![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অটুট রেখে সংসার করছেন অনেক দম্পতি। বেড়ে উঠছে নতুন একটি প্রজন্ম, যাদের উত্তরাধিকার সূত্রে ধর্মীয় কোন পরিচয় নেই। এটাকে সমাজের অনেক বড় পরিবর্তন বলছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। ধর্ম পরিবর্তন না করেই দু’টি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে বিয়ের ঘটনা বাড়ছে। একই ধর্মের দু’জন বিয়ে করে ঘর সংসার করতে হবে এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসছেন অনেকেই। দুই ধর্মের দু’জন তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ঠিক রেখে বিয়ে করছেন। আচার-আচরণ পালন করছেন যে যার বিশ্বাস মত। এভাবে দেশের আইন অনুযায়ী বিয়ে করে সংসার করছেন অসংখ্য দম্পতি।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের জুটি এখন অনেক। আর এই বিয়ের ফলে বেড়ে উঠছে নতুন একটি প্রজন্ম। যারা উত্তরাধিকার সূত্রে কোন ধর্মীয় পরিচয় বহন করছেন না। আধুনিক সমাজে সেটা প্রয়োজনও মনে করছেন না অনেকে। এই উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আবার কেউ কেউ নিজেই একটি ধর্ম বেছে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ধর্ম বিশ্বাস থেকে সরে আসছেন। তবে রাষ্ট্র আইন করে এমন বিয়ের ব্যবস্থা করলেও এইসব পরিবারের সম্পত্তি বন্টনের জন্য কোন আইন নেই।
বাংলাদেশে ইসলাম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় আইনে সম্পত্তি ভাগ হয়। কিন্তু এই পরিবারের সম্পত্তি যদি বাবা-মা ভাগ করে দিয়ে না যান বা উইল না করেন, তবে ভাগ করার কোন নিয়ম নেই। বাংলাদেশের বিশেষ বিবাহ আইন ১৮৭২ (সংশোধিত ২০০৭) অনুযায়ী এই বিয়ে হচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, একজন মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদি বা অন্য যে কোন ধর্মের যে কেউ যে কারো সাথে বিয়ে করতে পারবে। ধর্মের পরিবর্তন করা প্রয়োজন হবে না। অথবা দু’জনই ধর্মীয় বিশ্বাস বাদ দিয়ে বিয়ে করতে পারবে। অথবা একজন অন্যজনের ধর্ম মেনে নিতে পারবে। তবে নাবালকের সাথে কেউ বিয়ে করতে পারবে না।
আইন অনুযায়ী এই বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার জন্য সরকার একজনকে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশে একজনই এই বিয়ে পড়িয়ে থাকেন। প্রায় প্রতিমাসেই এই বিয়ে হচ্ছে। গত কয়েক বছরে এই বিয়ের হার বেড়েছে। ১৯৮৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক হিসেবে দেখা গেছে, প্রায় ৫০০ দম্পত্তি কোন ধর্ম পরিবর্তন না করেই এমন বিয়ে করেছেন। এদের মধ্যে ছেলে হিন্দু, মেয়ে মুসলমান। কিম্বা ছেলে মুসলমান, মেয়ে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। অনেকে আছেন আবেগে বিয়ে করছেন। অনেকে জেনে বুঝে গন্ডি ভাঙ্গার তাগিদে। অনেক পরিবার আছে এই বিয়ে মেনে নিচ্ছেন, আবার অনেক পরিবার আছে যারা মানছেন না।
প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে এমন বিয়ে পড়ানোর একমাত্র স্থান পুরানো ঢাকার পাটুয়াটুলি। প্রাণেশ সমাদ্দার এই বিয়ের রেজিস্ট্রার। একই সাথে তিনি রাজধানীর পাটুয়াটুলির শরৎচন্দ্র ব্রাহ্ম প্রচারক নিবাসের আচার্য ও ট্রাস্টি। সেখানেই থাকেন তিনি। শুধু ঢাকা নয় দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও ছেলে মেয়েরা আসে বিয়ে করতে। বিশেষকরে যারা দেশের বাইরে যেতে চায় তাদের আসতেই হয়। কারণ কোর্টে বিয়ে করলে বিয়ে রেজিস্ট্রির কোন প্রমাণপত্র পাওয়া যায় না। অবশ্য কোর্টে দুই ধর্মের দু’জন বিয়ে করতে পারে না। অনেক সময় যারা জানে না তারা প্রথমে কোর্টে যায়। আর তখন আইনজীবীরা এখানে নিয়ে আসে। এখানে বিয়ে হলেও ডিভোর্স করানো যায় না। ওটা করতে হয় কোর্টে। আইন মতে, বিয়ের ১৪ দিন আগে রেজিস্ট্রারের কাছে নোটিশ দিতে হয়। এরমধ্যে কারো কোন আপত্তি থাকলে সে তা জানাবে। তারপর তিনজন সাক্ষী আর পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে হাজির হতে হবে। নির্দিষ্ট ছকে ছেলে-মেয়ে দু’জন স্বাক্ষর করবে আর স্বাক্ষর করবে তিনজন সাক্ষী। এতেই হয়ে যাবে দু’জনের বিয়ে। সামাজিক আর কোন আনুষ্ঠানিকতা এখানে নেই। তবে বিয়ের পরে কেউ কেউ মিষ্টি নিয়ে আসেন। উপস্থিত সবাই মিষ্টি খেয়ে নব দম্পতির মঙ্গল কামনা করেন।
(এই বিয়ে হচ্ছে নাস্তিকতা। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন সে তার ধর্মের সাথে নাস্তিকতা এবং অবমাননা করছে, এককথায় এটি ঠান্ডামাথায় নাস্তিকতাকে বরণ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আইনি প্রক্রিয়া। এবং এদেরকে ধর্মহীন বলে অাখ্যা দেওয়া উচিত আইনিভাবে। ধর্ম মানে তো আংশিক মানা এবং আংশিক না মানা এ রকমটা তো নয়। ধন্যবাদ।)
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
সরকার রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়েছে, আইন করেছে কিন্তু তাদের প্রজন্মের জন্য উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তি পাওয়ার অধিকার বিষয়ে কোন আইন হয়নি। এবং এ ধরনের বিয়ের মাধ্যমে জটিলতা তৈরীর মাধ্যমে অনেকে তাদের প্রজন্মের জন্য স্বাভাবিক পরিবেশ রেখে যাচ্ছে কিনা সেটাও প্রশ্ন।
ধন্যবাদ।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৩
কালীদাস বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, পোস্টটা ইনফরমেটিভ; আগে জানতাম না দুই ধর্মের লোকজন বিয়ে করে রেজিস্ট্রি করে কিভাবে। থ্যাংকস।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১০
মার্কো পোলো বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: নতুন একটা ব্যাপার সম্পর্কে জ্ঞাত হলাম। ধন্যবাদ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিয়ে কোন নাস্তিকতা বা ধার্মিকতার ব্যাপার না।
প্রাচীন কাল থেকেই বিয়ে জিনিষটা একটা জেন্টেলমেন এগ্রিমেন্ট, সুধু একটা মন্ত্রপাঠ বা কবুল বা রাজি বলা।
নো ডকুমেন্ট রিকোয়ার্ড। ভিন্ন গোত্রে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে তখনো হত, একঘরে বা গন বয়কটের ঝুকি থাকলেও কখনো বন্ধ হয় নি।
পশ্চিমা দেশে লিভিং টুগেদার অনেকটা এরকমই, আমার দেখা অনেক লিভিং টুগেদার বিয়ের চেয়েও বেশী টিকতে দেখেছি।
পশ্চিমা ইনশুরেন্স ইমিগ্রেশন, নমেনি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে বসবাস করা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বিয়ের সমতুল্য স্ট্যাটাস।
আমাদের দেশে দির্ঘদিন বিয়ে মাত্র একটি মন্ত্র বা কবুলের মাধ্যমে আনডকুমেন্টেড। এভাবেই চলে আসছিল।
পরে আইয়ুব খানের আমলে আওয়ামী, যুক্তফ্রন্ট ও ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজিবীদের সান্ত রাখতে আইয়ুব আনেকটা উদার মুসলিম পারিবারিক আইন চালু করে। এবং ম্যারেজ রেজিষ্ট্রশন সরকারীভাবে ডকুমেন্টেড বাধ্যতামুলক করে। তালাক ব্যাবস্থাও ডকুমেন্টেড ভাবে কঠিন করে। মুখে তালাক বন্ধ হয়।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
বিয়ের মাধ্যমে ধর্ম অবশ্যই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধুমাত্র কবুল বা মন্ত্র পাঠেই সীমাবদ্ধ নয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে মুসলিম আইন অনুযায়ী, বিয়ে হচ্ছে একটি চুক্তি। এবং এই চুক্তির মাধ্যমে তার ধর্মীয় আচার, উত্তরাধিকার, প্রজন্ম নির্ধারিত হয়।
মুসলিম ল তে, ধর্মের ভিত্তিতে বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে- একজন মুসলিম পুরুষ কোন মুশরিক (মূর্তিপূজারী) বা কাফির (অবিশ্বাসী) নারীকে বিয়ে করতে পারবে না, শুধুমাত্র কোন মুসলিম নারী এবং পাশাপাশি কোন ইহুদি বা খ্রিষ্টান নারীকেও বিয়ে করতে পারবে। অপরদিকে একজন মুসলিম নারী শুধুমাত্র একজন মুসলিম পুরুষকেই বিয়ে করতে পারবে। অর্থ্যাৎ একজন মুসলিম পুরুষ কোন কিতাবিয়া মানে খ্রিষ্টান বা ইহুদি নারীকে বিয়ে করতে পারবে, কিন্তু কোন মূর্তিপূজারী ও কাফির নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। মনে রাখতে হবে যে, কোন মুসলিম নারীর জন্য খ্রীষ্টান বা ইহুদী পুরুষকে বিয়ে করাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তবে ব্যতিক্রম হিসেবে বাংলাদেশের বিশেষ বিবাহ আইন ১৮৭২ (সংশোধিত ২০০৭) অনুযায়ী এই বিয়ে হচ্ছে। এই আইন অনুযায়ী, একজন মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, ইহুদি বা অন্য যে কোন ধর্মের যে কেউ যে কারো সাথে বিয়ে করতে পারবে।
ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ধরনের দম্পতিদের সন্তানরা এস এস সি পর্যন্ত কোন ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করে তা জানতে মুঞ্চায়...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০০
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৬
হাফিজ হুসাইন বলেছেন: যাদের কাছে ধর্ম তেমন কিছু না তাদের কাছে এটাও তেমন কিছু না। তাদের কাছে জীবন উপভোগ করাটাই মুখ্য
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০২
মার্কো পোলো বলেছেন:
আসল কথায় এসেছেন। তাদের কাছে ধর্মীয় বিষয় মুখ্য না, বরং পারষ্পরিক ভালবাসা, সুখান্বেষণ মুখ্য বিষয়।
ধন্যবাদ।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫
আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনার ফুটনোটের observation এর সাথে সহমত।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০২
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৮
এ আর ১৫ বলেছেন: নাস্তিক কাহাকে বলে এনারা হ্য়য়ত তা জানে না। যে সৃষ্ঠিকর্তাকে বিলিভ করে না তাকে নাস্তিক বলে। যারা সৃষ্ঠিকর্তা মানে কিন্তু কোন ধর্মের ফরমেট মানে না তাদের ধর্মহীন বলে। যে লোক নাস্তিক কাকে বলে জানে না সে ত মুর্খ
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনার কথাটা বুঝলাম। কিন্তু আপনাকে বিশেষ বিবাহ আইনটি পড়ার অনুরোধ রইলো। আপনি আশাকরি বুঝতে পারবেন কেন নাস্তিক বলা হয়েছে। এই আইনের অধীনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তখন দু পক্ষকে দুটি ভিন্ন Declaration Form-এ স্বাক্ষর করতে হয় যাতে উল্লেখ থাকে যে, পক্ষদ্বয় কোন ধর্মের অধীন নয় এবং তারা যা বর্ণনা করছে তা তাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য ও শুদ্ধ। So when you have signed the declaration, both of you have declared yourself as non-believer। যদিও এখন পক্ষদ্বয় তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালন করছে বলে দাবী করছে কিন্তু হলফনামা অনু্যায়ী দু'পক্ষ কোন ধর্মই পালন করছে না।
আর মুসলিম ল অনুযায়ী, একজন মুসলিম নারী অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করলে (যদি না মুসলিম হয়ে বিয়ে না করে) সে নিজ ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়।
আপনি এসব কথা বলার আগে চিন্তা ভাবনা করে বলবেন। মূর্খতা একে বলে না, বরং না জেনে আন্দাজি কথা বলাটা মূর্খতা কিনা সেটা ভাববার বিষয়। ধন্যবাদ।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
উচ্ছল বলেছেন: জানা হলো।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ধর্ম না মানা এবং নাস্তিক উভয় গ্রুপই কপট। ধর্ম মানুষকে মহান করে জীবনে একটা শৃঙ্খলা আনে। সে যে ধর্মই হোক।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০১
মার্কো পোলো বলেছেন:
এটা বাস্তব ও পরীক্ষিত এবং এর উল্টো হলে হয় উগ্র ও রূঢ়। প্রত্যেকটা ধর্মই শান্তির কথা বলেছে, অথচ ধর্মের নামে কটূক্তি না করলে তাদের শান্তি আসে না।
ধন্যবাদ।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
সুমন কর বলেছেন: জানা ছিল না, নতুন কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২২
মার্কো পোলো বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
এ আর ১৫ বলেছেন: আবার প্রমাণীত হোল ওনারা নাস্তিক কাহাকে বলে জানে না বা বুঝিয়ে বলার পর ও মাথায় ঢুকে না । ওনাদের জন্য আবার বলা হচ্ছে নাস্তিক কাহাকে বলে ---- যে সকল ব্যক্তি সৃষ্ঠিকর্তার অস্তিত বিলিভ করে না তাদের কে নাস্তিক বলে ।
এবার প্রশ্ন ধর্মহীন মানুষ কাহাদের বলে
যাহারা সৃষ্ঠিকর্তার অস্তিত বিলিভ করে কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠিত ধর্মের রিচুয়াল মানে না তাদেরকে ধর্মহীন বলে । কিছু দিন আগে অষ্ট্রেলিয়ায় এক জরিপে দেখা গেছে ধর্মহীন মানুষের অনুপাত সবচেয়ে বেশি এমন খৃষ্টান থেকে ও । এরা নাস্তিক নহে সৃষ্ঠি কর্তা মানে কিন্তু কোন ধর্মের ফরমেট মানে না ।
এবার দেখা যাক বাংলায় ফরমে কি লিখা আছে --- পক্ষদ্বয় কোন ধর্মের অধীন নয় এবং তারা যা বর্ণনা করছে তা তাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য ও শুদ্ধ
এখানে স্পষ্ঠ লিখা আছে তারা কোন ধর্মের রিতি অনুযায়ি বিবাহ করছে না এতে কি ভাবে প্রমাণ করে তারা সৃষ্ঠিকর্তায় বিশ্বাষী নহে ?
So when you have signed the declaration, both of you have declared yourself as non-believer
কি করে প্রমাণ হোল নন বিলিভার ???? নন রিলিজিয়ান বল্লে কিছুটা সংগত হোত কিন্তু তারা সৃষ্ঠিকর্তার অস্থিতে বিশ্বাষী নহে কি করে প্রমাণ হোল ????
তার পর বলা হচ্ছে বিয়ের পর তারা নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে ,, যদি তাই হয় তাহোলে কি করে প্রমাণ হোল তারা সৃষ্ঠিকর্তায় বিশ্বাষী নহে ??? যে মানুষ সৃষ্ঠিকর্তায় বিশ্বাষী সেই মানুষ নাস্তিক হয় কি করে ??? নাস্তিক মানুষ আবার নিজ নিজ ধর্ম পালন করে কি করে ???
এখন কেউ যদি জিঙ্গাসা করে, কেউ যদি অন্য ধর্মের কাউকে বিবাহ করলে সে নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে কি না । যে মানুষ মুসলমান বিয়ে করে নিজ ধর্ম হিন্দু বা অন্য কিছু পালন করে তাহোলে ঐ সব ধর্মের কোন অবজেকশন নাই -- তাহোলে ঐ অমুসলিমকে নাস্তিক বলা হচ্ছে কি কারনে ।
এবার প্রশ্ন কেউ যদি ইসলামের গাইড লাইন ভেঙ্গে অন্য ধর্মের মানুষকে মুসলমান না বানিয়ে বিয়ে করে তাহোলে সে কি মুসলমান থাকতে পারবে ????
উত্তর :::: ইসলামের গাইড লাইন কেউ যদি অমান্য করে তাকে আল্লাহ গুণা দিবে এবং শাস্তি দিবে পরকালে কিন্তু যতক্ষণ সে নিজে থেকে অবিশ্বাষী ততক্ষণ তাকে মুসলমান নহে বলা যাবে না ।
১) কেউ যদি ইসলামের গাইড লাইন অমান্য করে ঠিক মত নামাজ রোজা না করে, তাহোলে কি সে মুসলমান থাকবে না ??
২) কেউ যদি ইসলামের গাইড লাইন অমান্য করে ঘুষ খায় দু:নীতি করে, তাহোলে কি সে মুসলমান থাকবে না ??
৩) কেউ যদি ইসলামের গাইড লাইন অমান্য করে - মানুষ খুন করে ,তাহোলে কি সে মুসলমান থাকবে না ??
৪) কেউ যদি ইসলামের গাইড লাইন অমান্য করে --ধর্ষন করে , তাহোলে কি সে মুসলমান থাকবে না ??
যদি ঐ ৪ রকমের মানুষ নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারে এবং তাহোলে কি কারনে অন্য ধর্মের কাউকে বিবাহ করলে সে নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারবে না ???
তবে হ্যা এই ধরনের মানুষ নিজেকে মুমিন দাবি করতে পারবে না কিন্তু তার বিশ্বাষ অনুযায়ি সে নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারে ।
একটা ক্লাশে যে ছাত্র ১০০ তে ৯০ পায় সে যেমন ছাত্র ঠিক তেমনি যে ২০ পায় সে ও ছাত্র । যে ২০ পায় সে ফেল যে ৯০ পায় সে পাশ । তারমানি যারা সব রিচুয়াল মেনে ৯০% সোয়াব পেয়েছে তারা তারা মুমিন তারা বেহেশতে যাবে কিন্তু যারা ২০% সোয়াব পেয়েছে তারা মুসলমান ( মুমিন নহে ) -- তারা দোজগে যাবে ?
যারা আল্লাহর হুকুম না মানার জন্য ২০% সোয়াব পেয়েছে তাদের কি কারনে নাস্তিক ???
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
মার্কো পোলো বলেছেন:
কেউ যদি ধর্ম না মানে বা ধর্মের বাইরে গিয়ে ভিন্নতর কাজ করে সেটা কি ধর্মকে অস্বীকার করা হলো নাকি স্বীকার করে নিলো!
নন-বিলিভার বলা হয়েছে তারা কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তারা হলফনামায় সেটি স্বীকার করেই বিয়ে সম্পন্ন করেছে। ধর্মে বিশ্বাসী হলে এভাবে বিয়ে করার কোন প্রয়োজন ছিল না, নিজেদের ধর্ম মতেই বিয়ে সম্পন্ন করতো।
বিয়ের পর নিজ নিজ ধর্ম পালন করলে সেটির গ্রহণযোগ্যতা আদৌ আছে কিনা সেটা প্রশ্ন! বিয়ের সময় স্বীকার করেই নিয়েছে এবং সেই স্বীকারপত্রের ভিত্তিতেই বিয়ে সম্পন্ন করে নিয়েছে। অথচ যেখানে নিজ নিজ ধর্ম এই বিষয়ে স্পষ্ট ও কঠোর বার্তা দিয়েছে। এমনকি বলাও হয়েছে নিজ ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। তাহলে নিজ ধর্মের অনুসারী থাকে কিভাবে!
আপনি বলেছেন, এবার প্রশ্ন কেউ যদি ইসলামের গাইড লাইন ভেঙ্গে অন্য ধর্মের মানুষকে মুসলমান না বানিয়ে বিয়ে করে তাহোলে সে কি মুসলমান থাকতে পারবে ????
এ বিষয়ে আগেই বলেছি একজন মুসলিম নারীর ক্ষেত্রে অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করা সম্ভব নয় যদি না পুরুষটি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করে। এবং এমনটি করলে সে তার ধর্মের অনুসারী হিসেবে আর বিবেচিত হবে না। একজন মুসলিম পুরুষ কোন মুশরিক (মূর্তিপূজারী) বা কাফির (অবিশ্বাসী) নারীকে বিয়ে করতে পারবে না, শুধুমাত্র কোন মুসলিম নারী এবং পাশাপাশি কোন ইহুদি বা খ্রিষ্টান নারীকেও বিয়ে করতে পারবে। অপরদিকে একজন মুসলিম নারী শুধুমাত্র একজন মুসলিম পুরুষকেই বিয়ে করতে পারবে। অর্থ্যাৎ একজন মুসলিম পুরুষ কোন কিতাবিয়া মানে খ্রিষ্টান বা ইহুদি নারীকে বিয়ে করতে পারবে, কিন্তু কোন মূর্তিপূজারী ও কাফির নারীকে বিয়ে করতে পারবে না।
আপনি এই বিষয়ের সাথে নামাজ, রোজা, ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ, খুনের তুলনা করছেন কেন! কিসের সাথে কি বললেন!
আপনি বলেছেন যদি ঐ ৪ রকমের মানুষ নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারে এবং তাহোলে কি কারনে অন্য ধর্মের কাউকে বিবাহ করলে সে নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারবে না ???
বিয়ে একটি চুক্তি, যা ধর্মের অনেক মূল্য বহন করে, এই বিয়ে থেকেই নিজ নিজ ধর্মানুসারে তাদের সমস্ত পারিবারিক, উত্তরাধিকার, সন্তানাদির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলে আসছে। বিয়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আমার আপনার অপিনিয়ন না, এটি ধর্মের অপিনিয়ন। আমি, আপনি যাই বলি কোন কাজে আসবে না। বরং ধর্ম কিভাবে কি করতে বলেছে সেটি মুখ্য।
ধন্যবাদ।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
বারিধারা বলেছেন: মাত্র শুরু হল। এখানে ধর্ম ধর্ম গন্ধ থাকায় কেউ মাথা ঘামানো নিরাপদ মনে করছেনা। একসময় দেখা যাবে এদেশে সমকামী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হবে। তখন মানুষ ভাববে - সমকামিতা প্রাকৃতিক এবং স্বাভবিক ব্যাপার। এটা হতে দেয়াই উচিত। এরপরে আসবে পশু বিবাহের নিবন্ধন, তারপরে আসবে শিশু বিবাহের কিংবা অজাচার বিবাহের নিবন্ধক। চালিয়ে যাও বাঙালি। তোমরা জাতে উঠতে যাচ্ছ! ইউরোপ আমেরিকা হওয়া মাত্র সময়ের ব্যাপার।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
সঠিক কথা বলেছেন। যতই নিকৃষ্ট বা অদ্ভুত বিষয় হোক না কেন একসময় সবই স্বাভাবিক মনে হবে।
ধন্যবাদ।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একজন মুসলিম নারী শুধুমাত্র একজন মুসলিম পুরুষকেই বিয়ে করতে পারবে। সেটা মুসলিম আইনে।
ভিন্ন আইনে সবই সম্ভব।
THE SPECIAL MARRIAGE ACT, 1872 (ACT NO. III OF 1872). [18th July, 1872
এই আইনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কার্যকর হয় ১৯৭৩ সালে।
এই আইনটি হচ্ছে যেকোনো ব্যক্তি খ্রিষ্টান, ইহুদি, হিন্দু, মুসলমান, পার্সিয়ান, বৌদ্ধ, শিখ বা জৈন ধর্মাবলম্বী তাঁর ধর্ম বিশ্বাস অস্বীকার বা পরিত্যাগ করে অথবা যেকোন ধর্মাবলম্বী কে বিয়ে করার একটি আইনগত কাঠামো।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
একজন মুসলিম নারী শুধুমাত্র একজন মুসলিম পুরুষকেই বিয়ে করতে পারবে। সেটা মুসলিম আইনে।
এটি মুসলিম আইনে মানে এটা মুসলিম হিসেবে অবশ্য পালনীয়। আর ভিন্ন আইনে সম্ভব মানে ভিন্ন অর্থে পালনীয়। সেখানে ইসলাম বা অন্য ধর্মের নামগন্ধ থাকবে না।
Special Marriage Act, 1872 এর অধীনে যেকোন ধর্মের ব্যক্তির জন্য বিয়ের পথ খোলা রেখেছে। নিজেদের ধর্মের বাইরে গিয়ে বিয়ে করতে হয় এই আইন অনুসারে। এরমানে নিজেদের ধর্ম মতে বিয়ের জন্য সম্ভব না হলে বা নিজেদের ধর্ম অস্বীকার করে বিয়ে করতে চাইলে এটির আশ্রয় নিতে হবে।
ধন্যবাদ।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বারিধারা বলেছে : : :--- মাত্র শুরু হল। এখানে ধর্ম ধর্ম গন্ধ থাকায় কেউ মাথা ঘামানো নিরাপদ মনে করছেনা। একসময় দেখা যাবে এদেশে সমকামী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হবে। তখন মানুষ ভাববে - সমকামিতা প্রাকৃতিক এবং স্বাভবিক ব্যাপার। এটা হতে দেয়াই উচিত। এরপরে আসবে পশু বিবাহের নিবন্ধন, তারপরে আসবে শিশু বিবাহের কিংবা অজাচার বিবাহের নিবন্ধক। চালিয়ে যাও বাঙালি। তোমরা জাতে উঠতে যাচ্ছ! ইউরোপ আমেরিকা হওয়া মাত্র সময়ের ব্যাপার।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
বলার কিছু নেই। উত্তর দিয়েই দিয়েছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি দাবি করেছেন তারা নাকি নাস্তিক, সেটা প্রমাণ করেন। ধর্মের। বিধি বহু মানুষ ভংগ করে নিজেকে ধার্মিক দাবি করেছে। আমি যদি ২০% সোয়াব পায় এবং ৮০% গুনা করে তবে সে মুসলমান তবে মুমিন মুসলমান নহে
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
বহু মানুষ বিধি ভঙ্গ করছে সেটা ভিন্ন জিনিস। ধর্মকে অস্বীকার করে কাজ করলো আর ধর্মও এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিলো, বিচ্যুত হলো তাহলে কিভাবে সে নিজ ধর্মে থাকলো!
আমি আর কোন তর্কে যেতে চাচ্ছি না। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি দাবি করেছেন তারা নাকি নাস্তিক, সেটা প্রমাণ করেন। ধর্মের বিধি বহু মানুষ ভংগ করে নিজেকে ধার্মিক দাবি করেছে। তারা যদি ২০% সোয়াব পায় এবং ৮০% গুনা করে তবে তারা মুসলমান তবে মুমিন মুসলমান নহে
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কেয়ামতের ছোট ছোট আলামের প্রকাশ হচ্ছে হবে এটাই এক সময় সবাই মেনে নেবে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঠিক বলেছেন।
১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বিষয়টা এতো ডিটেইলস জানা ছিল না, তথ্যের জন্য ধন্যবাদ!
আর আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে কে আস্তিক হল আর নাস্তিক হল সেইটা নিয়ে এত জাজমেন্টাল হবার কিছু নেই। যার হিসেব তারে রাখতে দেন, সমস্যা কমে যাবে। যারা এই মতে বিবাহ করার সাহস রাখে তাদের প্রতি ভালোবাসা!
আপনি এতো তথ্য দিলেন, আপনার প্রতিও ভালোবাসা!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
ঠিক। এটা যার যার পারসোনাল ব্যাপার।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভাল লেগেছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪২
কালীদাস বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ এর সাথে একমত।
আপনি লাকি, এই পোস্টে খুব বড়সড় ক্যাঁচাল লাগার চান্স ছিল; লাগেনি। দুয়েকজন অবশ্য ট্রাই করে গেছে
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
মার্কো পোলো বলেছেন:
এই শঙ্কায় ছিলাম। তবে লাগেনি। ক্যাচালের ইচ্ছাও নাই। এটি যার যার পারসোনাল বিষয়। এনিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নাই।
২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪৫
রহিম চাচা বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক (আমিন)
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৮
মার্কো পোলো বলেছেন:
আমিন।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
এ আর ১৫ বলেছেন: আমি আর কোন তর্কে যেতে চাচ্ছি না।
কি কারনে ??? আপনি তাদের কি কারনে মুরতাদ বল্লেন সেটার তো কোন সঠিক ব্যাখা করলেন না ,। তারা কি আ্ল্লাহর অস্তিতকে অস্বীকার করেছে প্রমাণ করতে পারবেন । তারা ধর্মের একটা নির্দেশ অমান্য করেছে এবং সেটার কারনে তার গুণা হবে মুসলমানিত্ত্ব বাতিল হবে না , আখেরাতে শাস্তি হবে , তারা মমিন হতে পরবে না। অন্য ধর্মের কাউকে ধর্মের নির্দেশ অমান্য করে বিয়ে করা মানুষ খুন , ঘুষ খাওয়া , দু:নীতি করা , ধর্ষন করার মত বড় মাপের অপরাধ নহে ।
একজন হিন্দু যদি মুসলানকে বিয়ে করে হিন্দু ধর্ম পালন করে তাহোলে সে হিন্দু নয় এবং নাস্তিক এই কথা বলার একতিয়ার আপনি কোথায় পেলেন , সেই ঠিকাদারি করার অধিকার কি আপনি হিন্দুদের কাছে থেকে পেয়েছেন । নিজ ধর্মের ব্যপারে মাত্তবরি করার কোন অধিকার আপনার নেই সেখান শুধু ইসলাম নহে হিন্দু সহ সব ধর্মের উপর ডিসিশন আপনি নিচ্ছেন !!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০২
মার্কো পোলো বলেছেন:
তাদের মুসলমানত্ব বাতিল হবে না আপনাকে কে বলেছে! আমি বারবার ব্যাখ্যা করেছি। বিয়ের সাথে অন্যকিছু মিলাইতে আসবেন না। আমি কখনই বলিনি এসব বড় মাপের অপরাধ নয়। নিজে থেকেই বানিয়ে চালিয়ে দিলেন। আগে জেনে আসুন মুসলিম ল সম্পর্কে, পরে কথা বলতে আসবেন।
আপনি নিজে ওই দলে নাকি! আপনি কাদের হয়ে মাতবরি করছেন! মাতবরি রেখে ভাল হয়ে যান, অন্যের দালালি করতে আসবেন না। বুঝে শুনে মন্তব্য করবেন। Special Marriage কেন পাস করা হয়েছে, কাদের জন্য সেটা আইন প্রণেতা, নীতিনির্ধারকেরা ভাল করেই জানে। আপনার মন্তব্য আর আশা করছি না।
২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
এ আর ১৫ বলেছেন: আসল কথার কেন জবাব দিচ্ছেন না । তারা কি কারনে নাস্তিক সেটার ব্যাখা করেন । নাস্তিক মানেই জানেন না আবার বড় বড় কথা বলেন ।
বেশির ভাগ মুসলমান কোন না কোন ভাবে ডিভাইনের নির্দেশ খেলাপ করছে তাহোলে বেশি ভাগ মুসলমানরা নিজেকে আর মুসলমান বলে দাবি করতে পারবেন আপনার মতে .।
এবার সব ঢং বন্ধ করে তারা কি কারনে নাস্তিক সেটা প্রমাণ করেন !!!!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩
মার্কো পোলো বলেছেন:
উপরে ব্যাখ্যা দেয়া আছে, দেখে নিন।
আপনার ঢং বন্ধ করেন। আপনার মতো লোকের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না। নিষেধ করা সত্ত্বেও মন্তব্য করে যাচ্ছেন।
২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
সোহানী বলেছেন: অনেক দিন পরে দেখলাম.... ভালো একটা বিষয়।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু।
তো কেমন আছেন আপু?
২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৬
আল ইফরান বলেছেন: কঠিন বিষয় সহজ করে লিখেছেন।
সামাজিক প্রেক্ষিতে খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু, অনেক ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় পরবর্তী প্রজন্মকে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০২
কালীদাস বলেছেন: সরকার নিজেই যখন এই বিয়ে করানোর জন্য একজনকে রেজিস্ট্রার রেখে দিয়েছে, সেক্ষেত্রে এটাকে বেআইনি বলার উপায় নেই। ইউরোপের দেশগুলোতে বিয়ে দুইভাবে হয়; সিভিল ম্যারিজ, অথবা চার্চে যেটা হয় অনেকটা সিনামাতে সবাই যা দেখে। সিভিল ম্যারিজে সব কিছুই হয় পারসোনালি চার্চের বাইরে। আবার চার্চে আমরা যেটা দেখি যে একজন প্রিস্ট প্রোগ্রাম চালাচ্ছে, বাস্তবিক সেখানেও আসলে সিভিল পার্টটা ঠিকই থাকে। ব্যাপারটা ধর্মের চেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে যারা বিয়ে করছে তারা যেন বিয়েটা সরকারীভাবে ডকুমেন্টেডভাবে করে।
ধর্মহীন আখ্যা দেয়ার লজিকটা খুব একটা শক্ত না। ইতিহাস খুঁজলে আগেও এই জিনিষের উদাহরণ পাবেন।