নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
# ইসলামে মাযহাব মানা ফরজ নাকি হারাম?
# শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য উপস্থাপিত। অবিশ্বাসীদের এটি পাঠ ও এতে মন্তব্যের দরকার নেই
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
# সহিহ আল-বোখারী
সহিহ আল বোখারী, ৪৫৩২ নং ৪৫৩৩ নং হাদিসের (তাফসীর অধ্যায় – ৬২. সূরা আল জুমুআ) অনুবাদ
৪৫৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুআ অবতীর্ণ হল – যাতে এও আছে ‘আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’। তিনি বলেন, তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল! তিনবার একথা জিজ্ঞেস করার পরও তিনি এ কথার কোন জবাবই দিলেন না। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) হাজির ছিলেন। নবি করিম (সা.) তার উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান ছূরাইয়া নক্ষত্রের নিকট থাকলেও অনেক ব্যক্তিই কিংবা যে কোন একজন তা’ পেয়ে যাবে।
৪৫৩৩। আবু হুরায়রা (রা.) নবি (সা.) হতে বর্ণনা করে বলেন, এদের কিছু লোক তা’অবশ্যই পেয়ে যাবে।
# সহিহ মুসলিম
সহিহ মুসলিম, ৬৩৩৯ নং ও ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৩৯।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। যদি দীন আসমানের দূরবর্তী সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির কাছে থাকত, তবে পারস্যের যে কোন ব্যক্তি তা’ নিয়ে আসত; অথবা তিনি বলেছেন, কোন পারসিক সন্তান তা’ অর্জন করত।
সহিহ মুসলিম, ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট বসা ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হল। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন, ‘ওয়া আখারিনা মিনহু লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম - আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’ তখন জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এরা কারা? নবি করিম (সা.) তার কোন জবাব দিলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’ বার কিংবা তিনবার তাঁকে জিজ্ঞাস করল। রাবী বলেন, তখন আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রা.) ছিলেন। রাবী বলেন, নবি করিম (সা.) তাঁর হাত সালমানের (রা.) উপর রাখলেন, এরপর বললেন, যদি ঈমান সূরাইয়া তারকার কাছে থাকত তাহলে অবশ্যই তার গোত্রের লোকেরা সেখান পর্যন্ত পৌঁছত।
# সহিহ তিরমিযী
সহিহ তিরমিযী, ৩৮৬৮ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৮৬৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সূরা আল-জুমুআ অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন। তিনি ‘ওয়া আখারিনা মিসহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম- আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এসমস্ত লোক কারা, যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি? তিনি তাকে কিছুই বললেন না। সালমান আল –ফারসী আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের হাতখানা সালমানের (রা.) উপর রেখে বললেন সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! ঈমান সুরাইয়া তারকায় থাকলেও এদের কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।
সহিহ তিরমিযী, ৩২৪৮ নং হাদিসের (তাফসীরুল কোরআন – সূরা আল-জুমুয়া) অনুবাদ-
৩২৪৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা আল-জুমুয়া অবতীর্ণ হওয়াকালে আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকটেই ছিলাম।তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন।তিনি ‘আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ (৬২,৩) পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি তারা কারা? নবি করিম (সা.) তার কথায় চুপ রইলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন সালমান (রা.) আমাদের সাথেই ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) সালমানের (রা.) উপর হাত রেখে বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! ঈমান যদি সুরাইয়্যা নক্ষত্রেও থাকে তবুও তাদের মধ্য হতে কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* সাহাবা যুগেই ইসলাম বিনষ্ট হয়। কোরআন, তাফসির ও হাদিস অনুযায়ী বিনষ্ঠ ইসলাম পারসিক তাবেঈ ঠিক করার কথা। কারণ বিনষ্ট ইসলাম সাহাবা ঠিক করার কথা থাকলে রাসূল (সা.) বলতেন সালমান (রা.) বিনষ্ট ইসলাম ঠিক করবে। যেহেতু ইসলাম সাহাবা যুগেই বিনষ্ট হয়েছে সেহেতু সেহেতু তাবেঈ যুগেই এটা ঠিক করার কার্যক্রম চলার কথা। কারণ আল্লাহ তাঁর দীন বিনষ্ট অবস্থায় ফেলে রাখার কথা নয়।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
* ইসলাম পূর্ণাঙ্গ। সুতরাং ইসলাম বিনষ্ট হওয়ার পর পারসিক তাবেঈর পূর্ণাঙ্গ ইসলাম পরিশুদ্ধ করার কথা। ইসলাম বিনষ্ট হওয়ার পর পারসিক তাবেঈ ইসাম হাসান বছরী (রা.) এর তরিকত অংশ পরিশুদ্ধ করেন। হাসান বছরী (র.) ছিলেন তাবেঈ গণের মধ্যে সবচেয়ে বড় মোফাসসেরে কোরআন।আর ইসলামের শরিয়ত অংশ পরিশুদ্ধ করেন পারসিক তাবেঈ ইমাম আবু হানিফা (র.)। তাবেঈগণের মধ্যে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড় ফকিহ। সুতরাং যার ইসলাম পালনের তরিকত অংশের সিলসিলায় ইমাম হাসান বছরী (র,) এবং যার ইসলাম পালনের শরিয়ত অংশের সিলসিলায় ইমাম আবু হানিফা (র.) নেই তার ইসলাম পরিশুদ্ধ নয়।
# আমির
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* ইসলামে রাসূলের (সা.) পর আমিরের আনুগত্যের কথা আছে। এক্ষেত্রে আমিরের পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তির কথাও গৃহিত সাব্যস্ত। ইসলামের বারজন পরাক্রমশালী আমিরের সবচেয়ে প্রভাবশালী আমির হলেন তাবে তাবেঈ আমিরুল মুমিনিন হারুনুর রশিদ (র.) এবং তাঁর নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন খেলাফতের প্রধান বিচারপতি ইমাম আবু ইউসুফ (র.)। ইমাম আবু ইউসুফ (র.) ইমাম আবু হানিফা (র.) যে শরিয়ত সংশোধনের কাজ করেন তা’ পরিশোধনের ব্যবস্থা করেন। ইমাম আবু ইউসুফ (র.) ইমাম আবু হানিফা (র.) উপস্থাপিত শরিয়ত সংশোধন করে এ নাম রাখেন হানাফী মাযহাব। এ হানাফী মাযহাব মানা ফরজ না হারাম এটা কে বলবে?
সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহি প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।
* হানাফী মাযহাব মানা ফরজ নাকি হারাম এটা বলবেন আহলে যিকর। কারা আহলে যিকর?
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়।
জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকরের সমর্থন ছিলো মুসলিম আটান্ন আমিরের প্রতি। সুতরাং ইসলামে তাঁদের সাথে মতভেদে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ নাই। আহলে যিকরের মাননীয় আটান্ন আমিরের অন্যতম প্রধান আমির আমিরুল মুমিনিন হারুনুর রশিদ হানাফী মাযহাব অনুমোদন করায় তারপর থেকে হানাফী মাযহাব আহলে যিকরের আমলে বিদ্যমান। যেহেতু আমির ও আহলে যিকরের মান্যতা ফরজ সাব্যস্ত সেহেতু আমির অনুমোদীত ও আহলে যিকর অনুসারীত হানাফী মাযহাব মান্যতা ফরজ সাব্যস্ত হবে এটা আমির কর্তৃক অনুমোদনের পর থেকে। তখন থেকে অন্য মাযহাব বা লামাযহাবের মান্যতা ইসলামে বাতিল সাব্যস্ত হবে। আর ইসলামের যে তরিকার সিলসিলায় হানাফী মাযহাব ও ইমাম হাসান বছরী (র.) নেই সে তরিকা মূলত ইসলামের কোন তরিকা নয়। এ নিয়ে যত লোক যত গলাবাজি করুক না কেন তাতে কোন লাভ নেই। ইসলামের আটান্ন জন আমিরের একান্ন জন হানাফী মাযহাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।
# ইসলামের আটান্ন আমির
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।
হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আল আব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথে নিয়ে আসবেন। আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও। সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম। তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয়দিক থেকে এমনভাবে মাফ করে দিন, যার পর তাদের আন কোন অপরাধ বাকি না থাকে। হে আল্লাহ তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।
রাযীন এ বাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ- মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।
* নবুয়তের খেলাফতের ত্রিশ বছরে ইমাম হাসানও (রা.) যুক্ত থাকায় খোলাফায়ে রাশেদার সদস্য পাঁচ জন আমির। আর রাসূলের দোয়ায় খলিফা হওয়ায় তিপ্পান্ন জন আব্বাসীয় খলিফা আমির। এমোট আটান্ন জন আমিরকে আহলে যিকর আমির মানে। আব্বাসীয় খলিফা আল মামুন, আল মোতাসিম ও আল ওয়াসিককে আহলে যিকর আমির মানে না বিধায় তারা আমির তালিকায় যুক্ত হবে না। আব্বাসীয় আমিরগণ আবার আহলে বাইত।
# আহলে বাইত
সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩২ নং ও ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও। যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর পুরুষের সহিত কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না, যাতে অন্তরে যার ব্যাধী আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে।
৩৩। আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করবে এবং প্রচীন যুগের মত নিজদিগকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।তোমরা সালাত কায়েম করবে ও যাকাত প্রদান করবে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত থাকবে। হে আহলে বাইত (নবি পরিবার)! নিশ্চয়ই আল্লাহ চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
# সূরাঃ ৩৩ আহযাব, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। আহলাল বাইত আয়াতাংশ বিষয়ে ইকরিমা (রা.) বাজারে বাজারে বলে বেড়াতেন এ আয়াত রাসূলুল্লাহর (সা.) স্ত্রীদের জন্য বিশেষভাবে নাযিল হয়েছে। ইবনে আবী হাতিম (র.) বলেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসও (রা.) এ কথা বলেছেন।
ইবনে জারীর (র.) বর্ণনা করেন, সাফিয়াহ বিনতে শাইবাহ (র.) বলেন, আয়েশা (রা.) বলেছেন, একদা ভোরে রাসূলুল্লাহ (সা.) উটের চুলের তৈরী একটি ডোরাকাটা চাদর গায়ে জড়িয়ে বের হন। তখন তাঁর নিকট হাসান আসলে তিনি তাঁকে চাদরের মধ্যে জড়িয়েনেন। অতঃপর হুসাইন (রা.) তাঁর কাছে আসলে তাঁকেও তিনি চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর ফাতিমা (রা.) এলে তাঁকেও চাদরে জড়িয়ে নেন। অতঃপর আলী (রা.) তাঁর কাছে আসেন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকেও তাঁর চাদরে জড়িয়ে নেন। এরপর তিনি পাঠ করেন, আল্লাহতো শুধু চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।
ইয়াজিদ ইবনে হিব্বান (র.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুসাইন ইবনে সাবরাহ (র.) এবং উমর ইবনে মুসলিম যাইদ ইবনে আরকামের (রা.) নিকট গমন করি। আমরা তাঁর কাছে বসলে হুসাইন (র.) তাঁকে বলেন, হে যাইদ (রা.) আপনি তো বহু কল্যাণ লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহকে (সা.) দেখেছেন, তাঁর হাদিস শুনেছেন, তাঁর সাথে যুদ্ধ করেছেন এবং তাঁর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। সুতরাং হে যাইদ (রা.) আপনি বহু কল্যাণ ও মঙ্গল লাভ করেছেন। আপনি রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট থেকে যা শুনেছেন তা’ আমাদের নিকট বর্ণনা করুন। তিনি তখন বলেন, হে আমার ভাতিজা! আল্লাহর শপথ! এখন আমার বয়স খুব বেশী হয়ে গেছে, রাসূলুল্লাহর যামানা দূরে চলেগেছে, যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে শুনেছি তার কিছু কিছু ভুলেগেছি। এখন আমি তোমাকে যা বলি তাই কর এবং তা মেনে নাও। আর আমি যা বলতে ভুলে যাই তার জন্য মনে কষ্ট নিও না। শোন! মক্কা ও মদীনার মাঝখানে একটা পানির জায়গা রয়েছে যার নাম ‘খাম’। সেখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে ভাষণ দেন। তিনি প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করেন, অতঃপর তিনি বলেন, আমি একজন মানুষ। অতি সত্ত্বর আমার রবের নিকট থেকে একজন দূত আগমন করবেন এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দেব। আমি তোমাদের নিকট দু’টি বস্তু ছেড়ে যাচ্ছি। প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব, যাতে হিদায়াত ও জ্যোতি রয়েছে। তোমরা আল্লাহর কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর। অতঃপর তিনি আল্লাহর কিতাবের দিকে আমাদের দৃষ্টি পূর্ণভাবে আকর্ষণ করলেন। তারপর তিনি বললেন, আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে আমি আল্লাহর কথা তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তিনি তিনবার এ কথা বললেন। তখন হুসাইন (র.) তাঁকে জিজ্ঞাস করলেন, হে যাইদ (রা.)! আহলে বাইত কারা? তাঁর স্ত্রীরা কি আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত নন? উত্তরে তিনি বললেন, তাঁর স্ত্রীরাও আহলে বাইতের অন্তর্ভূক্ত বটে, তবে তাঁর আহাল তাঁরা যাদের উপর তা্ঁর মৃত্যুর পরে সাদাকাহ হারাম। আবার তিনি (হুসাইন) জিজ্ঞাস করলেন তারা কারা? জবাবে তিনি বললেন, তারা হলেন আলীর (রা.) বংশধর, আকীলের (রা.) বংশধর, জাফরের (রা.) বংশধর ও আব্বাসের (রা.) বংশধর। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, এদের সবার উপর কি সাদাকাহ হারাম? তিনি নউত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (মুসলিম)।
* আয়াত ও তাফসির অনুযায়ী মহানবির (সা.) আহলে বাইত হলেন ১। মহানবি (সা.), তাঁর স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রগণ ২। আলীর (রা.) বংশধরগণ ৩। আকীলের (রা.) বংশধরগণ ৪। জাফরের বংশধরগণ ৫। আব্বাসের (রা.) বংশধরগণ।
# হযরত আব্বাসের (রা.) বংশধর হিসাবে আব্বাসীয় খলিফাগণ আহলে বাইত।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৪ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) তাঁর বিদায় হজ্জে আরাফাতের দিন তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ অবস্থায় খোৎবা দিতে দেখেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল! অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা’ ধারণ বা অনুসরন করলে কখনও গোমরাহ হবে না। আল্লাহর কিতাব এবং আমার ইতরাত (আহলে বাইত)।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৬ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৭২৬। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তভাবে ধারণ করলে আমার পরে কখনো গোমরা হবে না। তার একটি অপরটির চেয়ে চেয়ে অধিক মর্যাদা পূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত এবং আমার পরিবার (আহলে বাইত)।এ দু’টি কখনও পৃথক হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সাথে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষকর আমার পরে একদুভয়ের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ কর।
* সুতরাং আহলে বাইত একান্ন আমির সংযুক্ত হানাফী মাযহাবের সাথে সংযুক্ত থাকা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* হানাফী মাযহাব আমির কর্তৃক অনুমেদীত ও আহলে যিকর কর্তৃক অনুসারীত হওয়ার পর থেকে এটাই মুমিনদের পথ। এপথ ছেড়ে এরপর যারা অন্য পথে গেছে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো আমার পেশা। আর জান্নাতের পথ দেখানো আমার সখ। সেটা মুমিনদের জন্য।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কম্প্যুটারের জ্ঞান আপনাকে দিয়েছে কোরিয়ান শিক্ষকেরা; আর আপনি এখানে যা লিখছেন, এসব কথা নিজের থেকেই লিখতে পারছেন; কারণ, এসব হাবিজাবি রাস্তার ওয়াজ থেকে শেখা যায়, লেখা যায়। আপনি কম্প্যুটারের কোন বিষয়, যা আজকের বিশ্বে দরকারী, তার উপর কোন বই লিখতে পারবেন?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কম্পিউটারের বই লিখছেন, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার। আমি কম্পিউটার সংক্রান্ত বই লেখার লেবেলে নেই।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১
বিষাদ সময় বলেছেন: বাছাই প্রক্রিয়াটা বেশি কঠোর হয়ে গেল না?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যা সঠিক সেটাই উপস্খথাপন করার চেষ্টা করেছি। এ পোষ্টটি একই সাথে ফেসবুকের অনেক বড় গ্রুপে চলমান আছে। কেউ আমার বিরোধীতা করেনি। পোষ্টটি বহু আগে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কম্পিউটারের বই লিখছেন, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তফা জব্বার। আমি কম্পিউটার সংক্রান্ত বই লেখার লেবেলে নেই।
-মোস্তফা জব্বার লোক হিসেবে ভালো নয়; তবুও সে দরকারী কিছু লিখেছে; আর আপনি হাবিজবী লিখে ভরায়ে ফেলছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যাদের জন্য লিখছি তারা এটাকে হাবিযাবি ভাবছে না। তবে আমি বলতে পারি এটা আপনার খাদ্য নয়। তো আপনার সোস্যালিজমও এখনো বিশ্বে অখাদ্যই রয়ে গেল। তাদের এত্ত হাঁক ডাকের ফল অবশেষে কি হলো?
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
এসব অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে, কোরিয়ানদের থেকে যা শিখেছেন, সেটার উপর টিউটোরিয়েল লিখেন; যেন কেহ চাইলে, উহা পড়ে নিজে নিজে কম্প্যুটারের প্রাথমিক ধারণা পেতে পারে। এসব হাবিজবী লিখে সময় নষ্ট করছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষের মাঝে বিভাজন আছে। আমি তাদের একটি অংশের জন্য কিছু করছি। আপনি সে অংশের সদস্য নন। সুতরাং এ বিষয়ে আপনি এভাবে না বললেও মনে হয় চলে।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: আপনি এক যায়গায় উল্লেখ করেছেন সবচেয়ে বড় যে দল হবে তাদের সাথে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এখন যদি সালাফি মানহাজ হানাফি মাযহাবের চেয়ে বড় হয়ে ওঠে তখনও কি হানাফি মাযহাবই মানতে হবে?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১০। তোমরাই মানব জাতির জন্য খাইরা (শ্রেষ্ঠতম) উম্মতরূপে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে।আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। আর যদি আহলে কিতাব বিশ্বাস স্থাপন করতো তবে অবশ্যই তাদের জন্য ভালো হতো। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো মোমেন। আর তাদের অধিকাংশ ফাসেক।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* খাইরা উম্মাত হলো যারা সৎকাজে আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজে নিষেধ করে। তারা হলেন জুমুয়ার খতিব। কারণ তাঁরা নিয়মিত জুমুয়ার খোতবায় সৎকাজের আদেশ দেন এবং অসৎ কাজে নিষেধ করেন। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই হেদায়াত প্রাপ্ত। তারা যদি সালাফী মানহাজ হয় তবে তাদেরকেই তখন সঠিক দল মানতে হবে। কিন্তু তাবে তাবেঈ যুগের পর বিশ্বাসঘাতক যুগের পুরোটাই তারা হানাফী মাযহাবে আছে এবং সেই হিসাবে হানাফী মাযহাবই সঠিক দল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী এমন কিছু লিখুন যেটা পড়ে ছেলেমেয়েদের ইহ জগতে কল্যাণ হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার ছাত্রছাত্রীরা আপনার থেকে কম্প্যুটার শিখে, নাকি বেহেশতে যাবার পথ শিখে?