নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কিভাবে পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থা?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮



যে পোষ্টের প্রতিক্রিয়ায় এ পোষ্ট লেখা

সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

* সুতরাং ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থা। কোরআনে এ পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার গাইড লাইন দেওয়া আছে।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহি প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।

# সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# কোরআনের সরাসরি আদেশে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার উৎস

১। আল্লাহর বাণী কোরআন ২। রাসূলের (সা.) হাদিস ৩। আমিরের আদেশ ৪। সাহাবায়ে কেরামের (রা.) আমল ৫। ফিকাহ শিক্ষায় শিক্ষিতদের ওয়াজ ৬। আহলে যিকরের রায় ৭। ইমামের আমল ৮। আলেমের মতামত ৯। মুমিনের পথ ১০। মুসলিম জামায়াত।

# কোরআনে ইঙ্গিত অনুযায়ী ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার আরো একটি উৎস

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

# সহিহ আল-বোখারী

সহিহ আল বোখারী, ৪৫৩২ নং ৪৫৩৩ নং হাদিসের (তাফসীর অধ্যায় – ৬২. সূরা আল জুমুআ) অনুবাদ
৪৫৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুআ অবতীর্ণ হল – যাতে এও আছে ‘আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’। তিনি বলেন, তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল! তিনবার একথা জিজ্ঞেস করার পরও তিনি এ কথার কোন জবাবই দিলেন না। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) হাজির ছিলেন। নবি করিম (সা.) তার উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান ছূরাইয়া নক্ষত্রের নিকট থাকলেও অনেক ব্যক্তিই কিংবা যে কোন একজন তা’ পেয়ে যাবে।
৪৫৩৩। আবু হুরায়রা (রা.) নবি (সা.) হতে বর্ণনা করে বলেন, এদের কিছু লোক তা’অবশ্যই পেয়ে যাবে।

# সহিহ মুসলিম

সহিহ মুসলিম, ৬৩৩৯ নং ও ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৩৯।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। যদি দীন আসমানের দূরবর্তী সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির কাছে থাকত, তবে পারস্যের যে কোন ব্যক্তি তা’ নিয়ে আসত; অথবা তিনি বলেছেন, কোন পারসিক সন্তান তা’ অর্জন করত।

সহিহ মুসলিম, ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট বসা ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হল। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন, ‘ওয়া আখারিনা মিনহু লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম - আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’ তখন জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এরা কারা? নবি করিম (সা.) তার কোন জবাব দিলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’ বার কিংবা তিনবার তাঁকে জিজ্ঞাস করল। রাবী বলেন, তখন আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রা.) ছিলেন। রাবী বলেন, নবি করিম (সা.) তাঁর হাত সালমানের (রা.) উপর রাখলেন, এরপর বললেন, যদি ঈমান সূরাইয়া তারকার কাছে থাকত তাহলে অবশ্যই তার গোত্রের লোকেরা সেখান পর্যন্ত পৌঁছত।

# সহিহ তিরমিযী

সহিহ তিরমিযী, ৩৮৬৮ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৮৬৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সূরা আল-জুমুআ অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন। তিনি ‘ওয়া আখারিনা মিসহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম- আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এসমস্ত লোক কারা, যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি? তিনি তাকে কিছুই বললেন না। সালমান আল –ফারসী আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের হাতখানা সালমানের (রা.) উপর রেখে বললেন সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! ঈমান সুরাইয়া তারকায় থাকলেও এদের কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।

সহিহ তিরমিযী, ৩২৪৮ নং হাদিসের (তাফসীরুল কোরআন – সূরা আল-জুমুয়া) অনুবাদ-
৩২৪৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা আল-জুমুয়া অবতীর্ণ হওয়াকালে আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকটেই ছিলাম।তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন।তিনি ‘আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ (৬২,৩) পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি তারা কারা? নবি করিম (সা.) তার কথায় চুপ রইলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন সালমান (রা.) আমাদের সাথেই ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) সালমানের (রা.) উপর হাত রেখে বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! ঈমান যদি সুরাইয়্যা নক্ষত্রেও থাকে তবুও তাদের মধ্য হতে কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।

* সুতরাং কোরআন অনুযায়ী ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার একাদশ তম উৎস পারসিক আলেমদের মতামত।

# কোরআনের ও হাদিসের বাস্তবতায় ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার আরো একটি উৎস

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। যারা আমাদের উদ্দেশ্যে জিহাদ করে আমরা অবশ্যই তাদেরকে আমাদের পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়নদের সঙ্গে থাকেন।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৭ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তা’ পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর আমি যদি নিহত হই তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে আমি আবু হুরায়রা হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৮। হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.)গোলাম সাওবান (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে নাজাত দান করেছেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে আর একদল যারা ঈসা ইবনে মরিয়মের সাথে থাকবে।

* ভারতে ইসলাম আগমনের পর থেকে ভারতীয় মুসলিম আল্লাহর উদ্দেশ্যে জিহাদে রত রয়েছে, হাদিস তাদেরকে নাজাত প্রাপ্ত ঘোষণা করেছে সুতরাং ভারতীয় মুসলিমদের আমলও ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার একটি উৎস এবং এটি কোরআন অনুযায়ী ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার দ্বাদশ উৎস। কিন্তু সকল উৎসেই মতভেদ বিদ্যমাণ।

# কোরআন

সূরাঃ ২ বাকারা, ২২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২২৮। তালাক প্রাপ্তা নারী তিন কুরু নিজেদেরকে (বিবাহ করা থেকে) বিরত রাখবে। তারা আল্লাহ এবং আখিরাতে বিশ্বাসী হলে তাদের গর্ভে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা তাদের পক্ষে বৈধ নয়।যদি তারা আপোষ নিস্পত্তি করতে চায় তবে তাদেরকে পুণঃগ্রহণে তাদের স্বামীগণ অধিক হকদার।নারীদের তেমন ন্যায় সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষের।কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা আছে। আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

# সূরাঃ ২ বাকারা, ২২৮ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
২২৮। আবু উমর বিন আলা (র.) বলেন, আরবে হায়েজ ও তুহুর উভয়কে কুরু বলে।

* ইমাম আবু হানিফা (র.) কুরু অর্থ হায়েজ এবং ইমাম শাফেঈ (র.)কুরু অর্থ তুহুর বলেন।

# হাদিস

সহিহ বোখারী ৫৫৩ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৩। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি নামাজ থেকে নিষেধ করেছেন, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পূর্বে এবং আছরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে।

সহিহ বোখারী ৫৫৭ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৭।হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন রূপেই রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’ রাকা’আত নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আর তা’ হল, ফজরের নামাজের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং আছরের পরে দু’ রাক’আত।

* এমন মতভেদের হাদিস আছে হাজারে হাজারে।

# আমির

সহিহ আল বোখারী, ৩৪৮৯ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪৮৯। হযরত ইবনে আবু মুলাইকাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। ইবনে আব্বাসকে (রা.) একদা জ্ঞিাস করা হলো, আপনি আমীরুল মুমিনীন মু’আবিয়া সম্পর্কে কি অভিমত পোষণ করেন। তিনি তো এক রাকাত বিতর পড়েন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, তিনি ঠিকই আছেন। কেননা তিনি নিজেই একজন ফকিহ।

* আমির মুয়াবিয়া (রা.) বিতর নামাজ এক রাকাত পড়তেন, অনেক আমির বিতর তিন রাকাত পড়তেন।

# সাহাবা

সহিহ মুসলিম, ১৬৫৭ নং হাদিসের (সাতাশ তারিখের রাত কদরের রাত হওয়ার প্রমাণ)অনুবাদ-
১৬৫৭। হযরত (ইবনে হুবাইশ) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনে কাবকে বলতে শুনেছি। তাঁকে বলা হলো যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে নামাজ পড়বে সে কদরের রাত পাবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনে কাব বললেন, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই সেই মহান আল্লাহর শপথ! নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল কদর রমজান মাসে। একথা বলে তিনি কসম করেন কিন্তু ইনশাআল্লাহ বললেন না। এরপর তিনি আবার বললেন, আল্লাহর কসম! কোন রাতটি কদরের রাত তাও আমি জানি। সেটি হলো এ রাত যে রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে নামাজ পড়তে আদেশ করেছেন। সাতাশ তারিখ সকালের পূর্বের রাতটিই সে রাত। আর ঐ রাতের লক্ষণ হলো, সে রাত শেষে সকালে যে সূর্য উদিত হবে তা’ উজ্জল হবে কিন্তু সে সময় তার কোন আলোক রস্মি থাকবে না।

* রমজানের সাতাশ তারিখ সকালের পূর্বের রাতকে হযরত উবাই ইবনে কাব (রা.) লাইলাতুল কদর বলেছেন। অনেক সাহাবা সেই রাতের সাথে আরো অন্য রাতও যোগ করেছেন।

# ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার চারটি উৎসের মতভেদের নমুনা আমরা উপস্থাপন করলাম। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থার অন্য আটাট উৎসেও মতভেদের ছড়াছড়ি। এ মতভেদের মীমাংসা কি?

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭৮ নং ও ৭৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। আর স্মরণ কর দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করতেছিল শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে, তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ; আমরা প্রত্যক্ষ করতেছিলাম তাদের বিচার।
৭৯। আর আমরা এ বিষয়ে সুলায়মানকে মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে আমরা দিয়ে ছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। আমরা পর্বত ও পাখীদেরকে অধীন করে দিয়েছিলাম, উহারা দাউদের সঙ্গে আমাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতো; আমরাই ছিলাম এ সমস্তের কর্তা।

# সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭৮ নং ও ৭৯ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
৭৮ ও ৭৯। হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ঐ বাগানটিকে বকরীগুলি নষ্ট করে দেয়। হযরত দাউদ (আ.) ফায়সালা দেন যে, বাগানের ক্ষতিপূরণ বাবদ বকরিগুলি বাগানের মালিক পাবে। হযরত সুলায়মান (আ.) এই ফায়সালা শুনে বলেন, হে আল্লাহর নবি! এটা ছাড়া অন্য একটা ফায়ছালা হতে পারে। হযরত দাউদ (আ.) জিজ্ঞাস করলেন ওটা কি? জবাবে হযরত সুলায়মান (আ.) বলেন, প্রথমে বকরিগুলি বাগান মালিকের হাতে সমর্পণ করা হোক। সে ওগুলি দ্বারা ফায়দা নিবে। আর বাগানটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বকরির মালিককে দেওয়া হোক। সে আঙ্গুরের চারার পরিচর্যা করতে থাকবে। তারপর যখন আঙ্গুর গাছগুলি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে তখন সে বাগানের মালিককে বাগান ফিরিয়ে দিবে এবং বাগানের মালিকও বকরিগুলি ওদের মালিককে ফিরিয়ে দিবে। আর হযরত সুলায়মানকে (আ.) আল্লাহ এ মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়ে ছিলেন।

সহিহ আল বোখারী, ৩১৮১ নং হাদিসের (আম্বিয়া কেরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩১৮১। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছেন, ‘আমারও অন্যান্য মানুষের উদাহরণ হলো এরূপ, যেমন এক ব্যক্তি অগ্নি প্রজ্বলিত করল, তাতে ঝাঁকে ঝাঁকে কীট ও পতঙ্গ পড়তে লাগল। রসূলুল্লাহ (সা.) প্রসঙ্গত বললেন, দুজন মহিলা ছিল, তাদের দু’টি শিশু সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের শিশু সন্তানটিকে নিয়েগেল। তখন একে অপরকে বলল তোমার শিশুকে নিয়েছে।দ্বিতীয় মহিলা বলল, বাঘে নিয়েছে তোমার শিশু।তখন উভয় মহিলা দাউদের (আ.) নিকট বিচার প্রার্থী হল। হযরত দাউদ (আ.) অধিক বয়স্ক মহিলার পক্ষে রায় দিলেন। মহিলা দ্বয় বের হয়ে সুলায়মানের (আ.) নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিল। তারা তাঁকে মামলার রায় শুনাল। তখন তিনি বললেন, তুমি একটি ছোরা নিয়ে আস আমি শিশুটিকে দ্বিখন্ডিত করে উভয়ের মধ্যে বন্টন করে দেব।বয়ঃকনিষ্ঠা মহিলা বলে উঠল, আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। এরূপ করবেন না। শিশুটি তারই। তখন তিনি বয়ঃকনিষ্ঠা মহিলার পক্ষে রায় প্রদান করলেন। হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম ছুরি অর্থে ‘সিক্কিনুন’ শব্দ আমি আজই শুনলাম। আমরাতো ছুরিকে ‘মুদিয়াতুন’ বলতাম।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* সেকালে আল্লাহ মতভেদের মীমাংসা শিখালেন হযরত সুলায়মানকে (আ.) একালে তিনি মতভেদের মীমাংসা সাব্যস্ত করলেন উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের মতামতকে। উম্মতের চিরন্তন সর্ববৃহৎ দল হলো ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল।

# ইমাম

সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।

সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোমরাও বসে নামাজ পড়বে।

সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। সুতরাং তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে সকল ক্ষেত্রে ইসলামের মতভেদ নিরসন করতে হবে। প্রায় তেরশ বছর তাঁরা হানাফী। সুতরাং হানাফী মাযহাবে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দীন বা জীবন ব্যবস্থা পাওয়া যাবে। আর হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের মতামতের ভিত্তিতে ইসলামের বিধি-বিধান সংস্কার যোগ্য। যেমন: বর্তমান ইসলামী অর্থব্যবস্থা তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে চলছে। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদ মুক্ত নয় বলা সুযোগ নেই। কারণ এ ক্ষেত্রে হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুমোদন রয়েছে। হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল ছাড়া ইসলামে অন্য কারো মাতুব্বরী ফিতনা হিনাবে বিবেচিত হবে।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৬

এ আর ১৫ বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে - পড়ে দেখতে পারেন --
কমপ্লিট কোড অফ লাইফ বনাম উপদেশ গ্রন্থ

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়লাম, তবে মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য সব পড়া হয়নি। সময় করে আস্তে আস্তে পড়ব আশা করি।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পুরো পোষ্টে তো আপনার কোনো বক্তব্য নেই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যা বুঝেছি তা’ কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিখেছি। আপনি হয়ত বিষয়টি খেয়াল করেননি।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০০

জ্যাকেল বলেছেন: আক্ষরিক অনুবাদ করলে যেমন সঠিক অনুবাদ হয় না তেমনি ইসলাম/কোরআন নিয়ে প্রেক্ষাপট বিচার না করলে ভুল বোঝার সুযোগ থাকে। পর্দা নিয়ে যতটা গুরুত্ব আরোপ করা হয় কোরআন অনুসারে চরিত্র নির্মানে আরো বেশি গুরুত্ব আরোপ করার কথা। বাস্তবে কিন্তু তাহা দেখা যায় না। স্বভাবতই মোল্লাদের/ফতোয়াবাজদের দল মানুষকে না পারছে ইসলামের ছায়ায় আনতে, না পারছে একেবারে দুরে ঠেলতে। ফলঃ মানুষ সঠিক ইসলাম জানতে পারছে না, খারাপ পথে চলে যাইতেছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ফতোয়াবাজরা যত রকম ফতোয়াই দেক না কেন? গৃহিত হবে ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের মত। যেমন এক দল বলল, পীরকে সিজদা দেওয়া জায়েজ, অন্যদর বলল, পীরকে সিজদা দেওয়া না জায়েজ। আমরা দেখলাম ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল পীরকে সিজদা করেন না। সুতরাং পীরকে সিজদা প্রদান না করাই ইসলামের বিধান সাব্যস্ত হবে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

সাসুম বলেছেন: যেহেতু আপনি নিজেকে দুনিয়ার একমাত্র সঠিক জ্ঞানী লোক মনে করেন, আর যুক্তির সামনে কেউ টিক্তে পারেনা দুনিয়ার এবং আপনার নিজের কথার বাইরে আর কোন কথা বা লজিক সত্য হইতে পারেনা-

সো এত বড় কপি পেস্ট গরু রচনা যাই লিখছেন সবই মাইনা নিলাম।


আপনি যা কইছেন তাই ঠিক!

জাজাকাল্লাহ খায়রান

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এখানে তো লজিক উপস্থাপন করা হয়নি। এখানে তো সবই তথ্য। তথ্য অনুযায়ী কোরআন পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার গাইড লাইন, যার বারটি উৎস আমরা পেয়েছি। যাতে মতভেদ থাকলে ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের মতামতে মতভেদের মীমাংসা হবে।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন মুসলমানকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী চলতে হয়। জীবনের এমন কোন বিষয় নেই যেটা ইসলামিক নির্দেশনার গণ্ডির বাইরে। ইসলাম ধর্ম শুধু মসজিদ কেন্দ্রিক ধর্ম না। ইসলামে অনেক সামাজিক দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে যেটা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। ইসলামের অনেক বিষয় আছে যেটা ব্যক্তি পর্যায়ের ঊর্ধ্বে এবং সামাজিক পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কারণে বিধর্মী অধ্যুষিত দেশে মুসলমানদের জন্য ধর্ম পালন করা অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং। কারণ কিছু বিধান আছে যেগুলি পালন করার মত শক্তিশালী ইসলামিক সোসাইটি সেখানে নেই এবং ঐ রাষ্ট্রের বিধান ইসলামের নিয়ম মানার ক্ষেত্রে অনেক সময় বাধা হিসাবে কাজ করে।

হাজার রোজা নামাজ করলেও মানুষের হক নষ্ট করার জন্য একজন মুসলমান জাহান্নামী হতে পারে।

ইসলাম পুরনাঙ্গ জীবন বিধান কারণ ইসলামের নির্দেশিকায় যে কোন প্রশ্নের জবাব এবং দিকনির্দেশনা আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামে সব কিছুর যেমন বিস্তারিত আলোচনা আছে অন্য কোথাও তেমন নেই। এক নাস্তিককে বলে ছিলাম কোরআন ভালো না হলে এর চেয়ে ভালো কি আছে নিয়ে এসো পড়ে দেখি কেমন ভালো। অহেতুক কচর কচর করে কানের মাথা খেয়ো না। সে বলল, তাদের নাকি সেরকম কোন কিতাব নাই। তখন তাকে বললাম তাহলে তুমি আমাকে কি ছেড়ে কি ধরতে বল?

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

সোবুজ বলেছেন: ইসলামের বাইরে যারা আছে তাদের জীবন অপূর্নাঙ্গ।তারা জীবন নিয়ে অনেক সমস্যায় আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামে জীবনের সকল দিকের আলোচনা আছে। অন্য কোন ধর্ম ও মতে জীবনের সকল দিকের আলোচনা নেই। এক নাস্তিক আমাকে ইসলাম ত্যাগের দাওয়াত দেওয়ার পর আমি তাকে বলেছি, তোমাদের জীবন বিধান আমাকে দাও যদি আমি তা’ আমাদের জীবন বিধান থেকে উন্নত পাই তাহলে না হয় আমি আমারটা ছেড়ে তোমারটা গ্রহণ করব। যদি তোমার জীবন বিধান আমার থেকে নিম্নমানের হয় তাহলে আমি আমারটা ছেড়ে তোমারটা কেন গ্রহণ করব? সে তখন বলল, তাদের নাকি জীবন বিধানই নাই। তখন আমি বললাম তাহলে তুমি আমাকে কি ছেড়ে কি গ্রহণ করতে বল? তাহলে তো নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো হিসাবে ইসলামই উত্তম। তাহলে বাপু তুমি আমাকে কেন ইসলাম ছাড়তে বল? তারপর সে আমাকে সামুতে তাড়িয়ে এনে এখানে ফেলে চলে যায়।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোবুজ বলেছেন:
‘হাজার রোজা নামাজ করলেও মানুষের হক নষ্ট করার জন্য একজন মুসলমান জাহান্নামী হতে পারে।’
আমার ভালো লাগে সাড়ে চুয়াত্তুরের ইসলাম।এই কথাটি ইসলামের কোথাও নাই কিন্তু তার ইসলামে আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামের সবটা না জেনে ইসলামে নাই এমন কথা বলা যায় না।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোবুজ- আমি যে কথাটা বলেছি সেটা ইসলামে আছে। এই ব্যাপারে অনেক সহি হাদিস আছে;

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, এক নারীর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ, সে বেশি বেশি (নফল) নামায পড়ে, রোযা রাখে, দুই হাতে দান করে। কিন্তু যবানের দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় (তার অবস্থা কী হবে?)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে জাহান্নামে যাবে। আরেক নারী বেশি (নফল) নামাযও পড়ে না, খুব বেশি রোযাও রাখে না আবার তেমন দান সদকাও করে না; সামান্য দু-এক টুকরা পনির দান করে। তবে সে যবানের দ্বারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না (এই নারীর ব্যাপারে কী বলেন?)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে জান্নাতী। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৬৭৫; আলআদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ১১৯)

প্রতিবেশীর হক নষ্ট করার কারণে ঐ মহিলা জাহান্নামী হবে।

আরেকটা হাদিস আছে; রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি কোনো অমুসলিমের প্রতি অন্যায় করে, তবে আমি কিয়ামতের দিন সেই মুসলমানের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবো।’ (আবু দাউদ)

রসূল যদি অমুসলিমের পক্ষে সাক্ষী হন তাহলে তারপর ফলাফল কি হতে পারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।

হারাম খাদ্যে তৈরি দেহ জান্নাতে যাবে না একথাও হাদিসে আছে।

তবে মুসলমানদের তিল পরিমান ঈমান থাকলে জাহান্নামের সাজা ভোগ করার পর অবশেষে তারা জান্নাতে যাবে।

এই ধরণের আরও অনেক নির্দেশনা কোরআন এবং হাদিসে আছে।

আশা করি বুঝতে পেড়েছেন আমি কেন এই ধরণের মন্তব্য করেছি। আপনি মুক্ত চিন্তার মানুষ এবং সেই সাথে ইসলাম বিদ্বেষী হওয়া সত্ত্বেও ইসলামের এত খবর রাখেন। অথচ এই ব্যাপারটা জানেন না কেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞানী ফিজ্ঞানী কোথায় কে কি বলেছে তা’ নিয়ে নাস্তিকেরা বেশ উত্তেজিত ছিল। তারপর যখন দেখা গেল সে সকল আসলে ফাঁকা বুলি। তখন তারা নিস্তেজ হয়ে গেল। এখন ওদের কয়টা ছাও-পোনা অতিকষ্টে তাদের অন্ধ অবিশ্বাস নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছে। তারা কারো সাখে কথায় না পারলে তাকে অসম্মান করে নিজের ঝাল মিটায়।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৭

সোবুজ বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর,সব মানুষকে আপনি এক করে ফেলছেন।মুসলমানরা ছাড়া বাকিসব পশুর থেকে নিকৃষ্ট।সুরা আল-ফুরক্কান আয়াত ৪৪।কোরানের ব্যাখ্যা হাদিস,হদিসেরও ব্যাখ্যা গ্রন্থ আছে।হাদিস বুঝতে হলে ব্যাখ্যা পড়তে হবে।হাদিসের ব্যাখ্যা লিখে সার্স দিলে পেয়ে যাবেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৪৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ শোনে ও বুঝে? তারাতো পশুরই মত, বরং আরও অধম।

* ৪১ নং আয়াতে লেখা আছে যারা রাসূলকে (সা) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করত তাদেরকে পশুর চেয়ে অধম বলা হয়েছে। মুসলমান ছাড়া বাকি সবাইকে এখানে পশুর থেকে নিকৃষ্ট বলা হয়নি।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দিক।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে আছে বলেই বিশ্বাস করেন না। তাঁর কাছে দোয়া করার মানে কি?

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোবুজ -
সুরা ফোরকানের ৪৪ নং আয়াতে আছে;

'তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ শোনে ও বুঝে? তারাতো পশুরই মত; বরং তারা আরও অধম' ।

সুরা ফোরকানের ৪৪ নং আয়াতে গবাদি পশুর বুদ্ধি বিবেচনার মানের সাথে বিপথগামী কাফেরদের বুদ্ধির মানের তুলনা করা হয়েছে। কাফেরদের গরু বা মহিষ বলা হয়নি। কাফেরদের বুদ্ধি বিবেচনা লোপ পেয়েছে বলেই এই রকম বলা হয়েছে। কারণ তারা তাদের সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতা করছে। কোন প্রকৃতজ্ঞানী ব্যক্তি নিজের সৃষ্টিকর্তার অবাধ্য কখনও হতে পারে না। কাফের মুশরেকদের জ্ঞান আল্লাহর কাছে ধর্তব্য না কারণ এত জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের রবকে চিনতে পাড়ছে না। এই কারণেই তাদের জ্ঞানের গভীরতার সাথে গবাদি পশুর জ্ঞানের গভীরতার তুলনা করেছেন। তাদেরকে গবাদি পশু বলেননি। আল্লাহতায়ালার কাছে তার কোন সৃষ্টিই খারাপ না এবং উদ্দেশ্যহীন না। এই আয়াতে পাশবিক আচরণ বোঝানোর উদ্দেশ্যে তুলনা করা হয়নি। বরং তাদের বুদ্ধির মাত্রাকে গবাদি পশুর বুদ্ধির মাত্রার সাথে তুলনা করা হয়েছে। আল্লাহর দৃষ্টিতে কাফেরদের বুদ্ধির মাত্রা গবাদি পশুর চেয়েও নীচে। এই কারণে এরা তার স্রষ্টাকে চিনতে পাড়ছে না। কাফেররা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বলা হয়নি। বলা হয়েছে তাদের জ্ঞানের মাত্রা গবাদি পশুর জ্ঞানের স্তরের মত বা তার নীচে। আল্লাহর অবাধ্যতা করার জন্যই আল্লাহ এই রকম বলেছেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়টি বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৫

সোবুজ বলেছেন: জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েই মানুষ বিচার করবে।আকৃতি দিয়ে তো বিচার করতে বলে নাই।জ্ঞান বুদ্ধিতে যে পশুর থেকে খারাপ,সে পশুর থেকে খারাপই থাকলে।নাকি পশুর থেকে ভালো হয়ে গেলো।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পশুও নিজ মালিককে চিনে। কিন্তু পশুর চেয়ে অধম মানুষেরা তাদের মালিক আল্লাহকে চিনে না।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা মোটামুটি ঠিক আছে তবে শেষে দিকে এসে হানাফী মাজহাব নিয়ে লাইনটা ঠিক লেখেননি।
ইসলামে মাতুব্বরি বলে কিছু নেই। আছে ইলমের পরিমান।
যে কোনো মাজহাবই সঠিক। একটা তুলনায় আরেকটা শ্রেষ্ঠ এমন কিছু নয়। ইসলামের শুরু দিকে মাজহাব বলে কিছু ছিলও না।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শুরেতে ছিল না পরে এসেছে। দরকার ছিল বলেই এসেছে। শিয়া মাযহাব খোলাফায়ে রাশেদার তিন খলিফাকে অবৈধ বলে এটা কি ঠিক? ইরান নামক একটা দেশ তো চলে সেই মাযহাবেই। আরো বহু দেশে তাদের জয়জয় কার। সব মাযহাব সঠিক হলে ইয়েমেনে শিয়া-সালাফী যুদ্ধ চলছে কেন?

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০২

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম , ইসলামের মূল ভিত্তি কি ? বিশ্বাস !!!!

কিন্তু মেরাজাএর মতো এত্ত বড় একটা ঘটনার উপর কোন রকম আলকপাত কোরানে নেই কেনো ?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলোক পাত আছে। সূরা বনি ইসরাইল পড়ুন।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর @ কেউ যদি ধর্ম বা ইসলামের নামে বানোয়াট গল্প প্রচার করে তার বেলায় কি হতে পারে?? এদের অবস্থান কোথায় জাহান্নাম না জান্নাত !!!

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামের নামে বানোয়াট গল্প প্রচার করলে অবস্থান হবে জাহান্নামে।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২১

এভো বলেছেন: কেউ যদি ধর্ম বা ইসলামের নামে বানোয়াট গল্প প্রচার করে তার বেলায় কি হতে পারে?? এদের অবস্থান কোথায় জাহান্নাম না জান্নাত !!!
উত্তরে ---- লেখক বলেছেন: ইসলামের নামে বানোয়াট গল্প প্রচার করলে অবস্থান হবে জাহান্নামে।
-----------
জনাব লেখক ----- আপনি যে বানোয়াট দাবি কোরলেন -- তার জন্য আপনার অবস্থান কোথায় হবে জানিয়ে দিলেন । ইসলামিক দলিলে বলা হচ্ছে কোরান মানব জাতীর জন্য উপদেশ মাত্র , মোটে ও পূর্ণাঙ্গ উপদেশ ও বলেনি সেখান একেবারে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা দাবি করে বানোয়াট গল্পটা যে প্রচার করলেন , এই অপপ্রচারের শাস্তি কি হবে সেটা আপনি বলে দিলেন , যেখানে কোরান নিজে ও পূর্ণাঙ্গ উপদেশ দাবি করে নি করেছে উপদেশ মাত্র । অতচ আপনারা পূর্ণাঙ্গ উপদেশ নহে জীবন ব্যবস্থা দাবি করছেন ?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

- আমি আমার কথা উপরোক্ত আয়াতের ভিত্তিতে বলেছি। সুতরাং আমি বানোয়াট গল্প বলিনি।

১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

এভো বলেছেন: কোরানে বলা হয়েছে,, ইহা মানবজাতীর জন্য উপদেশ মাত্র,,, এখানে পুর্ণাঙ্গ শব্দটা নেই তারমানে জীবন ব্যবস্থা হিসাবে উপদেশ মাত্র।
সুরা মায়দা ৩ আয়াতে বলা হয়েছে, এটা ধর্ম হিসাবে পূর্ণাঙ্গ,,, রিচুয়ালিটির দিক দিয়ে পূর্ণাঙ্গ।

আপনি যদি রিচুয়ালিটি হিসাবে পূর্ণাঙ্গ দাবি করতেন তাহোলে মেনে নেওয়া যেত কিন্তু আপনি দাবি করেছেন জীবন ব্যবস্থা হিসাবে পূর্ণাঙ্গ। আপনার এই দাবি বানোয়াট দাবি এবং এর শাস্তি কি সেটা আপনি জানেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দীন শব্দের অর্থ জীবন ব্যবস্থা।

১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে আছে বলেই বিশ্বাস করেন না। তাঁর কাছে দোয়া করার মানে কি?

তাহলে আপনার মঙ্গল কামনা কিভাবে করবো?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মঙ্গল কামনা করলে কি মঙ্গল হয়? যদি না হয় তবে আর মঙ্গল কামনা করার দরকার কি?

১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: In my post which I have given in the number 1 comment,, When someone claim from 5--3 from a Bangla translation where the word DIN has mentioned, then I gave following answer,,

এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম দীন এবং ধর্ম নিয়া আলোচনা করার জন্য , সুরা মায়েদা আয়াত ৩ এবং সুরা আল ইমরানের ইংরেজি অনুবাদ দেখুন --
৫-৩
Sahih International: Prohibited to you are dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah , and [those animals] killed by strangling or by a violent blow or by a head-long fall or by the goring of horns, and those from which a wild animal has eaten, except what you [are able to] slaughter [before its death], and those which are sacrificed on stone altars, and [prohibited is] that you seek decision through divining arrows. That is grave disobedience. This day those who disbelieve have despaired of [defeating] your religion; so fear them not, but fear Me. This day I have perfected for you your religion and completed My favor upon you and have approved for you Islam as religion. But whoever is forced by severe hunger with no inclination to sin - then indeed, Allah is Forgiving and Merciful.

Pickthall: Forbidden unto you (for food) are carrion and blood and swineflesh, and that which hath been dedicated unto any other than Allah, and the strangled, and the dead through beating, and the dead through falling from a height, and that which hath been killed by (the goring of) horns, and the devoured of wild beasts, saving that which ye make lawful (by the death-stroke), and that which hath been immolated unto idols. And (forbidden is it) that ye swear by the divining arrows. This is an abomination. This day are those who disbelieve in despair of (ever harming) your religion; so fear them not, fear Me! This day have I perfected your religion for you and completed My favour unto you, and have chosen for you as religion al-Islam. Whoso is forced by hunger, not by will, to sin: (for him) lo! Allah is Forgiving, Merciful.

Yusuf Ali: Forbidden to you (for food) are: dead meat, blood, the flesh of swine, and that on which hath been invoked the name of other than Allah; that which hath been killed by strangling, or by a violent blow, or by a headlong fall, or by being gored to death; that which hath been (partly) eaten by a wild animal; unless ye are able to slaughter it (in due form); that which is sacrificed on stone (altars); (forbidden) also is the division (of meat) by raffling with arrows: that is impiety. This day have those who reject faith given up all hope of your religion: yet fear them not but fear Me. This day have I perfected your religion for you, completed My favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion. But if any is forced by hunger, with no inclination to transgression, Allah is indeed Oft-forgiving, Most Merciful.

Shakir: Forbidden to you is that which dies of itself, and blood, and flesh of swine, and that on which any other name than that of Allah has been invoked, and the strangled (animal) and that beaten to death, and that killed by a fall and that killed by being smitten with the horn, and that which wild beasts have eaten, except what you slaughter, and what is sacrificed on stones set up (for idols) and that you divide by the arrows; that is a transgression. This day have those who disbelieve despaired of your religion, so fear them not, and fear Me. This day have I perfected for you your religion and completed My favor on you and chosen for you Islam as a religion; but whoever is compelled by hunger, not inclining willfully to sin, then surely Allah is Forgiving, Merciful.

Muhammad Sarwar: It is unlawful for you to consume the following as food: an animal that has not been properly slaughtered, blood, pork, an animal slaughtered and consecrated in the name of someone other than God, an animal killed by strangulation or a violent blow, an animal killed by falling down, an animal which has been gored to death, an animal partly eaten by a wild beast before being properly slaughtered, an animal which has been sacrificed on the stone blocks (which pagans worshipped), and any flesh divided by casting superstitious and gambling arrows (a pagan tradition), which is a sin. Today, the unbelievers have lost hope about your religion. Do not be afraid of them but have fear of Me. On this day I have perfected your religion, completed My favors to you, and have chosen Islam as your religion. If anyone not (normally) inclined to sin is forced by hunger to eat unlawful substances instead of proper food, he may do so to spare his life. God is All-forgiving and All-merciful.

Mohsin Khan: Forbidden to you (for food) are: Al-Maytatah (the dead animals - cattle-beast not slaughtered), blood, the flesh of swine, and the meat of that which has been slaughtered as a sacrifice for others than Allah, or has been slaughtered for idols, etc., or on which Allah's Name has not been mentioned while slaughtering, and that which has been killed by strangling, or by a violent blow, or by a headlong fall, or by the goring of horns - and that which has been (partly) eaten by a wild animal - unless you are able to slaughter it (before its death) ­ and that which is sacrificed (slaughtered) on An­Nusub (stone altars). (Forbidden) also is to use arrows seeking luck or decision, (all) that is Fisqun (disobedience of Allah and sin). This day, those who disbelieved have given up all hope of your religion, so fear them not, but fear Me. This day, I have perfected your religion for you, completed My Favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion. But as for him who is forced by severe hunger, with no inclination to sin (such can eat these above-mentioned meats), then surely, Allah is Oft­Forgiving, Most Merciful.

Arberry: Forbidden to you are carrion, blood, the flesh of swine, what has been hallowed to other than God, the beast strangled; the beast beaten down, the beast fallen to death, the beast gored, and that devoured by beasts of prey - excepting that you have sacrificed duly -- as also things sacrificed to idols, and partition by the divining arrows; that is ungodliness. Today the unbelievers have despaired of your religion; therefore fear them not, but fear you Me. Today I have perfected your religion for you, and I have completed My blessing upon you, and I have approved Islam for your religion. But whosoever is constrained in emptiness and not inclining purposely to sin -- God is All-forgiving, All-compassionate.

সুরা আল ইমরান আয়াত ১৯
৩-১৯
Sahih International: Indeed, the religion in the sight of Allah is Islam. And those who were given the Scripture did not differ except after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. And whoever disbelieves in the verses of Allah , then indeed, Allah is swift in [taking] account.

Pickthall: Lo! religion with Allah (is) the Surrender (to His Will and Guidance). Those who (formerly) received the Scripture differed only after knowledge came unto them, through transgression among themselves. Whoso disbelieveth the revelations of Allah (will find that) lo! Allah is swift at reckoning.

Yusuf Ali: The Religion before Allah is Islam (submission to His Will): Nor did the People of the Book dissent therefrom except through envy of each other, after knowledge had come to them. But if any deny the Signs of Allah, Allah is swift in calling to account.

Shakir: Surely the (true) religion with Allah is Islam, and those to whom the Book had been given did not show opposition but after knowledge had come to them, out of envy among themselves; and whoever disbelieves in the communications of Allah then surely Allah is quick in reckoning.

Muhammad Sarwar: In the sight of God Islam is the religion. The People of the Book created differences in the matters (of religion) because of their hostility among themselves, only after knowledge had come to them. Let whoever denies the revelations of God know that the reckoning of God is swift.

Mohsin Khan: Truly, the religion with Allah is Islam. Those who were given the Scripture (Jews and Christians) did not differ except, out of mutual jealousy, after knowledge had come to them. And whoever disbelieves in the Ayat (proofs, evidences, verses, signs, revelations, etc.) of Allah, then surely, Allah is Swift in calling to account.

Arberry: The true religion with God is Islam. Those who were given the Book were not at variance except after the knowledge came to them, being insolent one to another. And whoso disbelieves in God's signs. God is swift at the reckoning.

সব কয়েটা ইংরেজি অনুবাদে রিলিজিয়ন বা ধর্ম লিখেছে কিন্তু বাংলা অনুবাদে ধর্ম না লিখে দীন লিখেছে ।

আচ্ছা ভাই কমপ্লিট কোড বা পরিপূর্ণ কোড বলতে কি বুঝেন । কমপ্লিট কোড যদি হয় তাহোলে কোভিড ভ্যাকসিন , কোয়ামটাম ম্যাকানিক্স, সিংগুলারিটি এগুলোর সমাধানে ইসলামে কি ধরনের কোড আছে ? কমপ্লিট কোর্ড অর্থ কি বোঝেন , খামাখা উল্টাপাল্টা বোলে অমুসলিমদের হাসির খোরাক হন কেন ।

কোরান কি দাবি করেছে এটা কমপ্লিট কোড ? কোরান তো বলছে এটা উপদেশ গ্রন্থ । ইংরেজি অনুবাদ গুলোতে তো দেখলেন লিখেছে ধর্ম বা রিলিজিয়ন , দীন শব্দ ব্যবহার হয়েছে বাংলা অনুবাদে ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দীন, ধর্ম, রিলিজিয়ন, জীবন বিধান, জীবন ব্যবস্থা সবই একই জিনিস। সব হিসাবেই ইসলাম পূর্ণাঙ্গ। কোভিড ভ্যাকসিন , কোয়ামটাম ম্যাকানিক্স, সিংগুলারিটি এগুলোর সমাধানে ইসলামের বিধান হলো ক্ষতিকর না হলে জায়েজ।

২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

এ আর ১৫ বলেছেন: In English translation,, it has written like this
1 I have chosen Islam as your religion
2 I approve Islam as your religion.

HE never says anything this like COMPLETE বা পূর্ণাঙ্গ। তাহোলে পূর্ণাঙ্গ শব্দ কোথা থেকে পেলেন। ধর্ম হিসাবে ইসলামকে আল্লাহ চুজ করেছে approve করেছে, COMPLETE জীবন বিধান কোথায় পেলেন।
দীন আর ধর্ম এক জিনিস নহে এবং নিয়ে আমার পোস্টে কয়েকজন আপনার মত ব্যক্তি প্রমাণ সহ পেশ করেছে, পড়ে দেখে আসতে পারেন তখন তাদেরকে আমি ইংরেজি অনুবাদ দেখিয়ে বলেছি ঐ গুলোতে দীন শব্দ ব্যবহার কতা হয় নি ধর্ম শব্দটা ব্যবহ্রত হয়েছে। ধন্যবাদ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দীন আর ধর্ম এক জিনিস নহে এটা আপনার মত। অনেকের মত হলো দীন, ধর্ম, রিলিজিয়ন, জীবন বিধান ও জীবন ব্যবস্থা একই জিনিস। আমরা অজ্ঞ লোক। যেহেতু ইসলামে অনেক জীবন বিধান দেওয়া আছে সেহেতু আমরা দীন বলতে জীবন বিধানই বুঝি। আর জীবন বিধান ও জীবন ব্যবস্থা একই জিনিস বুঝি। আমার মা বলতেন যে দিকে দশের মত সেদিকে আল্লাহর রহমত। তো দশজন যখন বলছে দীন মানে জীবন বিধান বা জীবন ব্যবস্থা তবে আর তা’ আমাদের মানতে সমস্যা কোথায়। বিদগ্ধ জনেরা বিভিন্ন রকম কথা বলে। কিন্তু বিভিন্ন রকম কথা তো আর মানা যায় না। দেখে শুনে এক রকম কথা মেনে চলতে হয়। এ ছাড়া আমরা নিরুপায়।

২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ রানার ব্লগ- আপনার প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টের লেখক দিয়েছেন। আমিও তার সাথে একমত।

তবে কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত বিষয়কেও অনেকে বানোয়াট গল্প বলে থাকে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন ও হাদিস বিষয়ে তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই তারা এমন বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.