নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে...।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০০


কোন ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় বিবাহ করতে চায় তাহলে তাকে স্ত্রী ও সালিশি পরিষদের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি ছাড়া বিয়ে নিবন্ধন হবে না। (অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি দিয়ে সাদা কাগজে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে)

কিছু বিষয় বিবেচনা করে সালিশি পরিষদ অনুমতি দিতে পারে।

উদাহরণ স্বরূপ দুইটা কারণ-

১) স্ত্রী বন্ধ্যা হলে।
২) যৌন সম্পর্কে স্ত্রীর শারীরিক অযোগ্যতা ।

কোন ব্যক্তি যদি স্ত্রী ও সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করেন তাহলে স্ত্রী চাইলে স্বামীর বিরুদ্ধে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬(৫)ধারায় মামলা করতে পারে।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৬(৫) ধারায় শাস্তির বিধান হল; ১ বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে।

বিঃদ্রঃ এ পোস্টটি শুধুমাত্র দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে আইনি পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করানো, অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা উৎসাহ দিতে নয়।

(ছবিঃ ইন্টারনেট)

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: জি জানলাম দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে। ইস বিয়ে কত কষ্টের কাজ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৪

মার্কো পোলো বলেছেন:
হাহা। প্রথম বিয়েই করতেই যে বিড়ম্বনা, অথচ কত লোকই দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য অস্থির হয়ে যায়। তবে আইনি পদ্ধতি এক্ষেত্রে বেশ কঠিন।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইসলামিক আইনে কিন্তু প্রথম স্ত্রীর অনুমতির দরকার নেই...

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬

মার্কো পোলো বলেছেন:
বর্তমানে বাংলাদেশে মুসলিম আইনে 'অনুমতি' বাধ্যতামূলক।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম স্ত্রীর বেশী বেশী সন্তান হলে, সেই ক্ষেত্রে আরেকবার বিয়ে করা যাবে কিনা?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৮

মার্কো পোলো বলেছেন:
গাজী ভাই, মুসলিম আইনে এ ধরনের বিধান অনুপস্থিত।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রথম টাই ভাগ্য জুটেনি
আর দ্বিতীয় টার নিয়ম-কানুন জেনে কি আর হবে ? B-) B-)

জেনে রাখলাম যদি কাজে লাগে ।ধন্যবাদ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০

মার্কো পোলো বলেছেন:
দেরি না করে বিয়েটা সেরে ফেলুন ভাই। তবেই না দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলেও পেতে পারেন। :)

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৯

সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ বলেছেন: মুসলিম আইনে দ্বিতীয় বিবাহ করার জন্য স্ত্রীর অনুমতি নিতে হয় এই প্রথম জানলাম!

কোরআন বা হাদীসের তথ্য দেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪১

মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনি হয়তো পোস্ট ভাল করে পড়েননি। খেয়াল করে দেখুন এটি কোরআন, হাদীসের নিয়ম নয়। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখন দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিতে হয়। আগে নিয়ম ছিল না জন্য ইচ্ছা করলেই দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারতো, প্রথম স্ত্রীকে ঠকিয়ে, না জানিয়ে বিয়ে করতে পারতো, কিন্তু এখন কড়াকড়ি করা হয়েছে।

আর আপনি প্রথম জানলেন জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৪

সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ বলেছেন: আল্লাহর সহজ পদ্ধতি মানুষ কঠিন করে দিয়েছে।
অর্থ হলো কড়াকড়ি মানুষের আইন!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৯

মার্কো পোলো বলেছেন:
এটি আইয়ুব খানের শাসনামলে পাস করা। উনি ভাল বলতে পারতেন এটির উদ্দেশ্য আরো কি কি ছিল।

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ে লিখেছেন । মন্তব্যের ঘরে দেখা গেল আইনটি অনেকেরই অজানা রয়েছে । তাই আইনটির একটি লিংক এখানে দেয়া হল যে কেও ইচ্ছে করলে দেখে নিতে পারবেন ।

Muslim-Family-Laws-Ordinance-1961

অনেক ধন্যবাদ মুল্যবান পোস্টটির জন্য ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

মার্কো পোলো বলেছেন:
আইনটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি যারা জানে না তাদের কাজে লাগবে।

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

মার্কো পোলো বলেছেন:

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ , আমার মনে হয় একথাটি খুব কম মানুষ জানে , আমিও প্রথম জানলাম ।শুভ কামনা রইল ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

মার্কো পোলো বলেছেন:

পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইলো। :)

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

কালীদাস বলেছেন: বাংলাদেশি আইন সেকেন্ড বিয়ে সাপোর্ট করলেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই আইনটি পরিবর্তন করে একাধিক বিয়ে করা নিষিদ্ধ করা উচিত। সভ্য কোন সমাজে বহুগামিতা এখন নেই, চিন্তা করলে দেখবেন বাংলাদেশেই এই জিনিষকে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয়না বেশিরভাগ জায়গাতে, গ্রামাঞ্চলেই মেইনলি টিকে আছে এই জিনিষ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৪

মার্কো পোলো বলেছেন:

আমারও তাই মনে হয়। যদি বিশেষ কিছু সমস্যা না থাকে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দেয়া যুক্তিসংগত নয়। বাংলাদেশি আইনে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমোদন থাকলেও প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকাবস্থায় পরের বিয়ে করতে বেশ কঠিন শর্তের সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে সালিশি পরিষদ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২

কানিজ রিনা বলেছেন: হাদীস মানুষের জন্য,হাদীসের জন্য মানুষ না।
আমার তো মনে হয় সবচেয়ে চরিত্রহীন লোক
বুড়োভাম গুল স্ত্রী সন্তান ছেড়ে দ্বীতিয় বিয়ে
বা বহুগামী লোকদের জন্য আলাদা আইন
প্রয়োগ করা দরকার যা ইসলামের হাদীসে
আছে বহুগামীদের গর্দান কেটে দেওয়া।
বুড়ো ভামগুল স্ত্রী সন্তান রেখে দ্বীতিয় বিয়ে
করে বেশী তাদের জন্য নতুন আইন করতে
হবে। ছেলে মেয়ে থাকলে তাদের কাছে
অনুমতি নিয়া। বিশেষ করে বড় বড় ছেলে
মেয়ে এইসব বহুগামী বাবার কারনে সমাজের
কাছে লজ্জা পায় মাথা হেট হয়।
তাই সাবালগ ছেলে মেয়ের অনুমতি ছারা
যেন বুড়ো ভামগুল বিয়ে করতে না পারে
সেই রকম কোঠিন আইন আশা প্রয়োজন।
অন্যথায় ইসলামের কঠিন হাদীস গর্দান
নামায়ে দেওয়া। ধন্যবাদ সুন্দর যুক্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.