নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন কালে কেউ না করলেও নতুন সুপ্রথা ইসলামে চালু করা যায়

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৩:৪৫




সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ-
১১৭। বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়া ইযা কাযা আমরান ফাইন্নামা ইয়াকুলু লাহু কুন, ফা ইয়াকুন
- আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর বাদী (দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা) এবং যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

সূরাঃ ৪৬ আহকাফ ৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
৯। কুল মা কুনতু বিদআম মিনার রাছুলি ওয়ামা আদরী মা ইয়াফআলু বি ওয়ালাকুম, ইন আত্তাবিউ ইল্লা মা ইউহা ইলাইয়া ওয়ামা আনা ইল্লা নাযিরুম মুবিন
-বল, আমি কোন বিদঈ (বিদাতি) রাসূল নই। আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে, আমি আমার প্রতি যা ওহী করা হয় কেবল তারই অনুসরন করি। আর আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৭ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
২০৭। আবু জুহায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের প্রচলন করে তদুনুসারে আমল করা হয়, তবে তার জন্য একাজের পুরস্কার রয়েছে এবং অন্য যারা এক কাজ করবে, তাদের সমপরিমাণ পুরস্কারও ঐ ব্যক্তি পাবে। অথচ তাদের পুরস্কারে কোন হ্রাস করা হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজের প্রচলন করে এবং তদনুযায়ী কাজ করা হয়, তবে এক কাজের পাপ তার হবে এবং যারা এ কাজ করবে, তাদের পাপের সমপরিমাণ গুনাহও তার হবে, অথচ এতে তাদের গুনাহের পরিমাণ কিছুতেই হ্রাস করা হবে না।

* বাদী (দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা) আল্লাহ। কোন কালে কেউ যা সৃষ্টি করেনি তিনি তাই সৃষ্টি করেছেন। রাসূল (সা.) বেদাতি রাসূল নন। তিনি যা বলেন, ওহীর ভিত্তিতে বলেন। তিনি ওহীন ভিত্তিতে বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের প্রচলন করে তদুনুসারে আমল করা হয়, তবে তার জন্য একাজের পুরস্কার রয়েছে এবং অন্য যারা এক কাজ করবে, তাদের সমপরিমাণ পুরস্কারও ঐ ব্যক্তি পাবে। অথচ তাদের পুরস্কারে কোন হ্রাস করা হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজের প্রচলন করে এবং তদনুযায়ী কাজ করা হয়, তবে এক কাজের পাপ তার হবে এবং যারা এ কাজ করবে, তাদের পাপের সমপরিমাণ গুনাহও তার হবে, অথচ এতে তাদের গুনাহের পরিমাণ কিছুতেই হ্রাস করা হবে না। সুতরাং ওহীর ভিত্তিতে ইসলামে কোন ভালো কাজের প্রচলন করলে তবে তার জন্য একাজের পুরস্কার রয়েছে এবং অন্য যারা এক কাজ করবে, তাদের সমপরিমাণ পুরস্কারও ঐ ব্যক্তি পাবে। এর আগে এ কাজ আর কেউ করেছে কিনা এমন প্রশ্নতোলা হারাম। কারণ রাসূল (সা.) যা বলেছেন তা’ সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াত ও সূরাঃ ৪৬ আহকাফ ৯ নং আয়াতের ভিত্তিতে বলেছেন।

সহিহ মুসলিম ১৮৭৮ নং হাদিসের (জুময়ার নামাজ অধ্যায়)অনুবাদ-
১৮৭৮। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন ভাষণ দিতেন তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করত, কন্ঠস্বর জোরাল হত এবং তাঁর রোষ বেড়ে যেত, এমন কি মনে হত, তিনি যেন শত্রুবাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করে বলছেন, তোমরা ভোরে আক্রান্ত হবে, তোমরা সন্ধায় আক্রান্ত হবে। তিনি আরো বলতেন, আমি ও কিয়ামত এ দুটির ন্যায় প্রেরিত হয়েছি, তিনি মধ্যমা ও তর্জনী মিলিয়ে দেখাতেন। তিনি আরো বলতেন, এরপর উত্তম বাণী হলো, আল্লাহর কিতাব এবং উত্তম পথ হলো মুহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত পথ। অতীব নিকৃষ্ট বিষয় হলো বিদয়াত। প্রত্যেক বিদয়াত ভ্রষ্টতা। তিনি আরো বলতেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার নিজের থেকে অধিক উত্তম। যদি কোন ব্যক্তি সম্পদ রেখে যায়, তবে তা’ তার পরিবার পরিজনের প্রাপ্য। আর কোন ব্যক্তি যদি ঋণ অথবা অসহায় সন্তান রেখে যায়, তবে সেগুলোর দায়িত্ব আমার।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৫ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৫। হযরত শরীক ইবনে শিহাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করবো এবং খারেজীদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাস করবো। ঘটনা চক্রে ঈদের দিন আবু বরযা আসলামীকে (রা.) তাঁর কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি খারেজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি। একদা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু মাল আসে। তিনি তাঁর ডান দিকের এবং বাম দিকের লোকদের মধ্যে বন্টন করে দেন এবং যারা তাঁর পিছনে ছিল, তিনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে মোহাম্মদ (সা.) আপনি ইনসাফের সাথে বন্টন করেননি। সে ছিল কাল রং বিশিষ্ট। মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) অতিশয় রাগান্বিত হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পর আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, শেষ যুগে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় ঐ ব্যক্তি ঐ সকল লোকের মধ্যে হবে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না।তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদেরকে হত্যা করবে। কেননা, তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম।
* উপরোক্ত আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী প্রত্যেক বিদয়াত ভ্রষ্টতা এটা পাপ কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কিন্তু খারেজীরা মিলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.), শবেবরাত ও সম্মিলিত মুনাজাতের মত সাওয়াবের কাজকে ভ্রষ্টতার বিদয়াত বলে থাকে। এরা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম। অন্য হাদিস অনুযায়ী এরা জাহান্নামের কুকুর হবে। সাওয়াবের কাজের বিদয়াত হলো উত্তম বিদয়াত। নবুয়তের সকল খলিফা উত্তম বিদয়াত চালু করেছেন।

# ‘কুল্লু বিদয়াতিন দলালা-প্রত্যেক বিদয়াত পথভ্রষ্টতা’ হাদিসের কুল্লূ (প্রত্যেক) শব্দটি মানসুখ হয়েছে

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সহিহ মুসলিম, ৬৬৯ নং হাদিসের (কিতাবুল হায়েয) অনুবাদ-
৬৬৯। হযরত আবুল আলা ইবনে শিখখীর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কোন কোন হাদিস একটি আরেকটিকে মানসুখ বা রহিত করে, যেমন কোরআনের কোন কোন আয়াত কোন কোন আয়াতকে মানসুখ বা রহিত করে।

* আয়াত বা হাদিসের আংশিক বা সম্পূর্ণ মানসুখ হওয়া ইসলামের বিধান।

সহিহ মুসলিম ১৮৭৮ নং হাদিসের (জুময়ার নামাজ অধ্যায়)অনুবাদ-
১৮৭৮। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন ভাষণ দিতেন তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করত, কন্ঠস্বর জোরাল হত এবং তাঁর রোষ বেড়ে যেত, এমন কি মনে হত, তিনি যেন শত্রুবাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করে বলছেন, তোমরা ভোরে আক্রান্ত হবে, তোমরা সন্ধায় আক্রান্ত হবে। তিনি আরো বলতেন, আমি ও কিয়ামত এ দুটির ন্যায় প্রেরিত হয়েছি, তিনি মধ্যমা ও তর্জনী মিলিয়ে দেখাতেন। তিনি আরো বলতেন, এরপর উত্তম বাণী হলো, আল্লাহর কিতাব এবং উত্তম পথ হলো মুহাম্মদ (সা.) প্রদর্শিত পথ। অতীব নিকৃষ্ট বিষয় হলো বিদয়াত। প্রত্যেক বিদয়াত ভ্রষ্টতা। তিনি আরো বলতেন, আমি প্রত্যেক মুমিনের জন্য তার নিজের থেকে অধিক উত্তম। যদি কোন ব্যক্তি সম্পদ রেখে যায়, তবে তা’ তার পরিবার পরিজনের প্রাপ্য। আর কোন ব্যক্তি যদি ঋণ অথবা অসহায় সন্তান রেখে যায়, তবে সেগুলোর দায়িত্ব আমার।

সহিহ মুসলিম ২২২৯ নং হাদিসের (দানের ফজিলত)অনুবাদ-
২২২৯। হযরত মুনযির ইবনে জারির (র.) কর্তৃক তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ভোরের দিকে রাসূলুল্লাহর কাছে হাজির ছিলাম, এসময় তাঁর কাছে পাদুকা বিহীন, ব্রতহীন, গলায় চামড়ার আবা পরিহিত এবং নিজেদের তরবারী ঝুলন্ত অবস্থায় একদল লোক আগমন করে। এদের অধিকাংশ কিংবা সকলেই মুদার সম্প্রদায়ের লোক ছিল। অভাব অনটনে তাদের এ করুণ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মুখমন্ডল পরিবর্তিত ও বিষণ্ন হয়ে যায়। তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন এবং বেরিয়ে এসে বিলালকে (রা.) আযান দিতে নির্দেশ দিলেন। বিলাল (রা.) আযান ও ইকামত দিলেন। নামায শেষ করে তিনি উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে আয়াতপাঠ করেন, ‘হে মানব জাতি! তোমরা নিজেদের রবকে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র লোক থেকে সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের হেফাজতকারী (সূরাঃ ৪ নিসা আয়াত নং ১)’। এরপর তিনি সূরা হাসরের শেষ দিকের এ আয়াতপাঠ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তি যেন ভবিষ্যতের জন্য কি সঞ্চয় করেছে সে দিকে লক্ষ্য করে(সূরাঃ ৫৯ হাসর, ১৮ নং আয়াত)’।এরপর উপস্থিত লোকদের কেউ তার দিনার, কেউ দিরহাম, কেউ কাপড়, কেউ এক সা আটা ও কেউ এক সা খেজুর দান করল। অবশেষে তিনি বললেন, অন্ততঃ এক টুকরো খেজুর হলেও নিয়ে আস। বর্ণনাকারী বলেন, আনসার সম্পদায়ের এক ব্যক্তি একটি বিরাট থলি নিয়ে আসেন। এরভারে তার হাত অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছিল কিংবা অবশ হয়ে গেল। রাবী আরো বলেন,এরপর লোকেরা সারিবদ্ধভাবে একেরপর এক দান করতে থাকলে খাদ্য ও কাপড়ের দু’টি স্তুপহয়ে যায়।রাসূলুল্লাহর চেহারা মুবারকে খাঁটি সোনার মত উজ্জ্বল ভাব প্রকাশিত হলো।এরপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে কোন উত্তম প্রথা বা কাজের প্রজচলন করে সে তার এ কাজে সাওয়াব পাবে এবং তার পরে যারা তার এ কাজ দেখে তা’ করবে তারাও এর বিনিময়েও সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইসলামের পরিপন্থী কোন খারাপ প্রথা বা কাজের প্রচলন করবে, তাকে তার এ কাজের বোঝা বহন করতে হবে। এর পর যারা তাকে অনুসরন করে এ কাজ করবে তাদের সম পরিমাণ বোঝাও তাকে বহন করতে হবে। কিন্তু এতে তাদের অপরাধ ও শাস্তি কোন অংশেই কমবে না।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৭ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
২০৭। আবু জুহায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের প্রচলন করে তদুনুসারে আমল করা হয়, তবে তার জন্য একাজের পুরস্কার রয়েছে এবং অন্য যারা এক কাজ করবে, তাদের সমপরিমাণ পুরস্কারও ঐ ব্যক্তি পাবে। অথচ তাদের পুরস্কারে কোন হ্রাস করা হবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজের প্রচলন করে এবং তদনুযায়ী কাজ করা হয়, তবে এক কাজের পাপ তার হবে এবং যারা এ কাজ করবে, তাদের পাপের সমপরিমাণ গুনাহও তার হবে, অথচ এতে তাদের গুনাহের পরিমাণ কিছুতেই হ্রাস করা হবে না।

* সহিহ মুসলিম ২২২৯ নং হাদিস এবং সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৭ নং হাদিস দ্বারা সহিহ মুসলিম ১৮৭৮ নং হাদিসের ‘কুল্লু বিদয়াতিন দলালা-প্রত্যেক বিদয়াত পথভ্রষ্টতা’ হাদিসের কুল্লূ (প্রত্যেক) শব্দটি মানসুখ হয়েছে। কারণ সহিহ মুসলিম ২২২৯ নং হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে কোন উত্তম প্রথা বা কাজের প্রজচলন করে সে তার এ কাজে সাওয়াব পাবে এবং তার পরে যারা তার এ কাজ দেখে তা’ করবে তারাও এর বিনিময়েও সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইসলামের পরিপন্থী কোন খারাপ প্রথা বা কাজের প্রচলন করবে, তাকে তার এ কাজের বোঝা বহন করতে হবে। এর পর যারা তাকে অনুসরন করে এ কাজ করবে তাদের সম পরিমাণ বোঝাও তাকে বহন করতে হবে। কিন্তু এতে তাদের অপরাধ ও শাস্তি কোন অংশেই কমবে না।নবুয়তের খলিফাগণের আমল দ্বারা এ মানসুখের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়াগেছে। এখানে সম্পূর্ণ হাদিস মানসুখ না হয়ে এর অংশ বিশেষ মানসুখ হয়েছে।

সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।

হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৮১ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৮১। হযরত ইবনে ওমর (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন,আমার পিতা যখন আহত হলেন তখন আমি তাঁর কাছে গিয়ে হাজির হলাম। লোকজন তাঁর প্রশংসা করে বলল, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন! তিনি তখন বললেন, আমি আশাবাদী ও সন্ত্রস্ত। তখন লোকেরা বলল, আপনি কাউকে খলিফা মনোনীত করে যান। তখন তিনি বললেন, আমি কি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায়ই তোমাদের বোঝা বহন করব? আমার আকাংখা খিলাফতের ব্যাপারে আমার ভাগ্যে কেবল নিস্কৃতি জুটুক। আমার উপর কোন অভিযোগও অর্পিত না হোক, আর আমি লাভবানও না হই। আমি যদি কাউকে খলিফা মনোনীত করি (তবে তার দৃষ্টান্ত আছে) কেননা, আমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি [আবু বকর (রা.)] খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন। আর যদি আমি তোমাদের (খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই) ছেড়ে যাই, তাহলে আমার উত্তম (অনুসরনীয়) যিনি ছিলেন [রাসূলুল্লাহ (সা.)] তোমাদের (খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই) ছেড়ে গিয়েছেন। রাবী বলেন, তিনি যখন রাসূলুল্লাহর (সা.) এর কথা উল্লেখ করেন তখনই আমি বুঝে নেই যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না।

* খলিফা মনোনীত করার উত্তম বিদয়াত চালু করেছেন খোলাফায়ে রাশেদার প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)।

সহিহ বোখারী ১৮৭০ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭০। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানের সাথে এবং ছাওয়াবের আশায় (নামাযে) দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনে শেহাব বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং হকুমও এ অবস্থায়ই রয়ে গেল। তারপর আবু বকর (রা.) এর সম্পূর্ণ খেলাফত আমল এবং ওমরের (রা.) খেলাফত আমলের প্রথম ভাগ এ অবস্থায়ই কেটে গেল। (এ সময়) সকলেই একা একা তারাবীহ পড়ত।ইবনে শিহাব ওরওয়াহ ইবনে জোবায়ের থেকে বর্ণনা করেছেন,আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী বলেছেন, আমি রমযানের এক রাতে ওমর ইবনে খাত্তাবের সাথে মসজিদের দিকে বের হলাম। ;দেখলাম,বিভিন্ন অবস্থায় বহুলোক একা একা নামায পড়ছে।তখন হজরত ওমর (রা.) বললেন,আমার মনেহয় এদের সকলকে একজন কারীর সাথে জামাতভুক্ত করে দিলে সর্বাপেক্ষা ভাল হবে।অতঃপর তিনি তাই করার মনস্থ করলেন এবং তাদেরকে উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এর পিছনে জামাতভুক্ত করে দিলেন। এরপর আমি দ্বিতীয় রাতে আবার তাঁর সাথে নামাজে বের হলাম। দেখলাম, লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামাজ পড়ছে। ওমর (রা.) বললেন এটি একটি উত্তম বিদয়াত। রাতের যে অংশে লোকেরা নিদ্রা যায়, তা যে অংশে তারা ইবাদত করে তদপেক্ষা উত্তম।অর্থাৎ রাতের প্রথমভাগ অপেক্ষা শেষ ভাগের নামায অধিক উত্তম। এটিই তিনি বুঝাতে চেয়েছেন।

* ঘোষণা দিয়ে উত্তম বিদয়াত চালু করেছেন খোলাফায়ে রাশেদার দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)।

সহিহ বোখারী ৮৬৩ নং হাদিসের (কিতাবুল জুমুয়া) অনুবাদ-
৮৬৩। হজরত সায়েব ইবনে ইয়াযিদ (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.), আবু বকর (রা.) ও ওমরের (রা.) সময়ে ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন তখন প্রথম আযান দেয়া হত। অনন্তর যখন ওসমানের (রা.) খেলাফতের সময় আসে এবং লোকসংখ্যা অত্যাধিক বৃদ্ধি পায় তখন ওসমান (রা.) জুমুয়ার দিনে তৃতীয় আযানের নির্দেশ দেন এবং জাওরা হতে আযান দেয়া হতে থাকে। তারপর এ রেওয়াজ চলতে থাকে।

* খোলাফায়ে রাশেদার তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা.) জুমুয়ার নামাজে একটি বাড়তি আযানের উত্তম বিদয়াত চালু করেন।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৩ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৩। হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার পর তোমরা আমার সাহাবীদের মধ্যে আবু বকর, ওমর ও আম্মারের অনুসরন কর এবং ইবনে মাসউদের উপদেশ শক্তভাবে আঁকড়ে ধর।

* মুসলমানের সাথে মুসলমানের যুদ্ধের উত্তম বিদয়াত চালু করেছেন খোলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা.)। তিনি যাঁদের সাথে যুদ্ধ করেছেন তাঁদের একদল হলো হযরত আয়েশার (রা.) দল। সে দলে দু’জন আশারায়ে মুবাশ্বেরা ছিলেন।সুতরাং হযরত আয়েশার (রা.) দলকে মুসলমানের দল নয় বলার সুযোগ নাই। হযরত আলীর (রা.) দলে ছিলেন হযরত আম্মার (রা.) ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)। সুতরাং হযরত আলীর (রা. দলকেও মুসলিমের দল নয় বলার সুযোগ নাই। সুতরাং বুঝাগেল, ‘প্রত্যেক বিদয়াত পথভ্রষ্টতা’ এ হাদিসের প্রত্যক মানসুখ হয়ে নতুন বিধান হলো, মন্দ বিদয়াত পথভ্রষ্টতা। কোন বিদয়াত মন্দ এবং কোন বিদয়াত মন্দ নয় সেটা কে বলবে?

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

* কোন বিদয়াত মন্দ এবং কোন বিদয়াত মন্দ নয় সেটা বলবেন আহলে যিকর। যিকর কি আহলে যিকর কারা?

সূরাঃ ১৫ হিজর, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯। নিশ্চয়ই আমরা যিকর নাযিল করেছি। আর আমরা উহার হেফাজতকারী।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যিকর হলো কোরআন। কোরআন যাঁদের মাঝে নাযিল হয়েছে সেই সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর।

সহিহ মুসলিম, ৮৩ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
৮৩। হযরত তারিক ইবনে শিহাব বলেন, মারওয়ান ঈদের দিন নামায়ের পূর্বে খুতবা দেওেয়ার বিদয়াতী প্রথার প্রচলন করেন। এসময় এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললেন, ‘খুতবার আগে নামায সম্পন্ন করুন’।মারওয়ান বললেন, এখন থেকে সে নিয়ম পরিবর্তন করা হলো। সাথে সাথে আবু সাঈদ খুদরী (রা.) উঠে বলেন, এ ব্যক্তি তার কর্তব্য পালন করেছে। আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ গর্হিত কাজহতে দেখলে সে যেন স্বহস্তে পরিবর্তন করে, তার সে ক্ষমতা না থাকলে মুখ দ্বারা এর পরিবর্তন করবে। আর সে সাধ্যও না থাকলে,তখন অন্তর দ্বারা ঘৃণা করবে, এক্ষেত্রে এটাই হচ্ছে ঈমানের দূর্বলতম পরিচয়।

* মারওয়ানের কাজকে সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর মন্দ বিদয়াত সাব্যস্ত করায় উহা মন্দ বিদয়াত। এখন আহলে যিকর কারা?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর মীলাদ, কিয়াম, ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.), শবেবরাত ও সম্মিলিত মুনাজাতকে মন্দ বিদয়াত নয় বলায় এসবকে যারা মন্দ বিদয়াত বলে তারা মুসলিমদের নাজাতপ্রাপ্ত দলের সদস্য নয়।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

* স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) উত্তম বিদয়াত সাওয়াবের কাজ, এ কথার উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। সুতরাং যারা উত্তম বিদয়াতকে সাওয়াবের কাজ নয় বলে তারা মুসলিমদের নাজাতপ্রাপ্ত দলের সদস্য নয়। এরপর এক উল্লুক যারা পথভ্রষ্ট তাদের ভিডিও বক্তব্য আমার পোষ্টে মন্তব্য হিসাবে উপস্থাপন করতে পারে।পাঠকগণকে সে উল্লুকের ভিডিও মন্তব্যের পথভ্রষ্ট লোকদের বিষয়ে সাবধান থাকার অনুরোধ করছি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: কোরানেকি আর চলছে না।নতুন কিছু লাগবে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নতুন পরিস্থিতিতে নতুন কিছু লাগাই সংগত। সে ক্ষেত্রে কি করতে হবে সেটা কোরআনেই বলা আছে। আমি কোরআনের বাইরে গিয়ে কিছু বলছি না।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




যে ধর্মই পচা মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।
তবে আপনারটা একটু বেশিই পচা।

০৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার অনেক কথাই মুখস্ত হয়ে থাকে।

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচায় আমার হাদিস মানেন না, এখন আবার দেখতাছি কোরানের উপর পুরপুরি ভরসা রাখতে পারছেন না। চাচা কি আমার খপ্পরে পড়ে নাস্তিক হইবার চায়? ভাতিজারা হজ্ঞলে জানবার চায়।

০৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মন্তব্য পড়ে পোষ্ট পড়েছেন বলে মনে হলো না।

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

নতুন বলেছেন: তাহলে বর্তমানে ইসলামী ফেসবুক শুরু করা যায়। মুসলিম উম্মার সবার আইডি থাকবে।
ইসলামী হোয়াটসএপপ গুপ করা যায়। ওয়াজ, মাসালা সেয়ার করা যাবে? সরাসরি ফোতয়ার জবাব দেবেন স্কলাররা।

০৭ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন সুকাজের পথই মুসলিমের জন্য বন্ধ নয়।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ইসলাম অবশ্যই সেরা ধর্ম।
সেরা ধর্ম এই কারণে যে এই ধর্মে যে কোন পাপ করলেই আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা মাফ করে দেন।
বান্দা পাপ করতে ভালো বাসে।
আর তিনি মাফ করেত ভালো বাসেন।
তিনি বড়ই ক্ষমাশীল।

আসুন, সবাই পাপ করি।
আর মাফ চাই।
তিনি খুশী হবেন।

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাপ করার মত পাপ হলে আল্লাহ মাপ করেন। মাপ করার মত পাপ না হলে আল্লাহ মাপ করেন না। পাপ করলেই আল্লাহ মাপ করবেন ঘটনা এমন নয়। সুতরাং পাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ আল্লাহ মাপ না করলে এর জন্য মহাবিপদে পড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.