নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি বাংলাদেশের কোন পৌরসভার নাগরিক? তাহলে এগুলো জেনে রাখুন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৪

আপনি কি বাংলাদেশের কোন পৌরসভার নাগরিক? তবে এই কাজগুলো করলে আপনার শাস্তি প্রাপ্য, নিজ পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যা করবেন না বা যা করলে আপনার শাস্তি হতে পারে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ মতে-

১। পৌরসভা কর্তৃক আইনানুগভাবে ধার্যকৃত কর বা অন্য কোন আরোপিত কর প্রদান এড়াইবার জন্য ওজর।

২। এই আইনের অধীন প্রয়োজনীয় অনুমোদন ব্যতীত ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ।

৩। পৌরসভার অনুমোদন ব্যতীত লে-আউট দেওয়া, লে-আউট প্রস্তুত অথবা শুরু করা অথবা সড়ক তৈয়ার করা।

৪। পৌরসভার অনুমোদন ব্যতীত জনপথ, রাজপথ অথবা সরকারি জায়গা অন্যায়ভাবে দখল করা।

৫। পৌরসভার অনুমোদন ব্যতীত কোন সড়কের উপর পিকেটিং করা, জীবজন্তু রাখা অথবা খোয়াড় অথবা কোন রাস্তাকে জীবজন্তু অথবা যানবাহনের বিরাম স্থান অথবা ক্যাম্প স্থাপনের স্থান হিসাবে ব্যবহার করা।

৬। পৌর এলাকায় জীব-জন্তুকে ইতঃস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতে দেওয়া।

৭। পৌরসভার বিনা অনুমতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অবহেলিতভাবে ময়লা ধোয়ার চৌবাচ্চার ভূ-নিম্নস্থ নর্দমার অথবা মলকুন্ডের সকল বস্তু অথবা অন্য কোন আপত্তিকর পদার্থ কোন রাস্তা অথবা জনসাধারণের জায়গায় অথবা কোন সেচ খালে অথবা এতদুদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নয় এমন কোন ভূ-নিম্নস্থ নর্দমা অথবা ড্রেনে প্রবাহিত অথবা নিষ্কাশিত হইতে দেওয়া।

৮। পৌরসভার অনুমোদন ব্যতীত কোন জনপথে নর্দমার লে-আউট দেওয়া অথবা পরিবর্তন করা।

৯। পৌরসভার বিনা অনুমতিতে গৃহের নর্দমা জনসাধারণের সড়কে সংযোগ দেওয়া।

১০। কোন সড়ক অথবা পৌরসভা কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ব্যবস্থিত অথবা নির্ধারিত নহে এমন কোন স্থানে আবর্জনা ফেলা অথবা রাখা।

১১। আবাসিক এলাকা হইতে পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত দূরত্বের মধ্যে কোন পুকুর অথবা অন্য কোন ডোবায় অথবা ইহার সন্নিকটে শন, পাট অথবা অন্য কোন গাছ-পালা নিমজ্জিত করিয়া রাখা।

১২। পৌরসভার বিনা অনুমতিতে কোন মেইন লাইন অথবা পাইপ হইতে, পানি টানিয়া নেওয়া, ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা অথবা লইয়া যাওয়া।

১৩। পৌরসভা কর্তৃক আবাসিক এলাকা হইতে নির্ধারিত দূরত্বের মধ্যে মাটি, পাথর অথবা অন্য কোন কিছু খনন করা।

১৪। পৌরসভার অনুমতি ব্যতীত জীবজন্তুর দেহাবশেষ ফেলা।

১৫। পৌরসভার নির্দেশে কোন শৌচাগার, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, মলকুন্ড অথবা ময়লা, নোংরা পানি, অথবা বর্জ্য পদার্থ রাখিবার পাত্র সরবরাহ, বন্ধ, অপসারণ, পরিবর্তন, মেরামত, পরিষ্কার, জীবাণুমুক্তকরণ অথবা যথাযথ রাখিতে ব্যর্থ হওয়া।

১৬। চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত থাকাকালীন কোন সংক্রামক রোগের অস্তিত্ব জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও উক্ত সংক্রামক রোগ সম্পর্কে পৌরসভাকে প্রতিবেদন প্রদানে চিকিৎসকের ব্যর্থতা।

১৭। সংক্রামক রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক খাদ্য অথবা পানীয় দ্রব্য বিক্রয়।

১৮। সংক্রমিত কোন যানবাহনে মালিক অথবা চালক কর্তৃক যানবাহন রোগ জীবাণু সংক্রমণ মুক্ত করিতে ব্যর্থতা অথবা সংক্রমিত যানবাহনে যাত্রী বহন করা।

১৯। নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে মাংস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা।

২০। পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোন ইমারতের উপর অথবা অন্য কোন স্থানে বিল, নোটিশ, প্ল্যাকার্ড অথবা অন্য কোন পত্র অথবা বিজ্ঞাপনের বিষয়াদি এতদুদ্দেশ্যে আটিয়া দেওয়া।

২১। কোন অশ্লীল বিজ্ঞাপন প্রদর্শন।

২২। যথাযথ বাতি সংযোজন না করিয়া সূর্যাস্তের আধাঘন্টা পর হইতে সূর্যোদয়ের আধাঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন যানবাহন যথাযথ বাতির ব্যবস্থা না করিয়া চালানো।

২৩। যানবাহন চালানোর সময় যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত, বাম পার্শ্বে না থাকা অথবা একই দিকগামী অন্য যানবাহন অতিক্রমকালে ডানপার্শ্বে দিকে থাকা অথবা রাস্তায় চলাচল সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিনিষেধ না থাকা।

২৪। পৌরসভা কর্তৃক জারিকৃত কোন সাধারণ অথবা বিশেষ নিষেধাজ্ঞা লংঘন করিয়া বাদ্যযন্ত্র অথবা রেডিও বাজানো, ঢাক অথবা টমটম পিটানো, হর্ণ অথবা শিংগা ফুঁকানো, কাঁসা অথবা অন্যান্য যন্ত্র অথবা বাসন-পত্র পিটানো।

২৫। পথচারী অথবা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী অথবা কর্মরত লোকজনের বিপদ হয় অথবা বিপদ হইতে পারে এমনভাবে গাছ কাটা অথবা ইমারত নির্মাণ বা খনন কাজ পরিচালনা করা অথবা বিষ্ফোরণ ঘটানো।

২৬। হিংস্র কুকুর অথবা অন্যান্য ভয়ংকর জন্তুকে আলগা ছাড়িয়া অথবা লেলাইয়া দেওয়া।

২৭। ভিক্ষার জন্য বিরক্তিকর কাকুতি মিনতি অথবা বদান্যতা, উদ্দীপনের উদ্দেশ্যে শরীরের কোন বিকলতা অথবা কোন রোগ অথবা কোন ক্ষতিজনক ঘা অথবা ক্ষত উন্মুক্তকরণ অথবা প্রদর্শন।

২৮। পৌরসভা কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত এলাকায় পতিতালয় স্থাপন অথবা পতিতাবৃত্তি পরিচালনা করা।

সংক্ষেপে প্রকাশিত, প্রধান প্রধান অপরাধ বর্ণীত। আইনের তফসিল ৪ অনুযায়ী, এ ধরনের কাজের জন্য অনধিক ২ হাজার টাকা জরিমানা করা যাইবে এবং অপরাধটি পুনরাবৃত্তি ঘটিলে প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের পর ঐ অপরাধের সহিত পুনরায় জড়িত থাকিবার সময়কালে প্রতিদিনের জন্য অনধিক ২০০ টাকা জরিমানা করা যাইবে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই তাদের ক্ষমতা সর্ম্পকে জানে না। যদি ঠিক ভাবে আইন পালন ও প্রয়োগ করতে পারতো তবে দেশের প্রতিটি পৌরসভা হতে পারতো আদর্শ, উজ্জল, পরিচ্ছন্ন, প্রাঞ্জল।

#আইনজানুনসচেতনহউন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

আশরাফ ও নীল বলেছেন: এগুলো তো কেউই মানেনা - তারপরেও তো কাউকে শাস্তি পেতে দেখিনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

মার্কো পোলো বলেছেন:
নিয়ম-কানুন সবই আছে কিন্তু এগুলো মানার মতো মানসিকতা নাই। আর শাস্তি সে তো পরের বিষয়।

ধন্যবাদ ভাই।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। :)

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টর করার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২০

মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। :)

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এসব আইন কানুন এ দেশে কেউ মানে না। মানাবার ব্যবস্থাও নেই। অতএব বুঝতেই পারছেন এসব অরন্যে রোদন ছাড়া আর কিছুই নয়।

তারপরেও এসব ব্যাপারে যে দেশে আইন কানুন আছে সেটা জানাবার জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২২

মার্কো পোলো বলেছেন:
বুঝতে পারি মানার কেউ নাই, তবুও পোস্ট করি যদি কেউ জেনে উপকৃত হয়/মানার চেষ্টা করে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.