নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।

সূরাঃ ১৭ বনি ইসরাঈল, ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৭। নিশ্চয়ই যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* কে মোনাফিক এবং কে মোনাফিক নয় সে বিষয়ে আল্লাহ ছাড়া কেউ অবগত নয়। সুতরাং কোন লোক সহিহ এবং কোন লোক সহিহ নয় সেটা আল্লাহ ছাড়া কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ আল্লাহ ছাড়া কোন লোক কারো মনের খবর রাখে না। কেউ একটা লোককে সহিহ মনে করলো অথচ মনে মনে সে মোনাফিক অথবা কেউ একটা লোককে সহিহ নয় মনে করলো অথচ মনে মনে সে একজন সহিহ লোক। সুতরাং কোন লোককে সহিহ বা সহিহ নয় সা্যস্ত করা মূলত অযথা কাজ। অযথা কাজের সময় মূলত সময়ের অপচয়। অপচয়কারীকে আল্লাহ শয়তানের ভাই বলায় এ সংক্রান্ত কাজ সুনিশ্চিতভাবে শয়তানী কাজ।সুতরাং হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ।তাহলে হাদিসের উপর আমল হবে কি দেখে? হাদিসের সনদের মান নির্ধারনের পূর্বেই হাদিসের আমল শুরু হয়েছে। সুতরাং হাদিসের আমল হবে এর উপর মুমিনদের আমলের ভিত্তিতে। পূর্বের মুমিনদের সর্ববৃহৎ দলের আমলে পরের মুমিনগণ যে হাদিস পাবেন তারা সে হাদিসের আমল করবেন। সুতরাং হাদিসের সনদ নিয়ে টানাটানি করা একটি অহেতুক কাজ।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।

সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।

* হাদিসের মান নির্ধারন সংক্রান্ত কথা হলো বিশ্বাসঘাতক যুগের লোকদের কথা। রাসূল (সা.) তাদের কথা বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং তাদের কথা আমলে নেওয়া নিকৃষ্ট বিদয়াত। যারা এমন বিদয়াতে জড়িত হবে তাদের আবাসস্থল হলো জাহান্নাম।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাহলে আপনি যে হাদিসগুলি ব্যবহার করেন এগুলো কি বিশ্বাস করা সঠিক হবে? কারণ সনদের ভিত্তিতেই এই হাদিস গুলিকে সহি বলা হচ্ছে। তবে আপনার সাথে একমত, এত দীর্ঘ সময় পরে এসে মানুষের ঈমান, আখলাক, বিশ্বাসযোগ্যতা, সত্যবাদিতা, মিথ্যাবাদী এগুলিকে সঠিকভাবে নিরূপণ করা কখনোই সম্ভব নয়। এজন্যই বলি ইসলামকে জটিল করেছে তথাকথিত এই হাদিস সংগ্রহকারীরা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাদিস আগে মুসলিমদের আমলে এসেছে, পরে এগুলো কিতাবে লেখা হয়েছে। সুতরাং হাদিসের শুদ্ধতা নির্ণয় হবে এর আমল অনুযায়ী। হাদিস সংকলক কোন সনদে হাদিসটি পেলেন সেটা তিনি লিখবেন। কিন্তু সেই সনদের মান নির্ধারণ তাঁর দায়িত্ব নয়। হাদিসের মান নির্ধারিত হবে এর উপর মুমিনদের আমল অনুযায়ী। যেমন, নারী-পুরুষের নামাজ এক রকম না ভিন্ন রকম? এ ক্ষেত্রে মুমিনদের সর্ববৃহৎ দলের আমল হলো নারী-পুরুষের নামাজ ভিন্ন রকম। সুতরাং নারী-পুরুষের নামাজ এক রকম হওয়া সংক্রান্ত হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হবে না। এক্ষেত্রে বুঝাই যাচ্ছে যে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে নারী-পুরুষের নামাজ এক রকম হওয়া সংক্রান্ত হাদিস তৈরী করা হয়েছে। বিশ রাকাত তারাবিহ মুমিনদের সর্ববৃহৎ দলের আমলে আছে, সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে যে মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে ৮ রাকাতের হাদিস বানানো হয়েছে। একজন আমাকে বলল বোখারী বলেছেন এটা সহিহ। আমি বললাম তাঁকে কে সহিহ বলেছে? তো যে নিজে সহিহ নয় সে কি সহিহ বলেছে না সহিহ নয় বলেছে তাতে কার কি আসে যায়?

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

কাঁউটাল বলেছেন: গুলি ভুল যায়গায় মারছেন। হাদিসের সনদ নিয়া যারা ইসলামের অপব্যখ্যা করে তাদেরকে গুলি মারেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঘটনা হলো হাদিসের সনদ যারা সহিহ বা সহিহ বলছে তারা নিজেরাই সহিহ নয়। সুতরাং হাদিসের সহিহ বা সহিহ নয় সাব্যস্ত হবে উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমলের ভিত্তিতে।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কিছুদিন পর আপনি যদি হঠাৎ হাদিস এক্কেরে অস্বীকার করে বসে কুরানিয়ুনদের মত হয়ে যান এতটুকুও অবাক হবো না।

শিয়ারা যে পরিমানে জাল হাদিস তৈরী করেছে এক আলি (রাঃ) কে উপরে উঠানোর জন্য, সেটাই যথেষ্ঠ হাদিসের মান যাচাই করা কেন দরকার সেটা ব্যাখ্যা করতে।

যাই হোক, আগেও বলেছি, আপনার চিন্তাধারায় যথেষ্ট সমস্যা আছে। তাই অনুরোধ থাকবে, ইসলামী বিষয় সম্পর্কে লেখালেখি না করে পড়া শুরু করুন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শিয়ারা উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের অনুমোদনের বাইরে যে সব হাদিস প্রচার করছে তা’ হাদিস হিসাবে সাব্যস্ত নয়। আর ইসলাম বিষয়ে পড়ার পরেই আমি লিখছি।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: তার মানে কি একটা জাল হাদিসের উপরে যদি বৃহৎ অংশ আমল করে তাহলে ঠিক আছে?
আপনার বক্তব্য শুনে তো তাই মনে হচ্ছে!

ধর্ম নিয়ে মতামত প্রকাশের আগে সেই ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকা জরূরী !

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাল হাদিসের উপর উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমল পাওয়া যাবে না মর্মে হাদিসে উল্লেখ আছে।ঘটনা হলো হাদিস প্রকাশ হওয়ার পর এর উপর আমল শুরু হয়ে যায়। সঠিক হাদিসের আমল ঠেকাতে অনেক পরে জাল হাদিস তৈরী হয়। ফলে এর উপর আসল হাদিস থেকে আমল কম হয়। সেজন্য রাসূল (সা) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলকে সঠিকতার মাপকাঠি বানিয়েছেন এবং সেটা লজিক্যালও বটে।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনার বক্তব্য ৩০ বছর আগে হলে গ্রহণযোগ্যতা পেত। তখন মানুষ বাংলাদেশের বাইরে ইসলাম সম্পর্কে বেশী জানতে পারত না। বাপ, দাদা, পীর সাব যা বলেছে তাকেই সঠিক মনে করত। এখন যখন সচেতন হয়ে এতদিনের ভুলগুলোকে শোধরানোর চেষ্টা করছে, আপনারা বলছেন, যুগ যুগ ধরে পালনের কথা, বৃহৎ অংশের পালনের কথা, কল্যাণকর বিদআ'ত, হালালে জন্য সনদের দরকার নেই-হারামের জন্য দরকার ইত্যাদি। যাই হোক, আপনিও শেষ লাইনে রায় দিয়ে দিয়েছেন যেটা আপনিও দিতে পারেন না। কারণ, বিচার করবেন আল্লাহ...

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* হাদিসের মাধ্যমে সৎপথ প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে এর আমল শুরু হয়ে যায়। বোখারী গংদের সংকলনের জন্য কেউ হাদিসের আমল স্থগিত রাখেনি। পরে মোনাফেকরা মুমিনদের পথ হতে লোকদেরকে সরাতে জাল হাদিস বানায়। সুতরাং জাল হাদিসের আমল শুরু হয় আসল হাদিসের অনেক পরে। সেজন্য আসল হাদিসের আমলদার বেশী এবং জাল হাদিসের আমলদার কম। সেকথাই আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সা) বলেছেন। সুতরাং মুমিনদের পথ ছেড়ে যে মোনাফেক জালকারীদের পথে চলবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করার কথা বলেছেন।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

নবীজী যখন জীবিত ছিলেন তিনি কাউকেই হাদিস সংগ্রহ করতে বলেননি।
কাউকে বলেননি- আমি মারা গেলে আমার বাণীগুলো লিখে রেখো।

এটা উনি মারা যাবার ৩/৪ বছর করা হয়েছে। বলা হয়েছে অমুক সাহাবী বলেছেন, আয়েশা বলেছেন ইত্যাদি।
হাদিস মানেই অনুমান নির্ভর কিছ কথা।

হাদিস বেদাত ছাড়া আর কিছুই ।
যেটা নবী করতে বলেননি সেটা অবশ্যই বেদাত।


১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যার নিজের সহিহ হওয়ার গেরান্টি নাই সে বলছে ওমুক হাসি সহিহ, তমুক হাদিস সহিহ নয়। আর সেরকম হাদিস নিয়ে ঝগড়া করে মুছল্লি ইমাম পর্যন্ত খুন করে ফেলেছে। হাদিস তো প্রকাশের সাথে সাথেই মুমিনের আমলে উঠেগেছে। সুতরাং হাদিসের শুদ্ধতায় সেটাই হবে মাপকাঠি। ওমুক তমুকের কথা ইসলামে গৃহিত হবে না।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আচ্ছা বলুন তো- নবীজী কেন মুর্খ ছিলেন?
তার কি উচিত ছিল না পড়াশোনা জানা?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নবীজী মূর্খ বা নিরক্ষর ছিলেন না, তিনি ছিলেন পূর্ব কিতাব বিষয়ে অজ্ঞ।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচা, কোরান সংকলনের ইতিহাস জানেন? কোরান সংকলনের ইতিহাস জানলে হয়ত কোরানকেই বাতিল করে দেবেন। বেশী কিছু লিখলাম না শুধু একটা খোঁচা দিলাম, বাকিটা নিজে যাচাই করে নেন। কোরান যেভাবে সংকলন হয়েছে তার চাইতেও অনেক যাচাই বাছাই করে হাদিস লেখা হয়েছে। হাদিস বাদ দিলে কোরান বোঝার আর উপায় থাকে না, কোরান হয়ে যায় দুর্বো্ধ্য কিছু হাবিজাবি কথামালা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি আমার পোষ্ট বুঝেননি।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




হাদিসের সনদের সঠিকতা নিয়ে
আমারো অনেক প্রশ্ন আছে ।
শত শত বছর পরের বিভিন্ন সুত্র ধরে
বিভিন্ন মুখ হতে শুনা সনদের চেয়ে
শতবছর ধরে বেশী মুমিন মুসলমানে
পালন করা আমল অনেক বেশী গ্রহনযোগ্য
বলেই ধরে নেয়া যায় । সহি বলে সনদ প্রাপ্তির
পর সে সকল হাদিস আমলের যতার্থতা নিয়ে
এই সময়ে বিভিন্ন উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার
করে সহি বলে কথিত হাদিসের সহিত্বতা প্রমানের
জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা যায় ।
শুনেছি মানুষের বলা কথাগুলি হারিয়ে যায়না ,
বেতার তরঙ্গ কনার মত কথাগুলি আকাশে ইথারে
ভাসমান থাকে ।

নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্মি ব্যবহার করে বেতার তরঙ্গের মত
ইথারে ভাসমান কথা বা বার্তাকে উপযুক্ত রিসিভারের
মাধ্যমে রেডিউ যন্ত্রে ব্যবহার করে আমরা শুনতে পাই ।
শুনেছি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাজার বছর আগে মানুষের
বলা কথাগুলিকে সনাক্ত করার জন্য উপযুত্ত ফ্রিকোয়েন্সি
বের করার লক্ষে একদল বিজ্ঞানী কাজ করে যাচ্ছেন ।
তারা চেষ্টা করছেন ১৪শত বছর আগে নবিজী(স.) এর
বলা কথা যা ইথারে ভেসে বেড়াচ্ছে তা সনাক্ত করে
শুনার জন্য । আল্লাহর দান হিকমত ব্যবহার করে
বিজ্ঞানীগন অনেক বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক আবিস্কার
করেছেন । ধারনা করি মহান আল্লাহ প্রদ্ত্ত জ্ঞান
ও হিকমত ব্যবহার করে বিজ্ঞানীগন একদিন ঠিকই
হয়তবা সফল হবেন ইথারে ভেসে থাকা নবিজীর
কথামালা সনাক্ত করতে ।
তখন কোন হাদিসটি সহি ও কোনটি ভেজাল তা
হয়ত জানা যাবে । ইতিমধ্যে ইসলামের প্রথমিক
যুগে অধিক মুমিন মুসলমানদের আমল করা সহি
হাদিসের মধ্যে থেকেই আমল করা অধিক
যুক্তি সঙ্গত । তাতে অমঙ্গলের বিশেষ কোন
সম্ভাবনা থাকবেনা ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাসূলের (সা) কথায় আগে আমল হয়েছে। তারপর তা’ লিখিত হয়েছে তিনশত বছর পর। তিনশত বছরের পরের লিখিত অবস্থা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে এত দিনের আমলের কি হবে? সুতরাং আমল আগে শুরু হয়েছে বিধায় সেটাই গ্রহণযোগ্য হবে। তাতে রাসূলের (সা) কথা অনুযায়ী উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমল হবে মাপকাঠি। আর এটা যদি সকল মুসলিম মেনে নেয় তাহলে তাদের মাঝে আর মতভেদ থাকবে না। কিন্তু তিনশত বছরের পরের লিখিত হাদিসকে মাপকাঠি মানলে মুসলিমদের ঝগড়া কোন দিন থামবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.