নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘশ্বাস-ফ্লাইওভার দিয়া তুমি যাইতাছোগা
আমি দাঁড়াই আছি গোড়ায়, গাছের মত
গাছেরা দৌড় দেয় জানো?
তাগো দৌড়ানোর পথ শিকড়-বাকড়
কিন্তু শিকড়ের দিক দিয়া সবচে
আগাই আছে মানুষ
হাঁটি আসা সব পথ তার শিকড়
তারা একেকটা দীর্ঘ গাছ-
উদ্ভিদবীদগো ভুলের...
আমরাও হেঁটে-টেটে গেছি
জীবনানন্দের মত মিছেমিছি
সহস্র বছর না-হোক
সত্যিসত্যি হ্রস্বদূর
বাতাবিলেবুর ফুল
হয়ে ফোটে আমাদের হাঁটন-দুপুর
সুগন্ধদুপুর-ঘাস খেয়ে ফুলো
চারপেয়ে রোদ-শাবকেরা।
মনে পড়ে হাঁটাপথে
আমাদের মোরগ বিষয়
মাথার খোয়াড় খুলে দিলে
পালিয়ে গিয়েছে যারা
বহুদূর পড়িমরি করে
সহকারে পিতাবাদ এক...
দূরে ল্যাম্পপোস্টের আলো ছুঁয়ে
উইপোকার মত উড়ছে
পুরনো প্রেমের চিঠি
চিঠিবনে আমি গাছ, গাছ থেকে ঝরে পড়ে
সুপুরির ফুল
জীবন-ভেলকি বেয়ে নেমে পড়ি বয়সের নিচে—
সে-ফুল কুড়াই
গুলতিতে বসে পড়ে মুখচুপ গোটা-ফুলগুলো
পাখি মারা নিষেধের...
এই উচ্চবিত্ত মসুর থোকার
নিম্নবিত্ত কপাল-লিখন
এডেলের গানের মত
আগা মোটা গোড়া চিকন ফুল
সমুদ্র-জলের উপর ভাসতে থাকা
পাশাপাশি দু’টো শুকনো পাতায় দু’টো চোখ—
এই ট্রাপিজিয়াম আত্মার।
আমি বারবার ভুলে গেছি এর কথা
লিখে...
তামাটে পাখিটা বসে আছে
সিস্টেম অফ এ ডাউনের লোনলি ডে’র উপর
সে চুপচাপ এক উসকানিমূলক পাখি
কারণ, এখন আমি বলবোই— হুশ
এবং স্তব্ধতাকে দেখলে আমাদের এমন করতেই হয়
পাখিটা উড়ে চলে গেছে
হয়তো বসেছে গিয়ে
আমাদের...
গণদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছি লেমন স্কোয়াশ
তারা ক্লান্ত হয়ে এসেছে
তাদের ক্লান্তির পূর্বপুরুষ ছিলো যুদ্ধফেরৎ—
হাতে ছিলো একটি সবুজ ফুল
ফুলের অলিতে-গলিতে আমাদের ভ্রমণ মোহন রিকশায়
গণদের ডেকেছি ‘উড়ুক্কু’ বলে
গণরা হয়ত জানে না— তাদের...
একদল অন্ধকার তো ঠেকিয়েই দিতে চেয়েছিলো
জন্ম তার,
এখন ভোলাতে চায় জন্ম-বার।
অন্ধকার—
দেখে নন্দনাকাশে করে মিটমিট
সব হারাম নক্ষত্র।
সেই অন্ধকারেই একদিন গিয়ে মিশলো
কুয়াশা একদল।
কেউ কি আছেন, যিনি অন্ধকার থেকে
করতে পারেন...
যে ধোঁয়াটা নেই হয়ে গেছে
বিসমিল্লাহ বলে ঢুকে-
পড়ে এই ভোর-কুয়াশায়
আমি আছি তার দিকে ঝুঁকে
আমি প্রায়-বাঁশের বেড়ার
ওইপাশে বসে আছি তার
সে গলিয়ে দিলে আমি দেই
তাকেও ফিরতি গুনাতার
ওদিকে বৃদ্ধ একালাগা
ঝুলে আছে গোস্ত-বিতানে...
সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটা পাখি
উড়ে এসেছিলো এথায়
ধরা পড়লো আমি-সুলেমানের চোখে
দাদি বললেন— কি দেখস রে ছলেমান,
পক্ষী দেখে কি কাম, আয় শোনাই
সোলায়মান নবীর কাহিনী
তারপর আমরা দিলাম উড়াল
পাড়ি দিলাম
সকালে এক-মাসের পথ, বিকেলে...
বছর দশেক নয় সেরকম লম্বা সময়
কেবল গ্রীলের ইস্পাতে জং; আমোদ-ভিলা-
স্টক এক্সেঞ্জ দোল সয়েছে; দূরের বহু
গ্রহ-কেতুর পোঁদ মেরেছে গোমেদ-নীলা !
বছর দশেক কই সেরকম লম্বা সময় ?
কুড়ির দুইটা তিন হয়েছে, শূন্য মূরাল
ভালোবাসার...
চায়ের সাথে শুক্রবার গিলে ফেলি
পেট মুচড়ে ওঠে
অসংখ্য জারুল ভালো লাগে না-ফুল,
দুর্দান্ত না-এলেই ভালো-হাওয়ার আড়ালে
লুকিয়ে পড়ে হৃৎপিণ্ড
খুঁজি
খুঁজে পেলে এবার লুকিয়ে পড়ি নিজেই
চায়ে ভাসতে থাকা পিঁপড়েটা
মুখ দিয়ে এসেছিলো নাকি সৈয়দা করুণায় ?
খুদ-কুঁড়ো...
♦
মাছরাঙাটাকে উল্টো করে
লোকগুলো জলে ছেড়ে দেয় রাঙামাছ
কিছু দুঃখঘাস গুঁজে দেয় মাছটির বুকে
পৃথিবীর ওই প্রান্তিক পল্লীতে দাঁড়িয়ে।
মানুষের গভীরে গিয়ে মাছটি করে নোঙর,
ফের বেরিয়ে আসে শ্বাসনালী দিয়ে দীর্ঘশ্বাস হয়ে।
যে প্রান্তিক...
সবার কথাই অবিশ্বাস করা যায়, কিন্তু মা-দাদির কথা কিভাবে অবিশ্বাস করি ? তাই, তারা যখন বললেন যে, অমাবশ্যার রাতে এ বাড়িতে গরু হাতে অশরীরী নামে, তখন বিশ্বাস না-করে পারতাম না।...
©somewhere in net ltd.