নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জমি ক্রয়ের সময় লক্ষণীয় কিছু বিষয়

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬



জমি ক্রয়ের সময় আপনাকে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

১। বিক্রেতা জমিটির প্রকৃত মালিক কি না?

২। সি. এস, এস. এ এবং আর. এস খতিয়ান সঠিক আছে কি না?

৩। খতিয়ানে জমির পরিমাণের সাথে নকশার পরিমাণের মিল আছে কি না?

৪। জমিটি ওয়ারিশন সূত্রে হলে, তাদের মধ্যে রেজিস্ট্রি বাটোয়ারা হয়েছে কি না?

৫। জমিটিতে বিক্রেতার অংশের পরিমাণ সঠিক আছে কি না?

৬। হাল সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ আছে কি না?

৭। জমিটি কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট কোনভাবে দায়বদ্ধ কি না?

৮। অর্পিত/পরিত্যক্ত/অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি কি না?

৯। জমিটির মালিক যদি ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে থাকে, তবে এক্ষেত্রে মালিকের নামে জমিটি খারিজ হয়ে থাকলেও, উপরোক্ত নিয়মে যাচাই করে দেখতে হবে তার মলিকানার পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে আইনানুগ কি না?

১০। জমিটি আগেই কারো নিকট বিক্রি করে বা পরষ্পর যোগসাজসে তথ্য গোপন করে, পুনরায় বিক্রি করছে কি না?

১১। জমিটিতে বিক্রেতার দখল ভোগ আছে কি না?

১২। জমিটিতে অগ্রক্রয়ের সম্ভাবনা আছে কি না?

১৩। বিক্রিত জমিতে সরকারি কোন স্বার্থ জড়িত আছে কি না?

১৪। বিক্রেতার প্রদর্শিত খতিয়ান ও দলিল সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে রক্ষিত রেকর্ডপত্রের সাথে মিল আছে কি না?

১৫। সম্পত্তি বিক্রয়/হস্তান্তর এর ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কি না?

১৬। সর্বসাধারণের ব্যবহার্য বা পাবলিক ইজমেন্ট সম্পত্তি কি না?

১৭। নাবালকের সম্পত্তি কি না? নাবালকের সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আইনগত অভিভাবক বা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক নির্ধারণ করা আছে কি না?

বিঃদ্রঃ উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও জমিটির পাশের জমির মালিকদের সাথে আলোচনা করে এবং বিক্রেতার আশেপাশের লোকজনদের সাথে ব্যাপক আলোচনা করে এবং যাবতীয় বিষয়গুলো বিবেচনা করেই একখন্ড জমি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। প্রস্তাবিত জমিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কি না তাও দেখা প্রয়োজন। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে খোঁজ নিয়ে জমির সর্বশেষ কেনা-বেচার তথ্য জেনে নিতে পারেন এবং এসি ল্যান্ড অফিস থেকে পূর্ব মালিকের অর্থাৎ বিক্রেতার নামে মিউটেশনের কাগজপত্র (মিউটেশন পর্চা, ডিসিআর) সঠিক আছে কি না তা যাচাই করে নিবেন। যে জমিটি কিনতে চাচ্ছেন তা বিক্রেতার নামে অবশ্যই মিউটেশন করা থাকতে হবে। বিক্রেতার নামে মিউটেশন না থাকলে জমি রেজিস্ট্রেশন হবে না। মনে রাখবেন, কখনই লোভে পড়ে তাড়াহুড়ো করে কাউকে না জানিয়ে গোপনে একখন্ড জমি ক্রয় করে লাভবান হতেও পারেন। তবে এক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাটাকেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

(ছবিঃ ইন্টারনেট)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

গড়মিল সমাজ বলেছেন: ধন্যবাদ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ এখন অনেক সচেতন।
খুব হিসাব নিকাশ করেই জমি কিনেন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

নাহার জেনি বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

আমিনভাই বলেছেন: ভালো পোস্ট

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

মার্কো পোলো বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.