নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে আলেম নয়, ওলামার রেফারেন্স হবে

১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৫০



সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* সুতরাং ওলামায়ে কেরামের সর্ববৃহৎ দল সুনিশ্চিতভাবে সঠিক। সুতরাং ইসলামে তাঁদের রেফারেন্স চলবে।

সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম হলেন হযরত আদম (আ.)। তিনিও শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। সুতরাং আলেম যত বড়ই হোন না কেন ওলামায়ে কেরামের সর্ববৃহৎ দলের বিপরীতে তিনি ইসলামের রেফারেন্স হবেন না। যে আলেম ওলামায়ে কেরামের সর্ববৃহৎ দলের বিপরীতে কোন মত প্রকাশ করেন না। তিনি ইসলামের রেফারেন্স হতে পারেন। ওলামা কারা?

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

* আল্লাহ থেকে সনদপ্রাপ্ত ওলামা হলেন আহলে যিকর। কারা আহলে যিকর?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়।আল্লাহ সাব্যস্ত আহলে যিকর মীলাদ, কীয়াম ও ঈদে মীলাদুন্নবীর (সা.) পক্ষে বিধায় এসবের বিরোধীতা ইসলাম নয়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



নবী ইব্রাহিম স্বপ্ন দেখেছিলেন তার প্রিয় বস্তুকে কুরবানী করতে।
তার প্রিয় বস্তু ছিল তার ছেলে।
তার নিজের প্রাণ ছিল তার অপ্রিয়।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্বপ্ন কি খুব একটা ভালো জিনিস?

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিজের প্রাণের চেয়ে ছেলের প্রাণ বেশী প্রিয় হওয়া অসংগত নয়। তথাপি আল্লাহ যদি এভাবেই কারো সাথে যোগাযোগ করেন তবে সেটা একান্তই তাঁর ইচ্ছা।

২| ১৩ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এক দিকে আছে নাস্তিকেরা, অন্য দিকে আছেন আপনারা! নাস্তিকেরা ইসলামের ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আর আপনারাও ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন।

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেজন্য যারা অনুসারী হবে তাদেরকে বুঝে-শুনে অনুসারী হতে হবে।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:১২

অগ্নিবেশ বলেছেন: নাস্তিকেরা ইসলামের ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা করে। শূন্যভাই, কি কইলেন? একটা উদাহরন দ্যান ত দেখি। নতুন করে ইসলামকে ব্যাখ্যা করার কি আছে? ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে যে তাফসির গ্রন্থগুলো লেখা হয়েছে সে গুলোইত যথেস্ট।
নাস্তিকেরা সেগুলোই কপি মারে। ইসলামের পশ্চাতদেশ বাঁচাতে আপনারা মডারেট মুসলমানেরাই এটা সেটা ব্যাখ্যা করেন।

১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নাস্তিক বড় অবোধ।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:১৯

নজসু বলেছেন:


সাজ্জাদ ভাইয়ের মন্তব্য থেকে এই প্রথম জানলাম, কোন পিতা তার সন্তানের জীবনের চেয়ে নিজের জীবনকে বেশি ভালোবাসতে পারে।

১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁর যে কখন কি মনে পড়ে বুঝা মুশকিল।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২১

আঁধার রাত বলেছেন: সুরা ফাতিরের ২৮ নং আয়াতের বক্তা কে? আল্লাহ নিজে নাকি? জিব্রাইল? নাকি রাসুল(সা:) স্বয়ং? অন্য কেউ হতে পারে। আল্লাহ বললে বলার কথা “নিশ্চয় আমার বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আমাকে ভয় করে। নিশ্চয় আমি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।”
তাই হওয়ার কথা না?
অথচ পড়ে মনে হচ্ছে কেউ একজন আল্লাহ সম্পর্কে বলছে। কিন্তু তা কি হওয়ার কথা? কোরআন তো আল্লাহর বানী!
অবশ্য অনেকে বলেন নবী যা জানত জিব্রাইল ঠিক ততটুকুই জানতো, আর আল্লাহ নবীর ফেক আইডি।

১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর কথায় কোন সমস্যা নাই। সমস্যা হলো আপনার বুঝায়।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

আঁধার রাত বলেছেন: যে অর্থে ধর্মান্ধো মানুষ আলেম শব্দকে সজ্ঞায়িত করে তাতে ব্যাপক ফাঁক লক্ষ্য করা যায়। একটা কচি ছেলেকে ১২ বছর গারবেজ গলার্ধকরণ করে তার অন্তরে মোহর মেরে সাড়ে চৌদ্দশত বছর পেছনে নিয়ে যেতে পারলে তাকে আলেম বলা হয়।
প্রকৃত অর্থে যার এলেম আছে সেই আলেম।
চোখের ডাক্তারের চোখ সম্পর্কে যে এলেম আছে সে চোখের আলেম
কৃষকের ধান গাছ পরিচর্যায় এলেম আছে সে ধান গাছের আলেম
মুচির জুতা সম্পর্কে এলেম আছে সে জুতার আলেম
সানী লিওনের কাম সম্পর্কে এলেম আছে সে কামের আলেম
ধর্মীয় বয়ানে যাকে আলেম বলা হয় কি আসলে কোন কিছুরই আলেম না। জাস্ট বিশ্বাস করার এলেম আছে তার তাই সে কেবল বিশ্বাসের আলেম। ইজ্জত ঢাকার কাপড়টা আসে ইহুদি আলেমের বানানো মেশিন থেকে।

১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অন্য কেই কি আপনার মত করে আলেমের নিষয়টি বুঝে?

৭| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আলেম ও ওলামার মাঝে পার্থক্য কোন জায়গায়?

১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলেম হলো ব্যক্তি এবং ওলামা হলো সমষ্টি।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৩৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: হ চাচা, নাস্তিকেরা অবোধ আর আপনারা বড়ই বুঝদার, মহম্মদের চাইতেও কোরান দুই কাঠি বেশী বুঝেন, তাই মনগড়া ব্যাখ্যা করেন। আইতে দ্যান শরীয়া ল বাংলাদেশে, মুমিনরা খুজে খুজে আপনাদের ধরব, কোরান হাদিস বিকৃত করেন? তহন নাস্তিকেরাই আপনাগো বাচাইবো।

১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নাস্তিক নিজের ইচ্ছামত চলতে গিয়ে সত্যকে উপেক্ষা করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.