নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দ্বিতীয় পুস্তক ‘জান্নাতের পথ’ এর প্রাথমিক অংশ

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৪



# আল্লাহ বিশ্বাস
# শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য উপস্থাপিত। অবিশ্বাসীদের এটি পাঠ ও এতে মন্তব্যের দরকার নেই

সূরাঃ ৫৭ হাদীদ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩।তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন এবং তিনি সব কিছু জানেন।

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। বল, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।

* আল্লাহ প্রথম।তিনি এক। গাণিতিক নিয়মে প্রথম ও একের পূর্বে শূন্যের অবস্থান। শূন্য থেকে প্রথম ও এক কিভাবে বিদ্যমাণ হলেন? কেউ কেউ বলেছে প্রথম ও একের পূর্বের শূন্যে বিবিধ ক্রিয়া-প্রক্রিয়ায় বিবিধ শক্তির উদ্ভব ঘটেছে। সেই বিবিধ শক্তির সমষ্টি সর্বশক্তিমাণ আল্লাহ। কেউ কেউ বলে, তাহলে তো ক্রিয়া-প্রক্রিয়া প্রথম। কিন্তু এমন কথা সঠিক নয়। কারণ ক্রিয়া প্রক্রিয়া কোন সত্তা নয়। সুতরাং সত্তাহিসাবে আল্লাহ প্রথম ও এক।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহর পূর্বে শূন্য থাকায় তাঁর সীমা দাতা ছিলো না। সেজন্য তিনি অসীম হয়েছেন। অসীম ফুরিয়ে যায় না বিধায় আল্লাহ চির বিদ্যমাণ। আর তাঁর সত্তায় অসীম প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি চিরঞ্জিব।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* আল্লাহ দেখেছেন সবকিছু বিলিন হয়ে তিনি বাকী থাকছেন। তাঁর বাকী থাকার কারণ তিনি অসীম। আর অসীম ফুরিয়ে যায় না বলে তিনি বাকী থাকেন। তাঁর অসীম হওয়ার কারণ কেউ তাঁর সীমা দেয়নি।অন্যরা বিলিন হওয়ার কারণ তারা সসীম।সসীমের সীমা দিতে হয়। নতুবা সসীম বিলিন হয়। কারণ সীমা ছাড়া কোন সসীম হয় না।

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* সসীমে সীমা না দিলে সসীম বিলিন হয়। সসীমে সীমা দিয়ে ‘হও’ বললে সসীম হয়ে যায়। আল্লাহ এ কাজটি করতে জানেন। সেজন্য তিনি সৃষ্টিকর্তা হলেন।অন্য কেউ এটা জানে না বিধায় তারা হয়েছে তৈরী কারক। সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেন এবং তৈরী কারক রূপান্তর ঘটায়।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?

* আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীকে প্রথমে একত্রিত অবস্থায় সৃষ্ট করেছেন, তারপর এগুলোকে পৃথক করেছেন। তারপর তিনি পানি থেকে প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।

সূরাঃ ২০ তা-হা, ৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫। দয়াময় আরশের উপরে সমাসীন আছেন।

সূরাঃ ৩৯ যুমার, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। তারা আল্লাহর যথাযথ সম্মান করে না। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশ মন্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে।

* মহাজগতের উপর আল্লাহর আরশ। শেষ বিচারে আরশের সম্মুখে বিচারের জন্য আল্লাহর সৃষ্টিকুলকে হাজির করা হবে। তখন আকাশ ও জমিন আল্লাহর হাতে থাকবে। তাঁর কাজে তাঁর কোন অংশিদার নেই।

আল্লাহর কথা যারা বিশ্বাস করে যারা তাঁর ইবাদত করবে আল্লাহ তাঁদের জন্য চিরস্থায়ী জান্নাতের ব্যবস্থা রেখেছেন। আর যারা তাঁর কথা অবিশ্বাস করবে ও তাঁর অবাধ্য হবে আল্লাহ তাদের জন্য চিরস্থায় জাহান্নামের ব্যবস্থা রেখেছেন। আল্লাহর কথা অনুযায়ী আল্লাহ বিশ্বাস জান্নাতে যাওয়ায় প্রথম কাজ।

আল্লাহর কথা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর বিপরীত কথা বিবেচ্য নয়। কারণ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর বিপরীত কথা বিশ্বাসে/অবিশ্বাসে জান্নাত-জাহান্নামের হিসাব নেই। সেজন্য মুমিন সেসব কথা পড়ে ও শুনে তবে তারা বিশ্বাস করে আল্লাহর কথা। কারণ তাদের লাভ ও লোকসানের হিসাব রয়েছে আল্লাহর কথায়।

বিজ্ঞানের নামে কেউ কেউ বলে মনুষ আল্লাহর সৃষ্ট নয় তারা বিবর্তনের মাধ্যমে হয়েছে। অথচ আদম সন্তান যে মানুষ তাদের আদি পিতা আদম (আ.) ও আদি মাতা হাওয়া (আ.) অন্য স্থান থেকে পৃথিবীতে আসা এলিয়েন।তাঁরা পৃথিবীর বিবর্তনের অংশ নন। তাঁদের মত যারা পৃথিবীতে ছিলো আল্লাহ তাদের বিনাশ ঘটিয়ে পৃথিবীতে আদম (আ.) ও হাওয়াকে (আ.) তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন।সুতরাং আমরা হলাম আদম (আ.) ও হাওয়ার (আ.) সন্তান মানুষ।বিবর্তনের সাথে মূলত আমাদের কোন সংযোগ নেই।

বিজ্ঞান বলে বীগ ব্যাং এ সব হয়েছে। আমরা বলি সেই বীগ ব্যাং হলো আল্লাহর কাজ। কারণ এত্ত বড় কান্ড ঘটাতে আল্লাহর মত সর্বশক্তিমানের দরকার ছিলো। কেউ কেউ বলে মহাজগত আমরা ফ্রিতে পেয়েছি। আমরা বলি আল্লাহ আমাদেরকে মহাজগত ফ্রিতে দিয়েছেন।কারণ মহাজগতের সদস্য হতে আমাদেরকে বিনময়ে কিছু দিতে হয়নি। কেউ কেউ বলে আল্লাহ কিছু সৃষ্টি করেননি সব কিছু মেনি এমনি হয়েছে। আমরা বলি সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা কি? তাঁকে আবার এমনি এমনি হতে কে বারণ করেছে? এভাবে দেখা যায় আল্লাহ বিরোধী সকল কথা অযোক্তিক। কিন্তু আল্লাহর স্বপক্ষে বলা সকল কথা যোক্তিক। বিশ্বাসের অনেক কথায়ি যুক্তি না থাকলেও আল্লাহ বিশ্বাস সংক্রান্ত সকল কথায় যুক্তি আছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পুরো বইটি লিখুন, শেষ করুন। বই বের হলে আমি এক কপি সংগ্রহ করবো অবশ্যই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এটা হলো কিনা সেটা বললে ভালো হতো। এটি আমি ‘মুমিন’ নামে গতকাল তিনটি বড় গ্রুপে পোষ্ট দিয়েছি। হাজার হাজার লাইক পড়েছে, তবে কেউ কোন বিরূপ মন্তব্য করেনি।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি এখানে যা লিখেছেন, এটুকু এখন পড়লে সাথে সাথে বুঝবেন, নাকি কয়েকবার পড়তে হবে?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যা লিখেছি সেটা আমি বুঝেছি। শূন্য থেকে এক কিভাবে সেটা এখন আমার বোধগম্য। অন্য কেউ এটা না বুঝলে তাকে বুঝানোর দায়িত্ব আমার নয়। কারণ আল্লাহ নিজেই সব লোককে তাঁর কথা বুঝাতে পারেননি। কোন মানুষও তার কথা সব লোককে বুঝাতে পারেনি। কোন কথা কেউ বুঝে তো কেউ বুঝে না। সুতরাং আমার কথা কিছু লোক বুঝলেই চলবে। এটি আমি ‘মুমিন’ নামে গতকাল তিনটি বড় গ্রুপে পোষ্ট দিয়েছি। হাজার হাজার লাইক পড়েছে, তবে কেউ কোন বিরূপ মন্তব্য করেনি। এতে আমার মনে হয়েছে কিছু লোক আমার কথা বুঝেছে। আর কিছু লোকের আমার কথা বুঝাটাই আমার নিকট যথেষ্ট মনে হয়েছে। এ বিষয়ে তর্ক চলছে অনবরত। এ যেন অন্তহীন তর্ক। বইটি আমি লিখছি মুমিনদের জন্য। এটা তাদের জান্নাতের পথে চলার সহায়ক হলেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিজ্ঞানীগণ ধর্মীয় বই সুত্রসহ লিখলে ভালো হতো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিজ্ঞানের নামে যা বলা হয়েছে তা’ বহুল প্রচারিত। যা অনুমান তার সূত্রের দরকার নাই। আর আল্লাহর কথা সূত্র সহ দেওয়া হয়েছে।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার বইতে জান্নাতের পথের ম্যাপ দিয়েছেন তো?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জান্নাতের পথের ম্যাপ কোরআন ও হাদিসে নেই।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় কিতাব লেখা খুব সহজ। বিজ্ঞানের বই লেখা অনেক কঠিন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি সহজ কাজটা করছি, আপনি কঠিনটা করুন।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের প্রিয় নবী মই দিয়ে বেয়ে জান্নাতে চলে গিয়ে ছিলো।লেখাটা আসে এই ভাবে।আকাশ থেকে শিড়ি নেমে এসেছিলো,সেই শিড়ি বেয়ে নবী চলে যান সপ্ত আকাশে যেখানে আল্লাহ থাকেন।
আপনার জান্নাতে যাবার পথটি কেমন।
ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ লাইক পাবার কথা।এখন পর্যন্ত এখানে দুইটি লাইক পেয়েছেন।এটাই আপনার হাজার লাইকের সমান।যারা লাইক দিয়েছে তারা হয়তো জান্নাতে যাবার পথ পাচ্ছে না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জান্নাতে যাওয়ার পথটি কেমন তার বিবরণ দিতে আমি একটি পুস্তক রচনা করছি। আজ আমি এ সংক্রান্ত আরেকিটি অধ্যায় লেখা শেষ করেছি। আগে আমি এটি ফেসবুকে পোষ্ট হিসাবে দিয়ে সাধারণ পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানতে চেষ্টা করব। তারপর বিদগ্ধ জনদের জন্য এটি ব্লগে পোষ্ট দেব- ইনশা আল্লাহ।

বিশ্বের ২৫% লোক হজরত মোহাম্মদকে (সা.) কেন আল্লাহর রাসূল মানে?

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৩ নং ও ২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আর আমরা আমদের বান্দার প্রতি যা নাযিল করেছি তোমরা যদি তাতে সন্দিহান হও তবে তার অনুরূপ একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাহায্যকারীদেরকে ডেকে আন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
২৪। আর যদি তোমরা তা’ করতে না পার এবং তোমরা তা’ কখনও করতে পারবে না, তাহলে তোমরা সেই আগুনকে ভয় কর যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর- যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

* মেহাম্মদকে (সা.) আল্লাহর রাসূল আল্লাহ বলেছেন। কিন্তু মোহাম্মদ (সা.) যা আল্লাহর বাণী বলে প্রচার করেছেন, কাফেররা বলেছে এটা তাঁর নিজের বানানো। আল্লাহ তখন লোকদেরকে বললেন, তাহলে তোমরাও মোহাম্মদের মত বাণী বানাও। মোসায়লামা কাজ্জাব বানী বানালে হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) বললেন, আমিও জানি তুমি মিথ্যা বলছো এবং তুমিও জান তুমি মিথ্যা বলছো। অথচ মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বাণী বলে যা প্রচার করেছেন তা’ বিশ্বের ২৫% লোক আল্লাহর বাণী বলে বিশ্বাস করে। মোহাম্মদের (সা.) পর বহু লোক আল্লাহর নামে বাণী বানিয়েছে, কিন্তু কোন লোক সেসব বাণীকে আল্লাহর বাণী বলে স্বীকার করেনি। মোহাম্মদের (সা.) পূর্বে যে সব বাণীকে লোকেরা আল্লাহর বাণী বলে স্বীকার করেছিলো মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, সেসব বাণী আল্লাহর বাণী ছিলো। কিন্তু লোকেরা সেসব বাণীতে কিছু পরিবর্তন করেছে। আর যুগ উপযোগী বিধান প্রদানের জন্য আল্লাহ তাঁর পূর্বের বাণীর বিধান রহিত করে নতুন বাণী হিসাবে মোহাম্মদের (সা.) উপর কোরআন নাযিল করেছেন। কোরআনের পর আল্লাহর নামে কোন বাণী প্রচার করে তা’ কেউ আল্লাহর বাণী হিসাবে কারো স্বীকারের মধ্যে আনতে পারেনি। ইরানী নাস্তিক আলী দস্তি তার নবি মোহাম্মদ গ্রন্থে বলেছে, কারো বাণীর মত বাণী কেউ রচনা করতে পারে না। সেজন্যই কোরআনের বাণীর সাথে রাসূলের (সা.) বাণীর কোন মিল নাই। তাহলে বেকুব আলী দস্তি কিভাবে কোরআনের বাণীকে মোহাম্মদের (সা.) বাণী বলে? আরবের আর কোন লোকের বাণীর সাথে কোরআনের বাণীর মিল নাই। অন্য কোন লোক এমন বাণী রচনা করতে পারলে তারাও নিজেদেরকে নবি দাবী করে বসতো। কিন্তু আল্লাহর বাণীর মত বাণী রচনা করতে না পারায় মোহাম্মদের (সা.) পর বহুলোক নবুয়ত দাবী করলেও তারা তাদের স্বপক্ষে আল্লাহর কোন বাণী উপস্থাপন করতে পারেনি। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে নবি দাবী করেছে। কিন্তু সে তার পক্ষে আল্লাহর কোন বাণী উপস্থাপন করতে পারেনি।যেহেতু কারো রচনার মত রচনা কেউ করতে পারে না সেজন্যই আল্লাহর বাণীর মত বাণী কেউ রচনা করতে পারছে না।

নবুয়ত দাবীর পূর্বে মোহাম্মদকে (সা.) তাঁর সমাজ সত্যবাদী খেতাব দিয়েছে। তাঁর স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা.) পনর বছর তাঁর স্বামী হযরত মোহাম্মদের (সা.) মাঝে মিথ্যা, প্রতারণা ও খেয়ানত পাননি। সেজন্য হযরত মোম্মদ (সা.) নবুয়ত প্রচার করা মাত্র তিনি তা’ স্বীকার করেছেন। তঁর বাল্যবন্ধু হযরত আবু বকর (রা.) তঁর বন্ধু হযরত মোহাম্মদের (সা.) মাঝে মিথ্যা, প্রতারণা ও খেয়ানত পাননি।সেজন্য হযরত মোম্মদ (সা.) নবুয়ত প্রচার করা মাত্র তিনি তা’ স্বীকার করেছেন। এভাবে হযরত মোহাম্মদের (সা.) অনুসারী বাড়তে থাকে। এদিকে কাফেররা তাঁর অনুসারীদের উপর অতি মাত্রায় অথ্যাচার করতে থাকে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাঁর অনুসারীরা ইথিওপিয়ায় হিজরত করে। সেখান থেকে তাঁদের কতিপয় ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, মায়ানমার ও চীনে ইসলাম প্রচার করে। অবশেষে মোহাম্মদ (সা.) মদীনায় হিজরত করেন। সেখানে তাঁর অনুসারীগণ জমায়েত হন। অবশেষে হযরত মোহাম্মদ (সা.) মদীনায় একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করলে কাফের দল তাঁর দলের উপর চড়াও হয়। তাতে করে কাফেরদের সাথে মোহাম্মদের (সা.) যুদ্ধ চলতে থাকে। তাতে অনেক কম সৈন্য নিয়ে তিনি কাফেরদেরকে পরাজিত করতে থাকেন। এর কারণ হিসাবে তিনি বললেন, তাঁকে আল্লাহ সাহায্য করছেন। অবশেষে তিনি মাত্র দশ বছর সময়ে একটা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর অনুসারীদের সময়ে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য দেড়কোটি বর্গ কিলো মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। যা তেরশ বছর স্থায়ী ছিলো। তারপর সে সাম্রাজ্য ভেঙ্গে গেলেও মোহাম্মদের (সা.) অনুসারীদের শাসনে সাতান্নটি রাষ্ট্র রয়েছে। তারমধ্যে আফগানদের সাথে যুদ্ধ করে পরাশক্তি রাশিয়া, বৃটিশ, নেটো ও আমেরিকা পরাজিত হয়েছে। এখন সারা বিশ্বের ২৫% লোক তাঁকে আল্লাহর নবী ও রাসূল মানে। এখন প্রশ্ন হলো ৭৫% লোক হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নবি ও রাসূল মানে না কেন?

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ৬১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬১। তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ বিষয়ে তোমার তোমার সাথে তর্ক করে তাকে বল, আস আমরা আহবান করি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে, আমাদের নিজ দিগকে ও তোমাদের নিজ দিগকে, অতপর আমরা মিথ্যাবাদীদের উপর লানতের মোবাহালা (বিনীত আবেদন) করি।

* যারা মোহাম্মদকে (সা.) রাসূল স্বীকার করেনি তাদের সবচেয়ে বড় দল হলো খ্রিস্টান। তারা মহানবির (সা.) সাথে তর্ক জুড়ে দিলে আল্লাহ মহানবিকে (সা.) তাদের সাথে মোবাহালা করতে বলেন। কিন্তু তারা সাহস করে মহানবির (সা.) সাথে মোবাহালা করেনি।

সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

* পূর্বে যে সব দীন বা ধর্ম ছিলো তার কোনটি পূর্ণাঙ্গ দীন বা ধর্ম ছিলো না বলে আল্লাহ পূর্ণাঙ্গ দীন বা ধর্ম হিসাবে ইসলামকে মনোনীত করলেন। পূর্বের দীন বা ধর্মের লোকেরা তাদের অপূর্ণাঙ্গ দীন বা ধর্ম ছেড়ে ইসলামে আসেনি। ৭৫% লোক মুসলিম কেন নয় যারা এমন প্রশ্ন করে তারা পূর্বের ধর্ম সমূহ পরখ করে দেখতে পারে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ কিনা। আর সেসব ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ্য তারা মুখস্ত করেনি বিধায় অসৎ লোকেরা সেসব গ্রন্থে তাদের নিজেদের কথা ঢুকিয়ে দিয়েছে। যেমন মুসলিমগণ হযরত মোহাম্মদের (সা.) সকল হাদিস মুখস্ত না করায় অসৎ লোকেরা নিজেদের কথাকে হাদিস হিসাবে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোরআন কোটি কোটি লোকের মুখস্ত বিধায় কোরআনে কেউ নিজের কথা চালিয়ে দিতে পারছে না। আর হাদিসকে কোরআন দিয়ে বাছাই করে মানলে হাদিস মানাতেও সমস্যা থাকছে না। সাকুল্য কথা হলো পূর্বের ধর্মের অনুসারীরা তাদের অপূর্ণাঙ্গ দীন বা ধর্ম ছেড়ে পূর্ণাঙ্গ দীন বা ধর্ম ইসলামে না আসলে তাদেরকে আর কি করা যায়? আর নাস্তিকরা তো আল্লাহ বলে কেউ আছে বলেই স্বীকার করে না, তারা আর হযরত মোহাম্মদকে (সা.) কি নবি ও রাসূল মানবে?

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ৮৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৫। আর যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য দীন তালাশ করে তার কাছ থেকে তা’ কখনই গ্রহণ করা হবে না। আর পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মাঝে শামিল হবে।

* ইসলাম ছাড়া অন্য দীন বা ধর্ম এখন আর আল্লাহর নিকট গৃহিত নয়। সুতরাং জান্নাত পেতে ইসলামের মান্যতার বিকল্প নাই।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
১০৫। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। যোহরের নামাজের পর তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আহলে কিতাব তাদের ধর্মের ব্যাপারে মতানৈক্য সৃষ্টি করে ৭২ দল হয়ে গেছে। আর আমার এ উম্মতের ৭৩ দল হয়ে যাবে।অর্থাৎ সবাই প্রবৃত্তির অধীন হয়ে পড়বে।কিন্তু আরো একটি দল রয়েছে এবং আমার উম্মতের মাঝে এমন লোকও হবে যাদের শিরায় শিরায় কূপ্রবৃত্তি এমনভাবে প্রবেশ করবে যেমন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শিরায় শিরায় বিষক্রিয়া পৌঁছে যায়। হে আরববাসী! তোমরাই যদি তোমাদের নবি (সা.) কর্তৃক আনিত জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত না থাক, তবে অন্যান্য লোক তো আরও অনেক দূরে সরে পড়বে।

* মতভেদের বেড়াজালে পূর্বের লোকেরা বহু দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের সঠিক দল ইসলামে সম্মিলিত হয়েছে। মতভেদে ইসলামেও বহু দল তৈরী হয়েছে যাদের সঠিক দল একটি। যে বিষয়ে আমরা অন্য অধ্যায়ে আলোচনা করব- ইনশাআল্লাহ।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার কথা মতো ৭৫% লোক মানে না।সংখ্যাদিয়ে যদি বিচার করতে যান তাতে না মানার লোকের সংখ্যা বেশি।আবার আপনি যাদের মানার দলে নিয়েছেন আমার মতো তাদের সংখ্যা অনেক।সঠিক সংখ্যা পাওয় কঠিন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা তাদের পরিচয় গোপন করে তাদের ভুল গণনার দায় কারো নেই। তবে বেশী সংখ্যক তাঁর নবুয়ত অস্বীকার করলেও তাঁর নবুয়ত স্বীকার কারীর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। আর বিষয়টা তাঁকে বুঝে আসার বিষয়। বেশী সংখ্যক লোক তাঁকে বুঝতে সঠিক ভাবে চেষ্টা করেনি বিধায় তারা তাঁকে বুঝতে পারেনি। এটা তাঁর দায় নয়। কিন্তু তাঁর পরে লোকেরা নিজের বাণীকে আল্লাহর বাণী বলে কোন স্বীকৃতি পায়নি। যেসব বাণী আল্লাহর বাণী স্বীকৃতি পেয়েছে মোহাম্মদ (সা) সেসব বাণী আল্লাহর বাণী নয় বলেননি। তিনি বলেছেন সেসব বাণীর মধ্যে লোকেরা নিজের কথা যোগ করেছে। যেমন লোকেরা তাদের নিজের কথাকে তাঁর কথা বলে চালিয়ে দিয়েছে। আর তিনি বলেছেন, আল্লাহ তাঁর পূর্ব বাণীর বিধান অনেকটা রহিত করেছেন। আবার পূর্ব বিধনের অনেক কিছু আল্লাহ বহাল রেখেছেন।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:৩২

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আমি আপনার বক্তব্যে আস্থা রাখি বা নাইই রাখি তবে আমি তাতে শ্রদ্ধাশীল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.