নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘটনার অভিন্ন বিবরণে আস্তিক ও নাস্তিকের সিদ্ধান্ত ভিন্ন রকম হয়ে গেছে

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৯




বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যে শূন্য-দেশকে আপাত: দৃষ্টিতে শান্ত, সমাহিত মনে হচ্ছে, তার সূক্ষ্মস্তরে সবসময়ই নানান প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে। এর মধ্যে নিহিত শক্তি থেকে পদার্থ-কণা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৈরি হচ্ছে, আবার তারা নিজেকে সেই শক্তিতে বিলীন করে দিচ্ছে। এ প্রক্রিয়াটির মূলে রয়েছে ‘রহস্যময়’ কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন বা তথাকথিত ‘জিরো পয়েন্ট এনার্জি’। এ প্রক্রিয়ায় পদার্থ ও প্রতিপদার্থ যুগলের আকারে যে অসদ কণিকা (virtual particle) প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে তা হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্ব অনুযায়ী প্ল্যাঙ্ক ধ্রুবকের পরিসীমার মধ্যে বিলীন হয়ে যায় ( উৎস: সায়েন্টিফিক আমেরিকান, ডিসেম্বর ১১৯৭ সংখ্যা)।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* শূন্যতে ঘটা প্রক্রিয়ায় নিহিত শক্তির যোগফল সর্বশক্তিমান। তাতে সব বিলিন হয়। কিন্তু তিনি নিজে বিলিন হন না।সেজন্য তিনি মহিমাময় এবং মহানুভব।

লক্ষ্য করুন, কোনো বস্তু যখন স্থির অবস্থায় থাকে তখন এর মোমেন্টাম শূন্য এবং এর শক্তি ভরের সমান (E=m)। এই শক্তিকে বলা হয়ে থাকে পদার্থের স্থিতি শক্তি। এটাই আইনস্টাইনের বিখ্যাত গাণিতিক সম্পর্ক E=mc² যেখানে c মান[17] ১। ১৯০৫ সালে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তার এই বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রকাশ করেন। তিনি প্রমাণ করে দেখান যে, শক্তি থেকে ভরের উৎপত্তি সম্ভব এবং একই সাথে শক্তির মাঝে ভরের হারিয়ে যাওয়া সম্ভব (উৎস: ভিক্টর স্টেঙ্গর, নিউ এথিজম, ২০০৯) ।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* শক্তি থেকে ভরের উৎপত্তি সম্ভব বিধায় সর্বশক্তিমান তাঁর সত্তা থেকে উদ্ভব হওয়া ভরকে লিমিট দিয়ে হও বললে সেটা লিমিটেড হয়।

আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, শূন্য থেকে মহাবিশ্বের উদ্ভবের ধারনাটা পদার্থ এবং শক্তির নিত্যতার সূত্রের লঙ্ঘন। কী ভাবে আপনি শূন্য থেকে রাতারাতি একটা মহাবিশ্ব তৈরি করে ফেলতে পারেন? ওয়েল … যদি আপনি মহাবিশ্বের সমস্ত ভর হিসেব করেন, দেখবেন এটা ধনাত্মক। আর যদি আপনি মহাবিশ্বের মহাকর্ষ ক্ষেত্রের শক্তির হিসেব নেন, দেখবেন সেটা ঋণাত্মক। যখন আপনি এ দুটোকে যোগ করবেন, কি পাবেন? শূন্য। তার মানে মহাবিশ্ব তৈরি করতে কোন শক্তি আসলে লাগছে না। মহাবিশ্ব ফ্রি পাচ্ছেন আপনি – যেন ফ্রি লাঞ্চ হিসেবে। আপনি হয়তো মাথা নেড়ে ভাবতে পারেন – নাহ, এটা ঠিক নয়। এই যে চারিদিকের ধনাত্মক চার্জ আর ঋণাত্মক চার্জ দেখি – কই তারা তো একে অপরকে নিষ্ক্রিয় করে দিচ্ছে না। তাহলে কীভাবে শূন্য থেকে মহাবিশ্ব পাওয়া যাবে? ওয়েল, আপনি যদি একই ভাবে মহাবিশ্বের যাবতীয় ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ আর ঋণাত্মক চার্জের পরিমাণ ধরে যোগ করেন দেখবেন যোগফল পাওয়া যাচ্ছে শূন্য! মহাবিশ্বের আসলে কোন নেট চার্জ নেই। আচ্ছা স্পিন বা ঘূর্ণনের ব্যাপারেই বা ঘটনা কি? গ্যালাক্সির ঘূর্ণন আছে, তাই না? এবং তারা ঘুরে বিভিন্ন ডাইরেকশনে। আপনি যদি গ্যালাক্সিগুলোর সমস্ত ঘূর্ণন যোগ করেন, কি পাবেন? শূন্য। সুতরাং – মহাবিশ্বের রয়েছে ‘শূন্য স্পিন’, ‘শূন্য চার্জ’, এবং ‘শূন্য এনার্জি কনটেন্ট’। অন্য কথায় পুরো মহাবিশ্বই শূন্য থেকে পাওয়া। (উৎস:কোয়ান্টাম শূন্যতা এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি- অভিজিৎ রায়)


সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?

* কেউ যদি সঠিকভাবে ভাবে তাহলে তারা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ওতপ্রতভাবে মিশেছিলো বলে বুঝতে পারবে। তারপর সর্বশক্তিমান সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি পানি থেকে প্রাণ সৃষ্টি করেছেন।

# বিজ্ঞান মহানবিশ্বের প্রাথমিক অবস্থার বিবরণ যা দিয়েছে তার সাথে আল্লাহর দাবীর গরমিল দেখা যাচ্ছে না। সেজন্য মুমিনগণ আল্লাহর সকল কথা বিশ্বাস করে। আর বিবর্তন আল্লাহর কাজ হওয়ার ক্ষেত্রেও মুমিন কোন সমস্যা দেখছে না।

আর আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) হচ্ছে অন্য স্থান থেকে পৃথিবীতে আগত। তাদের আকৃতির মানব যারা তাঁদের পূর্বে ছিল। তাঁরা তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। তারমানে আদমের বংশ বিস্তারের জন্য তাঁরা যাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আল্লাহ তাদের বিনাশ সাধন করে সেই স্থানে আদম (আ.) ও হাওয়াকে (আ.) স্থলাভিষিক্ত করেছেন। সংগত কারণে বিজ্ঞানের কোন কিছুর সাথে আল্লাহর কথার গরমিল পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে আল্লাহর কথায় বিশ্বাসী মুমিনগণকে অন্ধবিশ্বাসী বলা মূলত একটি বেদরকারী কাজ। আর বিজ্ঞান অনুযায়ী বিশ্বাসের বিপরীতে কোনভাবেই অবিশ্বাস প্রতিষ্ঠা পায় না। সুতরাং বিজ্ঞানের বিবিধ বিবরণে অবিশ্বাসীদের উত্তেজিত হওয়া মূলত বেদরকারী কাজ। কারণ বিজ্ঞানের যে বিবরণ থেকে তারা অবিশ্বাসী, সেই একই বিবরণ থেকে মুমিন দৃঢ় বিশ্বাসী হতে পারে।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:


১টি এটমে সমান সংখ্যাক ইলেকট্রন ও প্রোটেন থাকলে, উহা "চার্জ"এর দিক থেকে জিরো, কিংবা নিউট্রেল; কিন্তু এটমটা শুন্যে বিলিন হয়নি; ফলে, শুন্য থেকে কিছু সৃষ্টি হয়নি, এবং বিশ্বের মেটার কখনো শুন্যে বিলিন হবে না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এরপর মহাজগৎ কি করে হলো সেইটার বিররণ প্রদান করা আপনার দায়িত্ব। শূন্য থেকে হওয়ার কথা তো বিজ্ঞানীই বলছে। আপনি সেটাকে অস্বীকার করছেন কোন সূত্রে? বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তো মুখস্ত কথা বলা যায় না।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

বাউন্ডেলে বলেছেন: সমস্যা বিজ্ঞান বা বিশ্বাষ নয়।
মুরগী ও ডিম দুটোই দিনের আলোর মতোই বাস্তব। অর্থাৎ স্রস্টা ও সৃষ্টি সত্য। আমার প্রশ্নঃ “হও” শব্দটির উৎস কোথা থেকে । আপনার বক্তব্য অনুযায়ী “শুন্য থেকে” । এই “শুন্যতা” র জন্ম কিভাবে ? ব্যাপারটা ঘুরে-ফিরে কি দাড়াচ্ছে ? ব্যাপার খোলাসা করেন ?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শূন্য মানে কিছু না। তো কিছু না এর আবার জন্ম হয় কিভাবে? বিজ্ঞানের কেউ কেউ বলছে শূন্য থেকে মহাবিশ্ব হয়েছে। কিন্তু শূন্যের পরে এক থাকার কথা। অথচ মহাবিশ্ব অনেক। সুতরাং আল্লাহ যেহেতু এক সেহেতু শূন্যের পরে মূলত তাঁর অবস্থান। শূন্যের পর কিছুতেই মহাশূন্যের অবস্থানের ধারণা কথাটি সঠিক নয়। তারমানে বিজ্ঞানের নামে যা কিছু প্রচার করা হয় তাতে আল্লাহর কথাই সঠিক হিসাবে প্রকাশ পায়। আমি মূলত সেকথাটি বুঝতে পেরেছি।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

সোনাগাজী বলেছেন:


শুন্য থেকে কিছু হয় না, সেজন্য তারা "বিগ ব্যাংগ"এর আগে পুরো ইউনিভার্সে "এনার্জি ছিলো" বলে ধরে নিয়েছে। সেই এনার্জিটা কেন ছিলো, সেটার ব্যাখ্যা এখনো নেই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তো সেই এনার্জির যোগফল সর্বশক্তিমাণ হলে ক্ষতি কি? তো বিজ্ঞানের ব্যখ্যার অপারগতার জন্য বিশ্বাস তো বসে থাকলে চলবে না।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: মহাজাগতিক ভাই, আপনি এখন চুড়ান্ত শুন্যতার প্রায় কাছাকাছি । “মোরাকাবায়” বসে পড়া উচিৎ একটানা ৬ মাস। অতঃপর শুদ্ধতা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক নয়।

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থির নয়। সব কিছুই চলমান।যন্ত্রিক চলমান না হলেও দ্বান্দ্বিক চলমান।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এই দ্বন্দ্বটা কিভাবে কমিয়ে আনা যায় আমি সেটা নিয়েই ভাবছি। আর এ ভাবনা বিষয়ে আমার অন্যদের সাথে আলোচনা করার দরকার আছে মনে করে আমি অন্যদের সাথে আলোচনা করছি। আমি ধর্মানুসারী। ধর্মহীনরা আমাদেরকে ধর্মান্ধ বলে বিষয়টা আমাকে পীড়া দেয়। আমি এটাই বুঝতে চাই ধার্মিকদেরকে ধর্মান্ধ বলা কতখানি বাস্তব?

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি তো আল্লাহ পাককে আরও আগেই খুঁজে বের করেছেন, আল্লাহ পাকের অস্তিত্বের যাবতীয় তথ্য প্রমাণ তো আপনি প্রকাশই করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। তাহলে এখন আর নতুন করে কি নিয়ে চিল্লাপাল্লা করতেছেন? আমি ভাবছি আপনার পোস্টগুলো সব প্রিন্ট করে ফ্রীতে বিতরণ করবো। B-)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি ওয়েটু জান্নাহ নামে একটা বই লিকতে চাই। আমার বিরোধীরাও যেন এটাকে ফালতু না বলে আমি এটাকে এমনভাবে লিখতে চাই। তো জান্নাতে যাওয়ার উপায়ের মধ্যে ঈমান ও ইয়াকিনের কথা বলা আছে। এখন এ ঈমান ও ইয়াকিনের ভিত্তিটাকি আমি সেটা খুঁজে পেতে চাই। আমি যা খুঁজে বের করেছি তা’ জ্যাকের অবিশ্বাস টলাতে পারছে না। আমি সেজন্য এমন কিছু পেতে চাই যা জ্যাকের অবিশ্বাস টলিয়ে দিতে পারে। সেজন্য আমার খোঁজা খুঁজি অব্যাহত রয়েছে। এখানে আমি এখজন নাস্তিকের উপস্থাপনের সাথে কোরআনকে মিলিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছি। সুতরাং েএটা নতুন বিষয়। আমি নাস্তিকদের উপস্থাপনে একটা বিষয় দেখেছি যে তারা পাঠকের মন্তব্যের সুযোগ রাখে না। কিন্তু আমার পোষ্টে সবাই যা খুশী বলতে পারছে।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: যদিও আপনার পোস্টের লেখার অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে গেল, কিন্তু আপনার লেখার শিরোনামটা "ঘটনার অভিন্ন বিবরণে আস্তিক ও নাস্তিকের সিদ্ধান্ত ভিন্ন রকম হয়ে গেছে" আমার খুবই ভালো লাগলো।

আপনি যদি রবীন্দ্রনাথ এবং আইনস্টাইনের মধ্যকার সেই বিখ্যাত কথোপকথনটি পড়েন (নিচে লিংক দিলাম), তাহলে দেখবেন রবীন্দ্রনাথকে করা আইনস্টাইনের প্রশ্ন "আপনি কি মনে করেন স্বর্গ পৃথিবী থেকে আলাদা কোনো বস্তু" এর মধ্য ঈশ্বরে প্রবল বিশ্বাসী রবীন্দ্রনাথের ভাবনা কিভাবে আইনস্টাইনের এথিয়িস্টিক ভাবনা আলাদা হয়ে গেছে।

https://roar.media/bangla/main/literature/conversation-between-rabindranath-and-albert-einstein

মুশকিল হলো উপরের এই কথোপকথনটি বোঝার জন্য আপনার "মহাবিশ্ব সম্বন্ধে দুই ধরনের ধারণা - (১) এক ধরনের ধারণা যেখানে পৃথিবী মানুষের উপর নির্ভরশীল (২) আরেক ধরনের ধারণা যেখানে পৃথিবী মানুষ থেকে স্বাধীন।" এই বিষয় টা বুঝতে হবে। এটা বোঝার জন্য সবচেয়ে ভালো বই হলো Bertrand Russell এর "A History of Western Philosophy" পড়ে ফেলা। আর সেটা সম্ভব না হলে নিদেন পক্ষে Russell এর "The Problems of Philosophy" পড়ে ফেলা। যতটুকু মনে পড়ে "The Problems of Philosophy" এর বাংলা অনুবাদ আছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার লিংকে গেলাম এবং পড়লাম। তাতে পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ আছে। আমার চিন্তা মূলত কিছু লোকের পরস্পরের প্রতি অসম্মান বোধের প্রতিক্রিয়া। এ ক্ষেত্রে কিছু লোক অন্যের বিরোধীতার এক গুচ্ছ আয়াত উপস্থাপন করবে। অথচ আয়াতের এ বিরোধীতা মূলত দুষ্টলোকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর দুষ্ট লোকেরাই মূলত আয়াতের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে বিরোধ তৈরী করতে চায়। চোর স্বাধীনভাবে চুরি করবে এর জন্য তাকে শাস্তিপেতে হবে না, এটা চোর ছাড়া কেউ মানবে না। এটা যারা মানবে না তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে চুরি বন্ধ করা যায়। কিন্তু যারা চুরি বন্ধ করবে তারাই যদি পরস্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় চোর তখন চুরি করে তাদের সবাইকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করে। দুষ্ট লোকদের কারণে বিশ্ব বেশ অশান্তির মধ্যে আছে।

আমি আমার বিশ্বাসের এমন কিছু ভিত্তি দাঁড় করাতে চাই যেন কেউ এটাকে আর অন্ধ বিশ্বাস না বলে। কিন্তু বিভিন্ন লোক তার নিজস্ব বিশ্বাস নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন জীবনাচরণে আমার মূলত আপত্তি নেই। আমার বিশ্বাস অন্যরা জাহান্নামে যাবে তো যারা আমার বিশ্বাসে একমত নয় তাদের এ বিষয়ে আপত্তি থাকবে কেন? সে তো বিশ্বাস করে সে জাহান্নামে যাবে না। তাহলে আমার বিশ্বাসে তার আর অশান্তির কারণ কি থাকতে পারে? যে বিজ্ঞান মনস্ক সে থাকুক তার বিজ্ঞান নিয়ে, যে ধার্মিক সে থাকুক তার ধর্মনিয়ে। তারপর তারা বিরোধে জড়িয়ে না পড়ুক। আমার চাওয়া মূলত এটাই। সেজন্যই আমি বলেছি ঘটনার বিবরণ এক কিন্তু সিদ্ধান্ত ভিন্ন। বেশতো ভিন্ন সিদ্ধান্তে আলাদা থাক, তবে উভয় একসাথে শান্তিতে থাক।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:০৫

এভো বলেছেন: সুরা আম্বিয়া (২১-৩০) ------ কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
-------
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী একত্রে ছিল মুখবন্ধ অবস্থায় যদি থাকে , তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা যখন বিগব্যাংগ হয়েছিল কিন্তু পৃথিবীর বয়স ৪ বিলিয়ন বছর। সৃষ্ঠির প্রথম ৯ বিলিয়ন বৎসর পৃথিবী কেন সূর্যের ও অস্থিত্ব ছিল না ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আমি সেটা বুঝিনি।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১১

এভো বলেছেন: আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন আমি সেটা বুঝিনি।

ঐ আয়াত অনুযায়ি পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা কারন পৃথিবী আকাশ একত্রে বন্দি ছিল যাদেরকে তখন খুলে বা মুক্ত করা হয়েছে । এখন আমরা জানি বিজ্ঞান অনুযায়ি পৃথিবীর বয়স ৪ বিলিয়ন ।
তাহোলে কোরানের সাথে তো বিজ্ঞান মিলে না ।
তাহোলে আপনার এই শিরণামের হেতু কি -- ঘটনার অভিন্ন বিবরণে আস্তিক ও নাস্তিকের সিদ্ধান্ত ভিন্ন রকম হয়ে গেছে
যে কেহই এই আয়াত এবং বিজ্ঞান মিলিয়ে দেখলে কোন মিল পাবে না --- ঘটনা অভিন্ন বিবরন কিরে হয় যেখানে বিজ্ঞান কখনো বলেনি যে পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলী একত্রে ছিল ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে ।
এই আয়াতের সাথে বিজ্ঞান মিলছে কি ?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আয়াতে সময়ের উল্লেখ নেই। আপনি ১৪ বিলিয়ন বছর পেলেন কই?

বিজ্ঞান কখনো বলেনি যে পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলী একত্রে ছিল ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে । এটা বিজ্ঞান এখনো বলেনি, তবে হয়ত ভবিষ্যতে বলবে। কিন্তু প্রাণের সৃষ্টি পানি থেকে এটা বিজ্ঞান বলেছে। বিজ্ঞান বিভিন্ন কথা বিভ্ন্নি সময় বলছে। আর কোরআন যা বলার একসঙ্গে বলে দিয়েছে। তো বিজ্ঞানের সাথে কোরআনের সাথে বিজ্ঞানের যে কথা মিলে বিজ্ঞানের সে কথার সাথে কোরআন মিলিয়ে আমরা কোরআন বুঝার চেষ্টা করি।

কেউ একজন বলেছিলো বিজ্ঞান বুঝতে কোরআন লাগে না, কিন্তু কোরআন বুঝতে বিজ্ঞান লাগে। তো বিজ্ঞান সবার বুঝা লাগে না, কিন্তু কোরআনের সুবিধা যারা পেতে চায় তাদের সবার কোরআন বুঝতেই হবে। আর কোরআন বুঝতে যা লাগে সেটাকে তারা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে এটা সাধারণ হিসাব।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @এভো- আপনি কি জানেন না গুজামিল দিয়ে তিল কে তাল বানানো যায়? আর এই তিলকে তাল বানানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে রুপক অর্থের আয়াতগুলো। এখানে আরও কিছু গুজামিলের উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাবেন: আল্লাহর নিজস্ব কোন আলো নেই

'স্বর্গ আর পৃথিবী এক ছিল তারপর আমি উহাকে আলাদা কইরা দিলাম' - এই কথার দ্বারা নাকি বিগ ব্যং বুঝানো হইছে, কি হস্যাকর!! =p~ যেখানে পৃথিবী ফর্ম হওয়াই শুরু করছে বিগ ব্যং এর ১০ বিলিয়ন বছর পরে। তাছাড়া নবীজি এবং তার কোন সাহাবী কুরআন থেকে বিগ ব্যং তত্ব আবিষ্কাকের কোন কথা বলে যান নি। ;)

আসলে মূল কথা হচ্ছে- পুরা আয়াতটাই প্রচীন সুমেরীয় মিথলজী থেকে চুরি করা হইছে। প্রচীন সুমেরীয় মিথলজীতে একটা গড ছিল যার নাম 'এনলিল' তাদের বিশ্বাস ছিল একসময় পৃথিবী এবং স্বর্গ একসাথে মিশে ছিল এবং তাদের গড এনলিল তা আলাদা করে দিয়েছেন। Enlil



আসলে সব দোষ জাকির ঘোষ. এই জাকির ঘোষই বাংলাদেশের মোল্লা মৌলভিদের মাথার ভিত্রে অপবিজ্ঞান ঢুকাইসে, জাকির নয়েক পূর্ববর্তী সময়ে কুরআন থেকে এত এত অপবিজ্ঞান কেউ বের করেনি।



তাছাড়া এই পোস্ট দাতা জনাব মহাজাগতিক চিন্তাধারা সে নিজেও সারা জীবন কুরআন পড়েও বিগ ব্যং এর কোন নামই বের করতে পারেননি কুরআন থেকে। তিনি 'বিগ ব্যং' এই শব্দটি প্রথম শুনেছেন ওই জাকির নয়েকের কাছ থেকে। সুতরাং বুঝা গেলো জনাব মহাজাগতিক চিন্তাধারা সারা জীবন কুরআন পাঠ করে সমই নষ্ট করেছন শুধু কারণ তিনি কুরআন থেকে কোন বিজ্ঞান বের করতে পারেন নি, বিজ্ঞান বের করার জন্য উনাকে জাকির নায়েকের বয়ানের উপর দারস্ত হতে হয়। যে জাকির নায়েক না কোন বিজ্ঞানী আর না কোন ইসলামী লাইনে লেখাপড়া করেছেন। =p~


১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি জাকিরের পাঠক নই। সুতরাং জাকিরের সাথে আপনি আমাকে মিলিয়ে যা বললেন সেটা সত্য নয়। আর কোরআন যা বলেছে সেটা হলো অস্তিত্ব বলতে যা ছিলো তার সবটাই একত্রে ছিলো। আমি ওয়ে টু জান্নাহ বা জান্নাতের পথ নামক একটা বই লেখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তো তাতে আমি অবশ্যই কোরআনের কিছু রেফারেন্স ইউজ করব। সেজন্য আমি রেফারেন্স গুলো নিয়ে আলোচনা করছি যেন আমার উপস্থাপন সঠিক হয়। আর জাকির কোরআন ও বিজ্ঞান যা বুঝেছে সেটা সে বলবে এটা নিয়ে তাঁকে দোষারোফ করা বেদরকারী কাজ। জাকিরকে কেউ দোষারোফ করলেই কেউ অবিশ্বাসকে গ্রহণ করবে না। অবিশ্বাসকে গ্রহণ করতে হলেও এর যথাযথ প্রমাণ লাগবে। অবিশ্বাসীদের পালা হলো ওরা বলতে চায় যেহেতু ও ভুল সুতরাং আমি সঠিক। কিন্তু লজিক এমন মনভাব গ্রহণ করে না। লজিক বলে ও কি সেটা জানার দরকার নেই। তুমি কি সেটা তো বুঝিয়ে বল। আমি চিরকাল শুধু অবিশ্বাসীর মুখে বিশ্বাসীর দোষের আলোচনাই শুনলাম, অবিশ্বাস যে কিভাবে সঠিক সেটা আর শুনলাম না। সেজন্য আমার নিকট অবিশ্বাসী একটা বিরক্তিকর চরিত্র। বিশ্বাস যদি ভুল হয় তাহলে আমি অবিশ্বাস গ্রহণ করব যদি অবিশ্বাস সঠিক হয়। যদি অবিশ্বাসও ভুলই হয় তাহলে আমি বিশ্বাস ছেড়ে অবিশ্বাস গ্রহণ করব কেন? একভুল ছেড়ে আরেক ভুল গ্রহণ করা তো যুক্তি সংগত নয়। সে জন্য অবিশ্বাসী তার অবিশ্বাসের কথা বললে আমি বলি ঠিক আছে তোমার অবিশ্বাসের শুদ্ধতার কথা বল। যদি তা’ বুঝে খাটে তা’ না হয় তা’ গ্রহণ করা যাবে। তুমিও যদি আরেকটা ভুলের কথাই বল তবে দূর হও।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @মহাজাগতিক চিন্তা - আপনার পোস্ট পড়ে আস্তিক, নাস্তিক সবাই হাসাহাসি করে। আপনার পোস্ট পড়ে এই ব্লগের একজন ব্লগারের বিশ্বাসেও বিন্দুমাত্র কোন প্রভাব পড়বে না। আপনি বার বার ফেসবুক আর ব্লগকে গুলিয়ে ফেলসেন। আবারও বলছি ফেসবুক মুলত নাদান পাবলিকের জন্য, যে কারণে আপনি ফেসবুকে এত জনপ্রিয়, ব্লগেও আপনি জনপ্রিয় কিন্তু ব্লগের জনপ্রিয়টা হচ্ছে হিরো আলমের জনপ্রিয়তার মত। ;)

আমি নিজেও আপনার প্রায় সব পোস্টেই কমেন্ট করি, তার মানে কি এই আমি আপনার লেখার ভক্ত? =p~

তবে আপনি একজন চিন্তাশীল মানুষ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনার ইনফর্মেশনের যথেষ্ট অভাব। আপনার মাথায় যদি যথেষ্ট ইনফর্মেশন থাকতো তাহলে আপনি এতদিন সরা বিশ্বে রিচার্ড ডকিন্স এর চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হয়ে যেতেন।

আর আপনি যেহেতু সবকিছু জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতেই বিচার করেন তাই আমি আপনাকে নয় বরং রিচার্ড ডকিন্সের উপরেই আস্থা রাখবো, কারণ রিচার্ড ডকিন্স আপনার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়। সুতরাং দেখা গেলো আমি আপনার যুক্তিতেই থাকলাম, মানে জনপ্রিয়তাই শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হিসেবে ধলে নিলাম। :D

ধন্যবাদ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি একটা বই লিখছি তার জন্য আমার কিছু তথ্য প্রয়োজন। তথ্য সংগ্রহের জন্য আমি পোষ্ট দিয়ে থাকি। সুতরাং এ ক্ষেত্রে কারো হাসাহাসি আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। কেউ আমার ভক্ত হবে আমি সেজন্য কোন কাজ করছি না। আমি কাজ করছি আমি সঠিকটা বুঝার জন্য। আমি সঠিকটা বুঝার পর যদি আমার সঠিকটা বুঝানোর যোগ্যতা হয় তবে আমি অন্যকে বুঝানোর জন্য বই লিখব। সুতরাং আমার উদ্দেশ্য সহজ।

মুমিনদেরকে অনেকে অন্ধ বিশ্বাসী বলে, তাদের এ বলাটা কতটা সঠিক আমি আপাতত সেটা বুঝা ও বুঝানোর জন্য কাজ করছি। আমি আমার অবসর কোন না কোন কাজে ব্যয় করতে চাই।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি যখন ভুল থেকে বের হয়ে আসবেন তখন সত্য মিথ্যা, ঠিক বেঠিক সব যাচাই করার সক্ষমতা হবে।

আর আপনি মিথ্যা বলছেন কেন? অবশ্যই কুরআনের ওই আয়াতে বিগ ব্যং এর থিউরী আপনি জাকির নায়েকের কাছ থেকে পেয়েছেন। জাকির নায়েকের আগে আপনি সরাজীবন কুরআন পড়রেও কোন বিজ্ঞান বের করতে পারেন নি।

আচ্ছা যা হোক আপনি বই লিখেন, আমি ওটা কিনবো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি জাকির নায়েকের কোন থিউরি পাঠ করিনি বা শুনিনি। আমি কি পারি অথবা পারি না সেটা আপনার বুঝার কথা নয়। আপনি নিজেকে একটু বেশী আপগ্রেড মনে করেন। অবিশ্বাসীদের অবস্থা এমনই হয়। অবিশ্বাসীদের মধ্যে মনে করা বাসা বেঁধেছে। তারা সব কিছু শুধু মনে করতে থাকে। মূলত তাদের অবিশ্বাসে কোন বাস্তবতা নেই।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

এভো বলেছেন: আয়াতে সময়ের উল্লেখ নেই। আপনি ১৪ বিলিয়ন বছর পেলেন কই?

ঐ আয়াতে বলা হয়েছে --আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম --- এই খুলে দেওয়া কে দাবি করা হয় বিগব্যাংগের শুরু, এই শুরুটা হয়েছিল ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে। তাহলে দাবি অনুযায়ি ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে মুখ খোলা হয়েছিল ।
বিজ্ঞান কখনো বলেনি যে পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলী একত্রে ছিল ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে । এটা বিজ্ঞান এখনো বলেনি, তবে হয়ত ভবিষ্যতে বলবে।
এটাকে বলে আর্গুমেন্ট ফর্ম ইগনোরেন্স ফেলাসি বা অজ্ঞতার কু যুক্তি । বিজ্ঞান এখনো প্রমাণ করতে পারেনি যে হিটিংটক হেচকি দিয়েছে বলে মহাবিশ্ব সৃষ্ঠি হয়েছিল, সুতরাং হিটিংটক সত্য ।
তবে বিজ্ঞান কখনো বলবে না পৃথিবী আকাশ মন্ডলি একত্রে ছিল ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে । বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণীত গ্রহ সমুহ নক্ষত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্ঠি হয়েছে । সুর্য নামক নক্ষত্র ৯ বিলিয়ন বৎসর আগে সৃষ্ঠি হয় এবং তার ৩০ লক্ষ বৎসর পরে পৃথিবী সুর্য হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্ঠি হয় । সেটা ক্রমে ঠান্ডা হতে হতে আজকের পর্যায় আসে । বিজ্ঞানিরা ১৩.৫ বিলিয়ন বয়সের গ্রহ খুজে পেয়েছে । সুতরাং আর্গুমেন্ট ফর্ম ইগনোরেন্স ফেলাসি বা অজ্ঞতার কু যুক্তি মার্কা চালাকি করেন না দয়া করে । আপনার সমস্ত লিখা গুলো ফেলাসিতে ভরপুর ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞানের কোন এক থিউরি তারা কোন এক কালে সঠিক বলে আবার সেই থিউরি তারা কোন এককালে বেঠিক বলে। সুতরাং সময়কাল সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞানের ভুলও হতে পারে।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: ফরিদ সাহেব আপনি নিজে যা লিখেছেন নিজে তা বুঝেছেন তো? আরেকবার আমাকে বুঝিয়ে বলেন তো একটু সহজ করে !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: স্বয়ং আল্লাহ তাঁর কথা সবাইকে বুঝাতে পারেননি এবং যারা আল্লাহ বিরোধী তারাও সবাইকে তাদের কথা বুঝাতে পারেনি।আল্লাহ যদি সবাইকে তাঁর কথা বুঝাতে পারতেন তাহলে সবাই মুমিন মুসলমান হয়ে যেত। আর আল্লাহ বিরোধীরা যদি তাদের কথা সবাইকে বুঝাতে পারতো তাহলে বাত্তি জ্বালিয়েও মুমিন মুসলমান খুঁজে পাওয়া যেত না। আমি যা লিখেছি সেটা আমি নিজে অবশ্যই বুঝি। তবে সমস্যা হলো আমি সেটা আপনাকে বুঝাতে পারছি না।

আমার বিষয় হলো আমি ওয়েটু জান্নাহ বা জান্নাতের পথ নামে একটা বই লিখতে চাই। বইটির ইংরেজি অনুবাদ করবে আমার বড় জামাই। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে অনার্স ও মাষ্টার্স পাস। তো জান্নাতের পথের পথের প্রথম অধ্যায় হলো আল্লাহ বিশ্বাস। আমি এটাকে লজিক্যালি উপস্থাপন করতে চাই। এরজন্য আমার এর বিপরীত লজিকগুলো আগে দরকার। এ ক্ষেত্রে আমার সবচেয়ে বড় সহায়ক হচ্ছেন এভো। তো আমি তাঁকে পোষ্টে পাচ্ছি। জ্যাকও আমার কাজে লাগছে। আমি তাঁকেও পাচ্ছি। মুসলিম হলো ২৫%। আমার বই যদি ২৫% মানুষও বুঝে তবে এটাকে আমি যথেষ্ট মনে করব। তবে এটা সুনিশ্চিত যে আমার কথা সবাই বুঝবে না।

অভিজিৎ গং অতি উৎসাহ নিয়ে মুক্তমনা বাংলা ব্লগ প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন। অবশেষে তাঁরা দেখলেন যে তাঁরা তাঁদের কথা খুব কম সংখ্যক লোককেই বুঝাতে পারছেন।

আমার উদ্দেশ্য স্পষ্ট। সেটা হলো আমি চাই মুমিনগণ যেন অতিমাত্রায় সংখ্যা লঘু না হয়ে পড়ে। তো যেসব মুমিন বিনা দলিলে মুমিন তাঁদেরকে নিয়ে আমার চিন্তা নাই। কিন্তু যেসব মুমিন দলিল খোঁজে তাদের জন্য দলিলের ব্যবস্থা করছে কিছু লোক কাজ করছে, আমি সেই দলে থাকতে চাই।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

এভো বলেছেন: বিজ্ঞানের কোন এক থিউরি তারা কোন এক কালে সঠিক বলে আবার সেই থিউরি তারা কোন এককালে বেঠিক বলে। সুতরাং সময়কাল সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞানের ভুলও হতে পারে।

আপনার আর্গুমেন্ট ফর্ম ইগনোরেন্স ফেলাসি বা অজ্ঞতার কু যুক্তি ---- এখনো মাথায় কিলবিল করছে । যদি পৃথিবী সুর্য হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে ৪ বিলিয়ন বৎসর আগে সৃষ্ঠি হয়েছিল এবং গ্রহ সমূহ যে নক্ষত্রের থেকে সৃষ্ঠি হয় এটা কোন দিন পাল্টাবেনা । বিজ্ঞানিরা বর্তমান টাইম ক্যালকুলেশন এবং আলোর গতিবেগের সাহায্যে এটা নির্ধারন করেছে , যদি অন্য কোন প্রযুক্তি ভবিষতে প্রমাণ করে ১৪ নয় ১৫ বিলিয়ন বা ১০ বিলিয়ন বৎসর আগে বিগব্যাং হয়েছিল, তাহোলে ও প্রমাণ করবে পৃথিবী কয়েক বিলিয়ন বৎসর পরে সুর্য হতে সৃষ্ঠি হয়েছে এবং সৃষ্ঠির শুরুতে পৃথিবী এবং আকাশ কখনো একত্রে ছিল না -- আপনার --- আর্গুমেন্ট ফর্ম ইগনোরেন্স ফেলাসি বা অজ্ঞতার কু যুক্তি ---- এই চালাকি করতে আগেই মানা করেছিলাম।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনে দাবী করা হয়েছে এতে কোন ভুল নেই। তো বিজ্ঞান কোরআনের সাথে যদি না মিলে তাহলে মুমিন অবশ্যই বিজ্ঞানে ভুল খুঁজবে। আমি আপনাকে বিজ্ঞান ছাড়তে বলি না, আর আপনিও আমাকে ঈমান ছাড়তে বলবেন না। আর আমাকে বিজ্ঞানে ভুল খোঁজার সময় দিন। কারণ যে কোন কাজ করতে সময় লাগে। আর যদি পারেন তাহলে বিজ্ঞানের সময় হিসাব সংক্রান্ত বিবরণ দিয়ে আমাকে সহায়তা করতে পারেন। এবিষয়ে আপনাকে একজন জ্ঞানী বলেই মনে হয়।

১৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিজ্ঞানের কোন এক থিউরি তারা কোন এক কালে সঠিক বলে আবার সেই থিউরি তারা কোন এককালে বেঠিক বলে - আর এটাকেই বিজ্ঞান বলে, তথ্য, প্রমাণেন ভিত্তিতে বিজ্ঞান এভাবেই কাজ করে, এভাবেই মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি ডেভোলপ হয়। পুরোনো পুথি পড়ে কখনো মানুষের বুদ্ধির বিকাশ হয় না।

আর কোরআন থেকে যে এত এত বিজ্ঞান বের করতেছেন, ভবিষ্যতে যদি বিজ্ঞানের ওসব থিউরী ভুল প্রমাণ হয়ে যায় তখন কি করবেন? নাকি তখন আবার নতুন করে গুজামিল দিবেন?

আচ্ছা মেনে নিলাম, বিজ্ঞানীরা কিছুই বুঝে না তারা আজ যেটাকে সঠিক কাল ওটাকে বেঠিক বলে তাহলে এমন ভুলভাল বিজ্ঞান দিয়ে নিজ ধর্মগ্রন্থ যাচাই করতে যান কোন দুঃখে? সারাদিন বিজ্ঞানের বদনাম করেন আর সেই বিজ্ঞান দিয়ে নিজ ধর্মগ্রন্থকে যাচাই বাচাই করতে যান, বিষয়টা লেজে গোবরে হয়ে গলো না? =p~

আপনার কুরআনের উপর যদি এতই বিশ্বাস থেকে তাহলে ইরাণের ধর্মগুরু মত ঘোষনা দিতে পারেন না কেন যে- বিজ্ঞান কি বলে না বলে এসব দেখার সময় আমাদের নেই, কুরআনে কি বলা আছে সেটাই বড় বিজ্ঞান আমরা কুরআনকেই ফলো করবো বিজ্ঞানকে নয়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়। কোন কিছু বিজ্ঞান দিয়ে ভালো বুঝাগেলে মুমিনগণ কোরআন বুঝার সহায়ক হিসাবে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে। বিজ্ঞান মানুষের ব্যবহারের জন্যই। সুতরাং মুমিনগণ বিজ্ঞান দিয়ে কোরআন বুঝা দোষনীয় নয়। বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে সহজ করেছে। আমি মনে করি বিজ্ঞান কোরআন বুঝাও সহজ করেছে।

১৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী আসসালামু আলাইকুম।
আমি নাদান মাঝে মাঝে রাগে দুঃখে ভুলভাল মন্তব্য করি। রাগ করবেন না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ পোষ্টে যারা এযাবৎ মন্তব্য করেছেন তাদের মন্তব্যগুলো কিন্তু বিরক্তিকর নয়। মানুষের বুঝগত ভিন্নতা থাকতেই পারে। তবে সেটাকে বিরক্তিকরভাবে উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: মহাজাগতিক ভাই, আপনার টানে আবার এই লেখায় প্রবেশঃ
ছোট বেলায় আমাদের ছোট এই সৈয়দপুর শহরে একজন অন্ধ ফকির ভিক্ষা করে বেড়াত প্রতিদিন । এমনকি ঈদের দিনেও তাকে রাস্তায় দেখতাম আমরা। তার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা ছিলো । তাকে যে মুহুর্তেই জিজ্ঞেস করা হোক না কেন, সে সঠিক সময়টা বলতে পারতো। আমি স্কুল যাওয়ার আগে বা পড়ে , মাঠে খেলতে যাওয়ার সময় প্রায়ই দেখা হলে পরীক্ষা করে দেখতাম । কখনই সে ভুল সময় বলে নাই । আমরা কৌতুহলী ছোটরা তার এই অলৌকিক ক্ষমতায় অভিভুত হতাম এবং এর রহস্য জানার জন্য চেষ্টা করতাম। যে কোন কারনেই হোক বড়রা এটা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাত না। বলতো আল্লার দান। সে মারা যাওয়ার পর তার বস্তিও আমি ঘুরে এসেছি। লোকটি বিহার থেকে আসা এক অবাঙ্গালীর সন্তান ছিলো। শহরের কেউই জানতে পারে নাই এখনো অন্ধ ফকিরের এই অলৌকিক ক্ষমতার রহস্য। আমি নিজেও ঐ চিন্তা করতে করতে উদাস হয়ে যাই ।
মহাজাগতিক ভাই, এ বিষেয়ে আপনার বিজ্ঞান ও বিশ্বাষ কি বলে জানতে চাই।মহাজাগতিক ভাই, আপনার টানে আবার এই লেখায় প্রবেশঃ
ছোট বেলায় আমাদের ছোট এই সৈয়দপুর শহরে একজন অন্ধ ফকির ভিক্ষা করে বেড়াত প্রতিদিন । এমনকি ঈদের দিনেও তাকে রাস্তায় দেখতাম আমরা। তার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা ছিলো । তাকে যে মুহুর্তেই জিজ্ঞেস করা হোক না কেন, সে সঠিক সময়টা বলতে পারতো। আমি স্কুল যাওয়ার আগে বা পড়ে , মাঠে খেলতে যাওয়ার সময় প্রায়ই দেখা হলে পরীক্ষা করে দেখতাম । কখনই সে ভুল সময় বলে নাই । আমরা কৌতুহলী ছোটরা তার এই অলৌকিক ক্ষমতায় অভিভুত হতাম এবং এর রহস্য জানার জন্য চেষ্টা করতাম। যে কোন কারনেই হোক বড়রা এটা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাত না। বলতো আল্লার দান। সে মারা যাওয়ার পর তার বস্তিও আমি ঘুরে এসেছি। লোকটি বিহার থেকে আসা এক অবাঙ্গালীর সন্তান ছিলো। শহরের কেউই জানতে পারে নাই এখনো অন্ধ ফকিরের এই অলৌকিক ক্ষমতার রহস্য। আমি নিজেও ঐ চিন্তা করতে করতে উদাস হয়ে যাই ।
মহাজাগতিক ভাই, এ বিষেয়ে আপনার বিজ্ঞান ও বিশ্বাষ কি বলে জানতে চাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে এটা আল্লাহর দান। আর বিজ্ঞান এ ক্ষেত্রে নিরব।

১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: মহাজাগতিক ভাই, আপনি যে বিজ্ঞান দিয়ে আল্লাহ বুঝার বা বুঝানোর চেষ্টা করছেন, অথচ সেই বিজ্ঞান দিয়ে আল্লার এই সামান্য কুদরতের হদিস (সময় বলা) খুজে পাচ্ছেন না। বড়ই হতাস হলাম। ভালো থাকবেন । নিজের খাচাটার যত্ন নিবেন। আচ্ছালামুআলাইকু ওয়া রহমতুল্লাহ্।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞান দিয়ে আমি কিছুই করছি না। কোরআনের কোন কিছু সহজভাবে বুঝতে যদি বিজ্ঞান কাজে লাগে, সেক্ষেত্রে আমি বিজ্ঞানকে কাজে লাগাই। আর বিজ্ঞান মূলত মানুষের উপকারের জন্যই।

২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

এভো বলেছেন: আপনি ধর্মকে হাস্যকর বানাবার জন্য এসব পোস্ট কেন করছেন ভাই সাহেব ? আপনি যে নিজের বিশ্বাষ, কোরান হাদিসকে যে অবমাননা করছেন সেটা কি বোঝেন ?

মনে করুন আপনি কোন অফিসের সেকেন্ড অফিসার ? এখন আপনি আপনার অভিজ্ঞতার প্রত্যয়ন পত্র অথবা চারিত্রিক সনদ পত্র নিতে চান,তখন আপনি কার কাছে থেকে নিবেন ? আপনি কি আপনার চেয়ে নিম্নস্থ অফিসারের কাছ থেকে নিবেন ? নাকি আপনার উপরের কর্মকর্তার কাছে থেকে নিবেন ? সব সময়ে নিজের চেয়ে উর্দ্ধস্ত কর্মকর্তার কাছে থেকে নিতে হবে এই ধরনের সনদ ।
এখন আপনি যখন বিজ্ঞান দিয়ে কোরানকে সত্যায়ন করছেন , তখন আপনি বিজ্ঞানকে কোরানের উপরে স্থান দিয়ে ফেললেন, কিন্তু আপনার উচিৎ ছিল কোরান দিয়ে বিজ্ঞানকে সত্যয়ন করা । এটা অনেকটা আপনার চেয়ে নিম্নস্থ কর্মকর্তার কাছে থেকে আপনার চারিত্রিক সনদ নেওয়া ।
আপনার কার্যকলাপ প্রমাণ করে আপনি বিজ্ঞানকে কোরানের উপরে স্থান দিয়েছেন , কোরানের সত্যয়ন পত্র বিজ্ঞানের কাছে থেকে নিচ্ছেন , বিজ্ঞান দিয়ে যখন কোরানের সত্যতা প্রমাণ করতে যাচ্ছেন তখন মেনে নিচ্ছেন বিজ্ঞান কোরানের উপরে, কারন হাইয়ার এনটিটি থেকে সনদ নিতে হয় । বিজ্ঞান তো ধর্ম গ্রন্থের কাছে থেকে সত্যয়ন পত্র নেয় না ।

এই সমস্ত কু যুক্তি ফালতু পোস্ট দিয়ে ধর্মকে হাস্যকর বানাচ্ছেন । মানুষের ঈমাণ নস্ঠ করার জন্য এগুলো করছেন । আপনি যদি এই সব আবাল যুক্তি নিয়ে কোন নাস্তিক যেমন আসিফ বা রাজিব নূর এদের সাথে কথা বলতে যান , তাহোলে আপনার গায়ের কাপড় খুলে ফেলবে ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি বিঝ্হান দিয়ে কোরআনের সত্যায়ন করছি না। আমি কোরআন বুঝার সহায়ক হিসাবে বিজ্ঞানকে গ্রহণ করছি। আর সহায়ক কখনো মূলের উপরে স্থান পায় না। সুতরাং আমার পোষ্ট নিয়ে আপনি অহেতুক চিন্তা করছেন। আপনি যাদের কথা বলছেন, আমি তাদেরকে আমার সাথে আলোচনায় আসতে আমি নিষেধ করিনি। ব্লগ অথবা ফেসবুক যেথায় খুশী তারা আমার সাথে আলো চনায় আসুক। আমি তাদেরকে স্বাগত জানাব। আমি নিজের নাম এবং ছবি দিয়ে ব্লগিং করি। আমি মুমিন লুকিয়ে থাকা আমার অভ্যাস নয়। আমার সাথে কেউ সরাসরি বসতে চাইলে সে ক্ষেত্রেও আমি তাদেরকে সময় দেব-ইনশাআল্লাহ। তারপর কথা হলো নাস্তিকদের মূলত আইল বেইল কিছুই নেই। কারণ তারা তাদের অবিশ্বাসের প্রমাণ উপস্থাপনে মহাঅপারগ।বিশ্বাসের প্রমাণ লাগে না সেটা সবাই জানে। কিন্তু অবিশ্বাসী যেহেতু বিশ্বাসের প্রমাণ চায় সেহেতু তারা আগে তাদের অবিশ্বাসের প্রমাণ উপস্থাপন করুক। এরাতো বেহুদাই চিল্লায়। সেজন্য মানুষ এদেরকে চিরকাল প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তথাপি এদেরে জ্ঞানী জ্ঞানী ভাবের কমতি নেই। এরা হলো মহাহাস্যকার প্রাণী। আমি এবার এক মাইয়া নাস্তিক ও পোলা নাস্তিকের সাথে বাতচিত করতে গিয়ে সাড়ে তিনশ কমেন্ট হলো। তারপর সে বীর ও বীরাঙ্গনা রণে ভঙ্গ দিলো।

বিষয় হলো আমি ওয়েটু জান্নাহ বা জান্নাতের পথ নামে একটা বই লিখতে শুরু করেছি। এমন বই লিখব চিন্তা করে আমি আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীতে অনার্স মাস্টার্স জামাই দেখে বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছি, যেন জামাই আমার বইটা ইংরেজী অনুবাদ করে দিতে পারে। তো বইটা লিখতে গিয়ে আমি বুঝলাম আমাকে প্রথমেই আল্লাহ বিশ্বাস নিয়ে লিখতে হবে। সেজন্য চিন্তা করলাম ব্লগে এ সংক্রান্ত কিছু কথা বাজিয়ে নেই। কারণ এখানে আপনাদের মত কেউ কেউ আছেন। এখন আমি কি লিখব সেটা আমি ঠিক করেছি। ‘আল্লাহ বিশ্বাস’ অধ্যায়টা লিখা শেষ হলে ব্লগে পোষ্ট দিয়ে একবার বাজিয়ে নেব ভাবছি। আশা করি এ ক্ষেত্রে আপনার সহায়তা পাব। ভালো থাকবেন। তহবে আপনার মন্তব্য আমার ভালো লাগে। কারণ আপনি সব সময় এখ রকম কথা বলেন। এখন এরকম তখন সেরকম কথা বলেন না। এটা একটা ভিষণ ভালো দিক।

২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

এভো বলেছেন: রাজিব নূর এদের সাথে কথা বলতে যান

দু:খিত আসাদ নূর হবে ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আসাদ নূর আমার সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে স্বাগত জানাব। আর যে কেহ সংগত কথা বললে আমি সেটা গ্রহণ করি। গোঁড়ামী আমার নিকট কখনই গ্রহণযোগ্য কিছু নয়।

২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: ডিম আগে না মুরগী আগে এই রহস্য ভেদ করেন আপনি জন্ম রহস্য জেনে যাবেন ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ডিম মুরগীর বিষয়টি মহাজাগতিক রহস্য উদঘাটনে কোন বিষয় নয়। বাঙ্গালী অভিজিৎ যেটা ভেবেছেন সেটা ঠিক আছে। তারমানে যা হওয়ার তা শূন্য থেকে হয়েছে। শূন্যে বিবিধ ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় শক্তি হয়েছে। আর এমন সকল শক্তির যোগফল হলেন সর্বশক্তিমাণ আল্লাহ। তারপর আল্লাহর কথা অনুযায়ী শূন্যে পদার্থ হতে গিয়ে বিলিন হচ্ছিল। তারপর আল্লাহ পদার্থে লিমিট দিয়ে পদার্থ সৃষ্টি করলেন। এরপর বিবিধ পদার্থের ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় লিমিটেড শক্তি উৎপন্ন হলো। এরপর লিমিটেড শক্তি ও পদার্থ দিয়ে আল্লাহ তিন লক্ষ বছরে মহাজগৎ সাজিয়ে তুললেন। মহাজগত বিষয়ে এটি হলো প্রকৃত ঘটনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.