নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকাল/সংক্ষিপ্ত কাল

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১০



ব্লগার শ্রাবণধারার উপদেশে স্টিফেন হকিং এর ‘A Brief History of Time বা কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ বইটি কিনলাম। কালের এ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- (বীগ ব্যাং) বৃহৎ বিস্ফোরণ থেকে কৃষ্ণগহবর পর্যন্ত।তারমানে এটা মহাকালের অংশ।অথচ আমাদের আলোচ্য বিষয় মহাকাল।

মহাজগতের প্রথম অবস্থার পূর্বাবস্থা অবশ্যই শূন্য। কারণ প্রথম অবস্থার পূর্বাবস্থা শূন্যই হয়ে থাকে।শূন্যে বির্তন হয় না। কারণ শূন্যে কোন কিছু থাকে না। অথচ বির্তন হয় কোন কিছু থেকে।সংগত কারণে মহাজগতের প্রথম অবস্থার পূর্বাবস্থার শূন্যে সব কিছুর উদ্ভব ঘটেছে। আর তাতে যা কিছু উদ্ভব ঘটেছে তা’ অসীম হয়েছে। কারণ শূন্যে কোন কিছু না থাকায় তাতে সীমা দাতা ছিলো না।তাতে কালের উদ্ভব ঘটে তাও অসীম হয়েছে। অসীম কালের কারণে তা’ ছিলো মহাকাল। শূন্যে সীমা দাতা না থাকায় তাতে উদ্ভব ঘটা কোন অসীম পরস্পর আলাদা হতে পারেনি। সেজন্য তখন সকল অসীম একত্রিত হয়ে এক অসীম হয়েছে।

বস্তু অসীম হতে পারে না। কারণ সীমা ছাড়া কোন বস্তু হতে পারে না। সেজন্য অসীম সমূহ শক্তি ছিলো বলে তাদের সম্মিলিত যিনি তিনি অসীম সর্বশক্তি মান। তিনি বলেছেন, ইয়াসআলুনাকা আনিদদাহরি, কুল আনাদদাহরু- লোকেরা তোমাকে মহাকাল সম্পর্কে প্রশ্ন করে, বল আমিই মহাকাল।তারমানে অসীম সর্বশক্তি মহাকালও।

অসীম সর্বশক্তিমানের উদ্ভব ঘটার পর তিনি সীমা দিয়ে সকল সসীম শক্তি ও বস্তু সৃষ্টি করেছেন। বস্তসমূহকে তিনি একত্রিত অবস্থায় সৃষ্টি করে তারপর বীগ ব্যাংকের মাধ্যমে জগৎসমূহ সৃষ্টি করে তাদের নিয়ন্ত্রন দায়িত্ব পালন করছেন।

মহাজগতের স্তর হলো এর পূর্বাবস্থার পর এর প্রথম অবস্থা অসীম সর্বশক্তিমান। প্রথম অবস্থার পর দ্বিতীয় অবস্থা অসীম সর্বশক্তিমানের সৃষ্টি সসীম শক্তি ও সসীম বস্তু।দ্বিতীয় অবস্থার পর তৃতীয় অবস্থা সসীম বস্তু পিন্ডে অসীম সর্বশক্তিমানের বীগ ব্যাংকে জগৎ সমূহ সৃষ্টি। হকিং মূলত তাঁর কাজ এখান থেকে শুরু করেছেন। তিনি আর দুই ধাপ অগ্রসর হতে পারলে অসীম সর্বশক্তিমান আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারতেন।অন্য বিজ্ঞানীদেরকে সাথে নিয়ে চলার কারণে অতবড় বহর নিয়ে তিনি সে পর্যন্ত পৌছে যেতে সক্ষম হননি।হকিং ঈশ্বরকে অস্বীকার না করায় তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান খ্রিষ্টধর্ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দেখি হকিং এর থেকেও দুই ধাপ এগিয়ে আছেন, কিয়েক্টা ব্যাপার!!!!!!!!!!!!!!!

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হকিং তার বহরের কারণে আর সামনে এগুতে পারেনি। আমি তো বহর নিয়ে চলি না। সেজন্য আমার আরো সামনে এগুতে কষ্ট হয়নি। কেউ তার বহর নিয়ে এক জায়গায় বসে থাকলে তাতে কার কি দোষ?

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: ভবিষ্যতে আরো কি দু-এক ধাপ এগিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে?
আপনিতো এইসব বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানীর তাফা তাফা কইর‍্যা ফেলতেছেন :) বেচারা হকিং মরে গিয়ে বেঁচেছে!

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উত্তেজিত হবেন না! হকিং তার আলোচনায় ধর্মের কথাও টেনেছেন।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আমার জানা মতে আইনস্টাইন এর ঐ বইটির নাম A Brief History of Time। আর আপনি কিনেছেন সর্ট হিসট্রি অফ টাইম এর অনুবাদ আল্লাহই জানেন কোনটা কিনতে গিয়ে যে কোনটা কিনেছেন ........ :)

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৫

নিমো বলেছেন: আপনার এসব আজব-গজব তত্ত্বগুলো দয়া করে সমীকরণ দিয়ে নিউ সায়েন্টিস্ট বা নেচারে প্রকাশ করুন। বিজ্ঞানের মূল ভাষা হচ্ছে গণিত।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাইনারী সংখ্যা শূন্য এবং এক আমার আলোচনাতেও আছে।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আল্লাহ দেখতে কেমন?
আল্লাহ কোথায় থাকেন?
আল্লাহর আকার কী?
মানুষের পক্ষে কি আল্লাহকে দেখা সম্ভব?

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ অদৃশ্য, অসীম বিস্তৃত ও নিরাকার। আরশ তাঁর সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। তিনি আকার ধারণ করে মানুষের সাথে দেখা দিবেন জান্নাতে।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আল্লাহুম্মা আমিন আমি এই পোস্ট'টি প্রিয়তে রাখলাম এবং পাঁচটা লাইক দিলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আহ

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। মুশকিল হল আপনি বইয়ের নামটাই ভুল বুঝেছেন। বইটার নাম হল কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস - অর্থ্যাৎ ইতিহাসটা সংক্ষেপে বলা হয়েছে, সময় বা কালটা সংক্ষেপ করা হয়নি।

কালের বা সময়ের শুরু হলো বিগব্যাং থেকে এর আগে বলে কিছু নাই। কেন না সময়ের শুরুই হয়েছে বিগব্যাং থেকে। তখন শুধু বর্তমান কাল আছে অতীত ভবিষ্যত নাই। তাই তার আগে বলে কিছু নাই।

এই বইয়ে প্রচুর রেফারেন্স পাবেন। দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট থেকে বিজ্ঞানের বড় বড় ঘটনাগুলো - গ্যালিলিও গ্যালিলি, নিউটন থেকে ম্যাক্স প্লাংক, আইনস্টাইন, ডেরেক, শ্রয়ডিংগার, সত্যেনন্দ্রনাথ বোসের বোসন কনিকা থেকে ফাইনম্যান, আব্দুস সালাম সহ বহু মনীষীরা আছেন এই বইয়ের পাতায় পাতায়। বইটি বেশ কয়েক বার পড়ুন। তারপর রেফারেন্স ধরে ধরে কান্টের Critique of Pure Reason থেকে পড়া শুরু করুন। একে একে অন্তত জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থগুলো যেমন শ্রয়ডিংগারের মন ও জড় বস্তু, বার্টান্ড রাসেলের আপেক্ষিক তত্ত্বের অ-আ-ক-খ পড়ুন। তারপর নাহয় ব্লগে এসে মহাকাল নিয়ে পোস্ট দেবেন! :)

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হকিং তাঁর বক্তব্যে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বলে তা’ ব্যাপকভাবে গৃহিত হয়নি। আর তাঁর পুত্ররা তাঁর ধারণা গ্রহণ করলে তাঁর অন্তেষ্টিক্রিয়া ধর্মিয় মতে করতো না। বইটির সাথে হকিং এর জীবনীও কিনেছি। বিক্রেতা আড়াইশো টাকার বইয়ের সাথে আমাকে একটি দুইশতটাকার কম্পিউটার পুস্তক গিপ্ট করেছে।

বীগ ব্যাংক এর পুর্বে যাতে বীগ ব্যাংক হয়েছে সেইটার উপস্থিতি স্বীকার না করে উপায় নেই।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২২

কামাল১৮ বলেছেন: পড়লেই বুঝতে পারবে তার নিশ্চতা কোথায়।বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম না বলে অনেক বই পড়ে ঠিকমতো বুঝতে পারি নাই।বুঝতে চেষ্টা করেছি কিন্তু ঠিকঠাক বুঝেছি সেটা বলতে পারবো না।


২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইশ্বরের বিষয়টি বিজ্ঞান আসলে সঠিক ভাবে বুঝাতে পারেনি। হকিং এ জীবনীকারও বলেছেন, হকিং এ বিষয়ে একেক সময় একেক কথা বলেছেন।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আমাদের ছোটবেলায় আমরা লক্ষ্য করতাম ক্লাসের মধ্যে যারা ভালো ছাত্র তারাই বিজ্ঞান বিভাগে পড়তো ।
তার মানে এই যে বিজ্ঞান বুঝার জন্য ছাত্র হিসেবে অনেক ভালো হতে হয়।

২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার বড় ভাই ক্যামেষ্ট্রিতে অনার্স মাষ্টার্স। তাঁর মেয়ে এমবিবিএস ডাক্তার তারা খুব ধার্মিক। তারা ইসলাম বুঝেছে তবে হকিং বুঝেনি।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি আল্লাহর ৯৯ নাম দিয়ে সনেট লিখুন। এগুলো লেখা আপনার কাজ না।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেখকের কাজ কি সেটা লেখককেই ভাবতে দিন।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শ্রাবণধারা ভাইয়ের বুদ্ধিমতো চললে আপনার আরও প্যাঁচ লেগে যাবে :D। আপনি মুরুব্বি মানুষ, সহজ বিষয় নিয়ে থাকলেই মনে হয় ভালো হবে। এ বয়সে উপনীত হয়ে এত গভীর বিষয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন :)

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁর কথামত দুটি বই যখন সংগ্রহ করেই ফেলেছি তখনতো দেখতেই হবে তাতে কি আছে?

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হকিং তাঁর বক্তব্যে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বলে তা’ ব্যাপকভাবে গৃহিত হয়নি :D =p~
আমি নিশ্চিত আপনার বক্তব্য এবার ব্যাপক ভাবে গৃহিত হবে ! এই লেখার একটা ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করুন ! জলদি !

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শেষমেস তাকে ধর্মীয় মতেই বিদায় গ্রহণ করতে হলো। তিনি বুঝালেন কি? আর তাঁর অতিভক্তকুল বুঝলো কি? সেটাই আমি এখন বুছার চেষ্টা করছি।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৭:০৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচা সামুর অহংকার, আমাদের গর্ব

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আহ

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি লিখেছেন, আমি কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না।

চাচাজ্বী আসলে আপনি কি বলতে চান?

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি বলতে চাচ্ছি হকিং মহাকাল বিষয়ে লিখেননি, তিনি মহাকালের কিছু অংশ বিষয়ে লিখেছেন। আর তিনি নাস্তিক ছিলেন না বিধায় তাঁর সন্তানেরা খিস্টান ধর্মীয় রীতিতে তাঁর শেষকৃত্তানুষ্টান করেছে।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার এই লেখা ইংরেজীতে অনুবাদ করে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের বড় বড় জার্নাল গুলোতে প্রকাশ করুন । নোবেল পাইলে অবাক হবো না । ইনুস রে নিয়া বহুত প্যারায় আছি ।

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হকিং এর বই আরো পড়ছি। দেখি তার দ্বারা আমার জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ করা যায় কিনা।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: বির্তন কী ??
এখানে বির্তন বলতে কি বুঝাচ্ছে !!

২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিবর্তন বলতে বুঝায় এক বস্তু বা প্রাণী বিবর্তিত হয়ে অন্য বস্তু বা প্রাণী হওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.