নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাংলাদেশের প্রান্ত হতে আপনাকে হাজার সালাম! ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক

ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাংলাদেশের প্রান্ত হতে আপনাকে হাজার সালাম! ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক

শাফিউর রহমান ফারাবী

মুক্তির ১ পথ খিলাফত খিলাফত খিলাফতের দাবিতে নামতে হবে রাজপথে খলিফা বারবার সৈন্য প্রেরন করবেন। আমার Facebook User Name:- shafiur2012

শাফিউর রহমান ফারাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সতীদাহ প্রথা সরাসরী দেখার এক দুর্লভ অভিজ্ঞতার কথা শুনুন

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৪১





আল্লাহর রহমতে অনেক দিন ধরে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়া লেখা লেখি করছি। লেখালেখির সূত্রে অনেক সুন্দর সুন্দর হিন্দু মেয়েদের সাথে পরিচিত হইছি নেট জগতে। সুন্দর সুন্দর হিন্দু মেয়ে দেখলেই আমার কেন জানি সতীদাহ প্রথার কথা মনে হয়। আজকে আপনাদের এমন একজন ব্যক্তির কথা বলব যিনি সরাসরী সতীদাহ প্রথার বলি হতে একটা মেয়েকে দেখেছেন। উনার নাম হচ্ছে ইউনুস মুন্সী। উনি হচ্ছেন আমার দাদার পিতা। প্রথমেই বলি সতীদাহ প্রথা একসময় হিন্দুদের উচ্চ বর্ণ ও নিম্ন বর্ণ উভয়ের মাঝেই প্রচলিত ছিল। তবে ইসলাম ভারত বর্ষ আসার পর নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা অনেকেই মুসলমান হয়ে যান। তাই সতীদাহ প্রথা টা তখন শুধুমাত্র উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের মাঝেই প্রচলিত ছিল। আবার স্বামী মারা যাবার পর চাইলেই কোন হিন্দু মেয়েকে শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা আগুণে পুড়াইতে পারত না। সুলতান অথবা ঐ এলাকার স্থানীয় মুসলমান শাসকের অনুমতি নিতে হত। যদি হিন্দু মেয়েটা স্বেচ্ছায় আগুনে পুড়তে রাজী হত তাইলেই সুলতান/ স্থানীয় মুসলমান শাসক সতীদাহ প্রথার অনুমতি দিতেন।



মুঘল বাদশাহ বাবরের সময় সতীদাহ প্রথা টা অনেক কমে গিয়েছিল। আর বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সময় সতীদাহ প্রথা টা এক প্রকার বন্ধই হয়ে গেছিল। আবার অনেক উচ্চ বর্ণের হিন্দু মেয়েকে স্বামী মারা যাবার পর শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা আগুণে পুড়াইতে চাইলে তখন সে স্থানীয় শাসকের কাছে মুসলমান হয়ে যেত। আপনারা মুজাদ্দেদ আলফে সানী রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর নাম শুনেছেন ? বাদশাহ আকবর যখন মুরতাদ হয়ে দ্বীনে ইলাহী ধর্ম প্রচার শুরু করেন তখন মুজাদ্দেদ আলফে সানী রহমাতুল্লাহ আলাইহি বাদশাহ আকবরের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। পরে বাদশাহ আকবর উনাকে বন্দী করেন। বাদশাহ আকবরের মৃত্যুর পর বাদশাহ জাহাঙ্গীর মুজাদ্দেদ আলফে সানী রহমাতুল্লাহ আলাইহির কাছে ক্ষমা চেয়ে উনাকে মুক্ত করে দেন। মুজাদ্দেদ আলফে সানী রহমাতুল্লাহ আলাইহি ঐ সময় যে বিভিন্ন চিঠিপত্র লিখতেন যেটাকে মাকতুবাদ বলে এই মাকতুবাদ বা চিঠিপত্র গুলি বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলা অনুবাদ করে বের করেছে। সেইখানে এরকম অনেক কাহিনী পাওয়া যায় যে মুজাদ্দেদ আলফে সানী রহমাতুল্লাহ আলাইহি উচ্চ বর্ণের অনেক হিন্দু মেয়েকে বিধবা হওয়ার পর আগুনে পুড়ানোর হাত থেকে বাচিয়েছেন। মুজাদ্দেদ আলফে সানী রহমাতুল্লাহ আলাইহি পরে এই হিন্দু মেয়েদের কে মুসলমান বানিয়ে মুসলিম ছেলেদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতেন।



যাই হোক লর্ড বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথাটা নিষিদ্ধ করলেও আমাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার পাশে আগরতলা যেটা ত্রিপুরা প্রদেশের রাজধানী সেইখানে কিন্তু ১৯০০ সাল পর্যন্ত সতীদাহ প্রথা চলছিল। ভারত বর্ষে সর্বশেষ সতীদাহ প্রথা সর্বশেষ বন্ধ হইছিল এই আগরতলা রাজ্যে। কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাইলে বলি শুনেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “ প্রথম আলো ” উপন্যাস টা পড়ছেন ? ঐ যে ত্রিপুরার মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্যের সাথে রবীন্দ্রণাথ ঠাকুরের দহরম মহরম। রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর প্রায়ই ত্রিপুরা যেতেন। বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠায় রাধাকিশোর মাণিক্যে রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর কে ৩০০০০ হাজার টাকা দিছিলেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এই “ প্রথম আলো” উপন্যাসে ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় উনার এই উপন্যাসে একটা তথ্য উল্লেখ করেন যে ১৯০০ সালেও এই আগরতলা রাজ্যে সতীদাহ প্রথা চলছিল। এক সেনাপতির মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর আগুনে পুড়ার ঘটনাও এই উপন্যাসে লেখা আছে। ত্রিপুরার মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য যখন কলকাতা গেছিলেন চিকিৎসার জন্য তখন এক বড় ডাক্তার রাধাকিশোর মাণিক্য কে তার গায়ের চামড়া ধরে টান দিয়া তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছিল আর বলছিল যে আপনার এই চামড়া যদি আগুনে পুড়াই তাইলে আপনার কেমন লাগবে ? আর আপনার রাজ্যে এখন জীবিত মেয়েদের কে আগুনে পুড়ান হচ্ছে আর আপনি এই সতীদাহ প্রথা কে সমর্থন দিচ্ছেন। যাই হোক প্রথম আলো উপন্যাসে ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় খুব চমৎকার ভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের এই ১৯০০ সালেও সতীদাহ প্রথার কাহিনী গুলি তুলে ধরেছেন। যাই হোক ব্রাক্ষণবাড়ীয়া কুমিল্লার পাশেই ত্রিপুরা রাজ্য। আমার দাদার পিতা ইউনুস মুন্সী গ্রামের একটা মাদ্রাস্ায় পড়াইতেন। উনি তেমন কোন বড় আলেম ছিলেন না। এই ক্ক্বওমী মাদ্রাসায় কাফিয়া পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিলেন। যুবক বয়সে ইউনুস মুন্সী প্রায়ই আগরতলা যাইতেন। উনার এক ফুফু আগরতলা থাকত। যাই হোক একদিন সকাল বেলা উনার ফুফু উনাকে বলে আজকে শ্বশান ঘাটে একটা সতীদাহ প্রথা হবে। শাহা বংশের এক বিধবা মেয়েকে তার মৃত স্বামীর সাথে আগুনে পুড়ান হবে। শাহা বংশ হচ্ছে হিন্দুদের মাঝে খুব ধনী একটা জাত। এরা সবাই ব্যবসায়ী। তো ইউনুস মুন্সী সবার সাথে গেল শ্বশান ঘাটে। দেখল সাদা শাড়ি পড়া একটা মেয়েকে সবাই ঘিরে রাখছে। মেয়েটার চারিদিকে ঢোল বাজনা বাজিয়ে চলছে কিছু লোক। এটা ঐ মেয়েটাকে আগুনে লাফ দিবার জন্য উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। কিছুক্ষন পর একজন ব্রাক্ষন এসে ঐ মেয়েটার মাথায় ঘটি ভর্তি দুধ ঢালল। এরপর কিসব মন্ত্র পড়ে মেয়েটাকে সবাই উৎসাহ দিতে থাকল আগুনে স্বামীর চিতার উপর লাফ দিতে। কি জানি ভাই মেয়েটাও কি বুঝল কিছুক্ষন পর মেয়েটাও ঐ আগুনে লাফ দিল। একটা আর্ত চিৎকার শুনা গেল এরপর সাথে সাথে সব শেষ। ইউনুস মুন্সী সারা জীবন তার ছেলে মানে আমার দাদাকে এই ঘটনা টা বলত। ইউনুস মুন্সীর ভাষ্যমতে ঐ মেয়েটার মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত নাকি সুন্দর ছিল। খুব সুন্দর সুন্দর মেয়েদেরকেই নাকি সতীদাহ প্রথার বলি দেয়া হত। দুঃখজনক হলেও সত্য ত্রিপুরায় মুসলমানরা ছিল মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। মুসলমানদের কখনই ত্রিপুরাই ঐরকম কোন প্রভাবপত্তি ছিল না। তা না হইলে মুসলমানরা অনেক আগেই ত্রিপুরার রাজ বংশের এইসব পাগলামি প্রথা বন্ধ করে দিত।



আমার খুব খারাপ লাগে যখন দেখি হিন্দু মেয়েরা ইসলাম ধর্ম নিয়া বিদ্রুপ করে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়া তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। এই হিন্দু মেয়েরা কি ইসলাম আসার পূর্বে প্রাচীন ভারত বর্ষের ইতিহাস পড়ে নাই, তারা কি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের “ প্রথম আলো ” উপন্যাস টা পড়ে নাই যে কি রকম অত্যাচার করা হইছিল তাদের উপরে ইসলাম আসার পূর্বে। ভাই ইসলাম তো লাখ লাখ হিন্দু মেয়েকে আগুনে পুড়ানোর হাত থেকে বাচিয়েছে, হাজার হাজার হিন্দু মেয়েকে মন্দিরের সেবাদাসী হওয়া থেকে বাচিয়েছে। অন্তত এই কারনে হলেও তো হিন্দু মেয়েদের উচিত ইসলাম কে ভালবাসা। স্বামী বিবেকানন্দ একটা কথা যথার্থই বলেছিলেন যে - “ ইসলাম তো ভারত বর্ষের নিপীড়িত জনগণের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। "

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান





পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথাকে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

স্টালিনের নৃশংসতার স্বীকার এক বাঙ্গালী বিপ্লবী

মাওসেতুং এর সময় চীনা মুসলমানদের দূর্দশতার কথা শুনুন



কামসূত্র বইটি কোথা থেকে এল ? এর ইতিহাস কি আপনি জানেন ?





মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫০

সুখ পাখির অসুখ বলেছেন: ভালো তথ্য

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫১

এরেল বলেছেন: প্লাস

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫২

ফ্রিঞ্জ বলেছেন: ভালো লিখসেন ভাই! :)

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৩

ছবির জীবন বলেছেন: তুমার লেকালিকির ব্যাপক প‌্যান আছে তাইলে! =p~ =p~ =p~

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৩

ফয়সল মাহমুদ বলেছেন: ভালো লেগেছে।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৫

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক এই সতীদাহ প্রথাটা, তবে এটা যেহেতু হিন্দু ধর্মীয় বিধান তাই এটার সমালোচনাও করব না। তবে মানবিক দিক বিবেচনায় বলব খুবই মর্মান্তিক! খুবই মর্মান্তিক !

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০২

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ভাললাগল । সুন্দর লিখছেন । ভাল থাকুন ।


আল্লাহর পথে থেকে দেশকে ভালবাসুন । দেশের জন্যকিছু করতে চাইলে জংগিবাদকে ঘৃণা করতে হবে । জংগিবাদ দেশে শান্তি আনবে না কক্ষনো।
(আশাকরি বুঝেছেন আমি কি বুঝাতে চেয়েছি ।)

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০৬

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: বেশ কিছু ধর্মীয় রীতি হিন্দুদের সমালোচিত করেছে, তার মধ্যে এই প্রথা একটি।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩০

ফজলে রাব্বি খান বলেছেন: ভালো লাগলো

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০৮

টুন্টু কুমার নাথ বলেছেন: bodmas kothakar r kono kam nai

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:১৮

শাফিউর রহমান ফারাবী বলেছেন: হিন্দু ভাইয়েরা আমাকে গালিগালাজ না কইরা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কে গালি গালাজ করেন। পারলে উনার লেখা প্রথম আলো উপন্যাস টা নিষিদ্ধ করে দেন

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২২

রাজদরবার বলেছেন: হিন্দু মেয়েরা তো ইসলাম নিয়ে বিদ্রুপ করবেই। ইসলাম তো আর স্বামীর সাথে স্বামীর ভাইদের বিছানায় যাওয়ার পারমিশন দেয় না।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৩

ব্লগার রানা বলেছেন: সতিদাহ প্রথা কোন গ্রন্থিয় হিন্দু প্রথা নয় । এটা ইসলাম এর বিদআত যেমন তেমনি

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৫

রাজদরবার বলেছেন: আর হ্যাঁ, ভারতীয় মুসলমানরা মূলত আরব ফারেস থেকে এসেছে। হিন্দুদের থেকে নয়।

আমেরিকায় খৃস্টানরা ৩০০ বছর হলো গিয়েছে। সেখানকার খৃস্টানরা মূলত সাদা চামড়ার। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছে ১০০ বছর, সেখানেও সাদা চামড়ার আধিক্য। ঠিক সেভাবেই ভারতের মুসলমানরা মূলত এসেছে আরব এবং পারস্য থেকে, হিন্দু থেকে নয়। আমার বাবা মা কারো পূর্বপুরুষ হিন্দু নন। বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষও এসেছিলেন ইরাক থেকে।

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৭

বিপ্লব কান্তি বলেছেন: ২০১০ সালে ভারতে ৫ জন মেয়ে সতীদাহ প্রথার শিকার হয়েছে । নিজে নিজে হয়েছে । সতীদাহ বন্ধ হলো কিভাবে ?

আসলে নিরর্থক একটি জায়গায় ! যার ভ্রুনে সহজাত শিক্ষা হিসেবে গড়ে উঠেছে অন্য মতকে অশ্রদ্ধা করা ! সেই জায়গায় কিছু কথা লিখা নিরর্থকই বটে ।

সতীদাহ হিন্দু ধর্মের প্রথা নয় । এটি কিছু অঞ্চলে গজিয়ে উঠা প্রথা । বলতে পারেন এলাকা ভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রথা হিসেবে চালু করেছে, এটাকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটি জোরজবর দস্তির প্রথা বলতে পারেন যার বিশ্বাসটা মেয়েদের মাঝে ছড়িয়ে গিয়েছিলো । কোন কোন এলাকায় ! বেশিরভাগ এলাকায় নয় , আমি অনেক বৃদ্ধ অনেককে জিজ্ঞেস করেছি তারা তাদের বয়োবৃদ্ধদের কাছ থেকে সহমরণ সম্পর্কে শুনেছে কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটেছে তা শুনেনি ।

বলতে পারেন, কি বলতে পারেন ! পুরুষতান্ত্রিকতা আমার মধ্যে রয়েছে, আপনার মধ্যে রয়েছে । সবার মধ্যে রয়েছে , কিন্তু সেই রাজ আমলের মতো প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই তাই প্রকাশ করতে পারি না । কি বুঝলেন ? কিছুই নয়

গাইনীর কোন ডাক্তারের সাথে পরিচয় থাকলে জিজ্ঞেস করবেন , বিশেষ করে যারা আল্টাসনোগ্রাফী করেন । মেয়ে সন্তান শুনলে কিভাবে মুখটা কালো হয়ে যায় দম্পতিদের । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবহেলাটা তখন থেকেই শুরু হয় । কিভাবে বিয়ে দিবে , সমাজের বিরুদ্ধতা , অনেক কিছুরই নেগেটিভ চিন্তা উড়ে এসে জুড়ে বসে । কোথা থেকে আসে । পুরুষতান্ত্রিকতা , লাঠির জোর এগুলো সবার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে ।

তাহলে প্রশ্ন হলো , সতীদাহ যদি হঠাৎ কোন অঞ্ছলের রীতি হয়ে থাকে, এটি হিন্দু ধর্মীয় রীতি নয় তাহলে এর এতো বিস্তার হলো কিভাবে , বিশেষ করে ইতিহাসে ।

আসলে নিজস্ব ঐক্য অটুট করতে না পারা , গরীবের উপর অত্যাচার, নৈরাজ্যকরণ ইত্যাদি বড় একটি কারন ।

ধরুন বাংলাদেশে ৩ য় শক্তির কথা শোনা যায় । একবার অলরেডি এসেছিলো ফখর উদ্দিন সরকার , কিন্তু নিজস্ব কিছু সিদ্বান্ত ও বৈশ্বিক কারনে (জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি) টিকে থাকতে পারেনি । যদি কারন দুটি সফলভাবে দমন করতে পারতো তাহলে বাংলাদেশে আ'লীগ ও বিএনপি দুটি দলই দূর্বল হয়ে পড়তো । কারন ফখরউদ্দিন আসার পর লোকজন স্বস্তি পেয়েছিলো । এর কারন ছিলো আগের রাজারা ( আ'লীগ ও বিএনপি) দুটি দলের উপর মানুষ নৈরাজ্যঘটিত কারনে নাখোশ ।

ব্রাহ্মন্যবাদিতা, বিশেষ করে জোর করে লোকজনের উপরে, যারা গরীব তাদের উপর হিন্দু ধর্ম সাপোর্ট করে না এমন সব রীতি ও চাপিয়ে দিয়েছিলো ।

যখন আরবরা আসলো, তখন গরীব লোকগুলি একটু শান্তি পেলো, পালানোর একটা আশ্রয় পেলো , একটা সময় আসলো ক্রিশ্ছিয়ানরা । তাদের উপর ও অনেকে ভরসা করলো ।

নিরীহরা দল-মত পরিবর্তন করে কখন , যেমন আমি গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়েছি , এই মূহূর্তে নির্বাচন হলে দিবো না । কারন কি ? কেনো আমি এই নিরীহ আমার মত পরিবর্তন করতে যাচ্ছি । কারন তো আছেই ! হয়তো যেখানে ধরবো সে জায়গা এদের থেকে ও খারাপ , কিন্তু একটা মন মানসিকতা চলে এসেছে বদলানোর । আসলে কোন কারনে বদল হয় ।

যাই হোক তখন থেকেই অনেক কিছুর বদল হতে শুরু হলো যখন আরবরা আসলো । ইতিহাস ও বদলে গেলো । বিজয়ীরা সব সময় ইতিহাস লিখে । সেই ইতিহাসে বিপক্ষের সম্মান থাকে না । আপনি ও সেই দলেরই একজন । অর্থাৎ যা লিখছেন ভুল লিখে চলেছেন ।

যেমন ধরুন বাংলাদেশে, ঈদের পরে কয়েকটা খুন হয়েছে টুকরো টুকরো করে, অনেক খুন হয়েছে , এটি কি বাংলাদেশের সংবিধানে আছে টুকরো টুকরো করে খুন করা ? নেই ? তারপর ও হয়েছে ।

হিন্দু ধর্ম সহজ একটি বিধান । যারা এর ভিতরে ঢুকতে পারে না তাদের জন্য বড়ই কঠিন ।

সবাইকে ধন্যবাদ এত বড় কমেন্ট লিখে সময় নষ্ট করার জন্য । লিখলে এগুলো দিনের পর দিন লিখা যায় ।

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

ইমরান হাসান ক বলেছেন: "A sati who dies on the funeral pyre of her husband enjoys an eternal bliss in heaven" [Daksa Smrti IV.18-19] [Sm.Samu p.30 ] [ 1200, p.65]

"A woman must, on the death of her husband, allow herself to be burnt alive on the same funeral pyre" [Vasishta's Padma-Purana, DuB.345 ].

"If a woman's husband dies, let her lead a life of chastity, or else mount his pyre" [Vis.Sm. xxv.14] [Clay.13

এই শ্লোক গুলোর মানে কি ভাই ??? বিপ্লবকান্তি ?? এইগুলো হয়ত বেদ এর মত অক্ষয় না আপনাদের মতে তবে এদেরও কিন্ত দাম আছে হিন্দু ধর্মে দক্ষস্মৃতি কিন্ত সতি এর উপাখ্যান। এক্ষেত্রে আপনি কিন্ত বলতে পারেন যে এটা সতি এর ক্ষেত্রে শুধু প্রযোজ্য তবে তাহলে এতে সতি এর নাম থাকত প্রথমে। এর সঠিক প্রেক্ষাপট ব্যাখা করে দেখাতে পারবেন আমাকে ?
এটা তো হিন্দু দের নিজেদের রীতি এর মধ্য থেকে এসেছে।

তাহলে আপনার কথা যে

//তাহলে প্রশ্ন হলো , সতীদাহ যদি হঠাৎ কোন অঞ্ছলের রীতি হয়ে থাকে, এটি হিন্দু ধর্মীয় রীতি নয় তাহলে এর এতো বিস্তার হলো কিভাবে , বিশেষ করে ইতিহাসে ।//

এর কোন মুল্য কি আদতেই থাকে ??

আমি বলছিওনা যে এটা হিন্দু ধর্মে ফরয ছিল

এটা ছিল ব্রাহ্মণ্যবাদ এরই আবিস্কার আমি জানি মনুসঙ্ঘিতা এটার অনুমতি দেয় না। তবে আপনার কথাও পুরপুরি সঠিক না একেবারেই।

১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭

আরিফ১৯৭৮০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই , অনেক তথ্য জানানোর জন্য।
প্রিয়তে রাখলাম।

১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শাফিউর রহমান ফারাবী আপনি বলেছেনঃ
ইসলাম তো লাখ লাখ হিন্দু মেয়েকে আগুনে পুড়ানোর হাত থেকে বাচিয়েছে।

আপনার কথাটি ঠিক নয়। আমি নিজেও মুসলমান তবে সত্যকে সত্য বলতেই হবে। আপনি সতিদাহ্ প্রথার সঠিক ইতিহাস জানেন না। কেবল কারো কাব্য পড়ে সত্য জানা যায় না। যেমন মীর মশাররফ হোসেন এর বিশাদ সিন্ধু পড়লে কারবালার যে কাহিনী পাবেন তা সত্য নয়। আসলে কাব্য সেতো গল্প, কেচ্ছা, কাহিনী মাত্র। আসলে সতিদাহ্ প্রথা যিনি বাতিল করেছে আপনি তার নামটি পর্যন্ত নেন নাই। ভালো করে দেখেন সতিদাহ প্রথা বাতিল করেছে রাজা রামমোহন রায়। আর বিধবা বিয়ে চালু করেছে ইশ্চরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ইতিহাস পড়ুন। নিজের ধর্মের গুনকির্তন করবেন ভালো তবে মিথ্যা বলাটা ঠিক নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.