান রাইটিং বলেছেন: তোমরা তোমাদের পরবর্তী জেনারেশনের কাছে কি নিয়ে গল্প করবে, বল তো?
কঠিন একটা প্রশ্ন।
অন্তত গল্প করার জন্য হলেও তোমাদের গ্রামে যাওয়া দরকার। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য লুকিয়ে আছে অদূরের ঐ গ্রামে।
এর থেকে বাস্তবিক কথা আর কাছু নেই।